Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Friday, May 29, 2015

মোদি সরকারের প্রথম বছরে ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি

মোদি সরকারের প্রথম বছরে ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি

শুভজ্যোতি ঘোষ বিবিসি বাংলা, দিল্লি

ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার এ সপ্তাহেই তাদের এক বছর পূর্ণ করেছে। গত এক বছরে সরকারের নানা অভিনব উদ্যোগ প্রশংসা কুড়োলেও দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার অভিযোগ কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকারকে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে ফেলেছে।

দেশের নানা প্রান্তে যখন বিভিন্ন চার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে, কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলো অবাধে ধর্মান্তরণ অভিযান বা 'ঘরওয়াপসি' চালাচ্ছে কিংবা বিজেপি-র নেতা মন্ত্রীরা ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়ানোর মতো বিবৃতি দিচ্ছেন - তখন প্রধানমন্ত্রী মোদি দিনের পর দিন সম্পূর্ণ নীরব থেকেছেন বলে অভিযোগ।

ভারতে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার অভাবের সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রথম বছরে এই প্রবণতা কতটা বিপজ্জনক চেহারা নিয়েছে আর দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরাই বা এ ব্যাপারে কী ভাবছেন – এই প্রতিবেদনে থাকছে তারই সরেজমিন অনুসন্ধান।

গত বছরের ২৬শে মে রাষ্ট্রপতি ভবনের চত্ত্বরে নরেন্দ্র মোদি যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, রীতিমাফিক তিনিও অঙ্গীকার করেছিলেন দেশের সব নাগরিক ও সব ধরনের মানুষের প্রতি তিনি ন্যায় নিশ্চিত করবেন।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি

কিন্তু এক বছরের মাথায় এসে ভারতের মুসলিম বা খ্রিষ্টানরা পুরোপুরি নিশ্চিত নন যে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর শপথের প্রতি একশোভাগ সৎ থাকতে পারছেন। তিনি একদিকে বলছেন ''সব কা সাথ সব কা বিকাশ'' – অথচ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হলে নীরব থাকছেন।

আসলে নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক কেরিয়ারে একই সঙ্গে হিন্দুত্ব আর অর্থনৈতিক উন্নয়নের কান্ডারী হিসেবে তার যে দুটো রূপ – তার মধ্যেই নিহিত আছে এই স্ববিরোধিতার বীজ – বলছিলেন নরেন্দ্র মোদির আনঅফিশিয়াল জীবনীকার নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়।

তার কথায়, ''মোদি হলেন একই সঙ্গে ''হিন্দু হৃদয় সম্রাট'' আর ''বিকাশ পুরুষ''। একজন নরেন্দ্র মোদি হিন্দুদের স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপস করবেন না – আর অন্য মোদি উন্নয়ন ছাড়া কিছু বোঝেন না। গত এক বছর ধরে এই দুটোর মধ্যে ভারসাম্য রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জটাই তিনি শুধু সামলে গেছেন।'

ভারতে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের প্রভাবশালী সদস্য জাফরইয়াব জিলানিও লখনউ থেকে বলছিলেন, আসলে মিঃ মোদির নেতৃত্বে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রটাই নীরবে পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

ভারতের মুসলিম সমাজ নরেন্দ্র মোদির ব্যাপারে এখনও সংশয়াক্রান্ত

মিঃ জিলানির কথায়, ''হরিয়ানাতে ছাত্রদের গীতা পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, রাজস্থান সরকার স্কুলে চালু করছে সূর্যনমস্কার কিংবা মন্ত্রীরা বলছেন গীতাকে জাতীয় গ্রন্থ ঘোষণা করা উচিত। অথচ সংবিধান বা সুপ্রিম কোর্ট বারবার বলেছে রাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। এরকম চলছে বলেই ভারতের মুসলিমরা অন্তত নিজেদেরকে দেশে আর সবার সমান বলে ভাবতে পারছেন না।''

দিল্লির সুনহরি বাগ মসজিদের বাইরে তামিম শেখ বা মিনহাজউদ্দিন আবার প্রধানমন্ত্রীর এক বছরের কাজকে দেখছেন ভিন্ন দৃষ্টিতে।

মিনহাজউদ্দিন গুজরাট দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে কাগজে অনেক কিছুই পড়েছেন – মোদিকে নিয়ে তার রীতিমতো ভয় বা সংশয়ও ছিল, কিন্তু এখন সেটা অনেকটাই কেটেছে। তামিম শেখ আবার মনে করেন যতক্ষণ না মোদি তাদের চাকরিবাকরির ব্যবস্থা করছেন তিনি কিছুতেই মুসলিম যুবকদের মন পাবেন না।

দিল্লির গোলডাকখানা এলাকায় স্যাক্রেড হার্ট ক্যাথিড্রালের সামনে আবার খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্য রকম অভিমানের আঁচ মিলল।

চার্চে হামলার প্রতিবাদে ভারতে খ্রিষ্টান সমাজের প্রতিবাদ

লিন্ডা ডিসুজার যেমন বলতে দ্বিধা নেই, ''দেশে যখন একটার পর একটা চার্চে হামলা হয়েছে তখন প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা তাদের আহত করেছে। খ্রিষ্টানরা তখন চাইছিলেন তিনি কিছু বলুন, এই ঘটনাগুলোর নিন্দা করুন। কিন্তু তিনি সেটা করলেন অনেক দেরিতে। ঠিক সময়ে তিনি সে কাজটা করতে পারেননি, বা হয়তো সঠিক পরামর্শটা পাননি।''

অল ইন্ডিয়া ক্রিশ্চিয়ান কাউন্সিলের মহাসচিব ড: জন দয়ালও বলছিলেন, চার্চে হামলাগুলোর চেয়েও বড় উদ্বেগের বিষয় হল ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে ।

তাঁর কথায়, ''সংখ্যার বিচারে গত এক বছরে চার্চে হামলার ঘটনা হয়তো তত বাড়েনি, বছরে গড়ে দুশো-আড়াইশো হামলার ঘটনাতেই সীমিত আছে, কিন্তু ঘৃণা ছড়ানোর পরিমাণটা আকাশ ছুঁয়েছে।''

''ক্যাবিনেট মন্ত্রীরাও যা-খুশি তাই বলে পার পেয়ে যাচ্ছেন – এমন কী পার্লামেন্টের ভেতরেও ধর্মীয় উত্তেজনাকর বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী কিন্তু একবারের জন্যও আরএসএসের নাম নেননি, সঙ্ঘের নেতা মোহন ভাগবতকে তার চুপ করতে বলারও সাহস হয়নি'', বলছিলেন জন দয়াল।

বস্তুত গত এক বছরে আরএসএস বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর রমরমা বেড়েছে, তারা ইচ্ছেমতো মুসলিম বা খ্রিষ্টানদের হিন্দু বানানোর অভিযান চালিয়েছেন কিংবা বিভিন্ন রাজ্যে গোমাংস নিষিদ্ধ করতে বাধ্য করেছেন – কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের রাশ টানতে পারেননি, এটা নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আর একটা বড় অভিযোগ।

সঙ্ঘের নেতা মোহন ভাগবত। আরএসএস তথা সঙ্ঘের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।

তবে সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভা এমপি চন্দন মিত্রর যুক্তি, বিজেপি সরকারের আরএসএসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার কোনও কারণই ঘটেনি।

চন্দন মিত্র বলছেন ''আরএসএস আর বিজেপির মধ্যে নাড়ির টান, আত্মিক সম্পর্ক – অরএসএস হল বিজেপির আদর্শিক অভিভাবক। ফলে তিনি আরএসএসের রাশ টানতে পারছেন না, মি মোদি এটাকে কোনও সমালোচনা বলেই মনে করছেন না।''

কিন্তু তাই বলে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা যখন রামজাদা-হারামজাদার তুলনা টানবেন বা হিন্দুদের প্রতি ঘরে ঘরে চারটি সন্তানের জন্ম দেওয়ার ডাক দেবেন তখনও কি প্রধানমন্ত্রী চুপ থাকবেন? কিংবা অর্থের টোপ দিয়ে গরিব মুসলিমদের হিন্দু বানানো হলে তখনও কি সরকার কিছু করবে না?

এর উত্তরেও চন্দন মিত্র বলছেন, ''সেই সব নেতাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে – এর বেশি কীই বা করা যাবে? আর ধর্মান্তরণ বেআইনি কিছু নয় – বহু খ্রিষ্টান মিশনারি সংগঠন ভারতে বহুদিন ধরে এ কাজ করছে, কিছু হিন্দু সংগঠনও করছে।''

ঘরওয়াপসি নিয়ে সমালোচনার জবাবে বিজেপি-র জাতীয় মুখপাত্র নলিন কোহলিও প্রায় একই সুরে দাবি করছেন দেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিজের পছন্দমতো ধর্ম বা মত বেছে নেওয়ার অধিকার আছে – এ ব্যাপারে কারুর কিছু বলার থাকতে পারে না।

অন্য দিকে বিভিন্ন চার্চে হামলার পরও প্রধানমন্ত্রী নিষ্ক্রিয় ছিলেন, এ কথাও বিজেপি কিছুতেই মানতে রাজি নয়। নলিন কোহলি বলছিলেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজেই খ্রিষ্টানদের একটি সভায় গিয়ে দেশকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি সকলের সুরক্ষার জন্য দায়বদ্ধ।

''তা ছাড়া চার্চে হামলার প্রায় সব ঘটনাই দেখা গেছে আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা, বিজেপি বা অমাদের কোনও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই। পশ্চিমবঙ্গে একজন নান-কে ধর্ষণের অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা তো পরে দেখা গেল বাংলাদেশী দুষ্কৃতীদের কাজ। সরকারের কোনও গোপন কর্মসূচি নেই, তাদের একমাত্র লক্ষ্য সংবিধান অনুযায়ী দেশের সেবা করা'', যোগ করেন তিনি।

এই বক্তব্যের সঙ্গে একেবারেই একমত নন সিপিআইএমএল দলের সাধারণ সম্পাদক, পোড়খাওয়া বামপন্থী রাজনীতিক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তিনি বলছেন, আরএসএসের ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর ঘোষিত লক্ষ্যে এই সরকার সহায়ক ভূমিকা নিয়েছে।

মিঃ ভট্টাচার্যর মতে, ''এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সব সময় যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাই বাঁধাতে হবে তার কোনও মানে নেই। কিন্তু একটা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা সব সময়েই কাজ করছে – হেইট ক্যাম্পেন থেমে নেই।''

ভারত সফর থেকে ফিরেই সে দেশের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে সরব হন প্রেসিডেন্ট ওবামা

অনেকটা এই একই যুক্তিতে মার্কিন কংগ্রেসের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক রিপোর্টে গত মাসেই ভারতের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। তারও আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজেও ভারত থেকে ফিরেই সে দেশে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ভীষণ অভাব আছে বলে মন্তব্য করেছিলেন।

এমন কী মহাত্মা গান্ধীও এই চরম অসহিষ্ণুতা দেখলে স্তম্ভিত হয়ে যেতেন – এমনটাও বলতে দ্বিধা করেননি মিঃ ওবামা। তবে তাঁকে বিজেপির পরামর্শ, অন্যকে জ্ঞান দেওয়ার আগে নিজের দেশের দিকে তাকালে ভাল হয়।

নলিন কোহলির মতে, ''আমেরিকাতেও জাতিগত বা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আখছার সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। সে দেশে বহু হিন্দু মন্দিরের ওপর হামলা হচ্ছে, নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে পুলিশ গুলি করে মারছে – তার জন্য বিক্ষোভও হচ্ছে। ফলে নিজের নিজের সমাজকে শোধরানোর কাজটা সব দেশেরই করতে হবে – এটা কারও একার দায়িত্ব নয়।''

তবে ভারতে নরেন্দ্র মোদির সরকারে প্রথম বছরেই যে হিন্দু আধিপত্য ও ধর্মীয় বিভাজনের সূক্ষ প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে, তার উৎস কিন্তু ছিল ২০১৪র নির্বাচনে বিজেপি-র বিপুল সাফল্যেই – মনে করেন ভারতীয় রাজনীতির গবেষক নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়।

মিঃ মুখোপাধ্যায় বলছেন, ''২০১৪-র নির্বাচনেই প্রথম বিজেপি প্রমাণ করে ভারতে সংখ্যালঘুদের ভোট একেবারে না-পেয়েও একটা দল একাই সংসদে গরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে। ফলে এই জয়কে একটা হিন্দুয়ানির জয় হিসেবে দেখার চেষ্টা হয় – যার জেরে বিজেপি বা সঙ্ঘের নেতারা একটা অ্যাগ্রেসিভ পশ্চারিং বা আগ্রাসী অবস্থান নিতে শুরু করেন।''

ফলে হিন্দুত্ব আর আর্থিক উন্নয়নের মধ্যে ভারসাম্য রাখার এক কঠিন লক্ষ্যকে সামনে রেখেই প্রথম বছর পার করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। যে জাঁতাকলের মাঝে পড়ে আশঙ্কা আর সংশয়ে ভুগতে শুরু করেছেন ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা – কিছুতেই পুরোপুরি স্বস্তি মিলছে না /

http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2015/05/150529_mb_modi_one_year_religious

__._,_.___

No comments:

मैं नास्तिक क्यों हूं# Necessity of Atheism#!Genetics Bharat Teertha

হে মোর চিত্ত, Prey for Humanity!

मनुस्मृति नस्ली राजकाज राजनीति में OBC Trump Card और जयभीम कामरेड

Gorkhaland again?আত্মঘাতী বাঙালি আবার বিভাজন বিপর্যয়ের মুখোমুখি!

हिंदुत्व की राजनीति का मुकाबला हिंदुत्व की राजनीति से नहीं किया जा सकता।

In conversation with Palash Biswas

Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Save the Universities!

RSS might replace Gandhi with Ambedkar on currency notes!

जैसे जर्मनी में सिर्फ हिटलर को बोलने की आजादी थी,आज सिर्फ मंकी बातों की आजादी है।

#BEEFGATEঅন্ধকার বৃত্তান্তঃ হত্যার রাজনীতি

अलविदा पत्रकारिता,अब कोई प्रतिक्रिया नहीं! पलाश विश्वास

ভালোবাসার মুখ,প্রতিবাদের মুখ মন্দাক্রান্তার পাশে আছি,যে মেয়েটি আজও লিখতে পারছেঃ আমাক ধর্ষণ করবে?

Palash Biswas on BAMCEF UNIFICATION!

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS ON NEPALI SENTIMENT, GORKHALAND, KUMAON AND GARHWAL ETC.and BAMCEF UNIFICATION! Published on Mar 19, 2013 The Himalayan Voice Cambridge, Massachusetts United States of America

BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Imminent Massive earthquake in the Himalayas

Palash Biswas on Citizenship Amendment Act

Mr. PALASH BISWAS DELIVERING SPEECH AT BAMCEF PROGRAM AT NAGPUR ON 17 & 18 SEPTEMBER 2003 Sub:- CITIZENSHIP AMENDMENT ACT 2003 http://youtu.be/zGDfsLzxTXo

Tweet Please

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS BLASTS INDIANS THAT CLAIM BUDDHA WAS BORN IN INDIA

THE HIMALAYAN TALK: INDIAN GOVERNMENT FOOD SECURITY PROGRAM RISKIER

http://youtu.be/NrcmNEjaN8c The government of India has announced food security program ahead of elections in 2014. We discussed the issue with Palash Biswas in Kolkata today. http://youtu.be/NrcmNEjaN8c Ahead of Elections, India's Cabinet Approves Food Security Program ______________________________________________________ By JIM YARDLEY http://india.blogs.nytimes.com/2013/07/04/indias-cabinet-passes-food-security-law/

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN VOICE: PALASH BISWAS DISCUSSES RAM MANDIR

Published on 10 Apr 2013 Palash Biswas spoke to us from Kolkota and shared his views on Visho Hindu Parashid's programme from tomorrow ( April 11, 2013) to build Ram Mandir in disputed Ayodhya. http://www.youtube.com/watch?v=77cZuBunAGk

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICAL OF BAMCEF LEADERSHIP

[Palash Biswas, one of the BAMCEF leaders and editors for Indian Express spoke to us from Kolkata today and criticized BAMCEF leadership in New Delhi, which according to him, is messing up with Nepalese indigenous peoples also. He also flayed MP Jay Narayan Prasad Nishad, who recently offered a Puja in his New Delhi home for Narendra Modi's victory in 2014.]

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALSH BISWAS FLAYS SOUTH ASIAN GOVERNM

Palash Biswas, lashed out those 1% people in the government in New Delhi for failure of delivery and creating hosts of problems everywhere in South Asia. http://youtu.be/lD2_V7CB2Is

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk