Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Tuesday, April 29, 2014

বাংলা ভাষায় কথা বললেই 'বাক্স-প্যাঁটরা সমেত ছুড়ে ফেলে দেবে'?১৯৪৭ সালের পরে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা বিছানা-বেডিং বেঁধে রাখুন! ১৬ মে-র পরে তাঁদের বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে।” আসুন সংকল্প করি ,এই পৃথীবীতে বাংলা ভাষায় যারা কথা বলেন,তারা পৃথীবীর কোথাও এই বর্ণবিদ্বেষী নররক্তপিপাষুর সমর্থনে একটি ভোটও দেব না। ভোট 12 মেতে শেষ হচ্ছে,কিন্তু সারা ভারতে বাঙালির অস্থ্ব বিপর্যয়ে বাটের রাজনীতির উর্ধে বাঙালি জাতিসত্তার সব সীমান্ত ভেঙে ফেলার এই সংক্রমণকালে বাঙালি একজোট না হলে সারা ভারতবর্ষ কিন্তু পর্ব বঙ্গ হয়ে যাবে।

বাংলা ভাষায় কথা বললেই 'বাক্স-প্যাঁটরা সমেত ছুড়ে ফেলে দেবে'?১৯৪৭ সালের পরে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা বিছানা-বেডিং বেঁধে রাখুন! ১৬ মে-র পরে তাঁদের বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে।"



আসুন সংকল্প করি ,এই পৃথীবীতে বাংলা ভাষায় যারা কথা বলেন,তারা পৃথীবীর কোথাও এই বর্ণবিদ্বেষী নররক্তপিপাষুর সমর্থনে একটি ভোটও দেব না।

ভোট 12 মেতে শেষ হচ্ছে,কিন্তু সারা ভারতে বাঙালির অস্থ্ব বিপর্যয়ে বাটের রাজনীতির উর্ধে বাঙালি জাতিসত্তার সব সীমান্ত ভেঙে ফেলার এই সংক্রমণকালে বাঙালি একজোট না হলে সারা ভারতবর্ষ কিন্তু পর্ব বঙ্গ হয়ে যাবে।


পলাশ বিশ্বাস

শ্রীরামপুরের স্টেডিয়াম মাঠে রবিবার সন্ধ্যায় এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মোদী বলেছিলেন, "মমতাজি ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে এই রাজ্যে রাজনীতি শুরু করেছেন। বিহার, ওড়িশা থেকে এই রাজ্যে গরিব মানুষ কাজে এলে ওঁর রাগ হয়। তাঁদের পর মনে হয়। হেনস্থা হন তাঁরা। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে কেউ এলে উনি তাঁদের 'আদর' করে এই রাজ্যে রেখে দেন। ১৯৪৭ সালের পরে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা বিছানা-বেডিং বেঁধে রাখুন! ১৬ মে-র পরে তাঁদের বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে।"


তার প্রতিক্রিয়ায় এ দিন নবান্নের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "দেশে কালো দিন টেনে আনা হচ্ছে। কাউকে কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভাবা হচ্ছে। যিনি দেশের ইতিহাস জানেন না, ভূগোল জানেন না! তিনি বলছেন, বাংলাদেশীদের বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে ফিরে যেতে হবে। এমন অধিকার ওঁকে কে দিয়েছে?"


বাংলা ভাষায় কথা বললেই 'বাক্স-প্যাঁটরা সমেত ছুড়ে ফেলে দেব' বলে ঘোষণা করেন মোদী।ভোটের ফল যা হোক,সারা দেশে বাঙালি বিতাড়ণের যে নক্সা নমোর,তাঁর ঘনিষ্ঠ ওবিসি সন্ত রামদেব যেমন দলিত উদিতরামরাজ-রামবিলাস পাসওয়ান-রামদাস আঠাওয়ালের গেরুয়াভোগেও ওবং উত্তর প্রদেশ ও অন্যত্র গৈরিক বহুজন আন্দোলন সংগঠনের দলিত ভোট ব্যান্ক  ভাঙ্গার খেলা ব্যর্থ হওয়ায় ওবিসি গৈরিকীকরণ এজেন্ডাপূরণে দলিত ঘরে রাহুল গান্ধীর হনীমুন মন্তব্য করেছেন,তারই অতিজঘণ্য বাস্তবায়ন বাঙালিদের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষী যুদ্ধঘোষণায মোদীর।


করপোরেট জাযনবাদী ফ্যাসিস্ট ধর্মান্ধ নরহত্যাধর্ষণদাঙ্গাবাজ রাজনীতির এই ন্যাংটা নাচে কথিত ভাবী প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষী যুদ্ধঘোষণা করেছেন,তাঁর তুলনা ভারতভাগে বাঙালি ও পান্জাবি জাতিসত্তাকে খুন কারার চক্রান্ত এবং পুর্ব বঙ্গে বাঙালিদের বিরুদ্ধে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে জবরদস্তি উর্দু ভাষা চাপানোর ইতিহাস।বাঙালি একজোট হয়ে জাতি ধর্ম ভাষা দল মত নির্বিশেষ রুখে দাঁডালে কি হতে পারে,তার প্রমাণ জলজ্যান্ত বাংলাদেশ।


2003 সালে নাগরিকত্ব সংশোধণী বিল পাশের আগেই সারা উত্তরাখন্ড ও উত্তরপ্রদেশে দলিত উদ্বাস্তু বাঙালি,দেশভাগের বলি যারা 1950 সালে সেখানে পুনর্বাসিত ভারতীয় নাগরিক,তাঁদের উত্তরাখন্ডের প্রথম বিজেপি সরকার বাংলাদেশী ঘুসপেঠিয়া তকমা দিয়েছিল,সেদিন সারা উত্তারাখন্ড একজোট হয়ে বিরোধিতা করেছিল,ঔ সময়ের বাংলা কাগজ খুলে দেখুন বাংলাও কিন্তু প্রথম বার বাংলার বাইরের স্বজনদের অস্তিত্ব রক্ষায় দলমতনির্বিশেষ গর্জে উঠেছিল,তাই উড়ীষ্যা বা মহারাষ্ট্রের মত উত্তরাখন্ড ও উত্তরপ্রদেশে বাঙালি বিতাড়ণের সংঘ পরিবারের এজেন্ডা পূরণ হয়নি।


উত্তর প্রদেশ,উত্তরাখন্ড, বিহার, ঝারখন্ড, উড়ীষ্যা, ছত্তিশগড়, তামিলনাডু, অসম, মণিপুর,রাজস্থান,মহারাষ্ট্র,মধ্যপ্রদেশ,অন্ধ্র,কর্ণাটক,আন্দামান,নয়া দিল্লী,গুজরাত ও মুম্বাইয়ে এবং সারা দেশে উদ্বাস্তু বাঙালি ছাড়াও জীবন জীবিকার তাকীদে বহুসংখ্যক পশ্চিমবঙ্গীয় বাঙালি প্রবাসিরা স্বাধীনতাউত্থর ভারতে বংশানুক্রমে বসবাস করেন।নাগরিকত্ব সংশোধণী আইন ও ইউনিক আইডেন্টেটির আড়ালে বাঙালির জমি দখল করে করপোরেটহস্তান্তরণের যে চক্রান্ত চলছে বিগত এনডিএ জমানা থেকে,বাঙালি তাঁর বিরুদ্ধে এক জোট হয়ে আন্দোলন প্রতিবাদ করে থাকত যদি ,তবে বাংলার বূকে দাঁড়িয়ে কোথাকার কে হরিদাশ,রক্তে টোবানো যার জুবান,ছাপ্পান্ন ইন্চি ছাতি, তাঁ হিম্মতই হতনা অবাঙালিদের লেলিয়ে দিয়ে বাংলার বিরুদ্ধে,বাঙালির বিরুদ্ধে এই বর্ণবিদ্বেষি যুদ্ধগোষমা করার।


