Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Monday, October 6, 2014

হটাত কর‍্যা ঘুর্নি ঝড় আসে মানষের মেলা ক্ষতি হছে বারে। আসিছে ঘুর্নি ঝড়,এপার ওপার অশনিসংকেত ফেরার হওয়ার আগে এক প্রভাবশালীকে বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন কে যে কবে ঝড়ের কাছে রেখে গেছেন ঠিকানা অচিন পাখিরা ঘরে ফিরে গেছে। আমরা যারা বেঁচে আছি,নীরার হাত ধরে দিবাস্বপ্নের রসগোল্লা নিয়ে বিজয়া উত্সবে মহিসাসুর বধের বর্ণ বৈষম্যে খন্ড বিখন্ড দ্বীপ হয়ে বিচ্ছিন্ন উটপাখী। পলাশ বিশ্বাস

হটাত কর‍্যা ঘুর্নি ঝড় আসে মানষের মেলা ক্ষতি হছে বারে।

আসিছে ঘুর্নি ঝড়,এপার ওপার অশনিসংকেত

ফেরার হওয়ার আগে এক প্রভাবশালীকে বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন


কে যে কবে ঝড়ের কাছে রেখে গেছেন ঠিকানা

অচিন পাখিরা ঘরে ফিরে গেছে।


আমরা যারা বেঁচে আছি,নীরার হাত ধরে দিবাস্বপ্নের রসগোল্লা নিয়ে বিজয়া উত্সবে মহিসাসুর বধের বর্ণ বৈষম্যে খন্ড বিখন্ড দ্বীপ হয়ে বিচ্ছিন্ন উটপাখী


পলাশ বিশ্বাস


আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা.

আমি কাঁদলাম বহু হাসলাম এই জীবন জোয়ারে ভাসলাম.

আমি বন্যার কাছে ঘূণীর কাছে রাখলাম নিশানা

ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা.

কখন জানিনা সে তুমি আমার জীবনে এসে,

যেন সঘন শ্রাবনে প্লাবনে দুকূলে ভেসে,

শুধু হেসে ভালোবেসে.

যতো যতো নেশা যেন স্বপ্ন হলো সকলি নিমেষে ভগ্ন.

আমি দূর্বার স্রোতে ভাসলাম তরী অজানা নিশানায়,

আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা.

ওগো ঝড়া পাতা যদি আবার কখনো ডাকো,

সেই শ্যামল হারানো স্বপ্ন মনেতে রাখো,

যদি ডাকো যদি ডাকো.

আমি আবার কাঁদবো হাসবো এই জীবন জোয়ারে ভাসবো.

আমি বজ্রের কাছে মৃত্যুর মাঝে রেখে যাবো নিশানা.

আমি কাঁদলাম বহু হাসলাম এই জীবন জোয়ারে ভাসলাম.

আমি বন্যার কাছে ঘূণীর কাছে রাখলাম নিশানা

ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা.


বিশ্বকবির কথায় সুরের বাঁধনে গণ নাট্যসঙ্ঘের,তেভাগা সময়ের  সলিল চৌধুরী

ঝড়ের কাছে রেখে গেছেন ঠিকানা,যিনি আবার সংগীতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিশেল ঘটিয়েছেন। সে কারণেই তাঁর গান সাধারণ মানুষ গ্রহণ করেছে। আধুনিক বাংলা গানের নতুন ধরার প্রবর্তন হয়েছে তাঁরই হাতে।পার্টিবদ্ধ সংস্কৃতিতে চিত্রার্পিত যে সময়ে বসবাস আমাদের,সেই ছঠিকানার খোঁজে সাগর পাড়ি দিয়ে সারদার টাকায় সিঙাপুরে গড়ে ওঠা হোটেলেই তাহলে উঠতে হয়।


ফেরার হওয়ার আগে এক প্রভাবশালীকে বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন

দেওয়ালি ধমাকা জি বাংলা নিউজে: ফেরার হওয়ার দিন কয়েক আগে রাজ্যের এক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে বিশাল অঙ্কের নগদ টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। তাঁর অনুপস্থিতিতেও যাতে মিডিয়ার ব্যবসা চলে, সে জন্যই ওই ব্যক্তিকে বিশাল অঙ্কের টাকা দেন সুদীপ্ত। সাক্ষী এবং অভিযুক্তদের জেরা করে এমনই কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পেয়েছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা অভিযোগ পেয়েছেন, সেই টাকা লেনদেন হয় ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে।

যদিও সুদীপ্ত সেন পালিয়ে যাওয়ার পর কলম পত্রিকা ছাড়া তাঁর মালিকানাধীন বাকি প্রায় সমস্ত সংবাদমাধ্যমই অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে কোথায় গেল এই বিশাল অঙ্কের টাকা? অভিযোগ উঠেছে, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি সমস্ত টাকাই আত্মসাত্ করেছেন। অভিযুক্ত এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই অভিযোগের বাস্তবভিত্তি নিয়ে কিছু সূত্রও পেয়েছে সিবিআই। তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ, এই টাকা বেনামে বিদেশে লগ্নিও হতে পারে।

এই অভিযোগের আদৌ কতটা সত্যতা আছে, তা খতিয়ে দেখতে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ জোগারে ব্যস্ত গোয়েন্দারা। সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে, ৫ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে রজত মজুমদার, সোমনাথ দত্তের উপস্থিতিতে সুদীপ্ত সেনের যে গোপন বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন অরবিন্দ সিং চহ্বান, এই টাকা লেনদেনের সঙ্গে তারও একটি যোগ আছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।



যত কান্ড সেই খাগড়াগড়ে, যা এপার ওপার এক করে দিচ্ছে প্রবল ভাবে।ক্ষমতার খূটি ধরে দিচ্ছে টান,রাজা রাণি যে হতেছে খান খান। হাসিনা ওয়াজেদের তখতা পালডের ষঢ়যন্ত্রের সূত্র যেমন আসছে হাতে,এপার বাংলায় ক্ষমতার রাজনীতির অন্ধ সর্বনাশা খেলা ততই খুলছে ভালো।শুধু নেই গো আলো।না জানি কোথা লুকিয়ে রন্জন,নন্দিনীর চিত্কারে কারো ঘুম ভাঙ্গছে না যে আজ।এ কি নিবিড় অন্ধকার ,অন্ধাকারের রাজত্বে বসবাস এই প্রজন্মের!


ঘোড়ার মুখে টাটকা খবরঃএনআইএকে সাহায্য করুক রাজ্য। এবারে এই মর্মে নবান্নে চিঠি পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। এর আগে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে রিপোর্ট দিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এবারে রাজ্যের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে রাজ্য না চাওয়ায় এখনই তদন্তভার নিজেদের হাতে নিতে পারছে না এনআইএ।

বর্ধমানকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দেওয়া রিপোর্টে রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে  অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিল এনআইএ। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তদন্তের স্বার্থে রাজ্য পুলিস যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিয়ে এনআইএ-কে সাহায্য করেনি। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব। রাজ্য সরকার অসহযোগিতার অভিযোগ মানতে না চাইলেও এনআইএর রিপোর্টের ভিত্তিতেই এবারে নড়ে চড়ে বসেছে কেন্দ্র। এবারে তাই এনআইকে সবরকম সাহায্য করতে বলে রাজ্যকে চিঠি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

এদিকে বিস্ফোরণ কাণ্ডে এপর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সোমবারই ধৃত হাসেম মোল্লার বারোদিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি চিরকুট থেকে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বরুয়ামোড়ে একটি  কাপড়ের দোকানের হদিশ পান গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে দোকানটি বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশের বাসিন্দা শাকিল গাজি ওরফে শাকিল আহমেদের। সেই দোকানে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে জেহাদি নথি ও পুস্তিকা। অভিযান চলেছে বীরভূম, নদীয়ার বেশ কয়েকটি জায়গাতেও।

বর্ধমানকাণ্ডের জেরে এরাজ্যের সীমান্ত সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ঘটনার তদন্ত নিয়ে সোমবার ডিআইজি সিআইডি দময়ন্তী সেনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি। বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসেছে রেল  প্রশাসনও।বিভিন্ন ট্রেন ও রেলস্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করতে ডিআরএমদের নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার।


সিবিআই জাল গুটিয়ে আসছে এবং আমরা সক্কলে ইডলি দোসার দেশের কাছাকাছি হলাম এবার বোধ হয়।দিদির সবুজ কেল্লা এখন যে হানাবাড়ি হানাবাড়ি গন্ধে মম।ভূতের ভবিষত্ নূতন করে দেখা আবার।অশবীবীদের দৌরাত্বে উথাল পাথাল বঙ্গ আজ বাস্তবিকই ঝঢ়ে মুখে।অপ্রত্যাশিত যদি কিছু ঘটে যায়,সততার মুখে ছাই দিয়ে যদি জ্বলে ওঠে আগুন,সেই আঘুনে বাঁচবে কারা ,মরবে কারা,অতিশয় সংশয়।প্রাণ সংশয় বটে।ইজ্জত তা কোনো বাঙালির আজ আর হাটে বিকোবার মত জমা পুঁজি নেই।সবজান্তা প্যানেল সর্বস্ব প্যানপ্যানানি সর্বস্ব বাঙালির সীমানার বেড়া ডিঙিয়ে বড়ই দুর্দিন আজ।

তথ্যসূত্র আনন্দবাজারঃজন্মসূত্রে কলকাতার বাসিন্দা, বর্তমানে সিঙ্গাপুরের এক নাগরিকের মাধ্যমে সারদার টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে দাবি করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাঁরা এমন তথ্যই পেয়েছেন। সূত্রটির দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের খোঁজে সিবিআই তদন্ত করছে, এটা তারই অংশ। এ ব্যাপারে ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়ার কথাও ভাবছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।


ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবার সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআইয়ের জেরার মুখে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী  শুভাপ্রসন্ন। আগামী ৯ অক্টোবর তাঁকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই দফতরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শুভাপ্রসন্ন বাবু একসময় 'এখন সময়' নামে একটি চ্যানেল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছে বিক্রি করেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন। সেই চুক্তির বিষয়েই তাঁর সাথে কথা বলতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। যদিও এই বিষয়ে শুভাপ্রসন্ন বাবু সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে  কোনো কথা  বলতে চান না বলে শিল্পীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে রাজ্যের বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়কেও ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। আগামী সপ্তাহেই তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, সুদীপ্ত সেনের কাছে সিমেন্ট কারখানা বিক্রি করার জন্য বাঁকুড়ার বিধায়ক ও পশ্চিমবঙ্গের বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। সুদীপ্ত বাবুর সাথে বস্ত্রমন্ত্রীর চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন তারা।

এদিকে সারদা কেলেঙ্কারির শিকড় খুঁজতে এবার দেশ ছেড়ে বিদেশেও পা বাড়ালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিঙ্গাপুরে এক শীর্ষ তৃণমূল নেতার ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ের খোঁজ পেতে এবং সেখানকার একটি ট্রাস্টে সারদার  তাকা সরানোর খবর পেয়ে সিবিআই অফিসাররা মোট ৭ টি জায়গায় খোঁজখবর চালান। তবে সেখানে গিয়ে তারা কোনো সূত্র পেয়েছেন কি না সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিবিআই অফিসাররা সেখানে গিয়ে ১ অক্টোবর ফিরে আসেন। সিবিআই সূত্রের খবর সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চলতি অক্টোবর মাসের শেষের দিকে প্রথম দফার চার্জশীট দেয়া হবে। এজন্য আগামী কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে জেরা করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।#



ঠারেঠোরে বলেছেন আগে। দাবি করেছিলেন, সারদার টাকা নেননি এমন নেতা বা নেত্রী খুঁজে পাওয়া যাবে না। একাধিক বার তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায় এবং তাঁর বিধায়ক-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের নামও। এ বার কিন্তু প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আসিফ খানের নিশানায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীই। সোমবার এবিপি-আনন্দের অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন আসিফ। বলেছেন, "কেউ যদি বলেন যে, পয়লা বৈশাখের আগে কিছু জানতেন না তা হলে বাংলায় তাঁর চেয়ে বড় মিথ্যেবাদী আর নেই।"


২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের খরচ বাবদ সারদাগোষ্ঠীর কাছ থেকে ১৩০ কোটি টাকা নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সারদাগোষ্ঠীর মালিক সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে নেয়া টাকা নিয়ে ওই নির্বাচনী বৈতরণী পার হয় মমতা ব্যানার্জির দল। ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) এ তথ্য পেয়েছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের উদ্ধৃত করে সিপিএমের মুখপত্র 'গণশক্তি' পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সল্টলেকে সারদাগোষ্ঠীর কার্যালয় 'মিডল্যান্ড পার্ক' থেকে ১৩০ কোটি পেঁৗছে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। লেনদেনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন মমতার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় ও সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক আইপিএস রজত মজুমদার। এই ১৩০ কোটি টাকা থেকে ৩৪ কোটি বিলানো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের ২২৬ প্রার্থীর মধ্যে। ভোটের খরচ জোগাতে এই প্রার্থীরা পান ১৫ লাখ টাকা। আরো ৪১ কোটি টাকা অন্যান্য খাতে খরচ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, হেলিকপ্টারে করে মমতা ব্যানার্জি যে নির্বাচনী প্রচারে যেতেন, তার খরচও জোগানো হয়েছিল সারদার টাকা থেকে। নির্বাচনী খরচের পর বাকি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বাকি টাকার একটা বড় অংশ কোথায় গেল, তা কেউ জানেন না। কারাগারে আটক এমপি (তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত) কুণাল সেন সিআইবিকে চিঠি লিখে সারদার কাছ থেকে তৃণমূলের টাকা নেয়ার তথ্য জানিয়েছিলেন। এ তথ্যের সূত্রে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। অবশেষে এর সত্যতা মিলেছে। কুণালের দাবি, বাকি টাকা কোথায় গেল তা জানেন মুকুল রায় ও রজত মজুমদার। খানিকটা জানেন আসিফ খান। বলা হচ্ছে, মুকুল রায় নাকি আশ্বাস দিয়েছিলেন, ওই টাকা পেলে নির্ভয়ে ব্যবসা চালাতে পারবে সারদা। শাসক দল বা রাজ্য সরকার এতে নাক গলাবে না। বিরোধী দলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি টাকা নেয়ার কথা সবই জানতেন। অথচ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সম্প্রতি বলেছিলেন, দু-চারটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা হওয়া ছাড়া তার সঙ্গে সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের কোনো যোগাযোগ কোনোদিনই ছিল না


আজকালের প্রতিবেদন: সারদার লুকনো টাকা, সম্পদের হদিশ পেতে আরও ৩০ জনকে জেরা করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷‌ সেই সব তথ্য যাচাই করতে এর পর সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং ধৃত তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষকে জেরা করা হতে পারে৷‌ এদিকে সারদার বিষয় নিয়ে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের সি পি এম-এর বহিষ্কৃত প্রাক্তন বিধায়ক আনন্দ বিশ্বাসের সঙ্গে ফের কথা বললেন বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা৷‌ প্রায় ঘণ্টা খানেক তাঁর সঙ্গে কথা বলা হয়৷‌ ই ডি সূত্রে খবর, এখনও পর্যম্ত সারদার ৩৯০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গেছে৷‌ সেই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কার কাছে, কবে, কোথায় টাকা গেছে জানতে প্রতিটি ট্রানজাকশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷‌ এখনও পর্যম্ত সারদা-কাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত বা তথ্য পাওয়া যেতে পারে এমন ৭০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে ই ডি৷‌ বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে৷‌ বিশদ জানতে আরও অম্তত ৩০ জনের সঙ্গে কথা বলা হবে৷‌ সুদীপ্ত সেনের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী পিয়ালি এবং ছেলে শুভজিৎকে জেরা করে নতুন কিছু তথ্য পাওয়া গেছে৷‌ এগুলি যাচাই করে তারপর ই ডি-র গোয়েন্দারা বসবেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে নিয়ে৷‌ প্রয়োজনে তাঁকে হেফাজতেও নেওয়া হতে পারে৷‌ জেরা করা হতে পারে কুণাল ঘোষকেও৷‌ ই ডি সূত্রে খবর, শুভজিতকে জেরা করে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রাম্তের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে সারদার টাকা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷‌ এ রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে রয়েছে সেই টাকা৷‌ তাঁদের বলা হয়েছিল তাঁরা সেই টাকা তাঁদের ব্যবসায় খাটাতে পারেন৷‌ প্রয়োজনে আবার সেই টাকা চেয়ে নেওয়া হবে৷‌ যদিও কাকে কাকে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল, তা বলেননি শুভজিৎ৷‌ ই ডি-র গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছে কারা সেই ব্যবসায়ী৷‌ জানা গেছে, কাগজ-কলমে চুক্তি করে নয়, মৌখিক কথার ভিত্তিতে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল৷‌ জানার চেষ্টা চলছে কাদের মাধ্যমে হুন্ডিতে সারদার টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে৷‌ এদিকে বাগডোগরা থানায় থাকাকালীন গত ৩ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে চিঠি দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ৷‌ বিভাগীয় ও পুলিসি হয়রানি নিয়ে দলীয় হস্তক্ষেপের দাবি করেছিলেন৷‌ কেন এই চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে ই ডি.

অচিন পাখিরা ঘরে ফিরে গেছে।


আমরা যারা বেঁচে আছি,নীরার হাত ধরে দিবাস্বপ্নের রসগোল্লা নিয়ে বিজয়া উত্সবে মহিসাসুর বধের বর্ণ বৈষম্যে খন্ড বিখন্ড দ্বীপ হয়ে বিচ্ছিন্ন উটপাখী


পাশে আছি যাদবপুর।

প্রশ্ন হল এই নিরন্কুশ রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রতিরোধ এই অরাজনেতিক আন্দোলন টিকবে কতদিন।সেই ভিসি ত পিসির কল্যাণে অস্থায়ীত্ব থেকে প্রোমোটেড স্থায়ী।অন্য দিকে প্রবল ঘুর্ণ ঝড়।ভয়ন্কর পদ্ম প্রলয়।


জি বাংলা নিউজের প্রতিবেদনঃপ্রবল আন্দোলন। ছাত্র, অধ্যাপক, সমাজের সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী- প্রত্যেকেই সামিল  হয়েছিলেন সেই আন্দোলনে। দাবি একটাই পদত্যাগ করতে হবে উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তীকে।  কিন্তু  যাদবপুরের স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে রাজ্যপাল বেছে নিলেন সেই অভিজিত চক্রবর্তীকেই।  কিন্তু কেন ?যাদবপুর কান্ডের গোড়া থেকেই  রাজ্য সরকার উপাচার্যের পাশে  দাঁড়িয়েছিল।  বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকা থেকে শুরু করে  ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ সব কিছুতেই খোদ শিক্ষামন্ত্রী বারেবারেই  উপাচার্যের হয়ে মুখ খুলেছেন । উপাচার্য বলেছিলেন পুলিশ না ডাকলে তিনি সেদিন রাতে খুন হয়ে যেতেন।

অভিজিত চক্রবর্তী শিক্ষা দফতরকে বুঝিয়েছিলেন, সেদিন রাতে পুলিশ না ডাকলে মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেত। কারণ নকশালরাই নাকি গোটা ঘটনা পরিচালনা করেছে। এমনকি  উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছে তার পিছনে রয়েছে মাওবাদীদের প্রত্যক্ষ মদত। মুখ্যমন্ত্রীকে এইসব বক্তব্য বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন  অভিজিত চক্রবর্তী।  যাদবপুরে বর্তমানে নানা দুষ্কর্ম করা হয় বলেও জানানো হয়েছে।  একই জিনিস বারেবারে রাজ্যপালকেও বোঝানো হয়েছে।  একটি অসম্পাদিত ভিডিও ফুটেজ মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে পাঠানো হয়। ওই ফুটেজ দেখেই নাকি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল মনে করেছেন অভিজিত চক্রবর্তী কোনও ভুল করেননি। উঠে আসছে  অন্য  তথ্যও। অভিজিত্ চক্রবর্তী এই মুহুর্তে শাসকদলের খাস লোক। বি এড কলেজ কেলেঙ্কারিতে তাঁর তৈরি রিপোর্টে মুখ রক্ষা হয়েছিল তৃণমূলের। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের প্রতি তিনি নানাভাবে আনুগত্যও দেখিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন সেই রাজনৈতিক আনুগত্যেরই পুরস্কার হিসেবে এবার গোটা শাসক দল দাঁড়াল অভিজিত চক্রবর্তীর পাশে।  


আরো ভয়।


পুলিশি অভিযানের ভয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে হংকংয়ের মং কক এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকর্মীরা।






হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী লেয়ুঙ চুং-ইং এর কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান করা বিক্ষোভকারীরাও ধীরে ধীরে চলে যেতে শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে পুলিশ যে ব্যারিকেড দিয়েছিল সেগুলোও তুলে নেয়া হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, সরকারি কার্যালয়গুলো দখলমুক্ত করতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশি অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিতে পারে হংকংয়ের প্রশাসন।

১৬ বছর বয়সী ছাত্রনেতা ট্যাং সিন-টুং বলেন, "আমরা চাই সবাই চলে যাক। কারণ আমরা আর কোনো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দেখতে চাই না। যদি সরকার আমাদের প্রস্তাবে (সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব) সাড়া না দেয় তবে আমরা আবার ফিরে আসবো।"

সিন-টুং এর দাবি গণতন্ত্রপন্থি কয়েকজন নারী আন্দোলনকর্মী আন্দোলন চলার সময় বিরোধীদের হাতে হেনস্তা ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

চলে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীরা 'আমরা ফিরে আসবো এবং শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব' বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

যেসব বিক্ষোভকারী তখনও অবস্থান করছিল তারা 'মং কক মং কক কখনও পিছিয়ে যাবে না' বলে চিৎকার করছিলেন।

যাদবপুরের স্হায়ী উপাচার্য হচ্ছেন অভিজিৎই

আজকালের প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্হায়ী উপাচার্য হচ্ছেন অভিজিৎ চক্রবর্তীই৷‌ এতদিন পর্যম্ত তিনি অস্হায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন৷‌ এবার তাঁকে স্হায়ী করল রাজ্য সরকার৷‌ অভিজিৎবাবুর পদত্যাগের যে দাবি পড়ুয়ারা তুলেছিলেন, তা খরিজ করে দিল রাজ্য সরকার৷‌ ১৬ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার আন্দোলনরত পড়ুয়াদের হাতে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে– এই দাবি করে মধ্য রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিস ডেকে ছিলেন অভিজিৎবাবু৷‌ ওই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে আলো নিভিয়েছাত্রছাত্রীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে৷‌ তাঁর পদত্যাগ ও অপসারণ চেয়ে পথে নামেন পড়ুয়ারা৷‌ মহামিছিল হয়৷‌ প্রতিবাদে সরব হন শিক্ষামহল৷‌ দেশ-বিদেশে প্রতিবাদে সেচ্চার হন প্রাক্তনীরাও৷‌ তাঁর পদত্যাগের দাবিতে শুধু পড়ুয়ারা নন, শিক্ষক সংগঠন জুটা, শিক্ষাকর্মী ও গবেষকদের একাধিক সংগঠনও একই দাবি তোলে৷‌ যদিও অভিজিৎবাবু পাশে এসে দাঁড়ান রাজ্য সরকার, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি ও পুলিস-প্রশাসন৷‌ আন্দোলনরত ছাত্ররা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করেন৷‌ একাধিক বার শিক্ষামন্ত্রী ও পুলিস-প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা রাজভবনে যান৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর প্রতিবাদে ওই আন্দোলন ও ঘেরাও শুরু হয়েছিল৷‌ এর পর রাজ্য সরকার শ্লীলতাহানির ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদম্ত কমিটি গঠন করে৷‌ তদম্ত কমিটির রিপোর্টেও অভিজিৎবাবুকেই কাঠগড়ায় করা হয়েছে৷‌ অভিজিৎবাবু পদত্যাগের দাবিতে সি পি এম, কংগ্রেস, বি জে পি-ও সরব হয়৷‌ এতকিছুর পরও সেই অভিজিৎ চক্রবর্তীকেই স্হায়ী উপাচার্য করায় হতবাক সংশ্লিষ্ট মহল৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের বক্তব্য, সেই রাতের ঘটনায় এখন কার্যত একঘরে অভিজিৎবাবু৷‌ তিনি স্হায়ী উপাচার্য হিসেবে কাজ করবেন কীভাবে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, গবেষকরাই বিমুখ! শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুজোর ছুটির মধ্যেই রাজ্যপাল এই সংক্রাম্ত ফাইলে সই করেন৷‌ স্হায়ী উপাচার্যের প্যানেলে অভিজিৎবাবু ছাড়াও আই আই টি খড়গপুরের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক অনুপম বসু ও শিবপুর আই আই ই এস টি মেক্যানিকাল ইনজিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক সুজিত সাহার নাম ছিল৷‌ ২৫ অক্টোবর অস্হায়ী উপাচার্য হিসেবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে৷‌ এরপরই তিনি আগামী ৪ বছরের জন্য স্হায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব নেবেন৷‌ পুজোর ছুটি মিটলে দপ্তর থেকে এই সংক্রাম্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হবে৷‌ এদিকে, পুরুলিয়ার সিধো-কানহু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন ড. দীপকরঞ্জন মণ্ডল৷‌ উনি ডি পি আই পদে ছিলেন৷‌

তথ্যসূত্রআজকালঃবুধবার, মহাসপ্তমীর দিন থেকে আচমকাই বন্ধ হয়ে গেল উত্তর হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া এলাকার তিরুপতি জুট মিল৷‌ এর জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সেখানকার প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক৷‌ কাঁচামালের জোগানের অভাবে এই জুট মিলে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকেই উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল৷‌ ফলে সেখানকার কয়েকটি বিভাগে শ্রমিকদের হাজিরা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷‌ এর জেরে শ্রমিকদের বেতন কাটা হতে পারে এই আশঙ্কায় সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর মিলের গেটে জমায়েত করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এখানকার শ্রমিকেরা৷‌ এরপরেই ১ অক্টোবর, বুধবার থেকে শ্রমিক অসম্তোষের জেরে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণ উল্লেখ করে মিলের গেটে সাসপেনসন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ৷‌ ওই দিন সকালের শিফটের শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে এসে কারখানা বন্ধের নোটিস দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন৷‌ এ ব্যাপারে আই এন টি ইউ সি-র হাওড়া জেলা সভাপতি রবীন মণ্ডল বলেন, কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে ফের মিল চালুর দাবি জানানো হয়েছে৷‌ কিন্তু প্রশাসনের তরফে শ্রমিকদের পাশে এখনও কেউ দাঁড়াননি৷‌ এ বিষয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপেরও দাবি জানাচ্ছি৷‌

তথ্য সূত্র আনন্দ বাজার পত্রিকাঃবাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন-বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গে হাত মিলিয়েই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের (আইএম) একটি গোষ্ঠী বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা ও গোলাবারুদের গবেষণাগার তৈরি করেছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক মোবাইল ফোন ও নথিপত্র ঘেঁটে এবং ধৃতদের জেরা করে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে তাঁদের দাবি। ওই গবেষণাগারে এত দিন তৈরি হওয়া বিস্ফোরক কোথায় গিয়েছে, সেটাই আপাতত গোয়েন্দাদের মূল মাথাব্যথা।

ভয়েরই কথাঃদেখলে মনে হবে তারা যেন আর দশটা গাঁয়ের সাধারণ মেয়ে-বৌয়েরই এক জন। কিন্তু, এতটাই শক্ত মন তাদের যে তাবড় পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জেরার মুখে একবারের জন্যও কেঁপে উঠছে না ঠোঁট, চোখের পাতা। তদন্তকারীদের চোখে চোখ রেখে, চোয়াল শক্ত করে উত্তর দিচ্ছে তারা। অবশ্য সেই সব প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যাচ্ছে, যেটা তারা দিতে চাইছে। না-পসন্দ প্রশ্ন শুনে এক দৃষ্টে চেয়ে থাকছে উল্টো দিকে বসা অফিসারের দিকে।


আরও ভয়ের কথাঃঅষ্টমীর মাঝদুপুরে বিকট আওয়াজে গোটা পাড়া যখন কেঁপে উঠেছে, অনেকে ভেবেছিলেন, বাড়িটাতে বুঝি গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটেছে। কিন্তু, তার পরে বাড়ির ভিতরে সব অস্বাভাবিক রকমের চুপচাপ। এমনকী, শিশুদের কান্নারও কোনও আওয়াজ মেলেনি। কিছু ক্ষণ পরে বাড়ির নীচে নর্দমা দিয়ে রক্ত আর জল বয়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল বাসিন্দাদের। নীচের গেটে তালা লাগানো থাকায় তাঁরা চিৎকার করেন। দুই মহিলা দোতলা থেকে চিৎকার করে তাঁদের চলে যেতে বলেন।


এক সময় সাত চড়ে রা না কাড়া মেয়ে নাকি অস্ত্র তাক করেছিল পুলিশের দিকে আগের রাজিয়া বিবির সঙ্গে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত মহিলাকে এখনও মেলাতে পারছে না নদিয়ার বারবাকপুর। একই দশা মুর্শিদাবাদের তালগড়িয়া গ্রামেরও। রাজিয়ার মতো একই ধরনের অভিযোগে ধরা হয়েছে সে গ্রামের মেয়ে আলিমা বিবিকে। কিন্তু শান্ত, সাধারণ বলেই আলিমাকে মনে রেখেছেন তার বাপের বাড়ির এলাকার লোকজন।


পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের একটি বাড়িতে বিস্ফোরিত বোমা বাংলাদেশে হামলার জন্য তৈরি করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা।






নিহতদের জঙ্গি সম্পৃক্ততাসহ বিস্ফোরণের বিষয়টি নিয়ে এর মধ্যেই নয়াদিল্লি ঢাকাকে সতর্ক করেছে বলে ভারতের গণমাধ্যমের খবর।

টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্ধমানের যে বাড়িতে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণ হয় সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি কার্যালয় ছিল।

গত ২ অক্টোবর ওই বাড়িতে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে নিহত হন শামীম ওরফে শাকিল আহমেদ ও স্বপন ওরফে সুবহান মণ্ডল, যারা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি শাখার সদস্য বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণের পর গ্রেপ্তার দুই নারীর একজন নিরাপত্তা বাহিনীকে জানিয়েছেন, তারা গত তিন মাসে চার দফায় 'কাউসার' ও 'রাসিক' নামে দুই বাহকের মাধ্যমে বাংলাদেশে বোমা পাঠিয়েছেন। ওই দিনও তারা বাংলাদেশে পাঠানোর জন্যই বোমা বানাচ্ছিলেন।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে ভারতীয় শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও ডিজিএফআইকে অবহিত করেছেন।

ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, বোমা বানানোর সঙ্গে জড়িত আব্দুল হাকিম নামে ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার আরো একজন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খোলেননি তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বর্ধমানে ওই বিস্ফোরণের পর গুরুতর আহত শামিম ওরফে শাকিল আহমেদ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। আর হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় স্বপন ওরফে সুবহান মণ্ডলের। গুরুতর আহত আব্দুল হাকিম চিকিৎসাধীন।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শাকিলের বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের বারবাজপুরে, সুবহানের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে ও আব্দুলের বীরভূমের মহম্মদবাজারে।

ঘটনার দিনই শাকিলের স্ত্রী গুলশানা বিবি ওরফে রাজিয়া বিবি এবং হাকিমের স্ত্রী আমিনা বিবিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আইএনএনএস জানিয়েছে, ২ অক্টোবর বিস্ফোরণের ঘটনার পর আটকের ওই দুই নারীকে রোববার গ্রেপ্তার দেখায় নিরাপত্তাবাহিনী।

বিস্ফোরণের দিনই পশ্চিমবঙ্গে জেএমবি সদস্যদের সম্ভাব্য অন্তত তিনটি 'ঘাটিতে' পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা।

এসময় তারা 'মুর্শিদাবাদ ভিত্তিক' এক ধর্মীয় 'গুরু'কেও খুঁজছিলেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, 'বাংলাদেশে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত' থাকা এই তিন জঙ্গির নাম ও পশ্চিমবঙ্গে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি সম্ভবত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে জানানো হয়েছে।

বিস্ফোরণে নিহত স্বপন মণ্ডলের স্ত্রী আকিনাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল ভবনের মালিক হাসান চৌধুরী এবং আমিনাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। আমিনার বাবা মুর্শিদাবাদের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়েছেন। তাছাড়া ওই ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অফিসও রয়েছে।

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

এর আগে মমতা বন্দোপ্যাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে সহিংসতা সৃষ্টিকারী জামায়াতের নেতাদের ভারতে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ উঠে।

এমনকি তৃণমূল থেকে নির্বাচিত এমপিদের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশ থেকে পলাতক জামায়াত নেতা ও উগ্র ইসলামপন্থি নেতাদের সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

বিস্ফোরণস্থল থেকে ২৫টি গ্রেনেড,  ১০টি হাতবোমা এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, আইরন অক্সাইড, হাইড্রোজেন পার অক্সাইডসহ প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক তৈরির উপাদান পাওয়া গেছে খবরে বলা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে শাকিলের স্ত্রী জানিয়েছে, এসব উপাদানগুলো কোলকাতা থেকে আনা হয়েছে। বিস্ফোরণস্থল থেকে বোমার সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ঘড়িও পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে একটি লেদ মেশিন যা পিস্তল তৈরির কাজে ব্যবহার করা হত।

নিরাপত্তাবাহিনী গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল গোস্বামীর সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য সরবরাহ করেছে বলে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে।  

ওই বৈঠকে ঘটনার তদন্তের ভার জাতীয় তদন্ত সংস্থার সন্ত্রাস বিরোধী দপ্তরের হাতে ন্যস্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 'স্পর্শকাতরতা' এবং রাজ্য সরকারের ব্যাপারে কেন্দ্রের নাক না গলানোর বিষয়ে যে আইন রয়েছে তা বিবেচনা করেই পরামর্শটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবরে বলা হয়েছে।





আজকালের প্রতিবেদনঃসারদা-কাণ্ডের তদম্তে সিঙ্গাপুরে গিয়ে ৬টি ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেল সি বি আই৷‌ সম্প্রতি সারদা-কাণ্ডের এক সাক্ষীকে নিয়ে সি বি আই-এর বিশেষ তদম্তকারী দল ২৮ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর যায়৷‌ সেখানে কলকাতারই এক প্রভাবশালীর কিছু সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে, যা কেনা হয়েছে সারদার টাকায় বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদম্তকারী সংস্হার৷‌ যে ৬টি ট্রাস্টের সন্ধান পাওয়া গেছে, সেগুলিতে সুদীপ্ত সেনের টাকা রাখা হয়েছে৷‌ এই ঘটনার তদম্তে দীর্ঘদিন ধরেই এনফোর্সমেন্ট ডাইরে'রেট (ই ডি) টাকা পাচারের বিষয়ে নানা তথ্য পাচ্ছিল৷‌ সেই তদম্তে শেষ পর্যম্ত সিঙ্গাপুরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির সন্ধান মিলল৷‌ সি বি আই জানতে পেরেছে, কলকাতারই এক প্রভাবশালীরও টাকা রয়েছে একটি ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে৷‌ অন্য এক প্রভাবশালীর হোটেলও রয়েছে৷‌ এ ছাড়া সারদার বেশ কিছু সম্পত্তির কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে৷‌ সারদা-কাণ্ডের তদম্তে এবার বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নর সঙ্গে কথা বলবে সি বি আই৷‌ আগামী ৯ অক্টোবর৷‌ ওই দিনই বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে সিমেন্ট কারখানার জমিজমা সংক্রাম্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সি বি আই৷‌ অন্য দিকে সিঙ্গাপুরে সারদা-কাণ্ডের তদম্তে যে দল গিয়েছিল, তারা সে দেশ থেকে বেশ কিছু তথ্য এনেছে৷‌ সারদা-কাণ্ডে সেগুলি বড় ধরনের সাহায্য করবে বলেই সি বি আই সূত্রের খবর৷‌ শিল্পী শুভাপ্রসন্ন একটি বাংলা সংবাদ চ্যানেল কয়েক কোটি টাকায় সারদা গোষ্ঠীকে বিক্রি করেছিলেন৷‌ চ্যানেলটি অনুমোদন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে সে সময় যোগাযোগ করা হয়েছিল৷‌ কয়েকজন প্রভাবশালীও ছিলেন, ওই চ্যানেলটি সারদার কাছে বিক্রির পেছনে৷‌ চ্যানেলটি অনুমোদন করানোর জন্য প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল৷‌ সি বি আই জানতে চায় শুভাপ্রসন্ন চ্যানেলটি সারদা গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি করলেন, কোন পরিস্হিতিতে৷‌ এবং কেনাবেচা সংক্রাম্ত সমস্ত কাগজপত্রও দেখবে সি বি আই৷‌ এদিকে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সেবি একটি ই-অকশন চালু করার ভাবনা চিম্তা করছে৷‌ বাজেয়াপ্ত হওয়া জমি, বাড়িঘর ও সংস্হাগুলির বিস্তারিত জানিয়ে নিলামের জন্য তা নির্দিষ্ট সাইটে দিয়ে দেওয়া হবে৷‌ আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে নিলামের বিষয়ে সাধারণ মানুষরা জানতে পারবেন৷‌ শুধু চিটফান্ডের বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তিই নয়, এমন কয়েকটি সংস্হারও খোঁজ মিলেছে, যারা ঋণের টাকা শোধ করতে পারেনি৷‌ সেই সমস্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হবে৷‌ সেবি সেই সমস্ত সংস্হার সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত করবে, যে সমস্ত সংস্হা ১০০ কোটি টাকার বেশি বাজার থেকে তুলেছে৷‌ সি বি আই সূত্রের খবর অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে চার্জশিট দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷‌ প্রথম পর্যায়ে চার্জশিটে ৬ জনের নাম থাকছে বলে জানা গেছে৷‌ পরবর্তী সময়ে তদম্ত যেমন এগোবে, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হবে৷‌ অন্যদিকে সারদা-কাণ্ডে ধৃত সদানন্দ গগৈকে ২২ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক৷‌



আজকালের প্রতিবেদনঃকালীঘাটে যাঁরাই তাঁর সঙ্গে বিজয়া সারতে এসেছেন, সেই সব নেতাকে মমতা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, সি পি এম, বি জে পি বাংলায় নতুনভাবে অশাম্তি করার চেষ্টা করছে৷‌ আপনারা যে যার নিজের এলাকায় থাকুন, কড়া নজর রাখুন৷‌ বর্ধমানের ঘটনা নিয়ে সি পি এম, বি জে পি গুজব ছড়াচ্ছে৷‌ কলকাতায় নেতাদের মমতা বলেছেন, আপনারা এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন৷‌ জেলার নেতাদের বলেছেন, সামনের ২-৩ দিন বেশি করে নজর দিন৷‌ রবিবার মমতার বাড়িতে বিজয়া করতে এসেছিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, সেচমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি, মুখ্য সচেতক শোভনদেব চ্যাটার্জি, সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি, অভিষেক ব্যানার্জি, তাপস রায়, নির্মল মাজি, সোনালি গুহ, ইন্দ্রনীল সেন, সস্ত্রীক মেয়র শোভন চ্যাটার্জি, দেবাশিস কুমার, অসীমা পাত্র, মিতালি ব্যানার্জি, রাজকিশোর গুপ্তা প্রমুখ৷‌ কল্যাণ, তাপস, সোনালি, অসীমা সকলকেই মমতা নিজেদের এলাকায় পাঠিয়ে দেন৷‌ নেতাদের এও বলেন মমতা, পুজো শাম্তিতে কেটেছে৷‌ বিসর্জন সুন্দরভাবে হচ্ছে৷‌ তাই এ-সব দেখে বি জে পি, সি পি এমের হিংসে হচ্ছে৷‌ বর্ধমানের ঘটনার এখনও কোনও তদম্তই হল না, তার আগে সি পি এম, বি জে পি সব জেনে গেল৷‌ অদ্ভুত ব্যাপার৷‌ নেতাদের মমতা বলেন, তোমাদের এ-সব নিয়ে চিম্তার কোনও কারণ নেই৷‌ এলাকার কর্মীরা যেন কোনও প্ররোচনায় পা না দেন৷‌ বিকেল থেকেই কালীঘাটে ভিড়৷‌ দূরের জেলা থেকে বহু মানুষ এসেছেন মমতার সঙ্গে বিজয়া করতে৷‌ মমতা সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন৷‌ কালীঘাটের অফিসে মানিক মজুমদারের তত্ত্বাবধানে কর্মীরা সকলকে মিষ্টি বিতরণ করেন৷‌ মমতা বলেন, ভোর ৫টা অবধি জেগে ছিলাম৷‌ বিসর্জনের খবরাখবর নিতে হয়েছে আমাকে৷‌ আগে তো কেউই এই সব কাজ করেননি৷‌ তাই সি পি এম-বি জে পি নেতাদের আমার ওপর যত রাগ৷‌ বাংলাকে অশাম্ত করতে দেব না৷‌ আমি মনে করি, পুজো যেভাবে নির্বিঘ্নে কেটেছে, ঠিক একইভাবে শাম্তিপূর্ণ পরিবেশে ইদ ও লক্ষ্মীপুজো পালিত হবে৷‌ তা সত্ত্বেও সকলকে সতর্ক থাকতে হবে৷‌ সি পি এম-বি জে পি ধর্মের সুড়সুড়ি দিচ্ছে৷‌ সাধারণ মানুষকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে৷‌ বাংলায় এ-সব চলবে না৷‌ অন্য দিকে এদিন তৃণমূল ভবনে বসে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বর্ধমানের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, সি পি এম-বি জে পি বর্ধমানের ঘটনা নিয়ে মিথ্যে প্রচার শুরু করে দিয়েছে৷‌ সি পি এম নেতা বিমান বসু দায়িত্বজ্ঞানহীন মম্তব্য করছেন৷‌ সারা রাত জেগে যখন মমতা বাংলাকে ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন, তখনই সি পি এম-বি জে পি সরকার ও তৃণমূলকে বিব্রত করছে৷‌ তৃণমূলকে হেয় করার জন্য এ ধরনের মম্তব্য করছে৷‌ এটা অনুচিত৷‌ তদম্ত ঠিক পথেই এগোছে৷‌ তৃণমূলের পার্টি অফিস রয়েছে বলে বিমানবাবু যে অভিযোগ করেছেন, সে সম্পর্কে মুকুল বলেন, কোথায় আমরা তো জানি না৷‌ ওখানে পার্টি অফিস রয়েছে কে লিখেছে৷‌ এই ঘটনার সঙ্গে সি পি এম, বি জে পি-র কোনও যোগ নেই তো?





আজকালের প্রতিবেদন: বর্ধমান বিস্ফোরণ-কাণ্ডে কলকাতায় ভবানীভবনে জরুরি বৈঠকে বসলেন রাজ্য পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল জি এম পি রেড্ডি-সহ পদস্হ কর্তারা৷‌ রবিবার৷‌ ছিলেন কলকাতা পুলিসের এস টি এফ এবং আই বি-র অফিসারেরা৷‌ দীর্ঘ বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব ব্যানার্জি বলেন, 'কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তদম্ত চালানো হচ্ছে৷‌ গঠন করা হয়েছে একটি টাস্ক ফোর্স৷‌ সি আই ডি, আই বি, জেলা পুলিস এবং কলকাতা পুলিস অফিসারেরা ওই দলে রয়েছেন৷‌ নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডি জি এবং ডি আই জি, সি আই ডি৷‌ ঘটনাস্হল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫৫ ইম্প্রোভাইস ডিভাইস, গ্রেনেড ও বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক৷‌ আর ডি এ' পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব৷‌ তিনি বলেন, সি আই ডি-র বোমা বিশেষ: দল উদ্ধার করেছে কেমিক্যাল, কয়েকটি মোবাইল এবং সিমকার্ড. ইন্টারনেট থেকে বোমা তৈরির কিছু নথিপত্র নিয়ে জোগাড় করেছিল অভিযুক্তেরা৷‌ যদিও তিনি আল-কায়দার যোগের সম্ভাবনা খারিজ করে বলেন, ঘটনাস্হল থেকে আল-কায়দার কোনও পোস্টার উদ্ধার হয়নি৷‌ এন আই এ-র সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷‌ তাদের সহযোগিতাও নেওয়া হচ্ছে৷‌ তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন৷‌ বলেন, তদম্ত চলছে৷‌ বেশি কিছু বলা যাবে না৷‌ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদম্ত শুরু হয়েছে৷‌ এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মৃত শাকিল আহমেদের স্ত্রী গুলসানা বিবি৷‌ আবদুল হাকিমের চিকিৎসা চলছে৷‌ তার স্ত্রী আমিনা বিবিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷‌ ধৃত দু'জনের ৯ দিনের পুলিসি হেফাজত হয়েছে৷‌ মৃত্যু হয়েছে সোবান মণ্ডল নামে আরেক সন্দেহভাজনের৷‌ অভিযুক্তেরা মহম্মদ হাসান চৌধুরি নামে প্রাক্তন সরকারি কর্মীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন৷‌



ইছামতীতে মিলল না দুই বাংলা

বসিরহাটে বিসর্জনে উত্তেজনা, বিক্ষোভ, অবরোধ, নামল র্যাফ





আজকালের খবরঃবিবর্ণ বিজয়া টাকিতে, বিতর্ক বসিরহাটে৷‌ পাশাপাশি দুই সীমাম্ত শহরে বিসর্জনের উৎসব ডুবল হতাশা, উত্তেজনায়৷‌ টাকিতে ইছামতীর বুকে মিলল না দুই বাংলা৷‌ অন্য দিকে বসিরহাট শহরে রাস্তায় প্রতিমা নামিয়ে চলল অবরোধ-বিক্ষোভ-ঘেরাও৷‌ আটকানো হল ট্রেনও৷‌ প্রশাসনের ফতোয়ার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তারা বসিরহাটকে কার্যত অচল করে দিলেন রবিবার৷‌ পুলিস প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করল বসিরহাটবাসী৷‌ বিজয়ার উৎসবে কালি ঢেলে দিল রাজনীতি৷‌ এবারে ক্লাব সমন্বয় কমিটির বৈঠকে বসিরহাটে বিসর্জনের দিন স্হির হয় শনিবার৷‌ বসিরহাটের বিজয়ার ঐতিহ্য হল ইছামতী নদীবক্ষে প্রতিমা নিয়ে নৌকা পরিক্রমা৷‌ তা দেখতে ঢল নামে বসিরহাটে৷‌ মেলা বসে যায়৷‌ কিন্তু শনিবার বিসর্জন করা হবে না বলে কিছু লোক বেঁকে বসে৷‌ জামরুলতলা ঘাটে পোস্টার পড়ে 'আজ বিজয়া হবে না'৷‌ পাশে বি জে পি-র পতাকা৷‌ নৌকা নিয়ে আসা মাঝিদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷‌ পুলিস ২ জনকে আটক করে৷‌ এর পরই শনিবার কয়েক হাজার লোক বসিরহাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়৷‌ বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল শনিবার কোনওমতে বিজয়া করা হবে না৷‌ রবিবার বিসর্জন হবে নদীতে৷‌ প্রশাসন কার্যত মেনে নেয় সেই দাবি৷‌ বসিরহাটের এস ডি পি ও-সহ পুলিস আধিকারিকরা জানিয়ে দেন, শনিবার প্রতিমা নিরঞ্জন করতে চাইলে বাধা দেওয়া যাবে না৷‌ পাশাপাশি রবিবার প্রতিমা বিসর্জনের দায়িত্ব ক্লাব কর্তৃপক্ষের৷‌ কিন্তু এদিন সকালে পুলিস জানিয়ে দেয় রবিবার কোনও প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে না৷‌ মণ্ডপে মণ্ডপে পুলিস মোতায়েন করা হয়৷‌ মহিলাদের প্রতিমা বরণ করতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷‌ এতে আগুনে ঘি পড়ে৷‌ বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তারা মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বার করে রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে দেয়৷‌ বরণডালা হাতে মহিলারা দাঁড়িয়ে যান রাস্তায়৷‌ টাকি রোড, ইটিন্ডা রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড, মার্টিন বার্ন রোড অবরুদ্ধ হয় সকাল থেকে৷‌ র্যাফ, পুলিস, কমব্যাট বাহিনী টহল শুরু করে৷‌ তাতে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার ভাস্কর মুখার্জি, এস ডি পি ও অভিজিৎ ব্যানার্জি৷‌ এদিন 'বিসর্জন করতে দেওয়া হবে না' পুলিসের এই অনড় মনোভাবে ক্ষোভ বাড়তে থাকে৷‌ ভ্যাবলা, ধোপাপাড়ার কাছে রেল অবরোধ হয়৷‌ রেল লাইনের ওপর প্রতিমা দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়৷‌ এই ঘটনায় পুলিস দিশেহারা হয়ে শেষ পর্যম্ত পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি মেনে ইছামতী নদীতে বিসর্জনের অনুমতি দেয়৷‌ তবে নৌকায় প্রতিমা তোলা হয়নি৷‌ অন্য দিকে টাকির বিজয়া ছিল ম্লান৷‌ চেষ্টা করেও দুই বাংলার মিলনোৎসবের ঐতিহ্য ধরে রাখা গেল না৷‌ টাকির ইছামতীতে বিজয়ার উৎসবে দুই বাংলা মিলে যায়৷‌ এই দৃশ্য দেখতে দূরদূরাম্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন টাকিতে৷‌ এপার বাংলা, ওপার বাংলা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়৷‌ গত ২০১১-তে প্রশাসনের ঢিলেমিতে ব্যাপক অনুপ্রবেশ ঘটে৷‌ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান যাদবপুরের গবেষক সুজয় দাস-সহ ২ জন৷‌ তার পর রাশ টানে প্রশাসন৷‌ গরিমা হারায় টাকির বিজয়া৷‌ এবারে চেষ্টা হয়েছিল যাতে আবার নিরাপত্তা বেষ্টনীতে দুই বাংলা আবার নদীবক্ষে এক হয়৷‌ কিন্তু তা হল না৷‌


আজকালের প্রতিবেদন: বর্ধমানে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে শাসকদল তৃণমূলের যোগ নিয়ে সরব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷‌ বামফ্রন্টের অভিযোগ, বিস্ফোরণে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম জড়িয়ে গেছে৷‌ যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার একতলায় স্হানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ছিল৷‌ বাড়ির মালিক-সহ স্হানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের যোগসাজশের ইঙ্গিত অত্যম্ত স্পষ্ট৷‌ বি জে পি অভিযোগ করেছে, তৃণমূল-শাসনে রাজ্য দেশবিরোধী শক্তি, জেহাদিদের স্বর্গ হয়ে উঠেছে৷‌ বামফ্রন্ট, বি জে পি দু'পক্ষই প্রশ্ন তুলেছে, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্হাকে কেন দেরিতে খবর দেওয়া হয়েছে? তদম্তে কেন বাধা দেওয়া হয়েছে? বৃহস্পতিবার বর্ধমানের খাগড়াগড় গ্রামের এক বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে৷‌ সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু বিস্ফোরক৷‌ পাওয়া গেছে জঙ্গি সংগঠনের কাগজপত্রও৷‌ এই বাড়ির মালিক তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত৷‌ সেই সূত্র ধরেই শাসক দলকে আক্রমণ করে বিরোধী বাম, বি জে পি৷‌ রবিবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু আশঙ্কা করেছেন, বর্ধমানের ঘটনা এ রাজ্যে আগামী দিনে আরও বড় বিপদের ইঙ্গিত বহন করছে৷‌ এদিন সি পি এম রাজ্য দপ্তরে বিমান বসু সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন, ওই বাড়ির একতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ছিল৷‌ বিস্ফোরণের পর তৃণমূল কংগ্রেসের সাইনবোর্ডটি দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়৷‌ এলাকার রিপোর্ট অনুযায়ী, বাড়ির মালিক-সহ স্হানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের যোগসাজশের ইঙ্গিত স্পষ্ট৷‌ জেলা পুলিস কোনও এক রহস্যজনক কারণে তদম্তের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷‌ জাতীয় নিরাপত্তা সংস্হা তদম্ত করতে এলে তাদের কাজেও জেলা পুলিস বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ৷‌ শাসকদল তথা পুলিস-প্রশাসন কার স্বার্থে এই তদম্তে বাধা সৃষ্টি করছে, তা রাজ্যবাসীর কাছে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন৷‌ তিনি বলেন, রাজ্য বামফ্রন্ট বারবার সতর্ক করেছে যে, সংখ্যাগুরু মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটলে এবং তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি হলে সংখ্যালঘু মৌলবাদী শক্তিও তৎপর হয়ে ওঠে৷‌ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে শাসকদলের চরম সুবিধাবাদী অবস্হানের জন্য উভয় মৌলবাদী শক্তিই তাদের স্বার্থসিদ্ধির অপচেষ্টায় রত৷‌ তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, এই ধরনের অপরাধীদের প্রকৃত পরিচয় উন্মোচন করা হোক৷‌ উপযুক্ত ব্যবস্হা নেওয়া হোক৷‌ উৎসবের দিনগুলিতে শাম্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা করার জন্য ধর্মনিরপেক্ষ, দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে সতর্ক থাকার আবেদন করছি৷‌ মৌলবাদী শক্তি যাতে কোনও বিপদ সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সমস্ত রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্হা গ্রহণ করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি৷‌ তাঁর সংযোজন, ঘটনাস্হল থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম এবং বোমা উদ্ধার করা হয়েছে৷‌ সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী ঘটনাস্হল থেকে মুসলিম মৌলবাদী নিষিদ্ধ সংগঠনের পোড়া হ্যান্ডবিল ও অন্যান্য কাগজপত্র পাওয়া গেছে৷‌ এই ঘটনাটি আমাদের রাজ্য তথা গোটা দেশের পক্ষে উদ্বেগজনক৷‌ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মম্তব্য করেন, নরম সাম্প্রদায়িকতার মোড়কে তৈরি তৃণমূল কংগ্রেসের মতাদর্শ৷‌ শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বি জে পি কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং৷‌ তাঁর বক্তব্য, খুব সহজেই এ কথা বলা যায় যে, মমতা ব্যানার্জির শাসনে এ রাজ্য দেশবিরোধী শক্তি, জেহাদিদের জন্য স্বর্গ হয়ে উঠেছে৷‌ জাতীয় নিরাপত্তা সংস্হাকে প্রায় একদিন পর খবর দেওয়া হল কেন? তাঁর অভিযোগ, বর্ধমান জেলার পুলিস ঘটনাস্হল থেকে পাওয়া নমুনাগুলি জাতীয় নিরাপত্তা সংস্হাকে হস্তাম্তর করেনি৷‌ উল্টে সেগুলি নষ্ট করে দিচ্ছে! তাঁর প্রশ্ন, তৃণমূল কি অস্বীকার করতে পারবে ওই বাড়ির প্রথম তলে তাদের অফিস ছিল না? বি জে পি দাবি তুলেছে, নিহতদের সঙ্গে সরকারের কী সম্পর্ক, সেটা খোলসা করুক৷‌ কেন নমুনা নষ্ট করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করুক৷‌ এদিন বি জে পি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বামনগাছির এক সভায় মম্তব্য করেন, সারদার পাশাপাশি নাশকতায় নাম জড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের৷‌ তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে দুষ্কৃতী ধরা পড়ছে!


আজকালের প্রতিবেদন: প্রতিবছরের মতো এবারও পুরস্কৃত করা হল কলকাতার নজরকাড়া মণ্ডপগুলোকে৷‌ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু হওয়া বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান-এর ফল ঘোষণা হয়েছে পুজোর মধ্যে৷‌ সেরার সেরা বিভাগে প্রথম স্হান পেয়েছে কলকাতার ৬ নজরকাড়া পুজো৷‌ এই ৬টি পুজো হল চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সঙঘ, ভবানীপুর ৭৫ পল্লী, রাজডাঙা নবউদয় সঙঘ, নাকতলা উদয়ন সঙঘ ও ঢাকুরিয়া সার্বজনীন (বাবুবাগান)৷‌ এই বিভাগে দ্বিতীয় স্হানে রয়েছে হরিদেবপুরের বিবেকানন্দ পার্ক অ্যাথেলেটিক ও টালা বারোয়ারি৷‌ তৃতীয় হয়েছে চক্রবেড়িয়া সার্বজনীন৷‌ বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে সেরা মণ্ডপ বিভাগে প্রথম হয়েছে ত্রিধারা সম্মিলনী ও বিধাননগর এফ ডি ব্লক৷‌ দ্বিতীয় হয়েছে মুদিয়ালি ক্লাব আর যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে উল্টোডাঙা সংগ্রামী ও বেহালা নতুন দল৷‌ সেরা প্রতিমা বিভাগে প্রথম হয়েছে সেলিমপুর পল্লী ও হাতিবাগান সার্বজনীন৷‌ দ্বিতীয় হয়েছে বড়িশা উদয়ন পল্লী, ২৫ পল্লী ও কাঁকুড়গাছি মিতালি৷‌ তৃতীয় স্হানে এসেছে বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সঙঘ, শিকদারবাগান ও বোসপুকুর তালবাগান৷‌ সেরা আলোকসজ্জা বিভাগে প্রথম স্হান পেয়েছে সম্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক৷‌ এই বিভাগে দ্বিতীয় স্হানে আছে বেহালা মুকুল সঙঘ ও সিমলা স্পোর্টিং৷‌ তৃতীয় স্হান পেয়েছে কলেজ স্কোয়্যার সার্বজনীন ও বেহালা আদর্শ পল্লী৷‌ সেরা ভাবনা বিভাগে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে অ্যাভিনিউ সাউথ পল্লীমঙ্গল সমিতি ও কালীঘাট মিলন সঙঘ৷‌ দ্বিতীয় হয়েছে আদি বালিগঞ্জ ও সঙঘশ্রী৷‌ তৃতীয় স্হানে আছে রূপচাঁদ মুখার্জি লেন ও আলাপি৷‌ সেরা পরিবেশ বান্ধব বিভাগে প্রথম হয়েছে বাগবাজার সার্বজনীন৷‌ ওই বিভাগে দ্বিতীয় বড়িশা যুবকবৃন্দ আর তৃতীয় হয়েছে সাতপুকুর সার্বজনীন (দমদম) ও বিবেকানন্দ পার্ক স্পোর্টিং৷‌ সেরা শিল্পী বিভাগে প্রথম স্হানে আছে অজেয় সংহতি ও ৯৫ পল্লী৷‌ দ্বিতীয় হয়েছে বেলতলা রোড, শক্তি সঙঘ ও তেলেঙ্গা বাগান৷‌ তৃতীয় হয়েছে বকুলবাগান সার্বজনীন৷‌ সেরা আবিষ্কার বিভাগে প্রথম হয়েছে আলিপুর সার্বজনীন৷‌ ওই বিভাগে দ্বিতীয় স্হানে আছে নলিন সরকার স্ট্রিট ও ২৫ পল্লী৷‌ তৃতীয় হয়েছে ভবানীপুর মুক্তদল, বিবেকানন্দ ইয়ুথ ক্লাব ও কোলাহল গোষ্ঠী৷‌ সেরা আবহ বিভাগে প্রথম হয়েছে সমাজসেবী, দ্বিতীয় ৬৬ পল্লী ও তৃতীয় শিবমন্দির৷‌ সেরা ব্রান্ডিং বিভাগে প্রথম হয়েছে বোসপুকুর শীতলা মন্দির, দ্বিতীয় হয়েছে বড়িশা ক্লাব আর তৃতীয় হয়েছে সম্তোষপুর লেকপল্লী ও হিন্দুস্তান পার্ক সার্বজনীন৷‌ সেরা ঢাকেশ্রী বিভাগে প্রথম হয়েছে ৪১ পল্লী৷‌ দ্বিতীয় হয়েছে ডায়মন্ডপার্ক আর যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে বাদামতলা আষাঢ় সঙঘ ও যুবমৈত্রী৷‌ এ বছর দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন স্হানের পুজো উদ্যোক্তাদেরও বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান দেওয়া হবে৷‌ আগামী ৭ নভেম্বর নজরুল মঞ্চে এই পুরস্কার তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷‌ ওই অনুষ্ঠানে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে কলকাতাশ্রী পুরস্কারও দেওয়া হবে৷‌ এ বছর কলকাতার প্রায় ৭২টি দুর্গা পুজো কমিটি কলকাতাশ্রী পুরস্কার পাবে৷‌ ২০১৪ সালে এশিয়ান পেইন্টের শ্রেষ্ঠ পুজো পুরস্কার পেয়েছে সুরুচি সঙঘ, বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সঙঘ ও কাঁকুড়গাছি যুবক বৃন্দ৷‌ অবসরের দুর্গামূর্তি গড়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিমা শিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন গৌরাঙ্গ কুইলা৷‌ বছরের বিস্ময় পুরস্কার পেয়েছে রানীকুঠির নেতাজি জাতীয় সেবাদল৷‌ নতুন প্রতিমা শিল্পীদের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া শ্রেষ্ঠ প্রতিমা শিল্পী বছরের বিস্ময় পুরস্কারটি পেয়েছেন নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিটের পুজোর প্রতিমা শিল্পী কাঞ্চি পাল৷‌ ছাত্রদের বিচারে এম পি বিড়লা ফাউন্ডেশন পুজো উৎকর্ষ সম্মান ঘোষিত হয়েছে৷‌ সেরা প্রতিমা নির্বাচিত হয়েছে কৃষ্ণচন্দ্র পালের গড়া ভবানীপুর স্বাধীন সঙেঘর দুর্গা৷‌ সেরা মণ্ডপ পুরস্কার পেয়েছে বিধাননগরের এ ই পার্ট-১ ব্লকের পুজো৷‌ সেরা পরিবেশ দমদম পার্ক ভারতচক্র৷‌ এ ছাড়া এভেনিউ সাউথ পল্লীমঙ্গল সমিতির প্রতিমা, হরিদেবপুর আদর্শ সমিতির মণ্ডপ আর বেহালা বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সঙঘ পরিবেশের জন্য শংসাপত্র পেয়েছে৷‌ এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্হা ও সংগঠনের তরফ থেকে পুরস্কৃত করা হয়েছে নজরকাড়া মণ্ডপগুলোকে৷‌

হাওলার মাধ্যমে সারদার বিপুল টাকা বিদেশে?

ধারণা এনফোর্সমেন্টের, তদন্ত করতে চাইলেও আপত্তি পুলিসের

নিজস্ব প্রতিনিধি

কলকাতা, ১৪ই মে— ভুয়ো পলিসির মাধ্যমেই কোটি টাকা তুলেছে সারদা। কিন্তু আমানতকারীদের কষ্টার্জিত বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় গেলো? তদন্তের প্রাথমিক পর্বেই সেই ধাঁধার মুখোমুখি হয়েছিল পুলিস। সারদার যে ২৯৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে, তাতে মাত্র একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা ছাড়া বাকি অ্যাকাউন্টগুলিতে কার্যত টাকাই নেই। তাহলে কোথায় গেলো সারদার এই বিপুল পরিমাণ টাকা?


এখানেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ই ডি) সন্দেহ, হাওলার মাধ্যমে এই টাকা সম্ভবত চলে গেছে বিদেশে, মূলত আরব দেশগুলিতে। আর সেখানেই বিধাননগর কমিশনারেটের তদন্তের সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথম দফায় ১৪দিন ও দ্বিতীয় দফায় ৫দিন পুলিসী হেফাজতে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখার্জিকে জেরা করার সুযোগ পেলেও এখন পর্যন্ত সারদার মাথা ঘোরানো সম্পত্তি, বিপুল পরিমাণ টাকার সম্পূর্ণ হদিস পাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত স্ট্যাটাস রিপোর্ট পাওয়ার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকেও কোনো 'সুযোগ' নিয়ে উঠতে পারেনি বিধাননগর কমিশনারেট। 'মানি রুট'-এর তদন্তে আমানতকারীদের বিপুল পরিমাণ টাকার গন্তব্য কোথায়, এই গুরুতর প্রশ্নকে ব্যাকসিটে রেখেই বিধাননগর কমিশনারেট তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সারদা কাণ্ডকে পর্যবেক্ষণে রেখে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করতে চেয়েছে।


ই ডি'র দৃঢ় ধারণা, 'পাওয়ার লবি'র মদতেই সুদীপ্ত সেন বিপুল পরিমাণ টাকা দেশ থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। শুধু চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির বিষয় নয় এটি, প্রভাবশালী মহলের একাংশের মদতে এদেশের টাকা চলে গেছে বিদেশের মাটিতে। বিদেশী মুদ্রা পরিচালনা আইন এবং অর্থ নয়ছয় প্রতিরোধ আইনের আওতাতেই এই ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। অবশ্য পরিকাঠামোর দিক থেকে বিধাননগর কমিশনারেট এত বড় বিষয়ে সার্বিক তদন্ত করতে পারে বলেই মনে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।


কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার সারদা কাণ্ডে কোনো রকমের ঝুঁকি নিতে চাইছে না। এই কারণে ই ডি'র তরফে আবেদন জানানো হলেও বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে তদন্তের নথিপত্র তাদের দেখতে দেওয়া হয়নি। এক তদন্তকারী আধিকারিকের কথায়, 'এখনও পর্যন্ত আমরা সঠিক পথেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, অসুবিধা হচ্ছে না, ফলে এই সব প্রশ্নেরও কোনো মানে নেই।' স্পষ্টতই রাজ্য সরকারের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে সরাসরি অসহযোগিতায় নেমেছে বিধাননগর কমিশনারেট। এর আগে দিল্লি থেকে সারদা কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি দেখতে কলকাতায় পৌঁছেছেন সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিসের (এস এফ আই ও) চার আধিকারিক। তাঁরা সারদা কাণ্ডের তদন্তকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। সেক্ষেত্রেও তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ নথি আদালতের নির্দেশ ছাড়া দিতে অস্বীকার করেছে বিধাননগর কমিশনারেট।


এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মনে করছে, সারদা কাণ্ডের তদন্তের ফলাফল গোটা দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, একটি সংস্থা সরাসরি রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সমাজের প্রভাবশালী অংশকে কার্যত টাকার বিনিময়ে প্রভাবিত করে জালিয়াতি, টাকা নয়ছয় এমনকী বিদেশের মাটিতে টাকা পাচারের মতো কাজ চালিয়ে এসেছে। তবু বিধাননগর কমিশনারেট কার্যত তদন্তের পরিধিকে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডীর মধ্যে আটকে রেখেছে, সারদার কিছু স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির হদিস ছাড়া এত বড় আর্থিক জালিয়াতির তদন্তে অগ্রগতিও ঘটাতে পারেনি।


বরং তদন্তের দ্বিতীয় পর্বে এসে সুদীপ্ত সেনের আবেদন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাড়তি তৎপরতা দেখাচ্ছে বিধাননগর কমিশনারেট। গত ৯ই মে বিধাননগর মহকুমা আদালতে এ সি জে এমের এজলাসে শুনানি চলাকালীন সুদীপ্ত সেনের আইনজীবী বলেছিলেন, সুদীপ্ত সেনকে পুলিসী নজরদারিতেই অফিস চালাতে সুযোগ দেওয়া হোক, যাতে তিনি আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারেন। একই সঙ্গে ওই আইনজীবী দাবি করেছিলেন, সুদীপ্ত সেনের অন্তত একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হোক। কারণ, যেসব সংস্থায় লগ্নি করেছিলেন সুদীপ্ত সেন, সেখান থেকে টাকা পাওয়ার কথা তাঁর। সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার ফলে যাঁরা সুদীপ্ত সেনকে টাকা দিতে পারেন, তাঁরা কোথায় টাকা জমা দেবেন, বুঝতে পারছেন না। এই আবেদনের পরেই এদিন বিধাননগর কমিশনারেটর তরফে আদালতকে জানানো হয়, এতে তাদের আপত্তি নেই। সারদায় সেনের ছ'টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফের চালু করা হোক। তবে প্রতিটির ক্ষেত্রে ডেবিট ট্রানজাকশন অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা বন্ধ রাখা হবে। জানা গেছে, সল্টলেকে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের পাঁচটি শাখায় অ্যকাউন্ট এবং বেহালায় ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের একটি শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলেও দেওয়া হয়েছে।


এদিকে এদিনই প্রথম সুদীপ্ত সেনকে সঙ্গে নিয়ে সল্টলেকের এফ ডি ব্লকে তাঁর একটি বাড়িতে এবং সেক্টর ফাইভে মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিস। বাড়িতে এবং অফিসে বেশ কিছু আমানতকারী এবং জমি সংক্রান্ত নথির হদিস মিলেছে বলে জানা গেছে। এর আগে মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে দেবযানী মুখার্জিকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিস। জানা গেছে, জেল হেফাজতে থাকাকালীন মাঝেমাঝেই বুকে ব্যথা অনুভব করছেন সুদীপ্ত সেন। ডাক্তার দেখানো হয়েছে।

- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=40630#sthash.EgVdR75V.dpuf

সারদার টাকায় ব্যবসা সিঙ্গাপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধি

কলকাতা, ৫ই অক্টোবর- সারদা কাণ্ডে সিঙ্গাপুর যোগ!


শারদোৎসবের আগেই শিল্পের সন্ধানে বিরাট প্রতিনিধিদল নিয়ে সিঙ্গাপুর সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরে এরাজ্যে কত বিনিয়োগ এসেছে তা এখন রীতিমত গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শারদোৎসব চলাকালীন সেই সিঙ্গাপুরেই এবার সারদার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তির হদিশ পেলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সি বি আই। এরাজ্যে শাসকদলের এক প্রভাবশালীর যোগও মিলেছে সিঙ্গাপুরে সারদার টাকা পাচারের কারবারে।


সারদায় লগ্নি করা আমানতকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথায় গেলো? এস এফ আই ও, ইডি'র মত কেন্দ্রীয় সংস্থার পাশাপাশি সেই তদন্ত চালাচ্ছে সি বি আই। আর, সেই তদন্তেই এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে রীতিমত চাঞ্চল্যকর তথ্য। সারদার আমানতকারীদের জমা হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা অত্যন্ত সুকৌশলে বিদেশে পাচার হয়েছে। হাওলার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে এদেশ থেকে। ইতোমধ্যে এস এফ আই ও'র রিপোর্টে সেবিষয়ে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কীভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে সে বিষয়ে ইতোমধ্যে ইডি'র রিপোর্ট তৈরি করেছে। এর মধ্যেই সি বি আই'র হাতে এসেছে সারদা কাণ্ডে এযাবৎকালের অন্যতম চাঞ্চল্যকর তথ্য।


সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে গোটা প্রক্রিয়া চালিয়েছিল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সিঙ্গাপুরবাসী এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কলকাতার একটি মহলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। শাসকদলের সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে। এই ব্যক্তিকেই সুদীপ্ত সেন ব্যবহার করেছিলেন সিঙ্গাপুরে টাকা পাচারের জন্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, মূলত দুটি পদ্ধতিতে টাকা সরানোর হতো। ঐ দেশে বিভিন্ন ট্রাস্টি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় টাকা ঢালা হতো যা আসলে ঐ টাকাকে সুরক্ষিত রাখতো। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো, ঐ দেশে হোটেল এবং পরিবহন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা। সি বি আই আধিকারিকরা সেখানে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলেন। সারদার টাকায় এরকম হোটেল সহ একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।


সি বি আই'র তদন্তকারী আধিকারিকরা সেই সূত্রেই তদন্তের শিকড় পর্যন্ত পৌছাতে গিয়ে খোঁজ পেয়েছেন আরও চমকে ওঠার মতো তথ্যের। সিঙ্গাপুরে প্রায় ৩০-৩৫টি ট্রাস্টির হদিশ পেয়েছেন সি বি আই'র আধিকারিকরা। বিপুল পরিমাণ টাকা সেখানে সরানো হয়েছে। তার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেও টাকা পাচার করা হতো। সেই সূত্রেই এরাজ্যের এক প্রভাবশালী শাসকদলের নেতার নাম উঠে এসেছে। সেই সংক্রান্ত কিক্ষছু কাগজপত্রও হাতে এসেছে সি বি আই'র। শাসকদলের ঐ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে সারদা কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ বারংবার উঠছে। সি বি আই'র হাতেও এসেছে একাধিক তথ্য প্রমাণ। যদিও এখনও পর্যন্ত ঐ প্রভাবশালী নেতাকে জেরার জন্য তলব করেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।


এদিকে শারদোৎসবের মাঝেই ফের বিধাননগর কমিশনারেটে হাজিরা দিতে গিয়ে সারদা কাণ্ডে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে নতুন দল গড়া ব্যবসায়ী আসিফ খান। এই প্রথম সারদা কাণ্ডে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের নাম প্রকাশ্যে এলো। আনলেন একদা মুকুল ঘনিষ্ঠ ঐ প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আসিফ খান। সাংবাদিকদের কাছে আসিফ খান বলেন, গত বছরের ১৫ই এপ্রিল কলম পত্রিকার অফিসে সারদার পত্রিকাগুলি বাঁচাতে যে বৈঠক হয়েছিল তাতে মুকুল রায়, রজত মজুমদারের পাশাপাশি শুভ্রাংশু রায়ও উপস্থিত ছিলেন। আসিফ খানের কথায়, সি বি আই তদন্ত করে দেখুক সারদার পত্রিকা বাঁচাতে কেন শুভ্রাংশু রায় ঐ বৈঠকে হাজির ছিলেন। ২০১৩ সালের ১৫ই এপ্রিলের ঐ বৈঠকের বিস্তারিত বিবরণ ইতোমধ্যে সি বি আই'র হাতে এসেছে। যে সময়ে ঐ বৈঠক হয়েছিল তখন সারদা কাণ্ডের জেরে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ চলছিল। সুদীপ্ত সেন তখন পলাতক। সেই সময়েই সুদীপ্ত সেনের অনুপস্থিতিতে তাঁর কাগজ কীভাবে চালানো হবে সেই সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছিল মুকুল রায়ের নেতৃত্বে। সেই বৈঠকে তাঁর পুত্রের উপস্থিতির কারণ এবার জানতে চাইছেন সি বি আই'র তদন্তকারী আধিকারিকরা।


এই সূত্র ধরে ফের গত বছরের ৫ই এপ্রিল নিজাম প্যালেসের বৈঠকের বিষয়টি উঠে এসেছে সি বি আই'র তদন্তে। এ যে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। ৫ই এপ্রিলের বৈঠকের বিস্তারিত হাতে এলেও তার পরবর্তীতে একটি ঘটনার কথা সদ্য জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার সেই ৫ই এপ্রিলের মিটিংয়ের তদন্তে নেমে সি বি আই হদিশ পেলো বিপুল পরিমাণ টাকার। এবিষয়ে রীতিমত আঁটঘাট বেধেই এগোচ্ছে সি বি আই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, সেদিন অর্থাৎ ২০১৩ সালের ৫ই এপ্রিল সুদীপ্ত সেন নিজাম প্যালেসে গাড়ি নিয়ে আসে। তার পিছনেই আরও একটি গাড়ি ছিল। সেই গাড়িতে স্যামসোনাইটের আটটি প্যাকেট ছিল। তাতে নগদ টাকা ছিল বলে জানতে পেরেছে সি বি আই। টাকার পরিমাণ প্রায় দুশো কোটি। গাড়িটি নিজাম প্যালেসে ডি ব্লকে অপেক্ষা করছিল। মিটিং শেষ হওয়ার পর একে একে সবাই বেরোনোর পরে গাড়িটিও বেরিয়ে যায়। সোজা উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাকপুর মহকুমার একটি জায়গায় যায় গাড়িটি, পরে সেখান থেকে টাকার ভাগ বাঁটোয়ারা হয়। শাসকদলের মাধ্যমে সেই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা সারদা কিছু কাগজ, চ্যানেলের জন্য দেওয়া হয়েছিল বলেই জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতোমধ্যে ঐ ভাড়া গাড়ির হদিশ মিলেছে। কোন্‌ ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ঐ গাড়ি গেছে তাও জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।


৫ই এপ্রিল নিজাম প্যালেসে মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে সুদীপ্ত সেনের ঐ বৈঠকের কথা ইতোমধ্যে কুণাল ঘোষ, সারদা কর্তার গাড়ি চালক অরবিন্দ চৌহান এবং আসিফ খান প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন। কুণাল ঘোষ সি বি আই'র কাছে দেওয়া লিখিত বয়ানে তার উল্লেখ করেছিলেন,' বিপদ দেখে যখন সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছি, সি এম কে বলেছি, তখন মুকুল রায় নিজাম প্যালেসে বৈঠক ডাকলো।(৫ই এপ্রিল,২০১৩??)সুদীপ্ত এলেন। পুরোটাই অস্বাভাবিক। রজত মজুমদারকে রেখেছিল মুকুল। আমি,সোমনাথ ছিলাম।অত গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি। কোনও আলোচনা হলো না। সুদীপ্ত বললেন, দেরি হয়ে গেলো,আমি যাই। মুকুল বলল, ঠিক আছে। রজতদা কাল আপনার সঙ্গে এ গিয়ে কথা বলে নেবে'। সারদা কাণ্ডে জামিনে মুক্ত হওয়ার পরে অরবিন্দ চৌহান সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন, '২০১৩ সালের ৫ই এপ্রিল মিডল্যান্ড পার্ক অফিস থেকে আমি নিজেই গাড়ি চালিয়ে সুদীপ্ত সেনকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাই।সেখানে মুকুল রায়কে নিজে দেখেছি'। ঐ বৈঠকের পরেই সুদীপ্ত সেন পালিয়ে যায় বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।


এদিকে রবিবার সি বি আই সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল কর্মী চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নকে জেরার জন্য তলব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে কিংবা তাঁর কোন প্রতিনিধিকে সি বি আই দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ টাকায় সারদা কর্তাকে একটি চ্যানেল বিক্রি করা হয়। তাঁর সংস্থা দেবকৃপা ব্যাপার লিমিটেডের আর্থিক লেনদেন হিসাব ও অডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে চাইছে সি বি আই।


এরই পাশাপাশি রাজ্যের বস্ত্র মন্ত্রী শ্যামপাদ মুখার্জিকেও এবার নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্য তলব করেছে সি বি আই। আগামী বুধবারের মধ্যে তাঁর সেই সিমেন্ট কারখানা যা বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে সারদার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বাকুঁড়ার বড়জোড়ায় যে ১৫বিঘা জমিতে ঐ সিমেন্ট কারখানা করেছিলেন বস্ত্রমন্ত্রী তাতে প্রায় সাত বিঘা বনাঞ্চলের জমিও রয়েছে। ইডি'র পরে এবার সি বি আই রাজ্যের বস্ত্রমন্ত্রীর কাছে সেই কারখানা ও জমি সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়ে পাঠালো।




শাসকদলের নেতার সিঙ্গাপুর যোগ নিয়ে নিশ্চিত হয়েছে সি বি আই


নিজাম প্যালেসের বৈঠকে মুকুল-পুত্র ছিলেন, দাবি আসিফের


নগদ টাকা চালানের গাড়িও চিহ্নিত


সি বি আই'র তলব এবার শুভাপ্রসন্নকে, চাওয়া হলো বস্ত্রমন্ত্রীর কারখানার নথিও

- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=60668#sthash.jlpBWX3y.dpuf

সারদার টাকা সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর মাধ্যমে আবাসন খাতে!অন্যান্য, সাক্ষাৎকার

আইএনবি নিউজ টোয়েন্টিফোর.কম

Top 2

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৪

কলকাতা :: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সারদা কেলেঙ্কারির টাকা বাংলাদেশের সরকারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতকে দেয়ার খবরের পর এবার সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর মাধ্যমে আবাসন খাতে বিনিয়োগের তথ্য উঠে এসেছে।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তদন্তে নেমে তথ্য পেয়েছে, সারদা গ্রুপের প্রধান সুদীপ্ত সেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বেশ কয়েকবার ঢাকায় এসেছেন এবং ওই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ঢাকার আবাসন খাতে বিনিয়োগ করেছেন। এখনো সে বিনিয়োগ রয়েছে। তবে কে সেই সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এবং কত টাকা বিনিয়োগ রয়েছে তা বের করার চেষ্টা করছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

বৃহস্পতিবার কলকাতার দৈনিক বর্তমান পত্রিকায় এ খবর দিয়েছে।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদিকে জামায়াতকে অর্থ সাহায্য দেয়ার মাধ্যমে নিজের টাকা বিদেশে পাঠানো, অন্যদিকে নিজের বাংলাদেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে কোনো বাধা না আসে সেজন্য শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সারদা কর্তা এই কৌশল নিয়েছিলেন বলে মনে করছেন সিবিআই কর্মকর্তারা।

গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআাইয়ের বরাত দিয়ে বর্তমানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালের মাঝামাঝি বাংলাদেশে আসেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সে সময় সরকারঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে সারদা কর্তা জানান, আবাসন ব্যবসায় তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশে আবাসন ব্যবসা করতে চান তিনি। সরকারঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ী সারদা কর্মকর্তাকে জানান, এ বিষয়ে তিনি তাকে সব রকমের সাহায্য করবেন এবং সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যেতে এই প্রকল্পে যেতে তার কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে সাহায্য করবেন বলে সুদীপ্তের কাছে থেকে তিনি কয়েক লাখ টাকা নেন বলে অভিযোগ। কীভাবে এ প্রকল্প গড়ে তোলা হবে,তা নিয়ে আলোচনা করতে এরপর সুদীপ্ত তার ঘনিষ্ঠদের নিয়ে কয়েকদিন পরেই বাংলাদেশে আসেন। এ বিষয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলোচনাও হয়।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সুদীপ্তের এই প্রস্তাব নিয়ে গেলে শেখ হাসিনা সরকার জানিয়ে দেয় বেসরকারি কোনো সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোনো প্রকল্প করবে না।

তদন্তকারী এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলেছে, এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়া সুদীপ্ত সেন ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগ করে। এখনো সে বিনিয়োগ রয়েছে। এই বিনিয়োগের টাকা কোন ব্যবসায়ীর কাছে আছে তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। পাশাপাশি টাকার অংকও বের করার চেষ্টা চলছে।

সম্পাদনায় / নূরে আলম জীবন

- See more at: http://inbnews24.com/inb-news-19924.php#sthash.RUl4jb1r.dpuf

সারদার সফটওয়্যার আবিষ্কার করবেন সিবিআইয়ের সাইবার বিশেষজ্ঞরা

সারদার সফটওয়্যার আবিষ্কার করবেন সিবিআইয়ের সাইবার বিশেষজ্ঞরা

ঢাকা, ২৪ জুন, এবিনিউজ : ভারতে সারদার কাণ্ডের তদন্তভার হাতে পেয়েই সুপরিকল্পিত পথে এগোচ্ছে সিবিআই। ধীরে ধীরে তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে সিবিআই। তদন্তে জানা গেছে সারদায় আমানতের টাকা একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে লেনদেন করা হত। ওই সফটওয়্যারই হিসেব রাখত কে কত টাকা রাখছেন বা কত টাকা তুলছেন। আমানত সংগ্রহে ব্যবহত সেই সফটওয়্যার নির্মাতা সংস্থাকেই এবার ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই। আজ মঙ্গলবার সিবিআই সূত্রে এমন খবর পাওয়া গেছে।

সূত্রের খবর, সারদা গোষ্ঠী যে সফটওয়্যার ব্যবহার করত, তার সার্ভার বিদেশে থেকে পরিচালিত হয়। সারদা সংস্থার ওয়েবসাইটটিও এখনও বহাল রয়েছে। সারদা কর্তা পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন জানা গেছে সারদার টাকা লেনদেন সফটওয়্যারটির সার্ভার বিদেশে রাখার পেছনে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল। কোনও কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়লে যাতে পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থা সার্ভারের টিকি না পায় তাই বিদেশ থেকে সার্ভারটি পরিচালিত হত। সেই সফটওয়্যার থেকেই আমানতকারীদের দেয়া হত রশিদ। সিবিআইয়ের অভিযোগ, এ সফটওয়্যারে মধ্যে রয়েছে আমানতকারীদের দেউলিয়া হবার রহস্য।

কারণ সিবিআই সূত্রে খবর, এ সফটওয়্যারে বেশ কিছু অসংগতি ধরা পরেছে। কারা কখন এর সার্ভারে লগ ইন করেছেন তা জানা যাচ্ছে না। যেমন জানা যাচ্ছে না ঠিক কত টাকা তোলা বা রাখা হয়েছে। সারদার তৈরি অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের সাহায্যেই আমানতকারীর টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। এ সফটওয়্যারের হদিশ পুলিশ পেলেও সফটওয়্যারে কারচুপি কার পরিকল্পনা, তা জানতে পারেনি রাজ্য পুলিশের কর্তারা।

অন্যদিকে সিবিআই সুদীপ্ত সেনকে কয়েকদফা জেরা করে সারদা গোষ্ঠীর কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় কর্মচারীর নাম জানতে পরেছে। দুজন বাঙালি এই সফটওয়্যারটি পরিচালনা করতেন। যাদের মধ্যে একজন বাঙালি যিনি সারদারই কর্মী। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে সারদার সব কম্পিউটার।


এবিএন/মঙ্গল-২য়/শুভদীপ বকসী/মুসতাফিজ/ফাতেমা

24 ঘন্টার খবরঃ

বর্ধমান কাণ্ড: আবু কালাম ও কওসরের খোঁজ করছে পুলিস

বর্ধমান কাণ্ড: আবু কালাম ও কওসরের খোঁজ করছে পুলিস

বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে এবার রহস্যময় তিন ব্যক্তির খোঁজে তল্লাসি শুরু করল পুলিস। তার মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। একজন মঙ্গলকোটের বাসিন্দা আবুল কালাম। অন্যজন কওসর। ধৃত রাজিয়া বিবি ও আমিনা বিবিকে জেরা করে এঁদের দুজনের নাম জানতে পেরেছে সিআইডি। দুজনেরই যাতায়াত ছিল খাগড়াগড়ের ভাড়াবাড়িতে।

বর্ধমান কাণ্ড: বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠী না সিমি? কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থা-রাজ্যের রিপোর্টের ফারাকে বাড়ছে রহস্য  বর্ধমান কাণ্ড: বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠী না সিমি? কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থা-রাজ্যের রিপোর্টের ফারাকে বাড়ছে রহস্য

বর্ধমান বিস্ফোরণের পিছনে কারা? এ নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও রাজ্যের রিপোর্টে বিস্তর ফারাক। বিস্ফোরণের জন্য বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠীকেই দায়ী করেছেন রাজ্য সরকার। বাংলাদেশের যোগের উল্লেখ NIA -রিপোর্টেও রয়েছে। কিন্তু, তাঁরা আরও বেশি জোর দিয়েছে সিমির ওপর। সিমি প্রশ্নে আবার রাজ্যের রিপোর্ট নীরব। বর্ধমান বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্যের রিপোর্টে বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠীর দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে অভিযুক্তেরা সকলেই বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন সংক্ষেপে JMB-র সদস্য। এবং সেই যোগসূত্রের মূলে রয়েছেন নিহত শাকিল গাজি। রিপোর্টে উল্লেখ,

বর্ধমান কাণ্ড: তল্লাসিতে আল জেহাদের গানের টেপ, আল কায়দার প্রশিক্ষণ ভিডিও, কোনদিকে জঙ্গীযোগের ইঙ্গিত? বর্ধমান কাণ্ড: তল্লাসিতে আল জেহাদের গানের টেপ, আল কায়দার প্রশিক্ষণ ভিডিও, কোনদিকে জঙ্গীযোগের ইঙ্গিত?

বর্ধমান বিস্ফোরণে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। খাগড়াগড়ের ভাড়াবাড়িতে বড়সড় নাশকতার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল বলেই সন্দেহ তদন্তকারীদের। যদিও তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও এনআইএ-কে অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। রাজ্যবাসী যখন উত্‍সবে মজে তখন বর্ধমানের এক ভাড়াবাড়িতে তৈরি হচ্ছিল মৃত্যুবাণ।

অন্য দেশে নাশকতা চালাতে ব্যবহৃত হত খাগড়াগড়ের কারখানা, সরকারের রিপোর্টে নতুন বিতর্ক অন্য দেশে নাশকতা চালাতে ব্যবহৃত হত খাগড়াগড়ের কারখানা, সরকারের রিপোর্টে নতুন বিতর্ক

বর্ধমান-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তৈরি করেছে আরেক বিতর্ক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, খাগড়াগড়ের অস্ত্র কারখানা ভারত-বিরোধী কাজে ব্যবহার করা হতো না। বাংলাদেশে নাশকতা চালানোই উদ্দেশ্য ছিল বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। অন্য দেশে নাশকতা চালাতে আমার দেশের মাটি ব্যবহার করা হতো - এই ধরনের রিপোর্ট আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের  অবস্থান দুর্বল করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দিঘা- মেচেদা জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাদিঘা- মেচেদা জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা

দিঘা- মেচেদা জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাস-মারুতির মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হল দুজনের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় আহত সাত। আজ সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে। দিঘা-মেচেদা জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলন্ত বাসে ধাক্কা মারে মারুতি।

বর্ধমান বিস্ফোরণ- সিমির দিকে সন্দেহের তির জোরালো হচ্ছেবর্ধমান বিস্ফোরণ- সিমির দিকে সন্দেহের তির জোরালো হচ্ছে

ক্রমশই নিষিদ্ধ সংগঠন সিমির দিকে সন্দেহের তির জোরালো হচ্ছে। বিস্ফোরণে মৃত সাকিল গাজি সম্পর্কেও বেশকিছু অজানা তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

খাগড়াগড়ের সেই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেডখাগড়াগড়ের সেই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেড

বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। তেমনই না ফাটা কিছু হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে ওই বাড়ি থেকে। সেগুলি, দামোদরের চরে নিয়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করে পুলিস। কিন্তু, কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দলকে না জানিয়ে কেন গ্রেনেডগুলি নিষ্ক্রিয় করা হল, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। হ্যান্ড গ্রেনেড ছাড়াও ওই বাড়িতে মিলেছে, আল কায়দার গানের টেপ, প্রশিক্ষণের ভিডিও। মিলেছে একই ব্যক্তির একাধিক ভোটার কার্ড। উদ্ধার হয়েছে কেমিস্ট্রির বই এবং বিস্ফোরক। সমস্ত তথ্য এবং প্রমাণ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, রাজ্যে বড়সড় নাশকতার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল খাগড়াগড়ের ওই বাড়িতে।

বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগের ইঙ্গিত, গ্রেফতার ২ মহিলাবর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগের ইঙ্গিত, গ্রেফতার ২ মহিলা

বর্ধমানের খাগড়াগড়কাণ্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগের ইঙ্গিত পেলেন গোয়েন্দারা। খাগড়াগড় বিস্ফোরণে মৃত শাকিল গাজির স্ত্রী রাজেরা বিবিকে জেরার সুবাদেই এই সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। জানা গেছে, শাকিল গত সাতবছর ধরে নদিয়ার করিমপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকত। কিন্তু সে আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। বিস্ফোরণকাণ্ডে সিমি-র যোগাযোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তদন্তকারীরা। এই সূত্রে উঠে আসছে সিমি নেতা সাফদার নাগোরির নাম।

দ্রুত বিসর্জনের নির্দেশের প্রতিবাদে পথ অবরোধ বসিরহাটেদ্রুত বিসর্জনের নির্দেশের প্রতিবাদে পথ অবরোধ বসিরহাটে

বিসর্জন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বসিরহাটে। প্রশাসনের তরফে দ্রুত বিসর্জনের নির্দেশের প্রতিবাদে পথ অবরোধে নামল বসিরহাটের বিভিন্ন ক্লাব। অবরোধ করা হয় রেলও। অবরোধ তুলতে গেলে র‍্যাফ ও পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাসিন্দারা।

জোড়া খুনে থমথমে বাঁকুড়ার ইন্দপুরের হাটগ্রাম, খুনের অভিযোগ উঠল সিপিআইএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে  জোড়া খুনে থমথমে বাঁকুড়ার ইন্দপুরের হাটগ্রাম, খুনের অভিযোগ উঠল সিপিআইএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে

পুজোর আমেজ শেষ হতেই বাঁকুড়া উত্তাল হয়ে ওঠে শনিবার রাত্রে। বাঁকুড়ার ইন্দপুরে জোড়া খুনে থমথমে সারা গ্রাম।  ইন্দপুরের হাটগ্রামে খুন হলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তাঁর বাবাকেও খুন করে দুষ্কৃতীরা।

আসানসোলের কোলিয়ারিতে আগুন আসানসোলের কোলিয়ারিতে আগুন

বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ

বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তভার হাতে তুলে নিল এন আই এ। শুক্রবার ঘটনার তদন্তে যায় চার সদস্যের এন আই এর প্রতিনিধি দল।

খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ তদন্তে সিআইডিখাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ তদন্তে সিআইডি

বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণস্থলে তদন্তের  কাজ শুরু করল সিআইডি ও বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড।  গতকাল  ওই বাড়িতে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল দুজনের।   গতকালই বাড়িটি সিল করে দিয়েছিল পুলিস।

সপ্তমীতে অন্ধকারে ডুবে রইল হাওড়া সপ্তমীতে অন্ধকারে ডুবে রইল হাওড়া

পুজোতেও পিছু ছাড়ল না অন্ধকার। প্রতিমা, মণ্ডপের পাশাপাশি দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ আলোকসজ্জা উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত থাকলেন দর্শনার্থীরা। মহাসপ্তমীর রাতে লাগাতার লোডশেডিংয়ে জেরবার ছিল হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। সন্ধে থেকেই অন্ধকারে ডুবে যায় হাওড়ার কোনা, দাসনগর, বালিটিকুরি, বেলগাছিয়ার মতো জায়গাগুলি।

নবরাত্রিতে পদযাত্রা, ডান্ডিয়ায় মাতল শিলিগুড়ি নবরাত্রিতে পদযাত্রা, ডান্ডিয়ায় মাতল শিলিগুড়ি

শিলিগুড়ি শহরকে বলা হয় মিনি ইন্ডিয়া। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই শহরে বিভিন্ন প্রদেশের মানুষের বাস। প্রত্যেক উত্‍সবই নিজের মত পালন করে এই শহর। দুর্গাপুজো ও নবরাত্রির ক্ষেত্রেও তাই পিছিয়ে নেই শিলিগুড়ি। গুজরাটের আদলে একটি বিশাল ডান্ডিয়া উত্‍সবের আয়োজন করা হয়েছে এখানে। আট থেকে আশি। প্রায় সব বয়সের মানুষই নিজ নিজ সংস্কৃতি ও লোকনৃত্যকে তুলে ধরেন এই ডান্ডিয়া উত্‍সবে।

হাত ভেঙে আলিপুর-দুয়ারে ফুটল ঘাসফুলহাত ভেঙে আলিপুর-দুয়ারে ফুটল ঘাসফুল

কংগ্রেসের ছয় কাউন্সিলরের দলত্যাগকে হাতিয়ার করে আলিপুরদুয়ার পুরসভা দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। গোপন ব্যালটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন তৃণমূলের আশিসচন্দ্র দত্ত। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন তৃণমূলেরই রুমা চট্টোপাধ্যায়।

এবিপি আনন্দের খবরঃ

Sharad Ananda

মানুষ কোতল করতেও শিখেছি, জানাল রাজিয়া  

দেখলে মনে হবে তারা যেন আর দশটা গাঁয়ের সাধারণ মেয়ে-বৌয়েরই এক জন। কিন্তু, এতটাই শক্ত মন তাদের যে তাবড় পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জেরার মুখে একবারের জন্যও কেঁপে উঠছে না ঠোঁট, চোখের পাতা। ... আরও»

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, ঘরে ঘরে ধনদেবীর আরাধনা  

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, ঘরে ঘরে ধনদেবীর আরাধনা। আগুন বাজার। ...  আরও»

তিন দিনের লক্ষ্মীপুজোর আগে রাত জাগছে গ্রাম  

দুর্গাপুজো আসে, চলেও যায়। গ্রামের বারোয়ারিতে পুজো হয় ঠিকই, তবে তা নামমাত্র সরঞ্জাম নিয়ে। আসল জাঁক তোলা থাকে লক্ষ্মী পুজোর জন্য। লক্ষ্মীপুজোর অপেক্ষায় বাক্সবন্দি থাকে নতুন জামাকাপড়ও। ...  আরও»

TOP STORIES

মোদির প্রশংসা বন্ধ করুন, তারুরকে সাবধান করল কেরল কংগ্রেস  

তারুরও আত্মপক্ষ সমর্থনে মুখ খুলেছেন। ...  আরও»

বিতর্কের পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য হচ্ছেন অভিজিত্ চক্রবর্তী  

শত বিতর্কের পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য হচ্ছেন অভিজিৎ চক্রবর্তী। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, অভিজিত চক্রবর্তীর নামে রাজভবনের সম্মতি মিলেছে। ...  আরও»

শাহরুখ-পুত্র ও অমিতাভের নাতনীকে জড়িয়ে নকল এমএমএস ক্লিপ ঘিরে ঝড় সোস্যাল নেটওয়ার্কে  

কিছুদিন আগে সত্যিই লন্ডনের এক নাইটক্লাবে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল শাহরুখ-তনয়, বিগ-বি-র নাতনীকে। ... আরও»

টানা ২০বছর চলার পর মুম্বইয়ের মরাঠা মন্দিরে বন্ধ হতে চলেছে 'দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে'র প্রদর্শন  

টানা প্রায় ২০ বছর চলার পর মুম্বইয়ের মরাঠা মন্দির প্রেক্ষাগৃহে বন্ধ হতে চলেছে 'দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে'-এর প্রদর্শন৷ বলিউড এই ছবিটিই সিঙ্গল স্ক্রিনে দীর্ঘতম প্রদর্শনের রেকর্ড গড়েছে৷ শোনা যাচ্ছে, ... আরও»

মুক্তির চারদিনের মধ্যে ১৭৫ কোটি ৬১লক্ষ টাকার ব্যবসা করল হৃত্বিক-ক্যাটরিনার 'ব্যাং ব্যাং'  

মুক্তির পর চারদিনের মধ্যেই প্রায় ১৭৫ কোটি ৬১ লক্ষ টাকার ব্যবসা করল হৃত্বিক ক্যাটরিনার 'ব্যাং ব্যাং'৷ এর মধ্যে ভারতে ব্যবসার অঙ্ক ৯৪ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা৷ ...  আরও»

সবাইয়ের থেকে টাকা নিন,কিন্তু ভোট একমাত্র বিজেপিকেই দিন:নিতিন গডকড়ী  

নয়াদিল্লিঃ মহারাষ্ট্রের লাতুরে এক নির্বাচনী জনসভায় আজ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেন, যে যা দেবে তা অবশ্যই নিয়ে নেবেন, কিন্তু ভোট একমাত্র বিজেপিকেই দেবেন। ...  আরও»

বর্ধমান বিস্ফোরণ: মৃত শাকিলকে ঘিরে রহস্য  

...  আরও»

ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণপতিকে ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী?  

বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে, গত ৯ মাসে দলে দলে মাওবাদী ক্যাডাররা সংগঠন ছাড়তে থাকায় পার্টির নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়তে থাকায় পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের অবুঝমারের জঙ্গলে গণপতি জরুরি বৈঠক কর ...  আরও»

ফেসবুকে বান্ধবীর দিকে হাত বাড়ানোয় বন্ধুকে খুন করে জেলে ব্রিটিশ যুবক  

হামফ্রি রাতের এক পার্টি থেকে ফেরার পথে রাগের মাথায় ২৯ বছরের রিচার্ড রোভেট্টোকে গাড়ির ভিতরেই এমন জোরে ঘুঁষি মারে যে ছেলেটি পড়ে যায়, গাড়ির মেঝেতে তার  মাথা ঠোক্কর খায়। ...  আরও»


No comments:

मैं नास्तिक क्यों हूं# Necessity of Atheism#!Genetics Bharat Teertha

হে মোর চিত্ত, Prey for Humanity!

मनुस्मृति नस्ली राजकाज राजनीति में OBC Trump Card और जयभीम कामरेड

Gorkhaland again?আত্মঘাতী বাঙালি আবার বিভাজন বিপর্যয়ের মুখোমুখি!

हिंदुत्व की राजनीति का मुकाबला हिंदुत्व की राजनीति से नहीं किया जा सकता।

In conversation with Palash Biswas

Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Save the Universities!

RSS might replace Gandhi with Ambedkar on currency notes!

जैसे जर्मनी में सिर्फ हिटलर को बोलने की आजादी थी,आज सिर्फ मंकी बातों की आजादी है।

#BEEFGATEঅন্ধকার বৃত্তান্তঃ হত্যার রাজনীতি

अलविदा पत्रकारिता,अब कोई प्रतिक्रिया नहीं! पलाश विश्वास

ভালোবাসার মুখ,প্রতিবাদের মুখ মন্দাক্রান্তার পাশে আছি,যে মেয়েটি আজও লিখতে পারছেঃ আমাক ধর্ষণ করবে?

Palash Biswas on BAMCEF UNIFICATION!

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS ON NEPALI SENTIMENT, GORKHALAND, KUMAON AND GARHWAL ETC.and BAMCEF UNIFICATION! Published on Mar 19, 2013 The Himalayan Voice Cambridge, Massachusetts United States of America

BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Imminent Massive earthquake in the Himalayas

Palash Biswas on Citizenship Amendment Act

Mr. PALASH BISWAS DELIVERING SPEECH AT BAMCEF PROGRAM AT NAGPUR ON 17 & 18 SEPTEMBER 2003 Sub:- CITIZENSHIP AMENDMENT ACT 2003 http://youtu.be/zGDfsLzxTXo

Tweet Please

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS BLASTS INDIANS THAT CLAIM BUDDHA WAS BORN IN INDIA

THE HIMALAYAN TALK: INDIAN GOVERNMENT FOOD SECURITY PROGRAM RISKIER

http://youtu.be/NrcmNEjaN8c The government of India has announced food security program ahead of elections in 2014. We discussed the issue with Palash Biswas in Kolkata today. http://youtu.be/NrcmNEjaN8c Ahead of Elections, India's Cabinet Approves Food Security Program ______________________________________________________ By JIM YARDLEY http://india.blogs.nytimes.com/2013/07/04/indias-cabinet-passes-food-security-law/

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN VOICE: PALASH BISWAS DISCUSSES RAM MANDIR

Published on 10 Apr 2013 Palash Biswas spoke to us from Kolkota and shared his views on Visho Hindu Parashid's programme from tomorrow ( April 11, 2013) to build Ram Mandir in disputed Ayodhya. http://www.youtube.com/watch?v=77cZuBunAGk

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICAL OF BAMCEF LEADERSHIP

[Palash Biswas, one of the BAMCEF leaders and editors for Indian Express spoke to us from Kolkata today and criticized BAMCEF leadership in New Delhi, which according to him, is messing up with Nepalese indigenous peoples also. He also flayed MP Jay Narayan Prasad Nishad, who recently offered a Puja in his New Delhi home for Narendra Modi's victory in 2014.]

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALSH BISWAS FLAYS SOUTH ASIAN GOVERNM

Palash Biswas, lashed out those 1% people in the government in New Delhi for failure of delivery and creating hosts of problems everywhere in South Asia. http://youtu.be/lD2_V7CB2Is

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk