Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Friday, October 10, 2014

মূলনিবাসী বহুজন কারা ? দলিত কে বা কারা ? কেন?

মূলনিবাসী কারা বহুজন কাদের বলা হয় শুদ্র কারা ? SC, ST রা কেন শুদ্র নয় এছাড়া ব্রাহ্মণরা DNA TEST হিসাবে বিদেশি কিভাবে ? দলিত কে বা কারা ? কেন ? দলিত শব্দ বললে কি হীন্‌ বা নীচ্‌ ভাব প্রকাশ করে, না গর্ব বোধ হয় ? এই শব্দটির  উদ্ভব কিভাবে হয়েছে ? বাবা সাহেব কি তাঁর লেখনি বা ভাষণে কোথাও এই শব্দের ব্যবহার করেছেন ? যদি না করে থাকেন তাহলে আমরা বাবা সাহেবের অনুনায়ী হয়ে এই শব্দটিকে কেন ব্যবহার করছি ? দলিত বলতে কাদের বোঝানো হয় ? এই শব্দের উৎপত্তি ও প্রচার কারা করল ? কেন করল ?
  ইত্যাদি প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এই লেখায় । 
মূলনিবাসী বহুজন কারা  দলিত কে বা কারা কেন? 
          জগদীশ রায়    
   একটা শব্দ মূলনিাসী আর একটা শব্দ বহুজন । এই মুলনিবাসী বহুজন কারা এ সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের stape by stape উপরে উঠতে হবে । অর্থাৎ  তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি কারাশুদ্র কারাবহুজন কারা আর মুলনিবাসী বহুজন কারা প্রথমে আমরা বহুজন শব্দের উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে সে সম্পর্কে অলোচনা করছি ।এর মধ্যেই তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি কারাশুদ্র কারাএদের সম্পর্কে জানতে পারব ।এই যে বহুজন শব্দ বলা হয়েছে এটা এমনিতেই উৎপন্ন হয়নি । সমাজে যে অসমানতার ব্যাবস্থা  চলছে সেটা আমাদের বুঝতে হবে । এই অসমানতার ব্যাবস্থা vertical (খাঁড়া)এটা horizontal নয় । ক্রমিকভাবে সকলের উপরে ব্রাহ্মণ, তার নিচে ক্ষত্রিয়, তার নিচে  বৈশ্য আর তার নিচে শুদ্র । আর তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি বর্ন ব্যাবস্থার মধ্যে নেই । এরা out caste বর্ন বাহ্য । অর্থাৎ বর্নব্যাবস্থার বাইরে । এসব কথা সাধারণ লোক তো দূরের কথা , যারা সমাজ বিজ্ঞান পড়েন তাঁরাও জানেন না । কারণ এটা বিচার ধারার মামলা । তফশিলি জাতি(Scheduled Caste), তফশিলি উপজাতি(Scheduled Tribe), এদের বর্ন ব্যাবস্থার ভিতরে কোন পরিচয় নেই
         বাবা সাহেব আম্বেদকর এদের (SC, ST) জন্য ইংরেজি শব্দ OUT CASTE প্রয়োগ করেছেন - বর্ন ব্যাবস্থার বাইরের লোক । তো এই ভাবে যে মূলনিবাসী বহুজনরা আছেন এই বহুজন শব্দের সৃষ্টি হল কি করে ? এই যে যে, বহুজন শব্দ, এটা সংখ্যাবাচক শব্দ; এতে সংখ্যা আছে । কিন্তু এটা সংখ্যার উপর নির্ধারিত শব্দ নয় । এই যে যে, (Vertical) ব্যাবস্থা-এতে ব্রাহ্মণ লাভবান হয়েছে । তারা এই ব্যাবস্থার Beneficiary , ক্ষত্রিয় - Beneficiary আর বৈশ্যও - Beneficiary -- অর্থাৎ এই বর্ন ব্যাবস্থার এই তিন বর্নের লোকদেরই সব সুযোগ-সুবিধা করায়ত্ব । কিন্তু বর্ন ব্যাবস্থায় যে শুদ্র, এই শুদ্র কে ? যদি তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতির লোকরা বর্ন ব্যাবস্থার বাইরের লোক হয় তাহলে বর্ন ব্যাবস্থার ভিতরে যে শুদ্র আছে তারা কারা ?
           বর্ন ব্যাবস্থার ভিতরে যে শুদ্র আছে, ব্রাহ্মণ ধর্ম অনুসারে তাঁরা আর কেউ নয় , তাঁরা O.B.C. (Other Backward Class)অর্থাৎ অন্য পশ্চাদপদ শ্রেণীর লোকেরাই বর্নব্যাবস্থায় শুদ্র বর্নের লোক ।
অনেক তফশিলি জাতির লেখাপড়া শেখা লোক আছেন, এটা তাঁরা জানেনই না । আর অশিক্ষিতদের জানার তো প্রশ্নই আসে না । আমাদের লেখাপড়া শেখা তফশিলি জাতির লোকেরা নিজেদের শুদ্র বলেন ।  কিন্তু বাবা সাহেব এদের শুদ্র বলেননি । বাবা সাহেব আম্বেদকর এদের Out Caste বলেছেন । বর্ন বাহ্য বলেছেন । বর্নব্যাবস্থার বাইরের লোক বলেছেন । আর বর্ন ব্যাবস্থার মধ্যে যে শুদ্র; এটা O.B.C.দের যে বর্গ আছেন তারাই বর্নব্যাবস্থায় শুদ্র বর্নের লোক । তাই ব্রাহ্মণ ধর্মানুসারে O.B.C.-রাই শুদ্র বর্নের লোক ।
আপনাদের একটা আসল কথা বলতে চাই- যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ন কথা । যে মনুস্মৃতি আছে তাতে Out Caste লোকদের বিরুদ্ধে কিছু লেখা নেই । অর্থাৎ তফশিলি জতি তফশিলি উপজাতিদের বিরুদ্ধে কিছু লেখা নেই । সেখানে শুদ্রদের বিরুদ্ধে লেখা হয়েছে । এ কথাও আমাদের তফশিলি জাতি তফশিলি উপজাতির লেখাপড়া শেখা লোকদের জানার বাইরে । তফশিলি জাতি তফশিলি উপজাতির লেখাপড়া শেখা লোকেরা নিজেদের শুদ্র বলেন । এরা নিজেদের শুদ্র বলার ফলে O.B.C.-রা যারা প্রকৃত শুদ্র, তাঁরাও এই তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতির লোকদের শুদ্র বলা শুরু করেছেন । এই সমস্ত গড়বড় তফশিলি জাতির লেখাপড়া লোকেরাই করেছেন । যার ফলে লোকদের জাগৃত করার কাজের মধ্যে একটা বড় সংকট খাঁড়া হয়েছে । তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতির লোকেরা শুদ্রবর্নের নয় । ব্রাহ্মণ ধর্ম ব্যাবস্থা অনুসারে O.B.C.-রাই শুদ্র বর্নের লোক ।
       কারণ O.B.C. অর্থাৎ অন্য পেছনের বর্গের লোকদের মধ্যে কোন জাতির লোকদের ব্রাহ্মণ ধর্ম অনুসারে উপনয়ন সংস্কার (পৈতা) হয় না । মুসলমানদের মুসলমান হওয়ার জন্য সংস্কার (ছুন্নৎ হয়) । খ্রিস্টানদের খ্রিস্টান হওয়ার জন্য সংস্কার হয়, বুদ্ধিস্টদের বুদ্ধিস্ট হওয়ার জন্য সংস্কার হয়, শিখদের শিখ হওয়ার জন্য সংস্কার হয় । যদি O.B.C.-রা হিন্দু হন তাহলে হিন্দু হওয়ার জন্য উপনয়ন(পৈতা) সংস্কার হওয়া দরকার । কিন্তু সেটা হয় না । তাই O.B.C.-রাও হিন্দু নন । ব্রাহ্মণ ধর্ম অনুসারে O.B.C.-রা শুদ্র বর্নের লোক । এই বর্ন ব্যাবস্থায় যে অসমানতা সৃষ্টি করা হয়েছে তাতে সকলের নিচে O.B.C.-রা । আর একটা কথা - শুদ্রদের বিরুদ্ধে মনুস্মৃতিতে লিখিত আইন আছে । এটা সঠিকভাবে বুঝতে হবে । তফশিলি জাতি তফশিলি উপজাতির লোকেরা এটা জানে না  তার জন্যই সবথেকে বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে ।
তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতির লোকরা বর্ন ব্যাবস্থার বাইরের লোক । এঁদের বিরুদ্ধে 'বলা আইন' আছে । যে প্রদেশের যে জায়গায় যে বড় ব্রাহ্মণ আছে , সে যেটা বলবে সেটাই এঁদের (SC, ST) বিরুদ্ধে আইন । সেজন্য আলাদা আলাদা রাজ্যে, আলাদা জায়গায় অচ্ছুৎদের, আদিবাসীদের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা আইন দেখা যায় । যেটা আমাদের লোকদের সঠিক ধারণা নেই । শুদ্ররা (O.B.C.) মনুস্মৃতিতে লেখা আইনের শিকার । আর তফশীলী জাতি, তফশীলী উপজাতির লোকেরা হচ্ছে Out Caste. এঁরা মনুস্মৃতির Sprite of Manusmrity (মনুস্মৃতির ভাবনা)-এর শিকার । যার উপর ভিত্তি করে ব্রাহ্মণরা আলাদা আলাদা জায়গায় আমাদের বিরুদ্ধে ফয়সালা করে আমাদের প্রতারিত করে । আর এর জন্যই অর্থাৎ এই ব্রাহ্মণী ষড়যন্ত্রের জন্য আমাদের লোকেরা ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান, বুদ্ধিস্ট, জৈন হয়েছেন ।
এই যে তফশীলী জাতি, তফশীলী উপজাতি, এবং O.B.C-এঁদের থেকে যারা ধর্মপরিবর্তন করেছেন, এই সব লোকদের সংখ্যা; এবং এঁরা ব্রাহ্মণী ব্যাবস্থার ফলে কেউ উপরে, কেউ তার নিচে, কেউ তার নিচে এই ক্রমিক খাঁড়া বর্ন ব্যাবস্থার শিকার লোকদের সংখ্যা হচ্ছে ৮৫ শতাংশ । এই সংখ্যা আমাদের ইচ্ছামত তৈরী করা হয়নি 
   এই যে বহুজন শব্দ তৈরি হয়েছে । এটা সংখ্যা-বাচক শব্দ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন । কিন্তু এই শব্দ(বহুজন) তৈরি হোল কিভাবে ? যে ব্রাহ্মণবাদী ব্যাবস্থা আছে , এই ব্রাহ্মণবাদী ব্যাবস্থার শিকার যে লোকেরা, এঁরা সংখ্যায় ৮৫ শতাংশ ।
তফশীলী জাতির লোক, তফশীলী উপজাতির লোক, অন্য পিছিয়ে পড়া বর্গের লোক এবং এঁদের থেকে ধর্ম পরিবর্তিত যে লোক; এইসব লোকদের মিলিয়ে ৮৫ শতাংশ সংখ্যা তৈরি হয়েছে । অর্থাৎ সংখ্যা পরে তৈরি হয়েছে । তাহলে প্রথমে কি ? প্রথমে হচ্ছে এই লোকেরা ব্যাবস্থার শিকার লোক । কোন ব্যাবস্থার ? ব্রাহ্মণরা সমাজে যে অসমান ব্যাবস্থার নির্মান করেছে , জাতি ব্যাবস্থা বানিয়েছে; এই ব্যাবস্থার শিকার লোকদের সংখ্যা হচ্ছে ৮৫শতাংশ । এখানে দুটো কথা বোঝানো হয়েছে  একটা অসমান ব্যাবস্থার শিকার, দ্বিতীয় এই অসমান ব্যাবস্থার শিকার লোকদের সংখ্যা । এই সংখ্যাটা কিন্তু এই ভাবে তৈরি হয়েছে । এটা কোন আলাদা নয় । কারণ এই সংখ্যা তৈরি হওয়ার আগে এই লোকেরা ব্যাবস্থার শিকার লোক । তাই এই সংখ্যা স্বতন্ত্র নয় । প্রথমে ব্যাবস্থার শিকার লোকদের একজোট করার কথা বলা হয়েছে । আর এর জোড় পরে বানালে দেখা গেছে সেটা ৮৫শতাংশ । আমাদের মনে হয়েছে আর বানিয়ে দিয়েছি সেটা কিন্তু নয় । যারা ব্রাহ্মণবাদী ব্যাবস্থার শিকার তাদের সংখ্যা ৮৫% । আর ১০০ এর মধ্যে যারা ৮৫জন তাঁরা সংখ্যার দৃষ্টিকোণে বহুজন হয় । জাতির সংখ্যায় বহুজন, টোটাল সংখ্যাও বহুজন । সেজন্য এঁরা(SC, ST, OBC এবং এঁদের থেকে ধর্মপরিবর্তিত লোকেরা) বহুজন ।
দ্বিতীয় শব্দ হচ্ছে মূলনিবাসী ।
একটা শব্দ হচ্ছে বহুজন । আর দ্বিতীয় শব্দ হচ্ছে মূলনিবাসী । এই মূলনিবাসী শব্দ কি করে তৈরি হোল - ২০০১ সালের ২১শে মে Times of India পত্রিকায় একটা খবর ছাপানো হয়। আমেরিকার ওয়াশিংটনে ওটাহ বিশ্ববিদ্যালয় আছে । ঐ বিদ্যালয়ের Bio- Technology-এর Head of the Department হলেন মাইকেল বামসাদ(BAMSAD)  তিনি Bio- Technology এর আধারে একটা Project বানিয়েছিলেন ভারতের প্রজাদের বিশ্লেষণ করার জন্য । তিনি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন জাতি, ধর্মের লোকদের DNA Test করেছেন । এই DNA Test এ এটা প্রমানিত হয়েছে যে, এখানকার ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের DNA বিদেশী লোকদের DNA এর সঙ্গে মিলে গেছে । আর তফশীলীজাতি, তফশীলী উপজাতি, অন্য পিছনের বর্গ(O.B.C.), এবং এঁদের থেকে ধর্মপরিবর্তিত লোকদের DNA একই ধরনের । অর্থাৎ এঁরা এখানকার মূলনিবাসী । আর একটি আশ্চর্যজনক কথা তিনি DNA এর আধারে বিশ্লেষণ করে বলেছেন যে, ব্রাহ্মণদের ঘরে যে মহিলারা আছেন তাদের DNA ও ভারতে মূলনিবাসীদের DNA-এর সঙ্গে মিলে গেছে । অর্থাৎ যে SC, ST, O.B.C. এবং এঁদের থেকে ধর্মপরিবর্তিত লোকদের DNA আর ব্রাহ্মণদের ঘরের মহিলাদের ঘরের DNA একই রকম । এতে প্রমাণিত হয়েছে, এই যে যে, ব্রাহ্মণ আমাদের দেশে দেখা যায় এঁরা আক্রমণকারী । আর যারা আক্রমণকারী হয় তাঁরা আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে আসে । তাঁরা সঙ্গে তাদের মহিলাদের নিয়ে আসে না । আর এজন্য এরা মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে আসেনি। আর যারা এখানে স্থায়ী হয়েগেছে তারা তাদের প্রজা উৎপন্ন করার জন্য এখানকার মহিলাদের উপয়োগ ও প্রয়োগ করেছে । ফলে ব্রাহ্মণদের ঘরে যে মহিলারা আছেন এঁরা মূলনিবাসী মহিলা । এই আশ্চর্যজনক বিশ্লেষণও তিনি DNAএর আধারে প্রমাণ করেছেন ।
আর যে দ্বিতীয় খুব মহত্ত্বপুর্ন কথা তিনি প্রমাণ করেছেন সেটা হচ্ছে, ব্রাহ্মণরা জাতি ব্যাবস্থা নির্মান করার জন্য মহিলাদের প্রয়োগ করেছে । ব্রাহ্মণরা যে বর্ন ব্যাবস্থার নির্মান করেছে এটা তাদের শাস্ত্রে লিখিত প্রমাণ আছে । লিখিত প্রমাণ হচ্ছে-- ব্রাহ্মণরা যে বর্নব্যাবস্থা বানিয়েছে তাতে তাঁরা তাদের মা, বোন, মেয়েকেও  শুদ্র ঘোষনা করেছে । আমাদের শুদ্র ঘোষনা করেছে সেটা তো বোঝা যাচ্ছে  কিন্তু ব্রাহ্মণরা তাদের ঘরের সকল মহিলাকেই শুদ্র ঘোষনা করেছে কেনআর এর জন্য বর্নব্যাবস্থায় কোন মহিলাকে ব্রাহ্মণদের ব্রাহ্মণ বর্ন নয়, ক্ষত্রিয়দের ক্ষত্রিয় বর্ন নয়, বৈশ্যদের বৈশ্য বর্ন নয়, সব মহিলাকে শুদ্রবর্ন হিসাবে ঘোষনা করেছে । এই আশ্চরয জনক প্রমান ব্রাহ্মনধর্ম শাস্ত্রে লিখিত আছে ।আর DNAতেও প্রমাণ পাওয়া গেছে । DNA এর একটা অংশ হচ্ছে Maytrocondriya. এটা মায়ের থেকে শুধুমাত্র মেয়ের শরীরেই যায় । তাই সব মহিলা আইনগত হিসাবে মূলনিবাসী । তাই এটা single evidence নয় double evidence. এটা পাক্কা প্রমাণ । এই ভাবে এই মূলনিবাসী শব্দ তৈরি হয়েছে । SC, ST, OBC এবং এঁদের থেকে ধর্মপরিবর্তিত লোক এবং ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্যদের ঘরে যে মহিলারা এঁরা মূলনিবাসী বহুজন । আমি এই যে যেকথা বললাম আমাদের কিছু লেখাপড়া শেখা লোক এর ভুল  অর্থ বের করতে পারেন । তাঁরা ভাবতে পারেন- চলো খুব ভালোই হোল  ব্রাহ্মণদের মেয়ের সঙ্গে বিবাহ করেলে খুব ভালোই হবে । কারণ সে মহিলারা তো আমাদের মূলনিবাসী ।
 এই ধরনের গলত অর্থ আমাদের লেখাপড়া শেখা লোকেরা তাদের সুবিধার জন্য বের করতে পারেন । তবে একথা কিন্তু সে জন্য বলা হয়নি শুধু সঠিক বিষয়টা জনানোর জন্য ।আমাদের মূলনিবাসী বহজনদের জাগৃত করার জন্য। আমাদের নিজেদের লোক কে ? আর পর কে ? এর মধ্যে অন্তর করতে শেখা দরকার । কারণ এর সঙ্গে শত্রু এবং মিত্রের সম্বন্ধ আছে । যে শত্রু এবং মিত্রের অন্তর তৈরি করতে পারে - পৃথিবীতে একমাত্র সেই জাগৃত হয় । যারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, PHD হন, এঁরা জাগৃত হিসাবে গণ্য হন না । জাগৃত তাকেই মানা হয় যিনি শত্রু এবং মিত্রকে সঠিকভাবে চিনতে পারেন । একথাও সঠিকভাবে বোঝার চেষ্টা করুন আপনারা

                                            দলিত   
শব্দ (word) একটা হাতিয়ার । এই শাব্দিক হাতিয়ার ঘৃনা বা নীচ্‌ বোঝানোর জন্য যেমন ব্যবহৃত  হতে পারে,তেমনি শৌর্য্য-বীর্য্য ইত্যাদি বোঝাতে বা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ বহুল করে তোলার জন্য ব্যাবহৃত হয় ।
    আমরা প্রতিনিয়তঃ দেখতে পাই-'দলিত' শব্দের ব্যবহার । আসুন আমরা 'দলিতশব্দের উপর  কিছু বিশ্লেষণ মূলক ভাবনা নিয়ে অগ্রসর হই ।
    প্রথমে দেখে নেই এই দলিত কে বা কারা ? কেন ? দলিত শব্দ বললে কি হীন্‌ বা নীচ্‌ ভাব প্রকাশ করে, না গর্ব বোধ হয় ? এই শব্দটির  উদ্ভব কিভাবে হয়েছে ? বাবা সাহেব কি তাঁর লেখনি বা ভাষণে কোথাও এই শব্দের ব্যবহার করেছেন ? যদি না করে থাকেন তাহলে আমরা বাবা সাহেবের অনুনায়ী হয়ে এই শব্দটিকে কেন ব্যবহার করছি ? দলিত বলতে কাদের বোঝানো হয় ? এই শব্দের উৎপত্তি ও প্রচার কারা করল ? কেন করল ?
ব্রাহ্মণী বর্ণ ব্যাবস্থায় বর্ণ চারটি 
1.    ব্রাহ্মণ
2.    ক্ষত্রিয়
3.    বৈশ্য এবং
4.    শুদ্র
এছাড়াও আছে বর্ণ বাহ্য (out caste ) অতিশুদ্র বা যাদের এক সময় বলা হ'ত অস্পৃশ্য (Untouchable). এবং আদিবাসীরা  ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য  এদেরকে বলা হয় Upper Caste. এরা সংখ্যায় 15% .
আর শুদ্ররা (OBC- Other Backward Class ) হচ্ছে 52%, অতিশুদ্র বা বর্ণবাহ্যরা হচ্ছে 15%  এই বর্ণবাহ্যদের সংবিধান পূর্ব অস্পৃশ্য (untouchable)  যাদেরকে বাবা সাহেব সাংবিধানিকভাবে নাম দিয়েছেন Scheduled Casteবা তফশিলি জাতি বা অনুসূচিত জাতি । আর আদিবাসীরা যাদের সংখ্যা 7.5%   যাদের সাংবিধানিকভাবে বলা হয়Scheduled Tribe বা তফশিলি উপজাতি বা অনুসূচিত উপজাতি । আর এই SC,ST, এবং OBC-দের থেকে যারাConvert হয়েছে তাদের বলা হয় Converted Minority বা ধর্ম পরিবর্তিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় । যাদের সংখ্যা হচ্ছে 10.5% 
    তো আমরা দেখতে পাচ্ছি SC+ST+OBC+Converted Minority -এদের মোট জনসংখ্যা হচ্ছে-(15%+7.5%+52%+10.5%) = 85%  এরাঁ সংখ্যায় বেশি তাই এদেঁর একত্রিত করে বলা হয় বহুজন ।
    আর যারা বাকি 15% (ব্রাহ্মণ+ক্ষত্রিয়+ বৈশ্য) আমরা স্বাভাবিকভাবে এদের বলতে পারি অল্পজন ।এই বহুজন+অল্পজন = সর্বজন । গৌতম্বুদ্ধ শ্লোগান দিয়েছিলেন- বহুজন হিতায়,বহুজন সুখায়  কেন ? কারন অল্পজনদেরalready হিত হয়েছে এবং সুখ আছে । কিন্তু এই অল্পজনরা  বহুজনদের সব হিত ও সুখকে হরণ করে নিয়ে নিজেদের হিত করে তারা সুখী আছে। তাই   গৌতমবুদ্ধ বহুজনদের কি করে হিত হবে ও সুখ হবে সেই বার্তা ছড়িয়ে ছিলেন । আমরা হয়তঃ  বুদ্ধের ভাবনা থেকে অনেক উপরে উঠে গেছি । তাই সেই ভাবনাকে পিছনে ফেলে আমরা শ্লোগান দিতে শুরু করেছি-সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়  এই সর্বজনের হিত ও সুখ ভাবতে গিয়ে আবার বহুজনদের বঞ্চিত করে চলেছি ।
    এ পর্যন্ত আমরা বহুজন, অল্পজন এবং সর্বজনদের সম্পর্কে জানলাম । যারা বহুজনবাদী তাদের সামাজিক ভাবনা এই SC, ST, OBC এবং Converted Minority -দের নিয়ে । কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই একটা শব্দ,সেটা হচ্ছে-'দলিত' । এই দলিত কাদের বলা হয় ? প্রকৃতভাবে বিচার করে দেখলে দেখা যাবে সাংবিধানিকভাবে যাদেরকে বাবা সাহেব নাম দিয়েছেন 
Scheduled Caste
 বা তফশিলি জাতি বা অনুসূচিত জাতি । তাদেরকে বর্তমানে 'দলিত' বলা হয় । কেন তাদের দলিত বলা হয় ? তাদের তো সাংবিধানিক নাম আছে; তবুও তাদের প্রতি এই দলিত শব্দের প্রয়োগ কেন ? বাবা সাহেবের কোন লেখা বা ভাষণে আমরা কি কোথাও এই শব্দের উল্লেখ পেয়েছি ? ভারতের সংবিধান রচিত হওয়ার পূর্বে যাদের অস্পৃশ্য বলে গণ্য করা হ'ত বা পতিত বলে মনে করা হ'ত তাদের সাংবিধানিক নাম Scheduled Caste . বাবা সাহেব তাঁর লেখায় তুলে ধরেছিলেন Untouchable বলে । যে কথা আগেই বলেছি । তিনি তো কখনও দলিত শব্দের উল্লেখ করেননি ।
   আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন বাবা সাহেব উল্লেখ করননি বলে আমরা করবো না কেন ? আর করলে আমাদের কোন ক্ষতি হচ্ছে কি ? তাই না ?
    তাহলে আমরা দেখে নেই এই শব্দের উৎপত্তির ইতিহাস এবং এই শব্দে আমাদের কি ক্ষতি হ'তে পারে বা হচ্ছে ।
   ব্রাহ্মণদের কৌশল হচ্ছে- সে কখনও সম্মুখ সমরে আসবে না । তার হাতে রিমোট থাকবে । সে আমাদের আপন ভাই/জাতি/ গোষ্ঠিকে একে অপরের বিরুদ্ধে লাড়াই-এ সামিল করবে । আর এই লড়াই-এ যে পক্ষেরই জয় হোকনা কেন সে জয় তার নয় । সে জয় হবে ব্রাহ্মণের ।
    তেমনিভাবে ব্রাহ্মণরা কৌশল করে বাবা সাহেবের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিপক্ষ তৈরী করার জন্য মাধ্যমিক লেভেল থেকে মেধাবী জগ্‌জীবন রাম কে সমস্ত রকম সাহায্য সহযোগীতা দিয়ে লালন   পালন করে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলে । আর ধীরে ধীরে জগ্‌জীবন রাম কে বাবা সাহেবের  প্রতিপক্ষ হিসাবে খাড়া করে । কংগ্রেস এই জগজীবন রামের মাধ্যমে দলিত বা দলিত নেতা শব্দের বিস্তার ঘটাতে শুরু করে । জগ্‌জীবন রাম যে সংগঠন বানিয়ে ছিলেন তার নাম 'দলিত বর্গ সঙ্ঘ।আর বাবা সাহেব তারঁ সংগঠনের নাম দিয়েছিলেন Scheduled Caste Federation. আর বাবা সাহেব মহাপরিনির্বাণের পূর্বে যে RPI-Republican Party of India- এর নির্মাণের পরিকল্পনা করে ছিলেন; পরবর্তিতে কংগ্রেস সেই RPI এর মাধ্যমে এই 'দলিত' শব্দের যথেচ্ছ ব্যবহার শুরু করে । ধীরে ধীরে এই শব্দ মহিরুহে পরিনত হয়েছে । যার ফলে আমরা সংগঠনের নাম রাখছি- দলিত সঙ্ঘ, মহাদলিত সংঘ আবার দলিত পত্রিকা ইত্যাদি ইত্যাদি । আমাদের মজ্জায় ও এই শব্দটি এমনভাবে জড়িয়ে গেছে বা মিডিয়ার মাধ্যমে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে, গান্ধীর নাম নিতে গেলে যেমন 'মহাত্মা' শব্দ আসে, মনে হয় ওটাই তাঁর নাম । যেমন ভারত বা India না বলে 'হিন্দুস্থান' বলা হয়, তেমনিভাবে 'দলিত' শব্দের বিস্তার ঘটছে । আর আমরা নিজেদের 'দলিত' মনে করে দলা দলিতে প্রতিনিয়তঃ লিপ্ত রয়েছি আপন অস্তিত্ত্বকে ভুলে গিয়ে ।  
আমরা পত্র-পত্রিকায় ভাষণে দলিত, বহুজন, মূলনিবাসী শব্দের ব্যবহার করি । কিন্তু অতি দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই শব্দ গুলোর বাস্তব অর্থ কয় জনে কতটা জানি বা বুঝি, সেটা খুঁজতে গেলে গা উজাড় হবার সম্ভাবনা হবে ।
    আমাদের উদ্দেশ্য তো এই SC, ST, OBC এবং Converted Minority -দের নিয়ে সামাজিক, রাজনৈতি সংগঠন করা । আপনারা ভাবুন তো কোন OBC নিজেকে কি দলিত বলে মনে করেন ? আবার কোন ST -সে তো নিজেকে আদিবাসীই মনে করেন । এই দলিত বলতে শুধুমাত্র Scheduled Caste দেরই বোঝানো হয় । তো আপনি বহুজনবাদী ভাবনা বা মূলনিবাসী ভাবনায় ভাবিত হয়ে দলিত শব্দ কি করে প্রয়োগ করেন ? তাহলে তো প্রথাগত ভাবে SC- দেরই বোঝান হচ্ছে আপনার লেখায় বা ভাষণে । বহুজন বা মূলনিবাসী চেতনার প্রকাশ ঘটছে কি ? কিন্তু আপনি চাইছেন SC. ST. OBC-দের নিয়ে সাংগঠনিকভাবে অগ্রসর হ'তে ।
   এই যে, যে বিভেদ অর্থাৎ 'দলিত' বলে শুধু SC-দের প্রচার প্রসার করা, এর সৃষ্টিকর্তা ব্রাহ্মণ । আর আমরা এই'দলিত' বলে প্রতি নিয়ত প্রচার চালানোর জন্য অন্যের থেকে পৃথক হয়ে যাচ্ছি । যে কৌশলটা করেছে ব্রাহ্মণআর এর ফায়দাটা তারাই ভোগ করছে । যার জন্য আমরা শত চেষ্টা  করেও একত্রিত হ'তে পারছি না । আমাদের মধ্যে'দলিত' ভাবনার জন্য আমরা সত্যিকারের বহুজন বা মূলনিবাসী ভাবনায় ভাবিত নয় । আসলে এই শব্দগুলোর প্রকৃত মানেই আমরা জানিনা।
    'দলিত' অর্থাৎ দলন করা । অর্থাৎ মাঠের ঘাষকে যেমন পাদিয়ে মাড়ানো হয় তাকে দলন করাও বলা হয় । কিন্তু আমরা নিজেদের 'দলিত' মনে করি কেন ? না ব্রাহ্মণরা আমাদের সব সময় দলন করে চলেছে তাই । ভাল কথা । কেউ আমাদের দলন করছে আর আমরা মাথা পেতে সেটা স্বীকার করছি । আমরা তোমাদের দ্বারা দলিতো তাই তো আমরা দলিত । খুব গর্বের কথা । কি বলেন ? কেউ আমাকে গালি দিল, মারল আর আমি বিনা প্রতিবাদে সেই গালি,আঘাত মেনে নিলাম । কারন আমার তো প্রতিবাদের ভাষা নেই । আমি তো দলিত । বাঃ রে সেলুকাশ কি বিচিত্র এই ভাবনা !
    একটা স্প্রিংকে আপনি চাপ দিলে বা দাবালে সেই প্রেসার অনুসারে সে নিচে নেমে যাবে । কিন্তু চাপটা কমিয়ে দিলে সে আবার উপরে উঠতে চাইবে চাপের তারতম্য অনুসারে । কিন্তু তার নাম স্প্রিং না দিয়ে 'দলিত' নাম দিলেও তো হ'ত । কিন্তু স্প্রিং-এর ধর্ম চাপ খেয়েও সর্বক্ষন উপরে ওঠার চেষ্টা করা । কিন্তু আমাদের ধর্ম হচ্ছে দলিত হয়ে পিষে যাওয়া । তাই নয় কি ? যদি তাই না হয় তবে কেন আমরা এই হীন্‌ সূচক শব্দের ব্যবহার করবো ?
আমাদের উদ্দেশ্য যদি সমাজকে জোড়ার হয়, তবে আমরা কেন বহুজন বা মূলনিবাসী ধরনের শব্দের প্রয়োগ করবো না । মূলনিবাসী শব্দে অনেকের আবার Allergy আছে । তবে বহুজন শব্দে নিশ্চয় অসুবিধা নেই ?
    সংগঠনের নাম বহুজন দিয়ে লিখব আর 'দলিত' 'দলিত' বলে গলা ফাটাবো সেটা কি ভাবনা এবং কর্মের মধ্যে বিশাল অন্তর সৃষ্টি করছে না ?
কিন্তু আমরা নিশ্চয় SC,ST OBC  Converted Minority-দের মিলন চাই বহুজনবাদী ভাবনায় । আর দলিত বলতে যেখানে শুধু (Scheduled Caste) SC -দেরই বোঝানো হয় তো আমরা সাংবিধানিক শব্দ Scheduled Casteবা তফশিলি জাতি বা অনুসূচিত জাতি শব্দগুলোকে কেন ব্যবহার করবো না ? ব্যবহার হয়না তা নয়, তবে সেটা একবার/দু'বার হ'লে 'দলিত' শব্দ হয় তার দশ গুন বেশী ।
    আমার এই ভাবনার সঙ্গে আনেকেই সহমত পোষোণ না করতে পারেন । সেটা স্বাভাবিক । কিন্তু এটা নিয়ে ভাববেন অবশ্যই ।
                   _______________________    

No comments:

मैं नास्तिक क्यों हूं# Necessity of Atheism#!Genetics Bharat Teertha

হে মোর চিত্ত, Prey for Humanity!

मनुस्मृति नस्ली राजकाज राजनीति में OBC Trump Card और जयभीम कामरेड

Gorkhaland again?আত্মঘাতী বাঙালি আবার বিভাজন বিপর্যয়ের মুখোমুখি!

हिंदुत्व की राजनीति का मुकाबला हिंदुत्व की राजनीति से नहीं किया जा सकता।

In conversation with Palash Biswas

Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Save the Universities!

RSS might replace Gandhi with Ambedkar on currency notes!

जैसे जर्मनी में सिर्फ हिटलर को बोलने की आजादी थी,आज सिर्फ मंकी बातों की आजादी है।

#BEEFGATEঅন্ধকার বৃত্তান্তঃ হত্যার রাজনীতি

अलविदा पत्रकारिता,अब कोई प्रतिक्रिया नहीं! पलाश विश्वास

ভালোবাসার মুখ,প্রতিবাদের মুখ মন্দাক্রান্তার পাশে আছি,যে মেয়েটি আজও লিখতে পারছেঃ আমাক ধর্ষণ করবে?

Palash Biswas on BAMCEF UNIFICATION!

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS ON NEPALI SENTIMENT, GORKHALAND, KUMAON AND GARHWAL ETC.and BAMCEF UNIFICATION! Published on Mar 19, 2013 The Himalayan Voice Cambridge, Massachusetts United States of America

BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Imminent Massive earthquake in the Himalayas

Palash Biswas on Citizenship Amendment Act

Mr. PALASH BISWAS DELIVERING SPEECH AT BAMCEF PROGRAM AT NAGPUR ON 17 & 18 SEPTEMBER 2003 Sub:- CITIZENSHIP AMENDMENT ACT 2003 http://youtu.be/zGDfsLzxTXo

Tweet Please

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS BLASTS INDIANS THAT CLAIM BUDDHA WAS BORN IN INDIA

THE HIMALAYAN TALK: INDIAN GOVERNMENT FOOD SECURITY PROGRAM RISKIER

http://youtu.be/NrcmNEjaN8c The government of India has announced food security program ahead of elections in 2014. We discussed the issue with Palash Biswas in Kolkata today. http://youtu.be/NrcmNEjaN8c Ahead of Elections, India's Cabinet Approves Food Security Program ______________________________________________________ By JIM YARDLEY http://india.blogs.nytimes.com/2013/07/04/indias-cabinet-passes-food-security-law/

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN VOICE: PALASH BISWAS DISCUSSES RAM MANDIR

Published on 10 Apr 2013 Palash Biswas spoke to us from Kolkota and shared his views on Visho Hindu Parashid's programme from tomorrow ( April 11, 2013) to build Ram Mandir in disputed Ayodhya. http://www.youtube.com/watch?v=77cZuBunAGk

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICAL OF BAMCEF LEADERSHIP

[Palash Biswas, one of the BAMCEF leaders and editors for Indian Express spoke to us from Kolkata today and criticized BAMCEF leadership in New Delhi, which according to him, is messing up with Nepalese indigenous peoples also. He also flayed MP Jay Narayan Prasad Nishad, who recently offered a Puja in his New Delhi home for Narendra Modi's victory in 2014.]

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALSH BISWAS FLAYS SOUTH ASIAN GOVERNM

Palash Biswas, lashed out those 1% people in the government in New Delhi for failure of delivery and creating hosts of problems everywhere in South Asia. http://youtu.be/lD2_V7CB2Is

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk