Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Wednesday, April 3, 2013

আর কত রক্তনদী বইবে এপার বাংলায় ওপার বাংলায় ক্ষমতা দখলের আত্মঘাতী লড়াইয়ে?এই ছাত্রবিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে নিথর হয়ে গিয়েছে ২৩ বছরের সুদীপ্ত। আড্ডার ফাঁকে একবার রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে শুরু করলে, যে সুদীপ্ত থামতে চাইতেন না, আজ তিনি চিরঘুমে আচ্ছন্ন।কত ছেলেমেয়ের প্রাণের বিনিময়ে আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশে সুস্থ জীবনের অধিকারী হতে পারব?ওপার বাংলায় বাঙ্গলা জাতিয়তাবাদের জয়ঘোষচাপা পড়ে যাচ্ছে ক্ষমতাদখলের লড়াইয়ে।দক্ষিনপন্থী ধর্মান্ধ রাজনীতিকে হাতিয়ার করে ক্ষমতাদখলের লড়াইয়ে বলি হচ্ছে সংখ্যালঘুরা।এপার বাংলায় ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক ব্যবস্থা জিইয়ে রেখে বাঙ্গালি হিন্দু রাষ্ট্রের পরিবেশে রক্তাক্ত হচ্ছে বাংলার মাটি রোজ।আকাশ বাতাস বিষাক্ত এখন।বিষময় পরিবেশ।কেউ কাউকে এক ইন্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ। সমস্ত রাজ্যবাসী দ্বিধা বিভক্ত।জিতলেই হবে।যে কোনও মুল্যে জয় চাইই।দুর্যোধনের রণহুন্কারে স্তব্ধ মানবতা। পলাশ বিশ্বাস


আর কত রক্তনদী বইবে এপার বাংলায় ওপার বাংলায় ক্ষমতা দখলের আত্মঘাতী লড়াইয়ে?এই  ছাত্রবিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে নিথর হয়ে গিয়েছে ২৩ বছরের সুদীপ্ত। আড্ডার ফাঁকে একবার রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে শুরু করলে, যে সুদীপ্ত থামতে চাইতেন না, আজ তিনি চিরঘুমে আচ্ছন্ন।কত ছেলেমেয়ের প্রাণের বিনিময়ে আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশে সুস্থ জীবনের অধিকারী হতে পারব?ওপার বাংলায় বাঙ্গলা জাতিয়তাবাদের জয়ঘোষচাপা পড়ে যাচ্ছে ক্ষমতাদখলের লড়াইয়ে।দক্ষিনপন্থী ধর্মান্ধ রাজনীতিকে হাতিয়ার করে ক্ষমতাদখলের লড়াইয়ে বলি হচ্ছে সংখ্যালঘুরা।এপার বাংলায় ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক ব্যবস্থা জিইয়ে রেখে বাঙ্গালি হিন্দু রাষ্ট্রের পরিবেশে রক্তাক্ত হচ্ছে বাংলার মাটি রোজ।আকাশ বাতাস বিষাক্ত এখন।বিষময় পরিবেশ।কেউ কাউকে এক ইন্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ। সমস্ত রাজ্যবাসী দ্বিধা বিভক্ত।জিতলেই হবে।যে কোনও মুল্যে জয় চাইই।দুর্যোধনের রণহুন্কারে স্তব্ধ মানবতা

পলাশ বিশ্বাস


আর কত রক্তনদী বইবে এপার বাংলায় ওপার বাংলায় ক্ষমতা দখলের আত্মঘাতী লড়াইয়ে?এই  ছাত্রবিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে নিথর হয়ে গিয়েছে ২৩ বছরের সুদীপ্ত। আড্ডার ফাঁকে একবার রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে শুরু করলে, যে মথামতে চাইতেন না, আজ তিনি চিরঘুমে আচ্ছন্ন।কত ছেলেমেয়ের প্রাণের বিনিময়ে আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশে সুস্থ জীবনের অধিকারী হতে পারব?ওপার বাংলায় বাঙ্গলা জাতিয়তাবাদের জয়ঘোষচাপা পড়ে যাচ্ছে ক্ষমতাদখলের লড়াইয়ে।দক্ষিনপন্থী ধর্মান্ধ রাজনীতিকে হাতিয়ার করে ক্ষমতাদখলের লড়াইয়ে বলি হচ্ছে সংখ্যালঘুরা।এপার বাংলায় ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক ব্যবস্থা জিইয়ে রেখে বাঙ্গালি হিন্দু রাষ্ট্রের পরিবেশে রক্তাক্ত হচ্ছে বাংলার মাটি রোজ।আকাশ বাতাস বিষাক্ত এখন।বিষময় পরিবেশ।কেউ কাউকে এক ইন্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ। সমস্ত রাজ্যবাসী দ্বিধা বিভক্ত।জিতলেই হবে।যে কোনও মুল্যে জয় চাইই।দুর্যোধনের রণহুন্কারে স্তব্ধ মানবতা

UN on BD violenceবাংলাদেশে চলমান সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। যেকোন দাবি আদায়ে সহিংস কর্মকান্ডের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ দল।

সম্প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানালো জাতিসংঘ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৮৭ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে আরো কয়েকশ মানুষ। রাষ্ট্র কিংবা অন্য কোন পক্ষ থেকে কোন ধরনের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ দলটি।

হেফাজতে ইসলামের সাথে সমঝোতার চেষ্টা, গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধের উদ্যোগ ও ব্লগারদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে আগের অবস্থান থেকে  সরে যাচ্ছে সরকার। তবে অবস্থানের এই পরিবর্তনকে নীতিগত বলে মনে করেন না তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান। অন্যদিকে আরেক সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান একে দেখছেন রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পাশাপাশি রোববার গণভবনে আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জোরালো দাবি ওঠে গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করার। সোমবার গণভবনে একইভাবে ইসলাম নিয়ে কটাক্ষকারীদের বরদাস্ত করা হবে না বলে তরিকত ফেডারেশনের নেতাদের আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার গণজাগরণ মঞ্চের তিন ব্লগারকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। শিগগিরই সাইবার ট্রাইব্যুনালের কাজ শুরুর কথা জানান আইনমন্ত্রী।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আরেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান ও মনে করেন সরকারের নীতির পরিবর্তন হয়নি। গণজাগরণ মঞ্চ ও হেফাজতে ইসলামের মধ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে সরকার কৌশল পরিবর্তন করেছে। নীতি কিংবা অবস্থান পরিবর্তন যাই হোক, সংঘাত এড়াতে সরকার সমঝোতার পথ বেছে নেবে বলে মনে করেন তারা।

বর্তমান সরকারের শাসন থেকে পরিত্রাণ চায় মানুষ

মির্জা ফখরুল ইসলামদেশের মানুষ সরকারের হাত থেকে পরিত্রাণ চায় উল্লেখ করে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার রাজধানীতে এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

১৮ দল দেশের সব মানুষকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল। তিনি বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। আর নিজেদের  সব ব্যর্থতা  থেকে জনগনের দৃষষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে সব দোষ বিরোধী দলের ওপর চাপাতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার

PM On Otismদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে সফররত ডেনমার্কের উন্নয়ন সহযোগী মন্ত্রী ক্রিস্টান ফ্রিজ ব্যাক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার গত চার বছরে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করেছে। কেউ নির্বাচন নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে কখনও প্রশয় দেয়া হবে না উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের সময় দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড উন্টার গেমসে ফ্লোর হকি খেলায় অংশ গ্রহণকারী ও স্বর্ণ পদক জয়ী বাংলাদেশ দলের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতার স্বতেও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ উদ্দ্যেগ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


অন্যদিকে রাজ্যের চাষিরা অর্থনৈতিক অনটনে আত্মহত্য করতে বাধ্য হচ্ছে অথছ কৃষক শ্রমিক আন্দোলন এখনও শুরু হয়নি।দিল্লীতে, এলাহাবাদে বা বেনারসেও তুমুল ছাত্র আন্দোলন রাজনীতি হয়, কিন্তু সেখানে এভাবে ছাত্র নির্ভর রাজনীতি হয় না।রাজনৈতিক নেতারা গা বাঁচিয়ে রাজনীতি করবেন।তাঁদের স্বজনদের গায়ে আঁচড়টি পড়বে না।আত্মঘাতী লড়াইয়ে দুপক্ষের তরফেই মারা পড়বে সাধারণ মানুষ।হারাতে হবে তাজা টাটকা প্রাণ ,যেমন সুদীপ্তকে হারাতে হল।কোনো প্রতিবাদ, ধিক্কার , শোক জ্ঞাপনে সে আর ফিরবে না

এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর কারণ নিয়ে তরজা অব্যাহত৷  সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবারই বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করে বামেরা৷ কিন্তু, একদিন কেটে গেলেও প্রশাসনের তরফে সে প্রসঙ্গে কোনও প্রত্যুত্তর মেলেনি৷ বরং এদিন এসএসকেএমে গিয়ে লাইট পোস্টে ধাক্কা লেগেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, কার্যত পুলিশের এই তত্ত্বেই সিলমোহর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নিহত সুদীপ্তর দিদি৷ বললেন, যে কোনও ঘটনাই দুর্ভাগ্যজনক বলে দায় এড়ানো যায় না৷ সুবিচার দরকার৷ এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়৷ তাই এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত প্রয়োজন৷ মুখ্যমন্ত্রীর সুবিচারের প্রতিশ্রুতি অন্তত দেওয়া উচিত ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন৷ 

মঙ্গলবার দুপুরে ধর্মতলা থেকে আরও কয়েক হাজার এসএফআই কর্মী-সমথর্কের সঙ্গে গ্রেফতার করে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সুদীপ্তকে৷ সেই সময় পথেই গুরুতর আহত হন তিনি৷ দুপুরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সন্ধ্যায় মারা যান সুদীপ্ত৷ ।
কীভাবে সুদীপ্তর মৃত্যু হল, তা নিয়ে পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে বিস্তর ফারাক উঠে এসেছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশের মারে বাস থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সুদীপ্তর৷  শুধু তাই নয়, পড়ে যাওয়ার পরও মার থামেনি৷ পুলিশের অবশ্য দাবি, প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার পথে বাসের গেটে ঝোলার সময় লাইটপোস্টে ধাক্কা খেয়েই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ পুলিশের এই তত্ত্বেই সায় দিয়ে বুধবার সকালে এসএসকেএমে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ট্রেনে যাতায়াতের সময় পোস্টে ধাক্কা লেগে অনেক তৃণমূল কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে৷ রাজনৈতিক মহলের অভিমত, তাঁর মন্তব্যে এমন একটা ধারনা তৈরি হয়েছে যে, সুদীপ্তর মৃত্যুর ভয়াবহতাকে তিনি খানিকটা লঘু করেই দেখাতে চাইলেন৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএমে গিয়েছিলেন সুদীপ্তর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে৷ কিন্তু তাঁর ওই মন্তব্যে খানিকটা হলেও ক্ষোভ তৈরি হয় সেখানে উপস্থিত থাকা এসএফআই নেতা ও কর্মীদের মধ্যে৷ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে না হলেও  স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা৷ এসএফআই নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএমে গেলেও সুদীপ্তর সামনে গেলেন না কেন? 
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যান লালবাজারে৷ সেখান থেকে মহাকরণ৷ সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুতে এ দিন দুঃখপ্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, পরিবার চাইলে সবরকমের সাহায্য করবে রাজ্য সরকার৷ কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর এই রুটিন-আশ্বাসে হতাশ নিহত সুদীপ্তর শোকার্ত পরিবার৷   
এদিকে, গতকাল গ্রেফতারির পর যে বাসে তুলে সুদীপ্ত-সহ এসএফআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই বাসের চালকের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় মামলা রুজু করে পুলিশ৷ বাসচালক রাজা দাসের বিরুদ্ধে ৩০৪-এর 'এ' ধারায় গাফিলতির জেরে মৃত্যু ও ২৭৯ ধারায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ মামলা রুজু করা হয়৷ এভাবে বেসরকারি গাড়ি চালকের ঘাড়ে পুলিশ দায় চাপাতে চাইছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে৷ ।আইনঅমান্যকারীদের পুলিশ গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিল৷ পুলিশের নির্দেশেই চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন৷ তাই পুলিশ ঘটনার দায় এভাবে এড়াতে পারেন না বলে বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছে৷।
এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকায় সমালোচনায় সরব বিরোধীরাও৷ সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ঘটনার দায় এড়াতে চাইছে সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সত্যের মুখোমুখি হওয়া৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, প্রকৃত ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার৷
চাপানউতোরের এই আবহেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, এমন কিছু বলা উচিত নয় যাতে নিহতের পরিবার আহত হয়৷ দেহ নিয়ে রাজনীতি করাও উচিত নয়৷ 
সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির পাল্টা অভিযোগ, সরকার হিংসায় মদত দিচ্ছে৷ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারিও৷ 
বিরোধীদের চড়া সুরের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে৷ ২২ বছরের তরতাজা যুবকের মৃত্যু ঘিরে যেখানে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, সেখানে ঘটনাকে শুধুই দুঃখজনক বলাটাই কি যথেষ্ট? প্রশ্ন উঠছে৷

http://www.abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/35265-2013-04-03-08-46-54


এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্ত যে ভাবে মারা গিয়েছেন তাকে সরাসরি পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা৷ তাঁদের বক্তব্য, ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় সুদীপ্ত ও অন্যান্য এসএফআই কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ৷ এরপরই সুদীপ্তর মৃত্যু হয়েছে৷ মৃত্যুর কারণ নিয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে বিস্তর ফারাক থাকলেও, মৃত্যু যে পুলিশ হেফাজতেই হয়েছে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই আইনজীবীদের একাংশের৷ তাঁদের দাবি, এক্ষেত্রে সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করা হয়েছে৷ লঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকারও৷ 
আইনজীবীদের মতে, সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত হবে৷ ম্যাজিস্ট্রেট সুরতহাল করবেন৷ পুরো ঘটনার তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-এর কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন৷ একই সঙ্গে মানবাধিকার কমিশন ঘটনার তদন্ত করবে৷ 
বামেরা ইতিমধ্যেই বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে৷ আইনজীবীরা মনে করছেন, অবিলম্বে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের চিহ্নিত করে ক্লোজ করা উচিত৷ তাঁদের বিরুদ্ধে খুন বা অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করতে পুলিশ বাধ্য৷ 
আইনজীবীরা নিজেদের বক্তব্যের স্বপক্ষে কারণ দিতে গিয়ে সম্প্রতি রোহতাস কুমার বনাম হরিয়ানা রাজ্য সরকারের মামলার প্রসঙ্গে তুলেছেন৷ ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে,মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা তদন্তস্বাপেক্ষ ঠিকই৷ কিন্তু, এক্ষেত্রে যদি, কোনও প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ আনে, তা হলে পুলিশ সেই অভিযোগ গ্রহণ করে খুন বা অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করতে বাধ্য৷ তা না করলে সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হবেন৷
সুদীপ্তর মৃত্যুর ঘটনায় আইনজীবীদের একাংশ, পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগে সরব হয়েছে৷ তাঁদের বক্তব্য,সুদীপ্তদের ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করা হয়৷ এই ধারা বলছে, ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ কেউ করতে চলেছে, এমনটা মনে হলে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে৷ 
কিন্তু, সুদীপ্তরা সংঘাতিক কোনও অপরাধ করার চেষ্টা করছিল বলে মনে করছেন না আইনজীবী মহলের এই অংশ৷ তাঁদের দাবি, যে কায়দায় সুদীপ্ত ও অন্যান্য এসএফআই সমর্থকদের গ্রেফতার করে বাসে তোলা হয়, তাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে৷ 
সম্প্রতি ধনেখালিকাণ্ডে পুলিশি হেফাজতে তৃণমূলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে৷ সেই মামলায় , অভিযুরক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় কেন খুনের মামলা রুজু হয়নি তা জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট৷ আইনজবীরা মনে করছেন, সুদীপ্ত গুপ্তর পরিবার চাইলে, পুরো ঘটনার তদন্ত দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে৷ 

http://www.abpananda.newsbullet.in/state/34-more/35288-2013-04-03-16-33-29


এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর ঘটনায় রুজু হয়েছে তিনটি মামলা৷ তিনটিই হয়েছে হেস্টিংস থানায়৷ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এসএফআই নেত্রী ডোনা গুপ্তর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃতীয় মামলাও রুজু হয়েছে পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে৷


এসএসকেএম হাসপাতালে সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর পরই হেস্টিংস থানায় অভিযোগ জানান ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এসএফআই নেত্রী ডোনা গুপ্ত৷ 
মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ একটি মামলা রুজু করে৷ পুলিশের দাবি, সুদীপ্তদের বাসে ছিলেন চেতলা থানার হোমগার্ড বিশ্বজিত্ মণ্ডল৷ এসএফআইয়ের লোকজন তাঁকে মারধর করেন৷ বিশ্বজিত মণ্ডলের বিবৃতির ভিত্তিতে 
৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা ও ৩৫৩ ধারায় সরকারি কর্মীকে মারধর, কর্তব্যে বাধা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সরকারি সম্পত্তির নষ্টের মামলা রুজু করে পুলিশ৷
বুধবার সকালে আরও একটি মামলা রুজু হয়৷ সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর কারণ বেপরোয়া বাস চালানো৷ এই অভিযোগে রাজা দাস নামে এক বাস চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ৷ বাস চালকের বিরুদ্ধে ৩০৪-এর 'এ' ধারায় গাফিলতির জেরে মৃত্যু ও ২৭৯ ধারায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ মামলা রুজু করা হয়৷ 
রাজাকে এদিন দুপুরে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়৷ সেখানেই অভিযোগকারিণী ডোনা গুপ্ত এবং তাঁর আইনজীবী বিচারকের কাছে জানতে চান, তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে হেস্টিংস থানা মামলা রুজু করেছে কিনা? বিচারক এবিষয়ে সরকারি আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন৷ পুলিশের কাছে তথ্য নিয়ে সরকারি আইনজীবী জানান, ডোনা গুপ্তের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তৃতীয় মামলাটিও রুজু করেছে৷ এনিয়ে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডোনার আইনজীবী৷
শেষ পর্যন্ত হেস্টিংস থানা সূত্রে জানান যায়, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এসএফআই নেত্রী ডোনা গুপ্তর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে৷
অজ্ঞাতপরিচয় পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনে প্ররোচনার অভিযোগে ৩০৪ ও ১১৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে৷  মঙ্গলবার রাতে এসএফআই-র পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানোর পরও মামলা রুজু করতে এতক্ষণ সময় লাগল কেন, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ 

http://www.abpananda.newsbullet.in/state/34-more/35282-2013-04-03-14-42-32


দীর্ঘ সাত ঘণ্টার অস্ত্রপচারের পর জ্ঞান ফিরল এসএফআই  নেতা জোশেফ হোসেনের। 

মঙ্গলবার চারটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ডাকা আইন অমান্য কর্মসূচীতে অংশ নেন এসএফআইয়ের খড়গ্রাম জোনাল সেক্রেটারি যোশেফ হোসেন। পুলিসের লাঠিতে বাসের কাচ ভেঙে  হাতে ঢুকে যায় তাঁর। ছিঁড়ে যায় ডান হাতের শিরা, স্নায়ু, মাংসপেশী। এর পরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে আসা হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কুড়ি জন চিকিত্সকের মেডিক্যাল বোর্ড বিকেল পাঁচটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত তাঁর অস্ত্রপচার চলে। চার বোতল রক্তও দেওয়া হয় তাঁকে। 

পরে গভীর রাতে জ্ঞান আসে যোশেফের। আপাতত তিনি মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তবে অস্ত্রপচার সফল হয়েছে কিনা তা বুঝতে আটচল্লিশ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। 

চিকিত্সায় সাড়া না দিলে বাদ দেওয়া হতে পারে যোশেফ হোসেনের আক্রান্ত হাতটি। ঘরের ছেলের জন্য চরম উত্‍কণ্ঠায় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের ভালকুণ্ডি গ্রাম। এই গ্রামেরই ছেলে যোশেফ হোসেন এখন শুয়ে রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেডে। পুলিসের মারে আহত হয়ে তাঁর ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালে। 

গতকাল দিনভর টিভির পর্দায় চোখ রাখার পর কার্যত রাতভর দু-চোখের পাতা এক হয়নি ভালকুণ্ডির। এসএফআইয়ের আইন অমান্য কর্মসূচিতে যোগ দিতে সোমবার বাড়ি থেকে কলকাতা রওনা হন বহরমপুর কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র যোশেফ। গ্রামের যে কোনও বিপদ-আপদে তিনি সবার আগে ছুটে যেতেন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। সংগঠিত করতেন রক্তদান শিবির। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অভ্যাসে ভালকুণ্ডি গ্রামের সব পরিবারেরই ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিলেন এসএফআইয়ের খড়গ্রাম ব্লকের জোনাল সম্পাদক যোশেফ হোসেন।    


এসএফআই রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর প্রতিবাদে আগামীকাল রাজ্যজুড়ে ছাত্র ধর্মঘট। রাজ্যজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের এই ডাক দেয় বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন জায়গায় সকাল ১১ টা থেকে ১১.১৫ টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করবে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। বৃহস্পতিবার, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি রাজ্যজুড়ে ওপেন কনভেনশনের ডাক দিয়েছে। সেই কনভেনশনগুলি থেকেই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাবে। 

আজ এই ঘোষণা করা হয়েছে, ডিওয়াইএফআইয়ের নেতৃত্বের তরফে। এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এসএফআই৷ সুদীপ্তর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বাসের চালক ও খালাসিকে৷ ওই বাসেই সুদীপ্ত ছিল।

এদিকে, পুলিসের মারে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় সরগরম রাজ্য। যদিও পুলিসের দাবি, লাইটপোস্টে ধাক্কা লেগে চলন্ত বাস থেকে পড়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত গুপ্ত। কিন্তু পুলিসের বয়ানের সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে বিস্তর ফারাক ধরা পড়েছে। গতকালের ঘটনায় এসএফআইয়ের এক সমর্থক হেস্টিংস থানায় পুলিসের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।


বাংলাদেশে টানা ৩৬ ঘন্টা হরতালের শেষদিন আজ

সর্বশেষ আপডেট বৃহষ্পতিবার, 28 মার্চ, 2013 14:27 GMT 20:27 বাংলাদেশ সময়

বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের টানা ৩৬ ঘন্টা হরতালের আজ শেষদিনে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষিপ্ত ককটেল বিস্ফোরণ এবং যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ককটেল বিস্ফোরণে একজন স্কুলছাত্রী আহত হয়েছে।

বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট আটক নেতাকর্মিদের মুক্তি এবং নির্দলীয় সরকারের দাবিতে দেশব্যাপী এই হরতাল কর্মসূচি নেয়।

ঢাকার বাইরে সাতক্ষীরাসহ কয়েকটি জায়গা থেকে হরতাল সমর্থক এবং সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

bd strike

হরতালে যাত্রীদের দূর্ভোগ

ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় হরতাল সমর্থকরা মিছিল করেছে ।

কয়েকটি জায়গায় হরতালের সমর্থনে মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরন এবং যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

কয়েটি গাড়ি আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে।

ঢাকার বাইরে সাতক্ষীরায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মিদের সাথে সংঘর্ষে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়েছে।

রাজশাহীতে পুলিশের উপর ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জায়গা থেকেও হরতাল সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে হরতালের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করে।

এসময় ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় হরতালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফি বলেন বিএনপি দেওয়া হরতাল সাধারণ মানুষ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে।

এছাড়া প্রেসক্লাবের সামনে হরতাল বিরোধী একটি মানব বন্ধন হয়েছে। মানব বন্ধনে অংশ গ্রহণকারীরা এসময় বলেন রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মসূচী হিসেবে হরতাল হতে পারে তবে তার অন্তত এক সপ্তাহ আগে এর ঘোষণা আসা উচিত।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন স্কুল ছাত্রী আহত হয়েছেন।

এছাড়া সাতক্ষিরা জেলার বিনেরপাতা এলাকায় পুলিসের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে সাতক্ষীরার পুলিস সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জান।

বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং নির্দলীয় সরকারের দাবিতে দেশব্যাপী টানা ৩৬ ঘণ্টার এই হরতাল কর্মসূচি বিরোধী জোট।

হরতাল শেষে নয়া পল্টনের বিএনপির কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করছে গত দুদিনে দেশ ব্যাপী তাদের শান্তিপূর্ন মিছিল ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে ।

এবং এই টানা হরতাল সাধারণ মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে পালন করেছে বলে দাবি করনে।

হরতালে গতকালের মত আজও রাস্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন ছিল।

http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/03/130328_fp_strike_day2.shtml


সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যু নিয়ে পুলিসি অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সেই অভিযোগই আরও জোরালো হচ্ছে। শুধুমাত্র মাথাতেই নয়, সুদীপ্তর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

তাঁর চোয়ালে গুরুতর জখম রয়েছে। দু চোখের মাঝখানে, অর্থাত্‍ কপালেও মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে ।



ফের ঋণের দায়ে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল বর্ধমানে। আত্মহত্যা করলেন কাটোয়ার ভালশুনি গ্রামের বাসিন্দা মিলন ঘোষ। চাষের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে টাকা ধার নিয়ে ফেরত দিতে না পেরে আত্মঘাতী হন তিনি। অনটন ও মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন বিষ্ণুপুরে সর্বশিক্ষা অভিযানের শিক্ষাবন্ধু সুবোধ কুমার দেও।   

বর্ধমানের কাটোয়ার ভালশুনি গ্রামের বাসিন্দা ভাগচাষী মিলন ঘোষ। নিজের তিন বিঘা জমিতে চাষের জন্য গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে সাত হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন জমির আলু বিক্রি করে সেই ঋণ পরিশোধ করবেন। কিন্তু আলুর সঠিক দাম না পেয়ে পরিশোধ করতে পারেননি ঋণ। ভুগতে থাকেন অবসাদে। আঠাশে মার্চ কীটনাশক খান তিনি। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে।  অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। পয়লা এপ্রিল সেখানেই মৃত্যু হয় মিলন ঘোষের। 
 
প্রবল আর্থিক অনটনে সংসার চালাতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন সর্বশিক্ষা অভিযানের শিক্ষাবন্ধু পদে কর্মরত বিষ্ণুপুরের সুবোধ কুমার দে। তাঁর মাসিক বেতন যা ছিল তাতে সংসার চলত না। অভাব অনটন ছিল সংসারের নিত্যসঙ্গী। সঙ্গে কাজের মাত্রাতিরিক্ত চাপ। ভুগতে থাকেন মানসিক অবসাদে। চাপ সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।


৬টা ৩০: ''সুদীপ্তর মৃত্যু মর্মান্তিক। আগামিকাল রাজ্য বামফ্রন্টের প্রতিবাদ কর্মসূচী পালিত হবে। রাজ্যের সব জেলায় ধিক্কার মিছিল হবে। ঢাকুরিয়া, টালিগঞ্জ ও গড়িয়ায় স্থানীয় ভিত্তিতে ১২ ঘণ্টার বনধ। যানবাহন ও জরুরী পরিষেবা ধর্মঘটের আওতার বাইরে", বললেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। আবারও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি বিমান বসুর। ''রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক। মুখ্যমন্ত্রীর আগাম মন্তব্য করা বন্ধ হোক", বললেন বিমান বসু। 

৫টা ১৫: এসএফআই সদর দফতরে পৌঁছল সুদীপ্তর দেহ। রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু ও দলের প্রথম সারির নেতারা। 

৪টে ৩০: সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন সুদীপ্তর দিদি সুমিতা সেনগুপ্ত। 

৪টে ২০: বাড়ি থেকে রওনা দিল সুদীপ্তর শেষ যাত্রা। এর পর এসএফআই এর রাজ্য সদর দফতরে যাবে তাঁর দেহ। 

৪টে: সুদীপ্তর দেহ পৌঁছল নিউ গড়িয়ার বাড়িতে 

৩টে ২২: বাড়ির দিকে রওনা দিল সুদীপ্তর শেষযাত্রা। মিছিলে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী। মিছিলে রয়েছে এলাকার ছোট থেকে বড় সবাই। 

৩টে ০২: সুদীপ্ত গুপ্তর ময়না তদন্তের রিপোর্ট। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কপালে গুরুতর আঘাত। সুদীপ্তর চোয়ালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জানালেন চিকিৎসকরা।  

২টো ৪৪: নাতাজি নগর কলেজে পৌঁছল সুদীপ্তর দেহ। এই কলেজেই রাজনীতির হাতেখড়ি হয় প্রয়াত ছাত্র নেতার। 

২টো ১০: পুলিস হেফাজতে এসএফআই নেতার মৃত্যুর ঘটনায় অ্যাডিশানাল সিপি পর্যায়ের তদন্ত দাবি করল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।  নিরপেক্ষ ভাবে ঘটনার তদন্ত করবে মানবাধিকার কমিশনও।  

১টা ৫৫: নিহত ছাত্রনেতার মরদেহ নিয়ে শেষযাত্রা শুরু। কান্নায় ভেঙে পড়লেন সহকর্মীরা। 

১টা ৪৫: 'মুখ্যমন্ত্রী খুনি': চিত্রপরিচালক মৃণাল সেন। 

১টা ৩৫: ময়নাতদন্ত শেষ সুদীপ্তর দেহর। 

১টা ২৫: গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভাট্টাচার্যের। 

১টা ২০: পুলিসের সদর দফতর লালবাজারে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকালের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পুলিস রিপোর্ট নিয়ে নগরপালের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পুলিস সূত্রে একথা জানা গিয়েছে। 

১২টা ৪৪: "মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চাই না।" জানালেন সুদীপ্তর বাবা। "ছেলেটাকে মেরে শেষ করে দিয়েছে। আমি টাকা নিতে পারব না। দিদি আইনের লড়াইয়ে আপনি আমার পাশে দাঁড়ান", জানালেন প্রণব গুপ্ত।  

১২টা ২৬: সুদীপ্তর মৃত্যু পুলিসের হেফাজতে হয়েছে। দায় এড়াতে পারেন না পুলিসমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্তব্য সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম।   

১২টা ১৫: এসএসকেএম মর্গে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএফআইএর সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান। "যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক", সংবাদমাধ্যমকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। 

১২টা ১০: "আমরা পুলিসকে বলেছিলা লাঠিচার্জ করবেন না। আমাদের গ্রেফতার করুন।" হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টাকে জানালেন জোসেফ হোসেন 

১১টা ৫৫: সুদীপ্তর মৃত্যুতে বাসের চলক ও খালসি জড়িত একথা মনতে চাইছে না মৃত ছাত্রের পরিবার। 

১১টা ৫০: পুলিস হেফাজতে সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর ঘটনা। কাল রাজ্যজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক বাম ছাত্র সংগঠনগুলির।  

১১টা ৪৫: এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ২। ধৃত বাসের চালক ও খালাসি। চালক রাজু দাসকে গ্রেফতার করে পুলিস। গতকাল অই বাসে ছিলেন সুদীপ্ত গুপ্ত। 

১০টা ৩০: কোনওদিনই হিংসাশ্রয়ী রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না সুদীপ্ত গুপ্ত। অথচ তাঁকেই কিনা হিংসার শিকার হতে হল! ছেলের অকাল মৃত্যুতে এটাই আক্ষেপ বাবা প্রণবকুমার গুপ্তের। পুলিস কী করে এমন নির্মম অত্যাচার চালাতে পারে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। গত বছর স্ত্রীকে হারিয়েছেন। নববর্ষের আগে হারালেন তেইশ বছরের ছেলেকে। পুলিসের মারে নিহত ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তর বাবা তবু মানসিক ভাবে অটল। ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় দোষী পুলিসকর্মীরা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পান, তার জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


অমানবিকতার জন্য ধিক্কার জানায় দোষীদের। এমনভাবেই সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই তদন্তের প্রয়োজন। একথা বললেন বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন। সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে সামিল হলেন বিশিষ্টজনেরা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে মৃণাল সেন, বাদশা মৈত্র, চন্দন সেন সহ বিশিষ্টরা ধিক্কার জানালেন। সকলের প্রতিবাদই থাকল অমানবিকতা থেকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। 

এদিকে তরতাজা ছেলের দেহ হাসপাতালের লাশকাটা ঘর থেকে ছাড়া পেয়ে শববাহী গাড়িতে চেপে বাড়িতে পৌঁছতেই চেনা সুর থমকে যায়। হাজার হাজার লোকের ভিড়ে উথালপাথাল মন নেমে আসে বাইরে। সুরের আর্তনাদ ছেয়ে যায় ফেলে আসা পথে— হঠাত্ মিলিয়ে যাওয়া একটা প্রাণের জন্য বাবার আকূল আর্তি --`আয় আর একটি বার আয়রে`.....। না, আর ফিরবে না `প্রাণের সখা`-আর কোনওদিনই। বাস্তব এত নির্মম! অমোঘ, নির্মম সত্যির সামনে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি রিক্ত-নিঃস্ব বৃদ্ধ প্রণববাবু। গালে শেষ চুম্বন এঁকে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ছেলের শরীরে--।


মঙ্গলবার পুলিসের লাঠির ঘায়ে আহত সুদীপের মৃত্যুর দিনে উত্‍সবে ব্যস্ত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার আজ এই মৃত্যু নিয়ে তিনি আগাম মন্তব্য করে বসলেন। এতে প্রভাবিত হবে তদন্ত। আজ এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু।

এদিকে কাল, ৪ এপ্রিল রাজ্যের সর্বত্র ধিক্কার মিছিল হবে। ওই দিনই টালিগঞ্জ-গড়িয়া এলাকায় ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রাজ্য বামফ্রন্ট।




সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর ঘটনায় নজিরবিহীন পদক্ষেপ করল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। পুলিসকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি কমিশন নিজে আলাদাভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবে। 

অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিককে দিয়ে ছাত্রনেতার মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য কলকাতার পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর নিজস্ব তদন্তের জন্য কমিশন নিজেও একটি দল গঠন করেছে। দলে রয়েছেন কমিশনের ডিজি, আইজি এবং রেজিস্ট্রার। তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযুক্ত পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করবেন। 

সাত দিনের মধ্যে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে জমা দেবেন রিপোর্ট। পুলিস হেফাজতে সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যু হওয়ায় পুলিসি তদন্তের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। তাই, পুলিসি তদন্তের ওপর আস্থা রাখতে না পেরে কমিশন নিজেও সমান্তরাল তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল বলে মনে করা হচ্ছে।


যেভাবেই সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যু হোক না কেন, পুলিস কোনওভাবেই তার দায় এড়াতে পারে না। পুলিসি ব্যবস্থা যা করা হয়েছিল এবং পদস্থ যে কর্তারা এই কর্মসূচির দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা কোনও দায়িত্বই পালন করেননি বলে পুলিস মহলেই অভিযোগ উঠেছে।

কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়েছিল চারটি বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচি। কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হওয়া মিছিলের জন্য পুলিস ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিলেন অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার টু, নর্থ। ছিলেন দুজন ইন্সপেক্টর। সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট মিলিয়ে চার জন। অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর চারজন। কুড়িজন লাঠিধারী পুলিস। দুজন কাঁদানে গ্যাসধারী পুলিস। এক সেকশন টাস্ক ফোর্স বা আটজন লাঠি ও ঢালধারী পুলিস। চারজন মহিলা কনস্টেবল। একটি ওয়ারলেস ভ্যান ছিল। ছিল দুটি গাড়ি। এই পুলিস বাহিনী মিছিলের সামনে ও পিছনে মোতায়েন করা হয়। মিছিলের সঙ্গে এসে এই বাহিনী ধর্মতলায় রাণী রাসমনি রোডে থাকা মূল বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।
 
রাণী রাসমণি রোডে পুলিসি ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিলেন ডিসি সাউথ। তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য ছিলেন ডিসি ষষ্ঠ বাহিনী। অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার পদের তিন জন ছিলেন। ইন্সপেক্টর ছিলেন চারজন। সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট মিলিয়ে ছিলেন সাতজন। লাঠিধারী পুলিস ছিল ৪০ জন। গ্যাসধারী পুলিসের সংখ্যা ছিল চার জন। লাঠি ও ঢালধারী পুলিস ছিল দু সেকশন, অর্থাত্‍ ১৬ জন। 

মহিলা পুলিসকর্মীদের একজন ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর। একজন অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর ও আট জন কনস্টেবল। ছিল দুটি ওয়ারলেস ভ্যান। পুলিসি নির্দেশিকার এর পরের অংশটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আইন অমান্যকারীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ওসি ট্রান্সপোর্ট-কে বলা হয়েছিল কুড়িটি গাড়ি পাঠাতে।


ছাত্রবিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে নিথর হয়ে গিয়েছে ২৩ বছরের সুদীপ্ত। আড্ডার ফাঁকে একবার রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে শুরু করলে, যে সুদীপ্ত থামতে চাইতেন না, আজ তিনি চিরঘুমে আচ্ছন্ন। মর্গে ময়না তদন্তের পর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁর কলেজে। নেতাজি নগর কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন সুদীপ্ত। কলেজে চোখের জল বাঁধ মানছে না। শান্ত অথচ দৃপ্ত এই ছাত্রের হঠাৎ চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউই। অধ্যক্ষ থেকে সাধারণ ছাত্র ছাত্রী, কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা নেতাজি নগর কলেজ। 

কলেজ থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। সেখান থেকে এসএফআইয়ের রাজ্য দফতরে নিয়ে যাওয়া হবে এই রাজ্য কমিটির সদস্যের দেহ। দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে এর পর ছাত্ররা মিছিল করে সুদীপ্তের শেষকৃত্যের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলায়।

কোনওদিনই হিংসাশ্রয়ী রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না সুদীপ্ত গুপ্ত। অথচ তাঁকেই কিনা হিংসার শিকার হতে হল! ছেলের অকাল মৃত্যুতে এটাই আক্ষেপ বাবা প্রণবকুমার গুপ্তের। পুলিস কী করে এমন নির্মম অত্যাচার চালাতে পারে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। গত বছর স্ত্রীকে হারিয়েছেন। নববর্ষের আগে হারালেন তেইশ বছরের ছেলেকে। পুলিসের মারে নিহত ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তর বাবা তবু মানসিক ভাবে অটল। ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় দোষী পুলিসকর্মীরা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পান, তার জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে চোখের জল বাঁধ মানছে না দিদি সুমিতা সেনগুপ্তের। চিরদিনের মতো হারিয়ে যাওয়ার দিনেও দিদির বাড়িতে স্নান করতে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত। দিদির বাড়িতে সেটাই তাঁর শেষবারের মতো যাওয়া। কথাটা মনে করলেই কেঁদে উঠছেন সুদীপ্তর দিদি।

গতকাল বাম ছাত্র সংগঠনের আইন অমান্য কর্মসূচির সময় রানি রাসমণি রোড থেকে সুদীপ্ত সহ বহু ছাত্র নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিস। প্রাইভেট বাসে করে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় সুদীপ্তকে বাসের ভিতর বেধড়ক মারধর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, বাসের বাইরেও নির্মম ভাবে লাঠিপেটা করা হয় তাঁকে। এর জেরে পুলিসি হেফাজতেই অত্যধিক রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় সুদীপ্তর। ঘটনার নিন্দায় সরব গোটা রাজ্য।

এসএফআইয়ের তরফে হেস্টিংস থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পৃথক ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুদীপ্তর বাবা প্রণবকুমার গুপ্ত। ইতিমধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালে সূদীপ্তর দেহের ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। বেলা বারোটা নাগাদ সুদীপ্তর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে এসএফআইয়ের কার্যালয়ে। সেখান থেকে প্রথমে নেতাজিনগর কলেজ, এবং পরে তাঁর দেহ নিউ গড়িয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।

পুলিসের হেফাজতে সুদীপ্তর মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সিপিআইএম। ধিক্কার দিবস পালন করছে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। 


শাহবাগ আন্দোলনের 'কার্নিভালমুড' শেষ, এবার মুখোশ খুলে যাবার পালা

১৯৮১ সালের গোঁড়ার দিককার কথা। লন্ডনের জেলে কয়েকজন কয়েদি আমরণ অনশন করছে। পত্র-পত্রিকায় খবর এটুকুই। আর একটু বিস্তারিত জানা গেল আরও দুদিন পর। আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির (আইআরএ) গ্রেপ্তারকৃত যে যোদ্ধারা অনশন করছিল তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছেলেটির নাম ববি স্যান্ডস। বয়স মাত্র সতের! সেই সতের বছরের কিশোর অনশণ করছিল রাজবন্দী ঘোষণার দাবীতে! থ্যাচার সরকার তাদের গ্রেপ্তার [...]

বিস্তারিত...»

সংশপ্তকদের অনশন: সাফির পর তানভী …

প্রায় আট বছর আগে একটা বিজ্ঞানের বই লিখেছিলাম 'আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী' নামে। আমার প্রথম বই ছিল সেটি। মহাবিশ্বের উৎপত্তির সাম্প্রতিক ধ্যান ধারণাগুলো বই আকারে তুলে ধরার চেষ্টা ছিল এতে। বইটা প্রকাশের কিছুদিন পর এক ছেলে আমাকে ইমেইল করে। ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে। নাজিউর রহমান তার নাম।  আমার বইটা পড়ে যত রাজ্যের প্রশ্ন তার মাথায় চিড়বিড় [...]

বিস্তারিত...»

সাফির জন্য ভালবাসা

১. অনেকদিন আগের ঘটনা।  মুক্তমনায় আফরোজা  আলম একটা লেখা  লিখেছিলেন। নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনূস ( নোবেল পুরষ্কার কি ছিনতাই সম্ভব?), এই নামে। এই লেখায়  আদিল মাহমুদ একটা মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্যের অংশ বিশেষ  ছিল এরকম। ওনার ক্ষেত্রে আমার কাছে যেটা আজব লাগে তা হচ্ছে যে উনি নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পর পরই দেখা গেল হঠাত করেই [...]

বিস্তারিত...»

যারা ভোর আনবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছে …

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ক্যান্সারাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৪ সালের জুন মাসের ২৬ তারিখে। মারা যাবার আগে শেষ চিঠিতে  স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের কাঁধে অর্পিত দায়িত্বের প্রতি – 'আপনারা গত তিন বছর একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমসহ স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছেন। এই লড়াইয়ে আপনারা দেশবাসী অভূতপূর্ব একতা এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। [...]

বিস্তারিত...»

শাহবাগ থেকে ত্রিপুরার ডাক, মৌলবাদ-দেশদ্রোহীরা নিপাত যাক……..

বাংলাদেশের শাহবাগ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতের বিভিন্ন বাংলাভাষী অঞ্চলে সংহতি জানাতে নানা অনুষ্ঠান সভা-সমাবেশ শুরু হয়। পশ্চিম বাংলা, আসাম, ত্রিপুরার আগরতলায় সংহতি অনুষ্ঠান হলেও এই অনুষ্ঠানগুলি ছিল নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণীর মধ্যে সীমিত। কিন্তু ত্রিপুরার কমলপুরের জনগণ নির্দিষ্ট কোন সংগঠন বা রাজনৈতিক গণ্ডির মধ্যে না থেকে যেভাবে শাহবাগে সংহতি জানালেন তা অতুলনীয়। গত দুইদিন [...]

বিস্তারিত...»

আমি ধার্মিক হইবার চাই

লিখেছেন – পৃথু স্যান্যাল আইজ সারাদেশে আলোচনার গরম বিষয় নাস্তিক আর আস্তিক। কোন এক গোলাপি বেগম ফতোয়া দেন অমুক নাস্তিক তমুক নাস্তিক। বিষয়টা এমনভাবে মার্কেট পাইছে আজ এক রিকশাওয়ালা আমাকে জিগাইয়া বইল ভাই নাস্তিক ধর্মের নবী কেডা? আমি আর কি কমু? মনে মনে কইলাম গোলাপু আপা। আবার এমন লোকেরা কিন্তু নাস্তিকের ফাসি চায়। যাই হোক, [...]

বিস্তারিত...»

এই অগ্নিঝরা মার্চে …

লিখেছেন – সুষুপ্ত পাঠক প্রিয় দেশনেত্রী, তিরিশ লক্ষ শহীদের প্রাণ আর দুই লক্ষ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে আপনি একবার-দুবার নয়, তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। আপনি কোন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী নন, মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডারের স্ত্রী । শুধু তাই নয়, আপনি এবং আপনার দল বরাবরই বলে এসেছেন আপনার স্বামী জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। মাননীয় দেশনেত্রী, আমি [...]

বিস্তারিত...»

ব্লগার রাজীব ও দ্বিখন্ডিত গণআন্দোলন

দেশে একদিকে যুদ্ধপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবীতে অনলাইন ব্লগাররা আন্দোলন করেছেন; এবং আরেকদিকে নাস্তিক/মুরতাদ, ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারদের শাস্তির দাবীতে সমান্তরালে আরেকটি আন্দোলন চালাচ্ছেন দেশের নামকরা আলেমগণ এবং ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলি। এই টানাপোড়েনে জামাত শিবির দেখালো স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের সবচেয়ে চরম সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের উদাহরন। আন্দোলনরত আলেমদের দাবীমতে শাহবাগের আন্দোলন আসলে যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবীর আড়ালে নাস্তিক এবং বামপন্থী [...]

বিস্তারিত...»

নাস্তিকরাই কেন বার বার?

লিখেছেন – ফারহানা আহমেদ আসিফ মহিউদ্দিন ছুরিকাহত হলেন, আমরা বললাম ছবির হাটের গন্ডগোল এর কারন হতে পারে, এ নিছক ব্যক্তিগত শত্রুতা, ওর বন্ধুদের কেউ এই কাজ করে থাকতে পারে। আর তাছাড়া, আসিফ ছেলেটা খালি 'আমি আমি' করে, ওকে তো ইচ্ছা হয় আমিই ধরে মারি, যে মেরেছে তার আর দোষ কী? এরপর, 'থাবা বাবা' রাজীবের পালা, [...]

বিস্তারিত...»

বুরিদানের গাধা ও কনফিউশন

লিখেছেন – আহমদ মিনহাজ দেশের হাল-হকিকত দেখে হঠাৎ-ই 'বুরিদানের গাধা'র কথা মনে পড়ে গেলো। বহুকাল আগের কথা। এক মালিকের একটি গাধা ছিল। মালিক তার গাধাটিকে নিয়ে সফরে বের হয়েছিল। লম্বা পথ আর চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিতে গিয়ে গাধা বেচারা একদম কাহিল হয়ে পড়ে। সেকালে মানুষ কমবেশি গাধার খাটুনি-ই খাটতো। আর গাধাকে এর দশগুণ খাটতে হতো। হাড়ভাঙ্গা [...]

বিস্তারিত...»


২০১৩-র শাহবাগ আন্দোলন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০১৩ সালের শাহবাগ অবরোধ
POWER OF LIGHT.jpg
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির শাহবাগ অবরোধকালের গণসমাবেশ
তারিখ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
অবস্থানপ্রজন্ম চত্বরশাহবাগঢাকা
23°44′18″N 90°23′45″Eস্থানাঙ্ক23°44′18″N 90°23′45″E
কারণ
  • ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালেযুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত সকলের সর্ব্বোচ্চ সাজা প্রদানের দাবীতে।
  • জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা[১][২]
  • জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান বয়কট করা [৩]
বৈশিষ্ট্য
  • নাগরিক প্রতিরোধ
  • বিক্ষোভ
  • অনলাইন কার্যক্রম

২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলন (অন্যান্য নাম: শাহবাগ গণদাবিশাহবাগ আন্দোলনশাহবাগ গণ-অবরোধগন জাগরনবাংলাদেশের রাজধানী ঢাকারশাহবাগে ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ শুরু হয়। এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত আসামী আব্দুল কাদের মোল্লার বিচারের রায় ঘোষণা করে[৪]। কবি মেহেরুন্নেসাকে হত্যা, আলুব্দি গ্রামে ৩৪৪ জন মানুষ হত্যা সহ মোট ৬টি অপরাধের ৫টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। কিন্তু এতোগুলো হত্যা, ধর্ষণ, সর্বোপরী গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ মেনে নিতে পারেনি। রায়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকার শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করে এবং এর অনুসরণে একসময় দেশটির অনেক স্থানেই সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।[৫][৬]

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। ২৫শে মার্চ রাতে ও ২৬শে মার্চ ভোর রাত জুড়ে পাকিস্তানী বাহিনী বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৬শে মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করে। প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত এবং প্রচুর নারীর ধর্ষণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ যুদ্ধে জয়লাভ করে। তবে বাংলাদেশেরই কিছু মানুষ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল এবং পাকিস্তানী বাহিনীকে বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে সক্রিয়ভাবে সহায়তা প্রদান করেছিল, যার মধ্যে ছিল গণহত্যা, ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন ইত্যাদি। যুদ্ধকালীন সংঘটিত অপরাধের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে একটি আইন তৈরি করা হয় যা ২০০৯ সালে কিছুটা সংশোধন করা হয়। এ আইনের আওতায় ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ এ সকল অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। ২০১৩ সালের ২১শে জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে আবুল কালাম আযাদ (বাচ্চু রাজাকার)-কে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।[৭]

এরপর ৫ই ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রায়ে কাদের মোল্লাকে ৩টি অপরাধের জন্য ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ২টির জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু এতো বড় সব অপরাধের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে যারা মেনে নিতে পারেননি তারা শাহবাগে অহিংস বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। একসময় তা দেশব্যাপী বিক্ষোভে রূপ নেয়। দেশের অন্য যেসব স্থানে উল্লেখযোগ্য বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, চট্টগ্রামের প্রেসক্লাব চত্বর, রাজশাহীর আলুপট্টি মোড়, খুলনার শিববাড়ি মোড়[৮], বরিশালের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বগুড়ার সাতমাথা, যশোরের চিত্রা মোড়, কুমিল্লার কান্দিরপাড়া, কুষ্টিয়ার থানা মোড় ইত্যাদি। শাহবাগের অনেকে বলেছেন তারা মৃত্যুদণ্ডের রায় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চত্বর ছেড়ে যাবেন না।[৯] অন্যদিকে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আনিসুল হক বলেছেন কাদের মোল্লার সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সুযোগ এখনো রয়েছে।[১০]

পরিচ্ছেদসমূহ

  [আড়ালে রাখো

[সম্পাদনা]প্রজন্ম চত্বর

মূল নিবন্ধ: শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর
শাহাবাগ মোড়ে প্রতিবাদে সবাই।

এই আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। শাহবাগ মোড় বা শাহবাগ চত্বরে বিপুল সংখ্যক মানুষের বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মানুষের সমাবেশের কারণে এই চত্বরকে অনেকে প্রজন্ম চত্বর বলে ডেকেছেন। এই চত্বরে নির্ঘুম রাত কাটান অনেকে। পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনীর কাছে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করেছিল, পরবর্তীতে ১৯৯২ সালেশহীদ জননী-খ্যাত লেখিকা ও সমাজকর্মী জাহানারা ইমাম এই সোহরাওয়ার্দি উদ্যানেইগণআদালতের মাধ্যমে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী বিচার করেন। প্রজন্ম চত্বর বা শাহবাগ চত্বর এই উদ্যানের বেশ কাছেই অবস্থিত।[৯]

[সম্পাদনা]আন্দোলনের প্রকৃতি

সমাবেশে বিক্ষোভ ও আন্দোলনের উপায় হিসেবে আন্দোলনকারীরা বেছে নিয়েছেন স্লোগান, গান, কবিতা, নাটক ইত্যাদি। পোড়ানো হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের কুশপুত্তলিকা। আন্দোলনকারীদের দাবীগুলো ছিল- কাদের মোল্লাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি প্রদান[১১][১২], যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সকলকে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি প্রদান[১৩][১৪][১৫], জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা[১][২], জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান বয়কট করা[৩]

শাহবাগ থেকে টিএসসি-র মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু'পাশের দেয়ালে চারুকলার শিক্ষার্থীরা ছবি এঁকে জনতার সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসী কামনা করেছেন। তারা বন্দি যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমমতিউর রহমান নিজামীআব্দুল কাদের মোল্লা সহ অনেকের ব্যঙ্গচিত্র আঁকেন। তিরন্দাজ নামের একটি নাটকের দল অনৈতিহাসিক নামক একটি নাটক মঞ্চস্থ করে।[৯]

[সম্পাদনা]প্রতিক্রিয়া

শাহাবাগ মোড়ে আন্দোলনের ছবি

[সম্পাদনা]বাংলাদেশে

আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি দাবি করে সারা বাংলাদেশে আন্দোলন শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে আনা ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হলেও শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। এর বিরুদ্ধে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা শাহবাগে এই আন্দোলন শুরু করলেও খুব দ্রুতই এই আন্দোলন সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় এবং এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, সাংসদ, মন্ত্রী ও সেলিব্রিটিরাও সংহতি প্রকাশ করে।

[সম্পাদনা]বিভিন্ন শহরে

[সম্পাদনা]রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতিক্রিয়া

আওয়ামী লীগ এই রায়ে অসন্তুষ্ট হয়। তাদের নেতারা শাহবাগে আন্দোলনকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। জামাত-শিবির বাদে প্রায় সব রাজনৈতিক দল সংহতি প্রকাশ করলেও বিএনপি এ নিয়ে প্রথম দিকে কোনো মন্তব্য করে নি ।তবে আন্দোলনের অষ্টম দিন,১২ ফেব্রুয়ারিতে এসে বিএনপি শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান কারী তরুন সমাজ কে স্বাগতম জানিয়েছে। সাথে সাথে বিএনপি এই আন্দোলন দলীয়করণ এর আশঙ্কা ও করেছে। [১৬]

[সম্পাদনা]সারা বিশ্বে

বাংলাদেশের আন্দোলনকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডায় ও অস্ট্রেলিয়াতেও আন্দোলন সংগঠিত হতে থাকে। পৃথিবির বিভিন্ন দেশে ছরিয়ে থাকা বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী এবং প্রবাসীরা এই আন্দোনলের সাথে একাত্ততা জানিয়েছেন। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছত্রীগন "শাহাবাগ চত্বর" এর আদলে একত্রিত হয়েছেন।

[সম্পাদনা]শাহবাগের অন্দোলন নিয়ে রচিত কিছু উল্লেখযোগ্য গান

একাত্তরের হাতিয়ার
(কথা,সুর ও কণ্ঠ- প্রীতম আহমেদ)
একাত্তরের হাতিয়ার
গর্জে উঠুক আরেকবার
রাজাকারের ফাঁসি হোক
শহীদরা পাক ন্যয় বিচার
ফাঁসি পাক রাজাকার
শহীদরা পাক ন্যয় বিচার
গন মিছিলে দামাল ছেলে মেয়ের দল
মুছিয়ে দেবে বিরাঙ্গনার চোখের জ্বল
এই প্রজন্ম গড়তে জানে জনস্রোত
নেবেই নেবে একাত্তরের প্রতিশোধ

শাহবাগের এই আন্দোলনকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সংগীত শিল্পী কবীর সুমন [১৭][১৮], বাংলাদেশের শিল্পী প্রীতম আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্রের পারমিতা মুমু , ব্যান্ড চিরকুটসহ আরও অনেকে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে গান রচনা এবং প্রকাশ করেছেন। [১৯][২০][২১][২২][২৩][২৪][২৫]

[সম্পাদনা]জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির

পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী এবং ১৯৭১ সালে তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ পাকিস্তানী বাহিনীকে সমর্থন করেছিল। পরবর্তীতে ছাত্রসংঘ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নাম ধারণ করে। একাত্তরে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ভূমিকা ছিল যা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তে এবং তাদের আটককৃত ব্যক্তির তালিকা থেকে প্রমাণিত হয়েছে। প্রথমে যে ৯ জনের বিচার করা হয় তাদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামীর সদস্য। জামায়াত এবং শিবিরের নেতাকর্মীরা ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করতে থাকে। শাহবাগ আন্দোলনকে বানচাল করতে তাদের কিছু চেষ্টাও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই রায় ঘোষণার দিন ও রায় ঘোষণার পরের দিনই রায় বাতিলের দাবিতে সারা দেশে হরতাল পালন করে। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই শিবির ও জামায়াত কর্মীরা ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শাহবাগ আসতে থাকা মানুষকে বাঁধা দিতে চেষ্টা করে। রামপুর, মগবাজার এবং মালিবাগে শিবিরকর্মীরা অহিংস আন্দোলনকারীদের লাঠি দিয়ে ধাওয়া করে। তবে তাদের বাঁধা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি।[২৬]

শাহবাগ আন্দোলনের সমর্থনে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে যে বাংলাদেশী বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিলেন তারাও জামায়াতের বাধার সম্মুখীন হন। পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের ভাষা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাবেশ করার সময় স্থানীয় জামায়াত সমর্থকেরা সমাবেশকারীদের ঘেরাও করে। জামায়াতের এই সমর্থকেরা পুরো বিচার প্রক্রিয়াটিই বন্ধের দাবী জানায়।[২৭]

[সম্পাদনা]ছবিতে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে আন্দোলন

[সম্পাদনা]আরো দেখুন

[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র

  1. ↑ ১.০ ১.১ "Shahbagh grand rally demands ban on Jamaat"[[The Daily Star (Bangladesh)|]]। 9 February, 2013. Retrieved 9 February 2013
  2. ↑ ২.০ ২.১ "Cry for Jamaat ban"। Bdnews24.com। 8 February, 2013. Retrieved 9 February 2013
  3. ↑ ৩.০ ৩.১ "Vow to boycott Jamaat institutions"। 9 February, 2013. Retrieved 9 February 2013
  4.  "কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন"। প্রথম আলো। February 6, 2013. Retrieved February 5, 2013
  5.  "Protesters demand death for Bangladesh war crimes Islamist"। রয়টার্স। February 6, 2013. Retrieved February 8, 2013
  6.  "Thousands in Bangladesh war crimes protest"। Aljazeera। February 8, 2013. Retrieved February 8, 2013
  7.  প্রথম রায়ে আযাদের ফাঁসি, ২১ জানুয়ারি ২০১৩, বিডিনিউজ২৪ ডট কম
  8.  ঘরে না ফেরা কর্মসূচী: যুদ্ধাপরাধী কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে খুলনা জনসমাবেশ, ফেসবুক ইভেন্ট
  9. ↑ ৯.০ ৯.১ ৯.২ প্রতিবাদের সুতোয় গাঁথা বাংলাদেশ, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, প্রথম আলো
  10.  সাক্ষাৎকারে আনিসুল হক: মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সুযোগ এখনো রয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, প্রথম আলো
  11.  "Huge Bangladesh rally seeks death penalty for Islamists"। BBC। 8 February, 2013. Retrieved 9 February 2013
  12.  "Protesters continue to demand death penalty for 

  13. Bangladesh war criminal Abdul Quader 
  14. Mollah"newstrackindia। 8 February, 2013. Retrieved 9 February 2013
  15.  "Teeming thousands chant 'Hang them all'"Bdnews24.com। 8 February, 2013. Retrieved 9 February 2013
  16.  "Bangladesh Protest Calls for Death for War Crimes"। ABC News। 8 February, 2013. Retrieved 9 February 2013
  17.  "Nationwide protests in B'desh; death for war criminals demanded"। zeenews। 9 February, 2013. Retrieved 9 February 2013
  18.  প্রথম আলো , ১৩ ফেব্রুয়ারি,২০১৩
  19.  সুমনের গানে 'গণদাবি'
  20.  গণদাবি
  21.  ফাঁসি চাই, ইউটিউবে
  22.  ফাঁসি চাই, সাউন্ডক্লাউডে
  23.  দ্বিতীয় যুদ্ধ
  24.  শাহবাগ থেকে বলছি
  25.  [১]
  26.  'উত্তরাধিকার - পারমিতা মুমু Facebook'
  27.  'উত্তরাধিকার - পারমিতা মুমু Youtube'
  28.  শাহবাগগামী মিছিলে শিবিরের ধাওয়া, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
  29.  লন্ডনে শাহবাগ সমর্থকদের ঘেরাও, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, প্রথম আলো



No comments:

मैं नास्तिक क्यों हूं# Necessity of Atheism#!Genetics Bharat Teertha

হে মোর চিত্ত, Prey for Humanity!

मनुस्मृति नस्ली राजकाज राजनीति में OBC Trump Card और जयभीम कामरेड

Gorkhaland again?আত্মঘাতী বাঙালি আবার বিভাজন বিপর্যয়ের মুখোমুখি!

हिंदुत्व की राजनीति का मुकाबला हिंदुत्व की राजनीति से नहीं किया जा सकता।

In conversation with Palash Biswas

Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Save the Universities!

RSS might replace Gandhi with Ambedkar on currency notes!

जैसे जर्मनी में सिर्फ हिटलर को बोलने की आजादी थी,आज सिर्फ मंकी बातों की आजादी है।

#BEEFGATEঅন্ধকার বৃত্তান্তঃ হত্যার রাজনীতি

अलविदा पत्रकारिता,अब कोई प्रतिक्रिया नहीं! पलाश विश्वास

ভালোবাসার মুখ,প্রতিবাদের মুখ মন্দাক্রান্তার পাশে আছি,যে মেয়েটি আজও লিখতে পারছেঃ আমাক ধর্ষণ করবে?

Palash Biswas on BAMCEF UNIFICATION!

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS ON NEPALI SENTIMENT, GORKHALAND, KUMAON AND GARHWAL ETC.and BAMCEF UNIFICATION! Published on Mar 19, 2013 The Himalayan Voice Cambridge, Massachusetts United States of America

BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Imminent Massive earthquake in the Himalayas

Palash Biswas on Citizenship Amendment Act

Mr. PALASH BISWAS DELIVERING SPEECH AT BAMCEF PROGRAM AT NAGPUR ON 17 & 18 SEPTEMBER 2003 Sub:- CITIZENSHIP AMENDMENT ACT 2003 http://youtu.be/zGDfsLzxTXo

Tweet Please

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS BLASTS INDIANS THAT CLAIM BUDDHA WAS BORN IN INDIA

THE HIMALAYAN TALK: INDIAN GOVERNMENT FOOD SECURITY PROGRAM RISKIER

http://youtu.be/NrcmNEjaN8c The government of India has announced food security program ahead of elections in 2014. We discussed the issue with Palash Biswas in Kolkata today. http://youtu.be/NrcmNEjaN8c Ahead of Elections, India's Cabinet Approves Food Security Program ______________________________________________________ By JIM YARDLEY http://india.blogs.nytimes.com/2013/07/04/indias-cabinet-passes-food-security-law/

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN VOICE: PALASH BISWAS DISCUSSES RAM MANDIR

Published on 10 Apr 2013 Palash Biswas spoke to us from Kolkota and shared his views on Visho Hindu Parashid's programme from tomorrow ( April 11, 2013) to build Ram Mandir in disputed Ayodhya. http://www.youtube.com/watch?v=77cZuBunAGk

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICAL OF BAMCEF LEADERSHIP

[Palash Biswas, one of the BAMCEF leaders and editors for Indian Express spoke to us from Kolkata today and criticized BAMCEF leadership in New Delhi, which according to him, is messing up with Nepalese indigenous peoples also. He also flayed MP Jay Narayan Prasad Nishad, who recently offered a Puja in his New Delhi home for Narendra Modi's victory in 2014.]

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALSH BISWAS FLAYS SOUTH ASIAN GOVERNM

Palash Biswas, lashed out those 1% people in the government in New Delhi for failure of delivery and creating hosts of problems everywhere in South Asia. http://youtu.be/lD2_V7CB2Is

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk