Shame!Shame! Shame! Shame on you,Bengal!
Hunger strike continues for fourteen days.Our unemployed children qualified SSC exams for posting as teachers.They waited for years and failed to get job whatsoever.They are on hunger strike and Progressive Bengal,Leftist,Secular and International Bengal is detached enough tobe indulged in Power Politics only.Shame!Shame! Shame!
Shame on you,Bengal!
Palash Biswas
(Courtesy: Rwiti Roy)
যে যেখানে লড়ে যায় আমাদেরই লড়া....
"আমার এখন শুধু একটা মেয়ে চাই, আর এই চাকরিটা চাই," বলছিলেন শিক্ষক পদপ্রার্থী এক দিদি। এই চাকরিটার জন্য মানুষের বিয়ে, সন্তান, সংসার আটকে আছে, সেসব চুলোয় যাক, মানুষের খাওয়া পর্যন্ত আটকে আছে এদের চোট্টামোর চোটে। বারো দিন ধরে ভাতের মুখ দেখেননি। ডেটল এবং অম্রুতাঞ্জন ভেতরে পাঠাতে দেয়নি পুলিশ, অনশনকারীরা নাকি সেগুলো খেয়ে ফেলতে পারে।
এসব প্রসঙ্গে আগে অনেকবার লিখেছি। বারবার করে এসে হাত ধরে ওনারা ধন্যবাদ দিচ্ছেন, যাদবপুর-প্রেসিডেন্সীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বলছেন যে আগে বাড়ি থেকে বলত ওখানে গিয়ে কি হবে? এখন তোমাদের দেখে বুঝছি, এর পরে কোথাও কিছু হলে ডেকো, আমরাও গিয়ে পাশে দাঁড়াবো।
শুধুমাত্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একধরণের আজব আনন্দ হয়। সেখানে তাদের বলতে হয়না, আমার পার্টি করবে? আমার হয়ে ঝাণ্ডা ধরবে? সেখানে আজিজুলদা হঠাৎ করে চায়ের দোকানে আমাদের চায়ের দাম দিয়ে দেন, অথচ আমরা জানি দিনের পর দিন এখানে থাকার কারণে আজিজুলদার কাছে টাকা নেই। সেখানে হরিদা হঠাৎ করে সবাইকে স্ট্রেপসিলস এনে খাওয়াতে থাকে। সেখানে সুভদ্রাদি বলেন, আরে তুমি রহমানের হাত থেকে ডকুমেণ্টটা কেড়ে নিয়ে দেখালেনা কেন? আমাদের ডকুমেণ্টগুলো কাল এসে বুঝে নেবে, যাতে পরের দিন দেখাতে পারো। সেখানে যাদবপুরের ইংরেজি বিভাগের এক অধ্যাপকের প্রতি আমার ঘৃণা, রাগ ভাগ করে নেন রহমানদা। আরেকজন দিদি, তিনি প্রেমিকের ভাইকে ফোন করে রিচার্জ করে দিতে বলে আমার দিকে তাকিয়ে লজ্জা লজ্জা ভাবে মিষ্টি করে হাসেন। সেখানে আমার এক বন্ধু হতাশ হয়ে কেঁদে ফেলে এঁদের জন্য, কারণ কিছু ছোট ছোট খুশি আর বড় একটা লড়াই করার দম ছাড়া এদের আর কিচ্ছু নেই। নাথিং। আর সেই ধৈর্য্যটাই প্রত্যেকদিন শিখছি ওঁদের কাছে।
এ সপ্তাহটা পুঁজিবাদী মার্কেট ইকনমি অনুযায়ী, ভালবাসার সপ্তাহ। প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ থাকবে, একবার সল্ট লেক আসুন। রোজ ডে'তে শৌখীনতার গোলাপকুঞ্জে মহুল ফুটুক। ভালবাসা ছড়িয়ে যাক সি সি ডি'র শীততাপনিয়ন্ত্রিত থেকে শহরের রাস্তায় রাস্তায়, ডিনার ডেট থেকে অবস্থানমঞ্চে।
"দু আঙুলের টুসকিতে সিধে করে দেবার মতো
সোজা নয় এ মহাযজ্ঞশালা.."
যে যেখানে লড়ে যায় আমাদেরই লড়া....
"আমার এখন শুধু একটা মেয়ে চাই, আর এই চাকরিটা চাই," বলছিলেন শিক্ষক পদপ্রার্থী এক দিদি। এই চাকরিটার জন্য মানুষের বিয়ে, সন্তান, সংসার আটকে আছে, সেসব চুলোয় যাক, মানুষের খাওয়া পর্যন্ত আটকে আছে এদের চোট্টামোর চোটে। বারো দিন ধরে ভাতের মুখ দেখেননি। ডেটল এবং অম্রুতাঞ্জন ভেতরে পাঠাতে দেয়নি পুলিশ, অনশনকারীরা নাকি সেগুলো খেয়ে ফেলতে পারে।
এসব প্রসঙ্গে আগে অনেকবার লিখেছি। বারবার করে এসে হাত ধরে ওনারা ধন্যবাদ দিচ্ছেন, যাদবপুর-প্রেসিডেন্সীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বলছেন যে আগে বাড়ি থেকে বলত ওখানে গিয়ে কি হবে? এখন তোমাদের দেখে বুঝছি, এর পরে কোথাও কিছু হলে ডেকো, আমরাও গিয়ে পাশে দাঁড়াবো।
শুধুমাত্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একধরণের আজব আনন্দ হয়। সেখানে তাদের বলতে হয়না, আমার পার্টি করবে? আমার হয়ে ঝাণ্ডা ধরবে? সেখানে আজিজুলদা হঠাৎ করে চায়ের দোকানে আমাদের চায়ের দাম দিয়ে দেন, অথচ আমরা জানি দিনের পর দিন এখানে থাকার কারণে আজিজুলদার কাছে টাকা নেই। সেখানে হরিদা হঠাৎ করে সবাইকে স্ট্রেপসিলস এনে খাওয়াতে থাকে। সেখানে সুভদ্রাদি বলেন, আরে তুমি রহমানের হাত থেকে ডকুমেণ্টটা কেড়ে নিয়ে দেখালেনা কেন? আমাদের ডকুমেণ্টগুলো কাল এসে বুঝে নেবে, যাতে পরের দিন দেখাতে পারো। সেখানে যাদবপুরের ইংরেজি বিভাগের এক অধ্যাপকের প্রতি আমার ঘৃণা, রাগ ভাগ করে নেন রহমানদা। আরেকজন দিদি, তিনি প্রেমিকের ভাইকে ফোন করে রিচার্জ করে দিতে বলে আমার দিকে তাকিয়ে লজ্জা লজ্জা ভাবে মিষ্টি করে হাসেন। সেখানে আমার এক বন্ধু হতাশ হয়ে কেঁদে ফেলে এঁদের জন্য, কারণ কিছু ছোট ছোট খুশি আর বড় একটা লড়াই করার দম ছাড়া এদের আর কিচ্ছু নেই। নাথিং। আর সেই ধৈর্য্যটাই প্রত্যেকদিন শিখছি ওঁদের কাছে।
এ সপ্তাহটা পুঁজিবাদী মার্কেট ইকনমি অনুযায়ী, ভালবাসার সপ্তাহ। প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ থাকবে, একবার সল্ট লেক আসুন। রোজ ডে'তে শৌখীনতার গোলাপকুঞ্জে মহুল ফুটুক। ভালবাসা ছড়িয়ে যাক সি সি ডি'র শীততাপনিয়ন্ত্রিত থেকে শহরের রাস্তায় রাস্তায়, ডিনার ডেট থেকে অবস্থানমঞ্চে।
"দু আঙুলের টুসকিতে সিধে করে দেবার মতো
সোজা নয় এ মহাযজ্ঞশালা.."
No comments:
Post a Comment