---------- Forwarded message ----------
From: Abdul Mannan Azad <mannanazad@yahoo.com>
Date: 2011/6/20
Subject: [bangla-vision] Why Islam should be Mentioned in the Constitution?¨
From: Abdul Mannan Azad <mannanazad@yahoo.com>
Date: 2011/6/20
Subject: [bangla-vision] Why Islam should be Mentioned in the Constitution?¨
সংবিধানে ইসলামের উল্লেখ কেন থাকতে হবে?
শাহ আবদুল হান্নান
একজন সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করলেন, সংবিধানে ইসলামের কোনো ধারা যোগ করার কী প্রয়োজন (যেমন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বা আল্লাহর ওপর অবিচল আস্খা হবে রাষ্ট্রের কাজের ভিত্তি ইত্যাদি)? তিনি আরো বলেন, ইসলাম তো আমাদের অন্তরেই রয়েছে। আমরা সংবিধানে এর উল্লেখ ছাড়াও ইসলাম মোতাবেকই চলব। এর উত্তরে বলেছিলাম, যখন লিখিত সংবিধান হতো না, তখন এসব লেখার প্রয়োজন ছিল না। যেমন মুসলিম ইতিহাসেও উমাইয়া, আব্বাসি, মোগল, উসমানি আমলে কোনো লিখিত সংবিধান ছিল না এবং ইসলামি কোনো ধারা অন্তর্ভুক্ত করার প্রশ্ন তখন ছিল না। জনগণ এবং ইসলামের নেতারা ধরেই নিতেন যে, রাষ্ট্রের এবং আইনের ভিত্তি হচ্ছে ইসলাম। বাস্তবেও কাজীরা ইসলামি আইনের ভিত্তিতেই সব কিছুর বিচার করতেন (অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকারের যা কিছু অসম্পূর্ণতা থাকুক না কেন)। কিন্তু যখন সংবিধান লিখিত হওয়ার রেওয়াজ চালু হলো, তখন থেকে সব গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা সংবিধানে লিখিত হতে থাকে। তারপর যখন মুসলিম রাষ্ট্রগুলো স্বাধীন হতে লাগল, তখন সেসব দেশের জনগণ এবং ইসলামি নেতারা অন্যান্য বিষয়ের মতো ইসলামের বিষয়গুলো লিখিত হওয়ার ওপর জোর দিতে থাকেন। প্রথম স্বাধীন হয় তদানীন্তন পাকিস্তান, ১৯৪৭ সালে। সে দেশের ইসলামি নেতারা তখন সংবিধান বা শাসনতন্ত্র সম্পর্কে তাদের ২২ দফা দাবি তুলে ধরেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৫৬ সালে সংবিধান চূড়ান্ত হয়। তাতে দেশকে 'ইসলামিক রিপাবলিক' ঘোষণা করা হয় এবং সব কিছু কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক হবে বলেও ঘোষণা করা হয় বাস্তবে তা সম্পূর্ণ করা না হলেও।
ইন্দোনেশিয়া ১৯৪৭ সালেই স্বাধীন হয়েছিল। তাদের শাসনতন্ত্রে তাওহিদকে রাষ্ট্রের ভিত্তিরূপে ঘোষণা করা হয়। পরে ইরানের সংবিধানে ইরানকে 'ইসলামিক রিপাবলিক' এবং কুরআন ও সুন্নাহকে আইনের ভিত্তি ঘোষণা করা হয়। অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম এবং আইনের প্রধান উৎস ঘোষণা করা হয়েছে। মিসরসহ প্রায় সব মুসলিম রাষ্ট্রের এ প্রশ্নে একই অবস্খান। সুদান ও মৌরিতানিয়ায় ইসলামি বিধান আরো বেশি পরিমাণে রয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের পরে 'আল্লাহর ওপর অবিচল আস্খা' মর্মে একটি রাষ্ট্রীয় নীতি ঘোষণা করা হয় এবং এ নীতিকে রাষ্ট্রের সকল কাজের ভিত্তি বলে ঘোষণা দেয়া হয় (আর্টিকেল ৮ ও ৮ক)। সুতরাং দেখা গেল, সংবিধান লিখিত হওয়ার কারণেই সংবিধানে ইসলামের ভূমিকার এ প্রশ্ন উঠেছে এবং এটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে লিখিত হয়েছে। যদি সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সব কিছু লেখা হয়, তাহলে মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামের কী অবস্খান হবে এবং কী ভূমিকা থাকবে, তা উল্লেখ না করার কোনো কারণ দেখি না। এ বিষয়ে আমার এক চিঠির উত্তরে ভারতের একজন চিন্তাবিদ, ড. শরীফ নিসার আমাকে লিখেছেন, যদি সংবিধানে ইসলাম বা ধর্মের কথা লেখা না যায়, তাহলে সমাজতন্ত্র ও সেকুলারিজমের কথা কেন লিখতে হবে? সব কিছুই অন্তরে থাকলে হয়। লেখার কী প্রয়োজন? আমার এক আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বন্ধু, ড. মমতাজ আহমদ আমার চিঠির উত্তরে লিখেছেন, কেবল সমাজতন্ত্র বা সেকুলারিজম কেন, এমনকি গণতন্ত্রের কথাই বা উল্লেখ কেন করতে হবে? যদি অন্তরে থাকলেই হয়, তাহলে কোনো কিছুই লেখার দরকার নেই। সত্য কথা হচ্ছে, যারা ইসলাম অন্তরে আছে বলে সংবিধানে ইসলামের ভূমিকা লিখতে চাচ্ছেন না, তারা কটূক্তি করছে। এটা সঙ্গত নয়। অবশ্যই মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামের অবস্খান সংবিধানে স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এখানে এটাও উল্লেখ্য, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অর্থ রাষ্ট্রের নামাজ পড়া নয়, বরং রাষ্ট্র কর্তৃক ইসলামের মূলনীতি অনুসরণের চেষ্টা করা। যারা প্রায় ৭০টি দেশে খ্রিষ্টধর্ম বা বৌদ্ধধর্ম বা ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছেন, তারা এত বোকা নন যে, তারা বোঝেন না, রাষ্ট্রধর্ম অর্থ কী? সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যা-ই থাকুক না কেন, সংবিধানে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্খাকে পুনরায় যোগ করা উচিত। পার্লামেন্টই সংবিধানের ব্যাপারে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ, কোর্ট নয়।
লেখক : সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার
[সূত্রঃ নয়া দিগন্ত, ২০/০৬/১১]
ইন্দোনেশিয়া ১৯৪৭ সালেই স্বাধীন হয়েছিল। তাদের শাসনতন্ত্রে তাওহিদকে রাষ্ট্রের ভিত্তিরূপে ঘোষণা করা হয়। পরে ইরানের সংবিধানে ইরানকে 'ইসলামিক রিপাবলিক' এবং কুরআন ও সুন্নাহকে আইনের ভিত্তি ঘোষণা করা হয়। অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম এবং আইনের প্রধান উৎস ঘোষণা করা হয়েছে। মিসরসহ প্রায় সব মুসলিম রাষ্ট্রের এ প্রশ্নে একই অবস্খান। সুদান ও মৌরিতানিয়ায় ইসলামি বিধান আরো বেশি পরিমাণে রয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের পরে 'আল্লাহর ওপর অবিচল আস্খা' মর্মে একটি রাষ্ট্রীয় নীতি ঘোষণা করা হয় এবং এ নীতিকে রাষ্ট্রের সকল কাজের ভিত্তি বলে ঘোষণা দেয়া হয় (আর্টিকেল ৮ ও ৮ক)। সুতরাং দেখা গেল, সংবিধান লিখিত হওয়ার কারণেই সংবিধানে ইসলামের ভূমিকার এ প্রশ্ন উঠেছে এবং এটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে লিখিত হয়েছে। যদি সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সব কিছু লেখা হয়, তাহলে মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামের কী অবস্খান হবে এবং কী ভূমিকা থাকবে, তা উল্লেখ না করার কোনো কারণ দেখি না। এ বিষয়ে আমার এক চিঠির উত্তরে ভারতের একজন চিন্তাবিদ, ড. শরীফ নিসার আমাকে লিখেছেন, যদি সংবিধানে ইসলাম বা ধর্মের কথা লেখা না যায়, তাহলে সমাজতন্ত্র ও সেকুলারিজমের কথা কেন লিখতে হবে? সব কিছুই অন্তরে থাকলে হয়। লেখার কী প্রয়োজন? আমার এক আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বন্ধু, ড. মমতাজ আহমদ আমার চিঠির উত্তরে লিখেছেন, কেবল সমাজতন্ত্র বা সেকুলারিজম কেন, এমনকি গণতন্ত্রের কথাই বা উল্লেখ কেন করতে হবে? যদি অন্তরে থাকলেই হয়, তাহলে কোনো কিছুই লেখার দরকার নেই। সত্য কথা হচ্ছে, যারা ইসলাম অন্তরে আছে বলে সংবিধানে ইসলামের ভূমিকা লিখতে চাচ্ছেন না, তারা কটূক্তি করছে। এটা সঙ্গত নয়। অবশ্যই মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামের অবস্খান সংবিধানে স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এখানে এটাও উল্লেখ্য, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অর্থ রাষ্ট্রের নামাজ পড়া নয়, বরং রাষ্ট্র কর্তৃক ইসলামের মূলনীতি অনুসরণের চেষ্টা করা। যারা প্রায় ৭০টি দেশে খ্রিষ্টধর্ম বা বৌদ্ধধর্ম বা ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছেন, তারা এত বোকা নন যে, তারা বোঝেন না, রাষ্ট্রধর্ম অর্থ কী? সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যা-ই থাকুক না কেন, সংবিধানে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্খাকে পুনরায় যোগ করা উচিত। পার্লামেন্টই সংবিধানের ব্যাপারে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ, কোর্ট নয়।
লেখক : সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার
[সূত্রঃ নয়া দিগন্ত, ২০/০৬/১১]
M.A.Mannan AZAD
Editor:Paris vision News
----- Forwarded Message -----
From: S A Hannan <sahannan@sonarbangladesh.com>
To: sahannan@yahoogroups.com; dahuk@yahoogroups.com; witness-pioneer@yahoogroups.com; khabor@yahoogroups.com
Sent: Monday, June 20, 2011 4:34 AM
Subject: [KHABOR] Why Islam should be Mentioned in the Constitution?¨ Shah Abdul Hannan
From: S A Hannan <sahannan@sonarbangladesh.com>
To: sahannan@yahoogroups.com; dahuk@yahoogroups.com; witness-pioneer@yahoogroups.com; khabor@yahoogroups.com
Sent: Monday, June 20, 2011 4:34 AM
Subject: [KHABOR] Why Islam should be Mentioned in the Constitution?¨ Shah Abdul Hannan
Please circulate this to all concerned and your friends
সংবিধানে ইসলামের উল্লেখ কেন থাকতে হবে?
শাহ আবদুল হান্নান
একজন সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করলেন, সংবিধানে ইসলামের কোনো ধারা যোগ করার কী প্রয়োজন (যেমন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বা আল্লাহর ওপর অবিচল আস্খা হবে রাষ্ট্রের কাজের ভিত্তি ইত্যাদি)? তিনি আরো বলেন, ইসলাম তো আমাদের অন্তরেই রয়েছে। আমরা সংবিধানে এর উল্লেখ ছাড়াও ইসলাম মোতাবেকই চলব। এর উত্তরে বলেছিলাম, যখন লিখিত সংবিধান হতো না, তখন এসব লেখার প্রয়োজন ছিল না। যেমন মুসলিম ইতিহাসেও উমাইয়া, আব্বাসি, মোগল, উসমানি আমলে কোনো লিখিত সংবিধান ছিল না এবং ইসলামি কোনো ধারা অন্তর্ভুক্ত করার প্রশ্ন তখন ছিল না। জনগণ এবং ইসলামের নেতারা ধরেই নিতেন যে, রাষ্ট্রের এবং আইনের ভিত্তি হচ্ছে ইসলাম। বাস্তবেও কাজীরা ইসলামি আইনের ভিত্তিতেই সব কিছুর বিচার করতেন (অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকারের যা কিছু অসম্পূর্ণতা থাকুক না কেন)। কিন্তু যখন সংবিধান লিখিত হওয়ার রেওয়াজ চালু হলো, তখন থেকে সব গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা সংবিধানে লিখিত হতে থাকে। তারপর যখন মুসলিম রাষ্ট্রগুলো স্বাধীন হতে লাগল, তখন সেসব দেশের জনগণ এবং ইসলামি নেতারা অন্যান্য বিষয়ের মতো ইসলামের বিষয়গুলো লিখিত হওয়ার ওপর জোর দিতে থাকেন। প্রথম স্বাধীন হয় তদানীন্তন পাকিস্তান, ১৯৪৭ সালে। সে দেশের ইসলামি নেতারা তখন সংবিধান বা শাসনতন্ত্র সম্পর্কে তাদের ২২ দফা দাবি তুলে ধরেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৫৬ সালে সংবিধান চূড়ান্ত হয়। তাতে দেশকে 'ইসলামিক রিপাবলিক' ঘোষণা করা হয় এবং সব কিছু কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক হবে বলেও ঘোষণা করা হয় বাস্তবে তা সম্পূর্ণ করা না হলেও।
ইন্দোনেশিয়া ১৯৪৭ সালেই স্বাধীন হয়েছিল। তাদের শাসনতন্ত্রে তাওহিদকে রাষ্ট্রের ভিত্তিরূপে ঘোষণা করা হয়। পরে ইরানের সংবিধানে ইরানকে 'ইসলামিক রিপাবলিক' এবং কুরআন ও সুন্নাহকে আইনের ভিত্তি ঘোষণা করা হয়। অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম এবং আইনের প্রধান উৎস ঘোষণা করা হয়েছে। মিসরসহ প্রায় সব মুসলিম রাষ্ট্রের এ প্রশ্নে একই অবস্খান। সুদান ও মৌরিতানিয়ায় ইসলামি বিধান আরো বেশি পরিমাণে রয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের পরে 'আল্লাহর ওপর অবিচল আস্খা' মর্মে একটি রাষ্ট্রীয় নীতি ঘোষণা করা হয় এবং এ নীতিকে রাষ্ট্রের সকল কাজের ভিত্তি বলে ঘোষণা দেয়া হয় (আর্টিকেল ৮ ও ৮ক)। সুতরাং দেখা গেল, সংবিধান লিখিত হওয়ার কারণেই সংবিধানে ইসলামের ভূমিকার এ প্রশ্ন উঠেছে এবং এটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে লিখিত হয়েছে। যদি সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সব কিছু লেখা হয়, তাহলে মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামের কী অবস্খান হবে এবং কী ভূমিকা থাকবে, তা উল্লেখ না করার কোনো কারণ দেখি না। এ বিষয়ে আমার এক চিঠির উত্তরে ভারতের একজন চিন্তাবিদ, ড. শরীফ নিসার আমাকে লিখেছেন, যদি সংবিধানে ইসলাম বা ধর্মের কথা লেখা না যায়, তাহলে সমাজতন্ত্র ও সেকুলারিজমের কথা কেন লিখতে হবে? সব কিছুই অন্তরে থাকলে হয়। লেখার কী প্রয়োজন? আমার এক আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বন্ধু, ড. মমতাজ আহমদ আমার চিঠির উত্তরে লিখেছেন, কেবল সমাজতন্ত্র বা সেকুলারিজম কেন, এমনকি গণতন্ত্রের কথাই বা উল্লেখ কেন করতে হবে? যদি অন্তরে থাকলেই হয়, তাহলে কোনো কিছুই লেখার দরকার নেই। সত্য কথা হচ্ছে, যারা ইসলাম অন্তরে আছে বলে সংবিধানে ইসলামের ভূমিকা লিখতে চাচ্ছেন না, তারা কটূক্তি করছে। এটা সঙ্গত নয়। অবশ্যই মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামের অবস্খান সংবিধানে স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এখানে এটাও উল্লেখ্য, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অর্থ রাষ্ট্রের নামাজ পড়া নয়, বরং রাষ্ট্র কর্তৃক ইসলামের মূলনীতি অনুসরণের চেষ্টা করা। যারা প্রায় ৭০টি দেশে খ্রিষ্টধর্ম বা বৌদ্ধধর্ম বা ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছেন, তারা এত বোকা নন যে, তারা বোঝেন না, রাষ্ট্রধর্ম অর্থ কী? সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যা-ই থাকুক না কেন, সংবিধানে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্খাকে পুনরায় যোগ করা উচিত। পার্লামেন্টই সংবিধানের ব্যাপারে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ, কোর্ট নয়।
লেখক : সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার
[সূত্রঃ নয়া দিগন্ত, ২০/০৬/১১]
ইন্দোনেশিয়া ১৯৪৭ সালেই স্বাধীন হয়েছিল। তাদের শাসনতন্ত্রে তাওহিদকে রাষ্ট্রের ভিত্তিরূপে ঘোষণা করা হয়। পরে ইরানের সংবিধানে ইরানকে 'ইসলামিক রিপাবলিক' এবং কুরআন ও সুন্নাহকে আইনের ভিত্তি ঘোষণা করা হয়। অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম এবং আইনের প্রধান উৎস ঘোষণা করা হয়েছে। মিসরসহ প্রায় সব মুসলিম রাষ্ট্রের এ প্রশ্নে একই অবস্খান। সুদান ও মৌরিতানিয়ায় ইসলামি বিধান আরো বেশি পরিমাণে রয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের পরে 'আল্লাহর ওপর অবিচল আস্খা' মর্মে একটি রাষ্ট্রীয় নীতি ঘোষণা করা হয় এবং এ নীতিকে রাষ্ট্রের সকল কাজের ভিত্তি বলে ঘোষণা দেয়া হয় (আর্টিকেল ৮ ও ৮ক)। সুতরাং দেখা গেল, সংবিধান লিখিত হওয়ার কারণেই সংবিধানে ইসলামের ভূমিকার এ প্রশ্ন উঠেছে এবং এটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে লিখিত হয়েছে। যদি সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সব কিছু লেখা হয়, তাহলে মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামের কী অবস্খান হবে এবং কী ভূমিকা থাকবে, তা উল্লেখ না করার কোনো কারণ দেখি না। এ বিষয়ে আমার এক চিঠির উত্তরে ভারতের একজন চিন্তাবিদ, ড. শরীফ নিসার আমাকে লিখেছেন, যদি সংবিধানে ইসলাম বা ধর্মের কথা লেখা না যায়, তাহলে সমাজতন্ত্র ও সেকুলারিজমের কথা কেন লিখতে হবে? সব কিছুই অন্তরে থাকলে হয়। লেখার কী প্রয়োজন? আমার এক আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বন্ধু, ড. মমতাজ আহমদ আমার চিঠির উত্তরে লিখেছেন, কেবল সমাজতন্ত্র বা সেকুলারিজম কেন, এমনকি গণতন্ত্রের কথাই বা উল্লেখ কেন করতে হবে? যদি অন্তরে থাকলেই হয়, তাহলে কোনো কিছুই লেখার দরকার নেই। সত্য কথা হচ্ছে, যারা ইসলাম অন্তরে আছে বলে সংবিধানে ইসলামের ভূমিকা লিখতে চাচ্ছেন না, তারা কটূক্তি করছে। এটা সঙ্গত নয়। অবশ্যই মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামের অবস্খান সংবিধানে স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এখানে এটাও উল্লেখ্য, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অর্থ রাষ্ট্রের নামাজ পড়া নয়, বরং রাষ্ট্র কর্তৃক ইসলামের মূলনীতি অনুসরণের চেষ্টা করা। যারা প্রায় ৭০টি দেশে খ্রিষ্টধর্ম বা বৌদ্ধধর্ম বা ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছেন, তারা এত বোকা নন যে, তারা বোঝেন না, রাষ্ট্রধর্ম অর্থ কী? সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যা-ই থাকুক না কেন, সংবিধানে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্খাকে পুনরায় যোগ করা উচিত। পার্লামেন্টই সংবিধানের ব্যাপারে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ, কোর্ট নয়।
লেখক : সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার
[সূত্রঃ নয়া দিগন্ত, ২০/০৬/১১]
--
Palash Biswas
Pl Read:
http://nandigramunited-banga.blogspot.com/
No comments:
Post a Comment