আমি রাজনীতি করি না।

আমি তৃণমুলি নই।আমি সিপিএম ও করিনা।

আমরা যারা বাংলায় বাস করি,এমনকি যারা বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাস করি নন্দীগ্রাম নরহত্যার বিরুদ্ধে সিঙ্গুর আন্গোসন পর্বে পথে পথে বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্ব মেনে নিয়ে বাম অপশাসণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলাম।

পরিবার্তন হল।বাম জমানা সাঙ্গ হল।

ক্ষমতার লড়াইয়ে আমরা যারা বাংলা নাগরিক সমাজের মাথা মহাশ্বেতাদেবির সঙ্গে অত্যন্ত পারিবারিকভাবেও জড়িত,দিদির রাজত্বে ভাগ চাইনি কোনো দিন।


বাম অপশাসণের বিরোধিতা করেছি কিন্তু বামপন্থী আদর্শ ত্যাগ করিনি,ক্ষমতার রাজনীতির চুলচেরা হিসাব আমাদের বোধশক্তির বাহিরে,কিন্তু আমরা সবাই বাঙালি,বাংলা ভাষার বিপর্যয়ে একতাবদ্ধ বাংলার মুখ দেখতে চাই আবার।


আসুন সংকল্প করি ,এই পৃথীবীতে বাংলা ভাষায় যারা কথা বলেন,তারা পৃথীবীর কোথাও এই বর্ণবিদ্বেষী নররক্তপিপাষুর সমর্থনে একটি ভোটও দেব না।


বিজেপির এই আস্ফালনের কিন্তু জবাব চাইঃ


নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তৃণমূল যা খুশি করতে পারে৷‌ ওরা আদালতে যেতে পারে৷‌ এতে আমাদের কিছু এসে যায় না৷‌ সোমবার বি জে পি রাজ্য সভাপতি ও উত্তর কলকাতার প্রার্থী রাহুল সিনহা এই মম্তব্য করেন৷‌ তিনি বলেন, সোমবার তৃণমূলের নেতারা বলেছেন, মোদির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন৷‌ আদালতের দরজা খোলা আছে৷‌ মামলা করার স্বাধীনতা সকলেরই আছে৷‌ মামলা করলে মোদির কিছু এসে যাবে না৷‌ এবার বি জে পি নির্বাচনে ভাল ফল করবে৷‌ দিল্লি থেকেও কড়া বিবৃতি দিয়েছে বি জে পি৷‌ পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা নেতা সিদ্ধার্থ সিং বলেছেন, মোদি-লহর জব্বর ধাক্কা দিয়েছে তৃণমূলনেত্রীকে৷‌ তাই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন তিনি৷‌ বুঝতে পেরেছেন, এবার জমি হারাচ্ছেন৷‌ তাঁর সরকার কোনওরকম উন্নয়নমূলক কাজ করছে না৷‌ তাই সাম্প্রদায়িক অ্যাজেন্ডা নিয়ে চলতে চাইছেন তিনি৷‌ এদিকে বুধবার পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় পর্যায়ের নির্বাচন৷‌ রাহুল সিনহা বলেন, আমরা মনে করি, ভোট সুষ্ঠুভাবে করার জন্য নির্বাচন কমিশন সবরকম উদ্যোগ নেবে৷‌ বীরভূম নিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি কিছুটা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে বীরভূম সম্পর্কে অভিযোগ করেছি৷‌ আমরা আমাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছি৷‌ আমরা আবার বলছি, শাম্তিপূর্ণ ভোট চাই৷‌ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বাংলায় বি জে পি কয়েকটি আসন পাবে৷‌ এদিন বিকেলের পর রাহুল উত্তর কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করেন৷‌


মমতা ব্যানার্জির আমরাও সমালোচণা করি।


তাঁর রাজকার্য,রাজনীতি সমালোচণার উর্ধে নয়।


কিন্তু বাঙালি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে তিনি যে গর্জে উঠেছেন পুরাতণী  অগ্নিকন্যাকন্ঠে,বাঙালির বেঁচে বর্তে থাকারই ইহা জলজ্যান্ত প্রমাণ।


পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী জনসভায় বাংলাদেশি খেদাওয়ের জিগির তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করায় বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রাথীর নরেন্দ্র মোদীর তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।

সোমবার কোলকাতার নবান্নে প্রবেশদ্বারের কাছে এক সংবাদ সম্মেলনে মমতা অভিযোগ করেন, "জাতপাতের নোংরা রাজনীতি করছেন মোদী। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। বাংলাকে বাঙালি-অবাঙালিতে ভাগ করতে চাইছেন। দাঙ্গা লাগিয়ে পালিয়ে যেতে চাইছেন। ভয়ঙ্কর কালো দিনের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। কিন্তু বাংলায় তা কোনোভাবেই সফল হবে না।"

মমতা বলেন, "বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী। তার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকবেই। যারা সেখান থেকে এ রাজ্যে এসেছেন, তারা ১৯৭১ সালে  মুজিবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এসেছেন। তারা সবাই এ দেশেরই নাগরিক। পাকিস্তান থেকেও অনেকে পাঞ্জাবে এসেছেন। কিন্তু 'প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী' সেই ইতিহাস জানেন না।"

রোববার শ্রীরামপুরে বিজেপি'র জনসভা থেকে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারি কথিত বাংলাদেশিদের লোকসভা নির্বাচনের পর বাক্স গুছিয়ে নিয়ে তৈরি থাকার হুমকি দেন মোদী। জানিয়ে দেন, ১৬ মে'র পর এ রাজ্যে তাদের জায়গা হবে না।

এমন বিদ্বেষমূলক উস্কানির পরই মোদীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, "রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলায় জাতপাতের রাজনীতি টেনে আনার চেষ্টা করবেন না। গুজরাটে রক্তের নদী বইয়ে এসেছে, এখানে কী রক্তের সমুদ্র বওয়াবে? কে দিয়েছে তাকে এই কথা বলার অধিকার?"

মোদী দার্জিলিংকে বাংলা থেকে ভাগ করতে চেয়েছে অভিযোগ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বাংলার ঐক্য যে ভাঙতে আসবে, জনগণ তাকে ভেঙে দেবে। বাংলার মানুষ ভোটের মাধ্যমেই এমন কথার জবাব দেবে। - দাঙ্গাবাজদের কাছ থেকে কোনো জ্ঞান শুনতে চাই না।"

মোদীর নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, "গুজরাটের দুর্ভাগ্য একটা শয়তান, ডেঞ্জারাস লোক বসে আছে। এই মানুষ যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন  দুঃসহ, ভয়ঙ্কর কালো দিন আসবে। এই মানুষ যদি চেয়ারে বসেন তাহলে অন্ধকূপ হত্যার  ঘটনা ঘটবে। সারা দেশটাকে জ্বালিয়ে দেবেন।"

গতকাল রোববার রাতে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে সংগীতশিল্পী বাপ্পী লাহিড়ীর এক নির্বাচনী জনসভায় মোদী বলেছিলেন, "বিজেপি ক্ষমতায় যাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের চাঞ্চল্যকর সারদা কেলেঙ্কারির সঠিক তদন্ত করবে। দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না।" তিনি আরো বলেন, "মমতা ভীষণ লোভী। বামেদের পথে হাঁটছে। তাই কংগ্রেস, বাম ও তৃণমূল-এই চক্রের বাইরে যেতে হবে বাংলাকে। আমার সঙ্গে থাকুন। আমি আপনাদের স্বরাজ দেব।"

মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আপনার আঁকা ছবি ১ কোটি ৮০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আপনার ছবি কে কিনল, তা বাংলার মানুষ জানতে চায়। আপনার মতো এমন চিত্রকরের জন্য দেশ গর্বিত!"

মোদীর এই বক্তব্যের পর তৃণমূলের বিভিন্ন মহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ছবি বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে মোদীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা করা হবে। এরইমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে মুকুল রায় জানান।

এদিকে, তৃণমূলের অভিযোগের পর নরেন্দ্র মোদীর জনসভার সিডি তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।#

রেডিও তেহরান/এআর/২৯    


নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় বিভাজনের বিষ ছড়াচ্ছেন বলে সোমবার বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে উদ্দেশ করে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।


শ্রীরামপুরে নমোর উসকানিমূলক ভাষণের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় সোচ্চার হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি অভিযোগ জানান, বাংলায় বাঙালি-অবাঙালির বিভেদ তৈরিতে সচেষ্ট মোদি। উল্লেখ্য, রবিবার শ্রীরামপুরের সভায় মমতার বিরুদ্ধে আচমকা আক্রমণ শানিয়েছিলেন নমো। আসানসোলে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ উদ্ধৃত করে এ দিন তিনি অভিযোগ করেন, হিন্দিভাষীদের 'বাংলার অতিথি' বলে মনে করলেও বাংলাদেশিদের প্রতি যথেষ্ট দুর্বল মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের 'বাক্স-প্যাঁটরা সমেত ছুড়ে ফেলে দেব' বলে ঘোষণা করেন মোদি।


গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এদিন মমতার পাল্টা হুংকার, বাংলার বুকে জাত-পাতের রাজনীতি কোনো দিনই সমর্থন করা যাবে না। মোদির নামোচ্চারণ না করে তিনি বলেন, ইতিহাস বিশ্রুত হয়েছেন নমো। অখণ্ড বাংলার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, নানান জাতি ও ধর্মের মানুষকে চিরকাল বাংলা ঠাঁই দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, গুজরাটের মতো বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা সফল হবে না। তাঁর প্রশ্ন, 'গুজরাটে রক্তগঙ্গা বইয়ে এসেছে। এখানে কি সমুদ্র বওয়াবে?' একই সঙ্গে তিনি সাবধান করে দেন, 'এই মানুষটা যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়, তবে দেশে কালো দিন ফিরে আসবে।'


বস্তুত বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে এ দিন একের পর এক তোপ দাগেন মমতা। গোধরা কাণ্ডের স্মৃতি উসকে দিয়ে তাঁর দাবি, এখনো পর্যন্ত গুজরাট যা করে দেখাতে পারেনি, বাংলা সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বরাবর রক্ষা করে চলেছে। শ্রীরামপুরের সভামঞ্চ থেকে বাংলায় জাতিদাঙ্গার বাণী প্রচার করে লাভ হবে না বলে কটাক্ষ করেন তিনি। গেরুয়া নেতাকে এ দিন সরাসরি 'শয়তান ও দাঙ্গাবাজ' বলে অভিহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে এক হাত নিয়ে নমোর প্রচারে 'পেইড নিউজ' সম্পর্কেও কটাক্ষ করেন তিনি।


এদিকে, এ দিনই নরেন্দ্র মোদির সভার সিডি তলব করল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, এই ভাষণে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা ও কমিশনের জোড়া ফলায় বিঁধে কী রক্ষাকবচ এবার ব্যবহার করেন নমো, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

- See more at: http://www.eurobdnewsonline.com/international-news-/2014/04/28/37992#sthash.hANR3JEl.dpuf

মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী বুদ্ধদেব ভট্টাটার্য ও একই সুরে এই নমো ,যুদ্ধঘোষণার প্রতিবাদ করেছেন।স্বাগত।


ভোট 12 মেতে শেষ হচ্ছে,কিন্তু সারা ভারতে বাঙালির অস্থ্ব বিপর্যয়ে বাটের রাজনীতির উর্ধে বাঙালি জাতিসত্তার সব সীমান্ত ভেঙে ফেলার এই সংক্রমণকালে বাঙালি একজোট না হলে সারা ভারতবর্ষ কিন্তু পর্ব বঙ্গ হয়ে যাবে।



বুদ্ধবাবু বলেছেনঃ


সম্প্রতি রাজনৈতিক ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করছি আমরা


কংগ্রেসের অবস্থা ভাল নয়


মনমোহন সমলাতে পারছেন না


অন্য দিকে উঠে আসছেন মোদী


রাজ্যের মানুষকে যতটা চিনি, তাকে মেনে নেবেন না মানুষ


কংগ্রেস নয় বিজেপি নয়


বিকল্প চাইছেন রাজ্যের মানুষ


মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে


জিনিসের দাম এখন লাগামছাড়া


রাজ্যের সরকার চুপ করে রয়েছে


তাঁরা উৎসব নিয়ে ব্যস্ত


পেট্রোল ডিজেলের দামবৃদ্ধিতে মানুষ অতিষ্ট


মহিলাদের ওপর আক্রমণ বাড়ছেই


অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে


এটা মানুষ মেনে নেবে না


বললেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

মেহমান-তরজায় মোদীকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন

২৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:৩৪:৩৯

e e e print

7

সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে। ছবি: সুদীপ আচার্য

ভিন্ রাজ্য থেকে আসা মানুষকে বলেছিলেন 'মেহমান'। সপ্তাহতিনেক আগে। সেই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এ বার ভিন্ রাজ্যের এক মুখ্যমন্ত্রীকে বললেন 'হরিদাস'! 'ভয়ঙ্কর লোক' এবং 'শয়তান' বিশেষণও বাদ গেল না!

প্রশ্নকর্তার নাম নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদী। জবাবে পাল্টা আক্রমণকারীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

সারদা-কাণ্ড নিয়ে চাঁছাছোলা আক্রমণ করে ২৪ ঘণ্টা আগেই রাজ্যে নির্বাচনী লড়াইয়ের পারদ চড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। এ বার মোদীকে ব্যক্তিগত স্তরে ঝাঁঝালো পাল্টা আক্রমণ করে তাতে নতুন মাত্রা জুড়লেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই আক্রমণের উপলক্ষ সারদা নয়। বিষোদগারের কেন্দ্রে ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা ও বাংলাদেশি সংক্রান্ত মোদীর মন্তব্য।

মোদী পশ্চিমবঙ্গে ভিন্ন ভাষাভাষী এবং ধর্মীয় সংগঠনের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে সংঘর্ষ বাধাতে চাইছেন বলে অভিযোগ করে এ দিন নবান্ন চত্বরে মমতা বলেছেন, "বাঙালি-অবাঙালি ভাগ করে দিচ্ছে। এত বড় সাহস? এত বড় বুকের পাটা! কে তুই! কে ভাই! কোন হরিদাস?" মোদীকে মমতার হুঁশিয়ারি, "বাংলায় জাতপাতের রাজনীতি আনার চেষ্টা করবেন না! রাজনীতি করছেন করুন, কিন্তু এই ধরনের কথাবার্তা কেন? কোনও ইতিহাস জানে না!"

মোদীর কোন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মমতার এ হেন আক্রমণ?

শ্রীরামপুরের স্টেডিয়াম মাঠে রবিবার সন্ধ্যায় এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মোদী বলেছিলেন, "মমতাজি ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে এই রাজ্যে রাজনীতি শুরু করেছেন। বিহার, ওড়িশা থেকে এই রাজ্যে গরিব মানুষ কাজে এলে ওঁর রাগ হয়। তাঁদের পর মনে হয়। হেনস্থা হন তাঁরা। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে কেউ এলে উনি তাঁদের 'আদর' করে এই রাজ্যে রেখে দেন। ১৯৪৭ সালের পরে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা বিছানা-বেডিং বেঁধে রাখুন! ১৬ মে-র পরে তাঁদের বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে।"

তার প্রতিক্রিয়ায় এ দিন নবান্নের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "দেশে কালো দিন টেনে আনা হচ্ছে। কাউকে কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভাবা হচ্ছে। যিনি দেশের ইতিহাস জানেন না, ভূগোল জানেন না! তিনি বলছেন, বাংলাদেশীদের বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে ফিরে যেতে হবে। এমন অধিকার ওঁকে কে দিয়েছে?"

তৃণমূল নেত্রীর এমন মন্তব্যের আবার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে বিজেপি-র তরফে। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে মোদীর মন্তব্যের কিছু ব্যাখ্যাও। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের কথায়, "বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থী আর অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ফারাক আছে। আমাদের এই অবস্থান বহু দিনের। শরণার্থীদের জন্য কিছুই বলেননি মোদী। তিনি বলেছেন অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে।" সম্প্রতি অসমে গিয়ে মোদী এ ব্যাপারে আরও স্পষ্ট করে তাঁর মত জানিয়েছিলেন বলেও রাহুলবাবু উল্লেখ করেছেন। বিজেপি-র অভিযোগ, মোদীর কথাকে হাতিয়ার করে পূর্ববঙ্গের মানুষজনের ভাবাবেগ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু মোদী আদৌ ও'পার বাংলা থেকে সব মানুষকে এক করে কিছু বলেননি বলে তাদের দাবি।

মমতা অবশ্য মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, "প্রথম দিন বলল, দার্জিলিং ভাগ করে দাও। এ বার বাঙালিদের, বাংলাকে ভাগ করার কথা বলছে। হিন্দু-মুসলমান ভাগ করতে চাইছে। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। দেশের লোককে যে ভালবাসতে পারে না, সে দেশের নেতৃত্ব দেবে?" মোদীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, "দাঙ্গা লাগানো থেকে বিরত থাকা উচিত। তিনি বলেন, "দার্জিলিঙের ভাইবোনেরা এ বার ওঁর বাক্সপ্যাঁটরা গুটিয়ে ওঁকে বুঝিয়ে দেবেন!"

কিন্তু মোদী শ্রীরামপুরের সভায় ওই কথা বললেন কেন?

রাজ্য বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, গত ৪ এপ্রিল তৃণমূল নেত্রী কুলটির জনসভায় বিহার, উত্তরপ্রদেশ-সহ অন্য রাজ্য থেকে যে সব মানুষ এখানে আসেন, তাঁদের 'মেহমান' বলে অভিহিত করেছিলেন। ওই সভায় মমতা বলেছিলেন, "উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা আমাদের মেহমান। তাঁদের দেখতে হবে, ভাল ভাবে রাখতে হবে।"

বিজেপি-র মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিংহ আসানসোলে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সিদ্ধার্থনাথ ওই দিন বলেছিলেন, "এখানে ভিন্ রাজ্যের প্রচুর পরিবার বংশ পরম্পরায় বাস করছেন, সৌভ্রাতৃত্বের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা হঠাৎ মেহমান কেন হয়ে যাবেন?" রাজ্য বিজেপি ওই বক্তব্যকে আপত্তিকর বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছিল। মমতার ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই রবিবার শ্রীরামপুরের সভায় মোদী ওই মন্তব্য করেন বলে রাজ্য বিজেপি-র অভিমত। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুলবাবু এ দিনও বলেছেন, "নিজেদের রাজ্যের পাট চুকিয়ে অনেক মানুষ এ রাজ্যেই রয়েছেন অনেক বছর ধরে। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাঁরাও সামিল। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তাঁদের অনেকেই খুব আঘাত পেয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছিলেন। মোদী সেই কথাই বলেছেন।" রাহুলবাবুর আরও দাবি, "তার জবাব দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীই এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিভাজন তিনিই করছেন!"

এ রাজ্যে বাঙালিদের সঙ্গে অন্য ভাষাভাষীদের যে কোনও বিরোধ নেই, তা বোঝাতে মমতা এ দিন বলেন, "প্রেসিডেন্সির প্রধান পদে অনুরাধা লোহিয়াকে বসানো হয়েছে। তিনি এক জন মাড়োয়ারি মহিলা। রাজ্যের ডিজি অন্ধপ্রদেশের মানুষ। অনেক আধিকারিক আছেন, যাঁরা অন্য রাজ্যের। তাঁরা ভাল কাজ করছেন। আমার গাড়ির চালকও বিহারী। তাতে কী হয়েছে!" অ-বাংলা ভাষাভাষীদের দিকে তাঁর সরকার কী ভাবে নজর দিচ্ছে, তা বোঝাতে মমতা বলেন, "এখানে ছট পুজোয় ছুটি দেওয়া হচ্ছে। আমি গঙ্গাপুজো করি। সবেবরাতেও যাই।" তাঁর দাবি, গুজরাতে ছট পুজোয় কোনও ছুটি দেওয়া হয় না। ইন্টারনেট ঘেঁটে জানার পরেই তিনি এই দাবি করছেন বলে মমতা জানান। তাঁর মন্তব্য, "বাংলা, হিন্দি, উর্দু কোনও ভাষাতেই কথা বলা অপরাধ নয়।"

প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ঝগড়া করা উচিত হবে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি, নেহরু-লিয়াকত চুক্তি অনুযায়ী ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যাঁরা এ দেশে এসেছেন, তাঁরা সবাই ভারতীয় নাগরিক। তার পরেও কেউ বিপদে পড়ে এলে তাঁদের ঠেলে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটা নিয়ম আছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, "কোচবিহারেও অনেক বাংলাদেশি আছেন। তাতে কী হয়েছে! অসমেও গোলমালের পরে অনেকে এ রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে। এটাই মানবিকতার ধর্ম।"

ভিন্ রাজ্য থেকে এসে এ রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে তৃণমূল নেত্রীর আহ্বান, মোদীর কথার প্রতিবাদে তাঁরা জোট বেঁধে বিজেপি-র বিরুদ্ধে ভোট দিন। গরিব মানুষের উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গ গুজরাতের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে বলে দাবি করে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি মমতার কটাক্ষ, "উনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসলে দুঃসহ দিন আসবে। অন্ধকূপ হত্যার মতো সারা দেশকে জ্বালিয়ে দেবেন। যে ভাবে গুজরাতে শিশু, গর্ভবতী মহিলাদের জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে!" সঙ্গে আরও সংযোজন, ''তাকানোটাই ভয়ঙ্কর! তাকাচ্ছে আর সব জ্বালিয়ে দিচ্ছে! দাঙ্গারাজের কাছ থেকে আমি কোনও কথা শুনতে চাই না!"

এরই সঙ্গে মমতার প্রশ্ন, নির্বাচনী প্রচারে এত হাজার হাজার কোটি টাকা বিজেপি খরচ করছে কোথা থেকে? তাঁর দাবি, "নির্বাচনে জেতার জন্য এখানে জাতপাতের ব্যবসা করছে। বাঙালিদের মধ্যে বিভেদ ঘটানোর যে কথা তিনি (মোদী) এ রাজ্যে এসে বলে গিয়েছেন, সেটা নির্বাচন কমিশনের দেখা উচিত। কমিশন শুধু তৃণমূলের দোষ দেখে বেড়াচ্ছে!"


ই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নাম না-করে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় বিভাজনের বিষ ছড়াচ্ছেন বলে সোমবার বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী।


শ্রীরামপুরে নমোর উস্কানিমূলক ভাষণের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় সোচ্চার হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি অভিযোগ জানান, বাংলায় বাঙালি-অবাঙালির বিভেদ তৈরিতে সচেষ্ট মোদী। উল্লেখ্য, রবিবার শ্রীরামপুরের সভায় মমতার বিরুদ্ধে আচমকা আক্রমণ শানিয়েছিলেন নমো। আসানসোলে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ উদ্ধৃত করে এদিন তিনি অভিযোগ করেন, হিন্দিভাষীদের 'বাংলার অতিথি' বলে মনে করলেও বাংলাদেশিদের প্রতি যথেষ্ট দুর্বল মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের 'বাক্স-প্যাঁটরা সমেত ছুড়ে ফেলে দেব' বলে ঘোষণা করেন মোদী।


গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এদিন মমতার পাল্টা হুংকার, বাংলার বুকে জাত-পাতের রাজনীতি কোনওদিনই সমর্থন করা যাবে না। মোদীর নামোচ্চারণ না করে তিনি বলেন, ইতিহাস বিশ্রুত হয়েছেন নমো। অখণ্ড বাংলার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, নানান জাতি ও ধর্মের মানুষকে চিরকাল বাংলা ঠাঁই দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, গুজরাতের মতো বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা সফল হবে না। তাঁর প্রশ্ন, 'গুজরাতে রক্তগঙ্গা বইয়ে এসেছে। এখানে কি সমুদ্র বওয়াবে?' একই সঙ্গে তিনি সাবধান করে দেন, 'এই মানুষটা যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়, তবে দেশে কালো দিন ফিরে আসবে।'


বস্তুত বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে এদিন একের পর এক তোপ দাগেন মমতা। গোধরা কাণ্ডের স্মৃতি উস্কে দিয়ে তাঁর দাবি, এখনও পর্যন্ত গুজরাত যা করে দেখাতে পারেনি, বাংলা সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বরাবর রক্ষা করে চলেছে। শ্রীরামপুরের সভামঞ্চ থেকে বাংলায় জাতিদাঙ্গার বাণী প্রচার করে লাভ হবে না বলে কটাক্ষ করেন তিনি। গেরুয়া নেতাকে এদিন সরাসরি 'শয়তান ও দাঙ্গাবাজ' বলে অভিহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে একহাত নিয়ে নমোর প্রচারে 'পেইড নিউজ' সম্পর্কেও কটাক্ষ করেন তিনি।


এদিকে, এদিনই নরেন্দ্র মোদীর সভার সিডি তলব করল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, এই ভাষণে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা ও কমিশনের জোড়া ফলায় বিঁধে কী রক্ষাকবচ এবার ব্যবহার করেন নমো, সেটাই এখন দেখার।


এই সময়: রাজ্যের যে সমস্ত কেন্দ্রে বিজেপির কিছু পকেট ভোট আছে, হাওড়া লোকসভা তার অন্যতম৷ সেখানে প্রচারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক, দু'রকম আক্রমণই করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শ্রীরামপুরের সভায় মোদী তাঁকে আক্রমণ করার আগেই মমতা নাম না করে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বলেন, 'এক জন বড় নেতা তার স্ত্রীকেই সম্মান দেয় না৷ যারা নিজের ঘর সামলাতে পারে না, তারা আবার দেশ কী চালাবে?' নাম না-করে তাঁকে 'গ্যাস বেলুনবাবু' বলে কটাক্ষও করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বাংলার জন্য বিজেপির সাম্প্রতিক দরদকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, 'ইলেকশনের সময় বলতে এসেছেন বাংলার টাকা পাওয়া উচিত৷ সাড়ে তিন বছর ধরে আমরা যখন সংসদে এই দাবি জানিয়ে এসেছি তখন একবারও বলেননি কেন?'


লোকসভা উপনির্বাচনের ফলাফলেই স্পষ্ট, হাওড়ায় তৃণমূলের এ বার 'অ্যাসিড টেস্ট'৷ বিজেপি প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেও মাত্র ২৭০০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ বার আক্ষরিক অর্থেই এই কেন্দ্রে চতুর্মুখী লড়াই৷ সেখানে মোদীর দলকে মমতা কতটা সমীহ করতে বাধ্য হচ্ছেন, তা তাঁর বক্তৃতা থেকেই স্পষ্ট৷ রবিবার সালকিয়ার জনসভায় মমতা বলেন, দেশের নেতা তিনিই হন যিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলেন৷ যেমন নেতাজি, গান্ধীজি৷ যারা ভাগাভাগি করে, তারা দেশনেতা নয়৷'


চরিত্রে অনেকটা বড়বাজার বা মধ্য কলকাতার মতো এই কেন্দ্রেও অবাঙালি ভোট বড় ফ্যাক্টর৷ মমতার অভিযোগ, বিভাজনের রাজনীতিতে হিন্দিভাষীদের ভোট টানতে চাইছে বিজেপি৷ এই প্রশ্নেই বিজেপিকে তাঁর হুঁশিয়ারি, 'বাঙালি-বিহারি ভাগ করতে দেব না৷ রাম-রহিম ভাগ করছ? যদি দুষ্ট চোখ নিয়ে তাকাও, বাংলার মানুষ ভস্ম করে দেবে৷' লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি যে বিপুল অর্থব্যয় করছে তার উত্‍স নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি এও বলেন, বিজেপি সরকারি ভাবেই বলছে, ওদের নির্বাচনী ব্যয় পাঁচ হাজার কোটি টাকা৷ একাধিক শিল্পগোষ্ঠীর আর্থিক মদতেই নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর দলের আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে৷ বিদেশ থেকেও অর্থসাহায্য আসছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, 'দু'টো রিফাইনারি ওদের আছে৷ রিলায়্যান্স আর এসার৷ এনআএরআইদের থেকেও টাকা আসে৷'


বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম না করে তিনি বলেন, 'গ্যাস বেলুনে পাম্প দেওয়া হয়েছে৷ গ্যাস বেলুনবাবু ১০০ দিনের কাজে আপনার রাজ্যে কত টাকা খরচ করেছেন?' শিশু মৃত্যুরোধ, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, ক্ষুদ্রশিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টি- সমস্ত ক্ষেত্রেই বাংলা গুজরাটের চেয়ে এগিয়ে আছে বলেও প্রতিটি জনসভায় পরিসংখ্যান-সহ দাবি করছেন মুখ্যমন্ত্রী৷


মোদীর বিরোধিতায় সিংহভাগ সময় ব্যয় করলেও কংগ্রেস সম্পর্কেও ভোটারদের সতর্ক করেছেন তৃণমূল নেত্রী৷ বলেছেন, 'মিলিয়ে নেবেন, ভোটে জিতলে ওরা আবার তেল এবং গ্যাসের দাম বাড়াবে৷' অবশ্য কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এলেও এর অন্যথা হবে না বলে দাবি মমতার৷ তবে তাঁর শেষ কথা, 'কংগ্রেস-বিজেপি-সিপিএম চায় না যে, দেশে অন্য কোনও নতুন শক্তি উঠে আসুক৷ কিন্ত্ত আমরা তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবই৷'


তৃণমূলের ভোট ভাগের অঙ্কে জেতার স্বপ্ন দেখছে সিপিএম


HOOGHLY

প্রচারে হুগলি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ

কৌশিক প্রধান ও প্রদীপ চক্রবর্তী


হুগলি: দুপুর তিনটে৷ গনগনে গরমের দুপুরে রাস্তায় লোকজন না থাকাটাই স্বাভাবিক৷ হঠাত্‍ই কোলাহল শুনে ধনিয়াখালি ব্লকের কাঁটুল গ্রামে পুকুরের পাশের এক ফালি রাস্তা পার হতেই দেখা গেল একটা ছোট্ট মাঠে জনা পঞ্চাশ গ্রামবাসীর ভিড়৷ তাঁদের মাঝখানে কয়েক জন সঙ্গী-সহ হুগলি কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী প্রদীপ সাহা৷ ধনিয়াখালি ব্লকের যে গুটিকয়েক গ্রামে এখনও সিপিএমের প্রভাব রয়েছে, তার মধ্যে কাঁটুল অন্যতম৷ হুগলি জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি প্রদীপবাবুকে কাছে পেয়ে তাঁর কাছে তখন বিস্তর নালিশ জানাতে ব্যস্ত গ্রামবাসীরা৷ 'দেখছেন তো কী অবস্থা! তিন-চার মাস ধরে এঁরা ১০০ দিনের কাজের টাকা পায়নি৷ ১০০ দিনের কাজে প্রথম হতে হবে বলে কাজ করিয়ে নিয়েছে, অথচ মানুষের প্রাপ্য টাকা দেওয়ার ব্যাপারে নৈব নৈব চ৷' ঘাড় নাড়তে নাড়তে বললেন প্রদীপবাবু৷


৩৫ মাসে রাজ্যে তৃণমূল সরকারের কাজের 'নমুনা'ই তাঁকে হুগলি কেন্দ্রে জেতার স্বপ্ন দেখাচ্ছে৷ এই কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতেই তৃণমূলের বিধায়ক৷ বামেদের পক্ষে শিবরাত্রির সলতে বলতে শুধুমাত্র পান্ডুয়া বিধানসভা কেন্দ্র৷ তাতেও দমছেন না প্রদীপবাবু৷ কর গুনতে গুনতে বললেন, 'আমরা পান্ডুয়া, বলাগড়, সপ্তগ্রামে ভাল লিড পাব৷ আর ধনিয়াখলিতে শাসক দলের সন্ত্রাস অগ্রাহ্য করে মানুষ ভোট দিতে পারলে সেখানেও সবচেয়ে বেশি ভোটে এগিয়ে থাকব৷ সিঙ্গুরের মানুষ দেখেছেন কী ভাবে তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন৷ তাই ওখানেও লিড হবেই৷'


এ সব কথা শুনে হো হো করে হেসে উঠলেন তপন দাশগুপ্ত৷ তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে হুগলি জেলায় দলের সভাপতি৷ '১৯৯৮-তে হুগলিতে হেরেছিলাম পাঁচ হাজার ভোটে৷ ১৯৯৯-তে ১১ হাজার ভোটে৷ ২০০৯-তে ৮০ হাজারের বেশি ভোটে আমাদের প্রার্থী রত্না দে নাগ জেতার পর সিপিএমের সংগঠন কোথায়? তার পর থেকে সিপিএম, কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থক তো পাল বেঁধে আমাদের দলে আসছে৷ এ বার আমরা কম করে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটে জিতব,' দাবি তপনবাবুর৷


কিন্ত্ত, জয়ের ব্যবধান কি এ বার সত্যিই বাড়বে তৃণমূলের? সারা রাজ্যে এ বার যা অবস্থা, হুগলিতেও তাই৷ ভোটের ময়দানে প্রবল পরাক্রমে হাজির বিজেপি৷ জয়-পরাজয়ের নিষ্পত্তিতে এই আসনে একমাত্র ফ্যাক্টর বিজেপি৷ এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সাংবাদিক চন্দন মিত্রের ভোট সেনাপতি ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর কথায়, 'আমরা গত লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ৪০ হাজারের মতো ভোট পেয়েছিলাম৷ নরেন্দ্র মোদীজির নামে মানুষের থেকে এ বার যে সাড়া পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে আমাদের ভোট দু'লক্ষ পেরিয়ে যাবে৷' বাংলার মাটিতে বিজেপির এই আত্মপ্রত্যয় এল কোথা থেকে? চন্দনবাবুর জবাব, 'কী করেছে তৃণমূল হুগলিতে? চটকলগুলো ধঁুকছে৷ সাহাগঞ্জে ডানলপের দরজা এখনও বন্ধ৷ উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে ফসল মাঠেই নষ্ট হচ্ছে৷ আমি জিতলে এই সমস্যাগুলির সমাধান করব৷ আর সিঙ্গুরে আইটি পার্ক গড়ার ব্যাপারে টিসিএসের সঙ্গে কথা বলব৷'


সিপিএম, তৃণমূল নেতারাও আড়ালে আবডালে মানছেন চুঁচুড়া, চন্দননগরের মতো শহরকেন্দ্রিক বিধানসভা আসনগুলিতে বিজেপি এ বার ভালোই বেগ দেবে৷ আর বিজেপির ভোট যদি দু'লক্ষর জায়গায় এক লক্ষও হয়, তা হলেও আসনের যাবতীয় সমীকরণ বদলে যাবে৷ বিশেষ করে রবিবার শ্রীরামপুরে নরেন্দ্র মোদীর সভার পর বিজেপির পালে হাওয়া আরও বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷


সিপিএমের আশা, বিজেপি ভোট কাটবে তৃণমূলের৷ আর তার জেরেই সামান্য ব্যবধানে হলেও বেরিয়ে যাবেন প্রদীপবাবু৷ এই অবস্থায় জয় নিশ্চিত করতে তৃণমূলের লক্ষ্য ধনিয়াখালি থেকে যথাসম্ভব লিড বাড়িয়ে নেওয়া৷ বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের শাসানি, হাঙ্গামায় তারা ধনিয়াখালিতে প্রচারই করতে পারছে না৷ যদিও ধনিয়াখালি এলাকার তৃণমূল নেতা সৌমেন ঘোষ (পটল)-এর দাবি, বাম আমলের থেকে এলাকা এখন অনেক শান্ত৷ তাঁর কথায়, 'বিরোধীদের সভায় লোক হচ্ছে না বলেই ওরা এ সব বলছে৷'


হুগলি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রীতম ঘোষকে৷ কিছু দেওয়াল লিখন এবং পোস্টার ছাড়া গোটা হুগলি কেন্দ্রে তাঁর অস্তিত্বই বোঝা যাচ্ছে না৷ কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে পথসভা, মিটিং-মিছিলও তেমন একটা হয়নি৷ কয়েকটি রাস্তার মোড়ে শুধু বাজছে প্রীতমবাবুর রেকর্ড করা বক্তব্যের ক্যাসেট৷ ১৬ মে-র আগে ফল জানা যাবে না ঠিকই, তবে কংগ্রেস যে একেবারেই লড়াইয়ে নেই, সে কথা বলাই যায়৷

http://eisamay.indiatimes.com/state/copy-on-hoogly-lok-sabha-constituency/articleshow/34340364.cms

কংগ্রেস ডুবন্ত জাহাজ, মা-ছেলের দিন শেষ, জি নিউজ EXCLUSIVE

Last Updated: Monday, April 28, 2014, 23:40  

কংগ্রেস ডুবন্ত জাহাজ, মা-ছেলের দিন শেষ, জি নিউজ EXCLUSIVEদেশে শুরু হয়ে গেছে লোকসভা নির্বাচন। আর মাত্র দুদিন পরই সপ্তম দফার নির্বাচন। তার আগে জি নিউজ এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকার দিলেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী।


মোদী বলেন, "যখন নির্বাচনের দিন ঘোষিত হয়েছিল, কংগ্রেস ভেবেছিল ফলাফল ত্রিমুখী হবে। ওরা বলছিল মোদীকে কখনই প্রধানমন্ত্রী হতে দেব না। আমরাই ফিরব তৃতীয় ফ্রন্ট হিসেবে। ওদের কথা থেকেই মনে হচ্ছে যে ওরা হেরে গেছে। মা, ছেলে জুটির খেল শেষ। ওরা বুঝে গেছে যে জাহাজ ডুবতে চলেছে। ওদের কোনও লক্ষ্য নেই, তাই আমাকে অপমান করে।"


জানালেন তাঁর চোখে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচন পুরোটাই মোদী বনাম বাকিদের লড়াই। যদিও ভাল সরকার গড়াই তাঁর উদ্দেশ্য বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের দিন বারানসীতে বিপুল জনসমাবেশের মধ্যে মনোনয়ন জমা দেন মোদী।


মোদী মনে করেন গোটা দেশ অবসাদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বলেন, "মানুষ বুঝতে পেরেছে গুজরাতে সত্যিই বাল কিছু হয়েছে। তবে সারা দেশেই ভাল কিছু হতে পারে। গুজরাত যদি ভূজের স্মৃতি থেকে বেরোতে পারে, দেশও খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে পারবে।"


মমতা: দাঙ্গাবাজের কাছ থেকে কোনও সার্টিফিকেট চাই না

মোদি ক্ষমা না চাইলে মামলা করবে তৃণমূল




দীপঙ্কর নন্দী, রীনা ভট্টাচার্য



সোমবার নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি দাঙ্গাবাজ বলে কড়া আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷‌ ক্ষুব্ধ মমতা মোদি সম্পর্কে এও বলেন, 'তাঁর কাছ থেকে কোনও সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রয়োজন নেই৷‌ হাঁড়ি খুলে দিলে একটি ভাতও আর থাকবে না৷‌ আমি সব উত্তর জনগণের কাছে দেব৷‌ আমি কী, তা আমি নিজেই জানি৷‌' রবিবার শ্রীরামপুরে নরেন্দ্র মোদি প্রচার করতে এসে মমতাকে আক্রমণ করেন৷‌ সোমবার মমতা নবান্ন থেকে ফেরার সময় সাংবাদিকদের কাছে তার জবাব দেন৷‌ অন্যদিকে, এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় ও সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন৷‌ মুকুল বলেন, মমতার ছবি বিক্রি নিয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন মোদি৷‌ তিনি যদি প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে তাঁর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত৷‌ ক্ষমা না চাইলে মোদির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে বলে মুকুল জানিয়ে দেন৷‌ মোদিকে দাম্ভিক, অহঙ্কারী বলেও মম্তব্য করেন মুকুল৷‌ তিনি বলেন, মমতা ছবি বিক্রি করে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন মোদি৷‌ গল্প ফাঁদা হচ্ছে৷‌ মমতা নিজের লেখা বই থেকে ও তাঁর আঁকা ছবি থেকে যে টাকা পেয়েছেন তা সবই দলের জন্য আর স্প্যাস্টিক সোসাইটির জন্য দিয়ে দিয়েছেন৷‌ সব টাকার হিসাব আছে৷‌ আয়কর দপ্তরকেও হিসাব দেওয়া হয়েছে৷‌ নির্বাচন কমিশনও সব জানে৷‌ নবান্নে দাঁড়িয়ে এদিন মমতা বলেন, 'মোদি দেশের ইতিহাস জানেন না৷‌' মিডিয়ার একাংশের উদ্দেশে মমতা বলেন, 'একজনের হয়ে প্রচার করছেন আপনারা৷‌ সংবাদ বিক্রি করে দেশে কালো দিন টেনে আনছেন৷‌ একজনকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিচ্ছেন, যিনি কোনও ইতিহাস জানেন না৷‌ বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এখানে এসেছেন, তাঁদের তিনি বা'-প্যাটরা নিয়ে ফেরত যেতে বলেছেন৷‌ তিনি বলার কে?' মিডিয়ার একাংশের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনারা যাঁরা ওঁর হয়ে প্রচার করছেন, তাঁরা কালো দিনের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন৷‌ কেন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন?' মোদিকে একসময় মমতা তুই করেও সম্বোধন করেন৷‌ বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এনে মমতা বলেন, 'কেন এঁরা আবার ফিরে যাবেন? এসব কথা বলার সাহস তিনি পান কোথা থেকে? এত বড় বুকের পাটা? কে ভাই তুমি? কোন হরিদাস? বাঙালি-অবাঙালির মধ্যে বিভেদ করতে এসেছেন তিনি৷‌ আমি বলি, বাংলায় জাতপাতের রাজনীতি করবেন না৷‌ বাংলাদেশ আমার প্রতিবেশী৷‌ তাদের সঙ্গে ঝগড়া করব? না কি তাদের ভালবাসব?' বি জে পি-কে আক্রমণ করে মমতা বলেন, তাদের একটি ভোটও দেবেন না৷‌ মোদি সম্পর্কে বলেন, ঔদ্ধত্য, সাহস থাকা ভাল৷‌ দুঃসাহস থাকা ভাল নয়৷‌ তদম্ত না করে যা খুশি বলছেন৷‌ নির্বাচনের সময় এসে বাংলার শাম্তি নষ্ট করতে চাইছেন৷‌ বাংলায় বহু ভাষাভাষী লোকেরা এখানে থাকেন৷‌ আমাদের এখানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য যিনি হয়েছেন, তিনি তো মাড়োয়ারি৷‌ রাজ্যের ডি জি অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষ৷‌ একসঙ্গে কাজ করতে আমাদের কোনও অসুবিধা হয় না৷‌ তবে এটা সকলকেই বলব, ঐক্যরক্ষার স্বার্থে মিলেমিশে থাকুন৷‌ মোদি সম্পর্কে মমতা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, তিনি যদি দিল্লির আসনে বসেন, তাহলে দেশে দুঃসহ কালো দিন, ভয়ঙ্কর দিন আসবে৷‌ গুজরাটের মানুষদের আমি ভালবাসি৷‌ ওখানকার মানুষের দুর্ভাগ্য যে, এমন একজন ভয়ঙ্কর, শয়তান লোক ওঁরা পেয়েছেন৷‌ এখানে শিল্প হয়নি৷‌ মোদিকে তিনি দাঙ্গাবাজ, দাঙ্গারাজ বলে মম্তব্য করেন৷‌ মমতা বলেন, ওঁর তাকানো যেন ভয়ঙ্কর৷‌ শুধু তাকাচ্ছেন আর ধ্বংস করছেন৷‌ সংখ্যালঘুদের তিনি গালিগালাজ করছেন৷‌ এসব করলে ভোটের বাক্সে জবাব পাবেন৷‌ দার্জিলিং ভাগ করতে চাইছে৷‌ আমরা ভাগ করতে দেব না৷‌ সারদা নিয়ে তদম্ত হবে বলে মোদির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বলেন, একজন চোর কী বললেন, তার উত্তর দেব না৷‌ এসবের উত্তর দেওয়ার জন্য আমার দলে পাঁচ হাজার নেতা আছেন৷‌ আমি অনেক কিছু জানি, পরে বলব৷‌ মিডিয়ার যাঁরা তাঁর হয়ে প্রচার করছেন, তাঁরাও কিন্তু সাবধানে থাকবেন৷‌ পরে কিন্তু আপনাদেরও ছেড়ে কথা বলবেন না৷‌ মমতা বলেন, সি পি এম এবং কংগ্রেস বি জে পি-কে টেনে নিয়ে আসছে৷‌ বি জে পি-র পা ধরে বাঁচতে চাইছে ওরা৷‌ এদিন মমতা বলেন, আমরা কোনও দিন এন ডি এ-তে থেকেও বি জে পি করিনি৷‌ শুধুমাত্র বাজপেয়ীজিকে সমর্থন করেছি৷‌ মোদি সম্পর্কে মমতা বলেন, আমিও ব্যক্তিগত আক্রমণে যেতে পারতাম৷‌ পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছি, বাংলার মাটিতে কোনও ধান্দাবাজির রাজনীতি চলবে না৷‌ বাংলার মানুষ দাঙ্গা, অপপ্রচার পছন্দ করে না৷‌ গুজরাটে রক্তের নদী তিনি বইয়ে দিয়ে এসেছেন৷‌ এখানে রক্তের সমুদ্র তৈরি করতে চান৷‌ আবার বলেন মমতা, এই মানুষটি যদি কখনও দেশের নেতৃত্বে আসেন, তাহলে ভয়ঙ্কর কালো দিন ফিরে আসবে৷‌ কংগ্রেসের উদ্দেশে মমতা বলেন, এরা দাঙ্গা ঠেকাতে পারেনি৷‌ এটা সত্যি দুর্ভাগ্যের৷‌ গুজরাটের সঙ্গে বাংলার তুলনা করে মমতা বলেন, গুজরাট বহু টাকা পায়৷‌ তা সত্ত্বেও ওখানে কোনও উন্নয়ন হয়নি৷‌ বাংলা কোনও সাহায্য না পেয়েই অনেক এগিয়ে গেছে৷‌ আমরা গুজরাটের মতো এন আর আই এবং রিলায়েন্স থেকে টাকা পাইনি৷‌ অন্যদিকে, এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুকুল বলেন, আমাদের দলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা' থেকে মমতার সব ছবি অল্প দামে কেনা হয়েছে৷‌ মোদির উদ্দেশে মুকুল বলেন, যাঁর হাত গুজরাটের রক্তে লাল হয়ে রয়েছে, তিনি কোন মুখে এসব কথা বলেন? ইউ টি আই কেলেঙ্কারির টাকা কোথায় গেল? মোদি কি নির্বাচনের কাজে এই সব টাকা খরচ করছেন? ইউ টি আইয়ের প্রতারিতরা কোথায় গেলেন? বালকো ৬ হাজার কোটি টাকার পরিবর্তে ৫৫০ কোটি টাকায় বিক্রি হল৷‌ কোথায় গেল সেসব টাকা? মোদির মুখে এসবের উত্তর নেই কেন? মুকুল বলেন, ১৯৭৭-এর মতো সি পি এম-বি জে পি আঁতাত হয়েছে৷‌ অমিতবাবু বলেন, মমতার আঁকা ছবি বিক্রি করা টাকা অডিট হয়েছে, সব হিসেব রয়েছে৷‌ তিনি নিজেই বলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী হবেন৷‌ মমতা সরকার থেকে কোনও বেতন নেন না৷‌ সরকারি গাড়ি চড়েন না৷‌ মোদির ঔদ্ধত্য দেখে আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি৷‌ তিনি আত্মকেন্দ্রিক, উন্নাসিক, অহঙ্কারী, একনায়কতন্ত্রের প্রতীক৷‌ মুকুল বলেন, মোদি ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন৷‌ মমতার চরিত্র হনন করা হচ্ছে৷‌ বাংলার মানুষ আগামী দিনে এর জবাব দেবে৷‌ এদিন প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা মোদিকে কটাক্ষ করেন৷‌ তিনি বলেন, মোদির পক্ষে প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্ভব নয়৷‌ ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মোদি প্রচার করছেন, এর উত্তর তাঁকে দিতে হবে৷‌ গুজরাটে কোনও উন্নয়ন হয়নি৷‌ সারদা নিয়ে আনন্দ শর্মা বলেন, তদম্ত হওয়া উচিত৷‌ এর সঙ্গে তৃণমূলের কয়েকজন মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে গেছে৷‌ তাই জন্য কি মমতা তদম্তে আপত্তি করছেন? তিনি বলেন, বি জে পি জিতলে মমতা কিন্তু নির্বাচনের পরে ওদের সঙ্গে হাত মেলাবে৷‌ এদিন শ্রীরামপুরে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, রবিবার মোদির সভায় লোক এসেছিল ব্যারাকপুর, হুগলির বিভিন্ন জায়গা থেকে৷‌ শ্রীরামপুর থেকে কোনও লোক মোদির সভায় যায়নি৷‌ মোদি দাঙ্গাবাজ, ওকে মানুষ ভালভাবে নেবে না৷‌




No comments:

मैं नास्तिक क्यों हूं# Necessity of Atheism#!Genetics Bharat Teertha

হে মোর চিত্ত, Prey for Humanity!

मनुस्मृति नस्ली राजकाज राजनीति में OBC Trump Card और जयभीम कामरेड

Gorkhaland again?আত্মঘাতী বাঙালি আবার বিভাজন বিপর্যয়ের মুখোমুখি!

हिंदुत्व की राजनीति का मुकाबला हिंदुत्व की राजनीति से नहीं किया जा सकता।

In conversation with Palash Biswas

Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Save the Universities!

RSS might replace Gandhi with Ambedkar on currency notes!

जैसे जर्मनी में सिर्फ हिटलर को बोलने की आजादी थी,आज सिर्फ मंकी बातों की आजादी है।

#BEEFGATEঅন্ধকার বৃত্তান্তঃ হত্যার রাজনীতি

अलविदा पत्रकारिता,अब कोई प्रतिक्रिया नहीं! पलाश विश्वास

ভালোবাসার মুখ,প্রতিবাদের মুখ মন্দাক্রান্তার পাশে আছি,যে মেয়েটি আজও লিখতে পারছেঃ আমাক ধর্ষণ করবে?

Palash Biswas on BAMCEF UNIFICATION!

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS ON NEPALI SENTIMENT, GORKHALAND, KUMAON AND GARHWAL ETC.and BAMCEF UNIFICATION! Published on Mar 19, 2013 The Himalayan Voice Cambridge, Massachusetts United States of America

BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Imminent Massive earthquake in the Himalayas

Palash Biswas on Citizenship Amendment Act

Mr. PALASH BISWAS DELIVERING SPEECH AT BAMCEF PROGRAM AT NAGPUR ON 17 & 18 SEPTEMBER 2003 Sub:- CITIZENSHIP AMENDMENT ACT 2003 http://youtu.be/zGDfsLzxTXo

Tweet Please

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS BLASTS INDIANS THAT CLAIM BUDDHA WAS BORN IN INDIA

THE HIMALAYAN TALK: INDIAN GOVERNMENT FOOD SECURITY PROGRAM RISKIER

http://youtu.be/NrcmNEjaN8c The government of India has announced food security program ahead of elections in 2014. We discussed the issue with Palash Biswas in Kolkata today. http://youtu.be/NrcmNEjaN8c Ahead of Elections, India's Cabinet Approves Food Security Program ______________________________________________________ By JIM YARDLEY http://india.blogs.nytimes.com/2013/07/04/indias-cabinet-passes-food-security-law/

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN VOICE: PALASH BISWAS DISCUSSES RAM MANDIR

Published on 10 Apr 2013 Palash Biswas spoke to us from Kolkota and shared his views on Visho Hindu Parashid's programme from tomorrow ( April 11, 2013) to build Ram Mandir in disputed Ayodhya. http://www.youtube.com/watch?v=77cZuBunAGk

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICAL OF BAMCEF LEADERSHIP

[Palash Biswas, one of the BAMCEF leaders and editors for Indian Express spoke to us from Kolkata today and criticized BAMCEF leadership in New Delhi, which according to him, is messing up with Nepalese indigenous peoples also. He also flayed MP Jay Narayan Prasad Nishad, who recently offered a Puja in his New Delhi home for Narendra Modi's victory in 2014.]

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALSH BISWAS FLAYS SOUTH ASIAN GOVERNM

Palash Biswas, lashed out those 1% people in the government in New Delhi for failure of delivery and creating hosts of problems everywhere in South Asia. http://youtu.be/lD2_V7CB2Is

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk