Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Wednesday, September 3, 2014

এই জতুগৃহে একদিন প্রতিদিন, ‘দুর্নীতির কারণে মারা যায় ৩৬ লাখ মানুষ’ এগারোটি বিমান জঙ্গিদের দখলে, ৯/১১-র ধাঁচে হামলার আশঙ্কা পলাশ বিশ্বাস

এই জতুগৃহে একদিন প্রতিদিন, 'দুর্নীতির কারণে মারা যায় ৩৬ লাখ মানুষ'

এগারোটি বিমান জঙ্গিদের দখলে, ৯/১১-র ধাঁচে হামলার আশঙ্কা


পলাশ বিশ্বাস

এই গ্লোবটা এখন জতুগৃহ।কোলকাতায় রোজ রোজ অগ্নিকান্ড অথবা বাংলাদেশে আগুনের চাইতেও বিধ্বংসী এই আগুন সারা পৃথীবী ব্যাপী এখন।


মধ্য প্রাচ্যে তেল আধিপাত্যের লড়াই বারাক ওবামার চমকপ্রদ উত্থানে শেষ ত হলই না,যুদ্ধ গৃহযুদ্দধের বেসাতি ব্যাওসা রমরমিয়ে চলছে ইজরাইলি দাপটে


কালো মানুষদের পৃথীবীর সঙ্গে নির্লজ্জ বিশ্বাসঘাতকতায় ওবামা পূর্বসুরীদের ইতিহাসকেও লজ্জিত করছেন গাজা গণহত্যায় তাঁর নির্বাক ভূমিকায় স্পষ্টজিয়োনিজ্মের দাপটে ইরাক আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে আসা দুর অস্ত,ত্রিপোলিতে নিরুদ্দেশ এগারো বিমান রহস্য ও  ইসলামি স্টেট সন্ত্রাসবাদীদের হাতে মার্কিন ও ব্রিটিশ সাংবাদিকদের হত্যালীলায় আবার ওবামা বুশ হয়ে যাচ্ছেন



অন্যদিকে আরব বসন্তের আঁচ লেগেছে পাকিস্তানে এবং বাংলাদেশেওমার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মঙ্গলবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আরও ৩৫০ জন সৈন্য সেখানে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে সেখানে সামরিক উপস্থিতি বেড়ে ১ হাজারের বেশি হবে। গতমাসে স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে পাওয়া এক অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সেনা উপস্থিতির এই সংখ্যা বাড়ানো হলো। সেখানে মূলত মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা ও ইরাকে অন্যান্য স্থাপনায় নিরাপত্তায় এই সৈন্যদের পাঠানো হবে। খবর এএফপির।


ইরাকের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল এলাকা ইসলামিক স্টেট (আইসিস) জঙ্গীদের দখল করে নেয়ার পর সেখানে নিযুক্ত বিদেশীদের নিয়ে আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন আরও এক মার্কিন সাংবাদিকের শিরñেদের একটি ভিডিও প্রকাশ করার পর ইরাকে সৈন্য বাড়ানোর ঘোষণা দেন।


ভারতে হিন্দুত্ববাদী সঙ্ঘপরিবারের মহানায়ক নরেন্দ্র মোদীও ওবামা হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী হতে না হতেবর্ণবৈষম্য ও সংস্রকারের চাপে নাভিশ্বাস মানুষেরগোবলয়ে গাজা আমদানি


এখন মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রকে ছাপিয়ে,চিনকে ডিঙ্গিয়ে জাপানকে দোসর করে সাম্রাজ্যবাদী অশ্বমেধ রাজযূয়ের আযোজন


শুধু দমকলে এই আগুন নেভার নয়


অবাধ পুঁজি তে সীমান্ত ছাপিয়ে দশ দিগন্তে কালো টাকা আর দুর্নীতির রমরমা


এমনকি মমতা ব্যানার্জি অভিযুক্ত।


সংস্থাটি তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, দূর্নীতি ও অপরাধ চরম পর্যায়ের দারিদ্র্য মোকাবেলায় দুই দশকের অগ্রগতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থ লুট ও মুদ্রা পাচারও এসব দুর্নীতির মধ্যে রয়েছে। কোন পদক্ষেপ না নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করায় এসব দুর্নীতি আরো শক্তিশালী হয়েছে।


দুর্নীতি ডেকে আনছে দারিদ্র্য। আর দরিদ্র দেশগুলোতে প্রতিবছর দারিদ্র্যের কারণে মারা যাচ্ছেন প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ।






যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি দারিদ্র্য দূরীকরণ সংস্থার হিসাব দিয়ে বিবিসি বলছে, দরিদ্র দেশগুলো থেকে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ কোটি ডলার দুর্নীতির মাধ্যমে তুলে নেয়া হয় এবং দুর্নীতির কারণে এই বিপুল সংখ্যক হতভাগ্য মানুষ মৃত্যুর শিকার হয়।


সংস্থাটির একটি দলের হিসেবে দেখা গেছে, যদি স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ অর্থ দুর্নীতি থেকে বাঁচানো যেত, তাহলে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে অনেক মৃত্যুই ঠেকানো যেত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি দরিদ্র দেশগুলোতে রোগ প্রতিরোধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। সংস্থার একজন বিষয়টিকে 'ট্রিলিয়ন ডলার স্ক্যান্ডাল' নামে অভিহিত করেছেন।

"দুর্নীতি ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে বাধা, অর্থনৈতিক প্রবৃত্তি কমিয়ে দেয়া, ব্যবসায় খরচ বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে।"- প্রতিবেদনে বলা হয়।

কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দুর্নীতি যেন ঘাতক হিসেবে আবির্ভূত হয়, যেখানে ওই দেশের সরকার স্বাস্থ্য সেবা, খাদ্য নিরাপত্তা অথবা প্রয়োজনীয় অবকাঠামোতে নিজেদের সম্পদ বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয় এবং এর মূল্য দিতে হয় শিশুসহ বহু মানুষের প্রাণহানীর মধ্য দিয়ে।

যদি সাহারা অধ্যুষিত আফ্রিকান দেশগুলোর দুর্নীতি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা যেত তাহলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হতো বলে প্রতিবেদনে দেখানো হয়। সেগুলো হলো-

১. আরো বাড়তি এক কোটি ছেলে-মেয়েকে প্রতিবছর শিক্ষার আওতায় আনা।

২. আরো পাঁচ লাখ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বেতন দেয়া।

৩. এক কোটি ১০ লাখের বেশি এইচআইভি আক্রান্তকে প্রতিষেধক দেয়া।

নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ নেতাদের বৈঠকে দুর্নীতি প্রতিরোধে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার ওপর জোর দেন সংস্থাটির এক গবেষক। এরমধ্যে রয়েছে কোন কোম্পানির মালিকানার তথ্য সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা, পাচার করা অর্থ ব্যবহার প্রতিরোধে একটি ট্রাস্ট গঠন এবং অপরাধীদের পরিচয় প্রকাশ করা।

কোন দেশের তেল, গ্যাস ও খনিখাতের প্রাকৃতিক সম্পদ 'অন্য কারো দ্বারা চুরি' প্রতিরোধে 'বাধ্যতামূলক প্রাথমিক প্রতিবেদন আইন' প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কর ফাঁকির জন্য ব্যবস্থা নেয়া এবং প্রয়োজনীয় সেবাদানে জনগণের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আরো জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরামর্শ দেয়া হয় তাদের প্রতিবেদনে।



1

দখল করা বিমানের উপর উঠে নাচ লিবিয়ার জঙ্গিদের। ত্রিপোলি বিমানবন্দর থেকে উধাও এ রকমই ১১টি বিমান। ছবি টুইটার থেকে।

ত্রিপোলি বিমানবন্দর থেকে উধাও ১১টি বিমান!

সন্দেহ আগেই ছিল, তা-ও  বিমান চুরির দায় স্বীকার করে ফেসবুক-টুইটারে ফলাও করে পোস্ট করা হল হারানো বিমানের পাশে দাঁড়ানো জঙ্গিদের উল্লাসের ছবি! অস্ত্র হাতে বিমানের ডানার উপর দাঁড়িয়ে রীতিমতো 'পোজ' দিয়েছে তারা। কেউ আবার জয়ের উচ্ছ্বাস চাপতে না পেরে দু'হাত তুলে নাচানাচি করছে। তামাম বিশ্বের সদস্য-সমর্থকদের কাছে নিজেদের এই ছবি প্রকাশ করে 'সাফল্য' জাহির করতেও ভোলেনি 'লিবিয়ান ডন' নামে আল কায়দার শরিক ওই জঙ্গিগোষ্ঠী।

বিমান দখলের এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের আধিকারিকদের আশঙ্কা, লিবিয়া থেকে দখল করা ওই বিমান নিয়ে তেরো বছর আগের ৯/১১-র ধাঁচে হামলার পরিকল্পনা করছে জঙ্গিরা।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওসামা বিন লাদেনের পরিকল্পনায় ওয়াশিংটন ডিসি-র পেন্টাগন এবং নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে মারণ হামলা চালায় আল কায়দা। দু'বছর আগে এই দিনেই লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনসের বাসভবনে হামলা করে তাঁকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। গত কয়েক মাস ধরে সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গি নিধনে আমেরিকা তৎপর হওয়ার পর থেকেই বদলা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া)।  সম্প্রতি এক আল কায়দা নেতাকে মারতে  দক্ষিণ সোমালিয়ায় বিমান হামলাও চালায় মার্কিন সেনা। দুই মার্কিন সাংবাদিকের মুণ্ডচ্ছেদ করে তার ভিডিও প্রকাশ  করেছে জঙ্গিরা।

৯/১১-র তেরো বছর পূর্তিতে জঙ্গিরা যে নতুন করে অস্ত্রে শান দেবে তা আঁচ করেই দু'সপ্তাহ ধরে লিবিয়ার প্রশাসনকে সতর্কবার্তা দিয়েছিল আমেরিকা। চলতি বছরের অগস্টে ত্রিপোলির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি দখল করে লিবিয়ান ডন। রাজধানী ত্রিপোলি সর্বৈব ভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে গত রবিবার ঘোষণা করে লিবিয়া প্রশাসন। জানানো হয়, ডন এবং আইএসআইএস-এর শরিক জঙ্গিগোষ্ঠী আনসার আল-শারিয়ার হাতেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে দেশের রাজধানী। সেই বিবৃতিতেই বিমান লোপাটের কথাও জানানো হয়।

মার্কিন প্রশাসনের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা জানিয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মরক্কোর সেনা বিশেষজ্ঞ আব্দেরাহামানে মেক্কাউই বলেন, "জঙ্গিরা যে ফন্দি আঁটছে সেটা পরিষ্কার। তবে গোয়েন্দা সূত্রে যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে দখল করা বিমান ইতিমধ্যেই অন্য একটি জঙ্গিগোষ্ঠীকে হস্তান্তর করেছে ডন। তারা কারা, তা বলা যাচ্ছে না। তবে মাস্কড মেন ব্রিগেডের কাছে ওই বিমানগুলি থাকতে আছে। হামলার আশঙ্কা প্রবল আরবের তেলসমৃদ্ধ এলাকাগুলিতে।" আর এক জঙ্গি বিশেষজ্ঞ সেবাস্টিয়ান গোরকার মতে, দু'ভাবে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। এক, একেবারে ৯/১১ ধাঁচে যাত্রিবাহী বিমানকে ক্ষেপণাস্ত্রে পরিণত করবে। দুই, ফাঁকা বিমানে জঙ্গিদের নিয়ে এমন কোনও জায়গায় পৌঁছে নাশকতা চালাতে পারে যা তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে।"

আমেরিকার তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিমান লোপাট নিয়ে কোনও মন্তব্য না করা হলেও সূত্রের খবর, বিমানের সন্ধান চালাতে শুরু করেছে প্রতিরক্ষা দফতর। প্রসঙ্গত, গদ্দাফি গদিচ্যুত করার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে লিবিয়া। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়া বা ইরাকের মতো লিবিয়াও যাতে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত না হতে পারে সে দিকেও নজর দিচ্ছে আমেরিকা।            


2

জেমস ফোলির পর স্টিভেন সটলফ। চোদ্দো দিনের ব্যবধানে ইন্টারনেটে ফের এক মার্কিন সাংবাদিকের মুণ্ডচ্ছেদের ভিডিও। যার শিরোনাম 'আমেরিকার কাছে দ্বিতীয় বার্তা।' আইএসের (ইসলামিক স্টেট) পোস্ট করা গত কালের ভিডিওটির সত্যতা আজই স্বীকার করেছে আমেরিকা। সটলফ যে তাদেরই নাগরিক, বিশেষ তদন্তের পরে মেনে নিয়েছে আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল।

আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কড়া ভাষায় জানান, জঙ্গিদের ওই ভিডিওটি 'বর্বর ও হিংসাত্মক।' কিন্তু তাতে মার্কিন প্রশাসন বিচলিত নয়। জঙ্গিদের প্রতি তাঁর পাল্টা হুমকি, "আমাদের হাত কতটা লম্বা, ওরা জানে না। উপযুক্ত জবাব ওরা পাবেই।" একই সুরে তোপ দেগেছেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরিও। তিনি জানান, "কাপুরুষের মতো মুখোশের আড়ালে থেকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালাচ্ছে ওরা। যত দিন লাগুক, এর শাস্তি ওরা পাবেই।"

জঙ্গিদের বার্তা দিতেই আজ বাগদাদে অতিরিক্ত ৩৫০ সেনা পাঠান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অগস্টের প্রথম থেকেই ইরাকে বিমানহানা অব্যাহত রেখেছে মার্কিন সেনা। সাংবাদিক হত্যার আগের দিন অর্থাৎ গত সোমবারও ইরাকের ১২৩টি জায়গায় হামলা চালিয়েছে আমেরিকা।

তবে ওবামা নিজের অবস্থানে অনড় হলেও কিছুটা চিন্তিত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। কারণ সাম্প্রতিক এই ভিডিওতে জঙ্গিরা ব্রিটিশ এক নাগরিককে তাদের পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেই বার্তা পাওয়ার পরে আজই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন ক্যামেরন। আমেরিকার মতো তাদেরও ইরাকে বিমানহানা চালানো উচিত কি না, বৈঠকে ওঠে সে প্রশ্নও। যদিও সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সব রাস্তাই খোলা রাখতে চাইছে ব্রিটেন।

ইরাক এবং সিরিয়ার যুদ্ধে আইএসের হয়ে নাম লেখানো ব্রিটিশ নাগরিকদের একটা বড় অংশ সম্প্রতি ফিরে এসেছে ব্রিটেনে। ইতিমধ্যেই বড় কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কায় কড়া সতর্কতা জারি হয়েছে দেশ জুড়ে। তার উপর আবার এই ভিডিওটি ব্রিটেনের অস্বস্তি আরও বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।

ফোলির ভিডিওতে যে জঙ্গিকে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল, তার উচ্চারণ ব্রিটিশদের মতো হওয়ায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সটলফকেও হত্যা করেছে ওই একই জঙ্গি।

২০১৩ সালে সিরিয়া থেকে অপহৃত হওয়ার পরে তিরিশোর্ধ্ব সাংবাদিক সটলফকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল ফোলি-হত্যার ভিডিওতেই। ওয়াশিংটন পিছু না হটলে ফোলির পরেই সটলফের পালা তখনই হুমকি দেয় জঙ্গিগোষ্ঠী।

ফোলির মতো এই ভিডিও ঘিরেও তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় গত কাল। অনেকেরই দাবি, সাম্প্রতিক ভিডিওটি আগেরটির চেয়েও নৃশংস। ফোলির ভিডিওয় শুধু জঙ্গিরাই 'বার্তা' দেয় ওবামাকে। এ বারের ভিডিওতে নিহত হওয়ার আগে ওবামাকেই দায়ী করে সটলফও পরোক্ষ বার্তা দিয়েছেন।

পরনে ফোলির মতোই কমলা জোব্বা, মরুভূমিতে হাঁটুর মুড়ে বসে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ওবামাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, "আমেরিকাবাসীর জীবন ও স্বার্থের কথা ভেবেই তো আপনার বিদেশনীতি! সেইমতো আপনি ইরাকে সেনা পাঠাচ্ছেন। কিন্তু এর মূল্য আমায় কেন দিতে হবে?"

সেই উত্তর পাননি সটলফ। পাননি তাঁর মা শিরলি সটলফও। মৃত্যুর সপ্তাহ খানেক আগে জঙ্গিদের কাছে ছেলের প্রাণভিক্ষা চাইলেও তাতে বিশেষ কান দেয়নি জঙ্গিরা।

নিহত সাংবাদিককে সর্বত্র মার্কিন বলা হলেও সটলফকে আজ আবার নিজেদের দেশের নাগরিক বলে দাবি করেছে ইজরায়েল। সে দেশের প্রায় সব কাগজেই আজ ফলাও করে ছাপা হয়েছে তাঁর মুণ্ডচ্ছেদের ঘটনা। সে দেশের কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক হলেও ২০০৫ সালে সটলফ পাকাপাকি ভাবে চলে আসেন ইজরায়েলে এবং সে দেশের নাগরিকত্ব নেন। প্রাণের ঝুঁকি ছিল বলেই এই পরিচয় এত দিন প্রকাশ করা হয়নি।  



সাংবাদিক জেমস ফলিকে শিরচ্ছেদের কয়েক সপ্তাহ পর অপর এক মার্কিন সাংবাদিক স্টিভেন সটলফের শিরচ্ছেদের ভিডিও মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এ্যান্ড সিরিয়া (আইসিস)। ফলির শিরচ্ছেদের ভিডিওতে সটলফকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল তারা। এবার এই জঙ্গী সংগঠনটি এক ব্রিটিশ বন্দীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এই ঘটনাকে চরম নিষ্ঠুরতা বলে অভিহত করে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে বিশ্ব স্তম্ভিত।। ভিডিওর সত্যতা নিয়ে নিশ্চিত হতে না পারলেও এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এই ঘটনাকে অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ বলে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। খবর টেলিগ্রাফ, এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।

সটলফের ভিডিওটি মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া হয়। ভিডিওটি আসল বলে নিশ্চিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভিডিওর শেষ অংশে এক আইসিস জঙ্গী বলেছে, তাদের হাতে ডেভিড ক্যাথর্ন হাইনেস নামে এক ব্রিটিশ নাগরিক বন্দী আছেন। মার্কিন প্রশাসন আইসিসের উপর হামলা চালান বন্ধ না করলে তারা ব্রিটিশ নাগরিকে একইভাবে হত্যা করবে। ২০১৩ সালের আগস্টে সিরিয়া থেকে ৩১ বছর বয়সী সটলফ অপহৃত হন। তিনি টাইম ম্যাগাজিনসহ বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের হয়ে কাজ করতেন। আরবী ভাষায় দক্ষ এই সাংবাদিক সিরিয়া, মিসর ও লিবিয়া থেকে সংবাদ পাঠাতেন। আর হাইনেসকে গত বছরের মার্চে তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবের আতমেহ শরণার্থী শিবির থেকে অপহরণ করা হয়। 'এ সেকেন্ড মেসেজ টু আমেরকিা' নামে আড়াই মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখোশ পরা এক জঙ্গী সটলফকে সামনে রেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে সম্বোধন করে ব্রিটিশ উচ্চারণে বলেন, ওবামা, আমি ফিরে এসেছি। ফিরে এসেছি, কারণ হুঁশিয়ারি দেয়ার পরও আপনি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি অব্যাহত রেখেছেন। আপনার ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের লোকজনকে আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ছুরিও আপনার লোকের গলায় আঘাত হানবে। যুক্তরাষ্ট্র যদি তার বিদ্যমান আরব নীতি থেকে সরে না আসে, তাহলে ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড ক্যাথর্ন হাইনেসকেও মেরে ফেলা হবে। ব্রিটেনে ওই জঙ্গী 'জিহাদী জন' নামে পরিচিত। শিরñেদের আগে ক্যামেরার সামনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে সটলফ বলেছেন, ইরাক সম্পর্কে আপনার বিদেশ নীতি সম্ভবত মার্কিন নাগরিকদের জীবন এবং স্বার্থ সুরক্ষিত করার উদ্দেশেই।

ইরাকে জিহাদীদের বিরুদ্ধে ওবামার বিমান হামলা চালানোর সিদ্ধান্তের বলি আমি। ফলির শিরñেদের পর ওই জঙ্গী সটলফের চুল ধরে ওবামাকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, আইসিস ও ইরাকের ব্যাপারে ওবামা তার নীতি না বদলালে সটলফকেও হত্যা করা হবে। এর পরই সটলফের মা শ্যারলি সটলফ আইসিস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদীর কাছে ছেলের প্রাণ ভিক্ষা চান। তবে শেষ পর্যন্ত জঙ্গীরা শ্যারলির অনুরোধ শোনেনি। পাশাপাশি ভিডিওতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনকে উদ্দেশ করে ওই ব্রিটিশ জঙ্গী বলেন, আমরা ওইসব সরকারকে সতর্ক করে বলতে চাই যাঁরা আইসিসের বিরুদ্ধে আমেরিকার মিত্র হতে চান, তাঁরা সরে যান আর আমাদের জনগণকে আমাদের মতো থাকতে দিন।


চ্যাটার্জি ইণ্টারন্যাশনালে আগুন| ইনসেটে ল্যাডার দিয়ে চলছে আগুন নেভানোর কাজ|

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড পার্ক স্ট্রিটের গুরুত্বপূর্ণ চ্যাটার্জি ইণ্টারন্যাশনালে৷

আজ, মঙ্গলবার সকাল ৭.৫৫ মিনিটে ১৫ তলায় প্রথমে ধোঁয়া দেখা যায়৷ দ্রূত তা ১৭ তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে| সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত মোট ১৭টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে লাগানো হয়৷ প্রায় তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় চারটি হাইড্রোলিক ল্যাডার, স্কাই লিফটের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন শ'খানেক দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা৷ দমকলকর্মীদের তত্পরতায় উদ্ধার করা হয় ভবনে আটকে থাকা লোকজনকে | শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়ায়, চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন দমকল কর্মীরা৷ ২২ তলার বিল্ডিংয়ে আগুন লাগার পর সব অফিসেই ছুটি দেওয়া হয়৷ ক্ষতি হয়েছে ১৫টি অফিসে৷ সংলগ্ন রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় যান জট ছড়িয়ে পড়ে ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট, এক্সাইড এলাকাতে৷

প্রাথমিকভাবে এসি মেশিন বা শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে দমকল কর্তাদের অনুমান৷ লিকেজ থেকেই শর্ট সার্কিট হয়েছে বলে মনে করা হচেছ৷ প্রথমে ৩৫ মিটারের ল্যাডার পাঠানো হলেও তাতে কাজ হয়নি৷ রাজারহাট থেকে আনা হয় ৫০ ও ৭০ মিটারের ল্যাডার৷ সেই ল্যাডারের মাধ্যমে উপরে পৌঁছে যান দমকলের কর্মীরা৷ চ্যাটার্জি ইণ্টারন্যাশনাল বিল্ডিংয়ে আগুন লাগার পর জওহরলাল নেহরু রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়৷

ছড়িয়েছিল আতঙ্কও৷ ২২ তলার চ্যাটার্জি ইণ্টারন্যাশনালে সবমিলিয়ে একশোটির মতো সংস্হার অফিস রয়েছে৷ সেইসব অফিসের কর্মীরা এদিন অফিসে আসার সময়ই আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন৷ পুলিশ সূত্রে সব ক'টি অফিসেই ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়৷ আগুন লাগার পর রবীন্দ্রসদন বা ধর্মতলা থেকেও ধোঁয়া নজরে পড়েছে৷ ১৪, ১৫ ও ১৬ তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল৷ ১৬ তলার একাংশ পুড়ে যায়৷ হাওয়ার কারণে আগুন উপরের দিকে উঠতে শুরু করে৷ বেলা ১১টার পর ১৭ তলাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ তবে দমকলের কর্মীরা আগাম ব্যবস্হা নেওয়ায় সেখানে সেভাবে কোনও ক্ষতি হয়নি৷ ২০ঙ্মজ্জ্ব সালের ১৩ জানুয়ারি নন্দরাম মার্কেটে আগুন লেগেছিল৷ কিছু দূরের স্টিফেন কোর্টে ২০ভ্লঙ্ম সালের ২৩ মার্চ ভয়াবহ আগুনে ৪৩ জনের প্রাণ গিয়েছিল৷ সেদিনের ভয়াবহতা অনেক বেশি ছিল৷ তবে এবার একটু সকালের দিকে আগুন লাগায় সমস্যায় পড়তে হয়নি৷ পাশাপাশি ডিজাস্টার ম্যানেজমেণ্ট কর্মীদেরও সঙ্গে নিয়ে দ্রূত ঘটনা মোকাবিলায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন দমকল কর্মীরা৷ আগুন লাগার খবর পেয়েই দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান ঘটনাস্হ্লে পৌঁছন৷ বেলা সাড়ে ন'টার কিছু পরে তিনি জানিয়েছেন, "প্রাথমিকভাবে উপর তলায় জল পৌঁছতে অসুবিধা হয়েছে৷ তবে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে৷" মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে পৌঁছন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও৷ চৌরঙ্গি বিধানসভা এলাকায় হওয়ায় উপনির্বাচনের প্রার্থীরাও সেখানে যান৷ মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ আমরা জানিয়েছি, নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ তিনি প্রতিনিয়ত খোঁজ নেন৷  


নজরে মুখ্যমন্ত্রীর উপনির্বাচন

ভবানীপুরে ২৭ ক্লাবে কোটি টাকা সারদার

শুভাশিস ঘটক

৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৫৫:৫০

e e e print

1

টাকা তো নয়, যেন খোলামকুচি!

দু'সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার ২৭টি ক্লাবকে প্রায় এক কোটি টাকা দিয়েছিলেন সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে এই তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। তার চেয়েও বড় কথা হল, যে সময়ে এবং যে এলাকার ক্লাবকে ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা থেকেই বড় রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারীরা। তাঁদের একাংশের ধারণা, ওই টাকা বিলোনোর পিছনে রীতিমতো রাজনৈতিক অঙ্ক ছিল।

সিবিআই সূত্র বলছে, সারদার টাকা পাওয়া ২৭টি ক্লাব মূলত চারটি থানা এলাকার চেতলা, কালীঘাট, ভবানীপুর এবং আলিপুর। এই চারটি এলাকাই পড়ে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে। যে কেন্দ্রের বিধায়ক খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১-র বিধানসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূলের সুব্রত বক্সী। তৃণমূল সরকার গড়ার পরে তিনি মমতার জন্য ইস্তফা দেন ওই কেন্দ্র থেকে। ভবানীপুরে উপনির্বাচন হয় ২০১১-র ২৮ সেপ্টেম্বর। সিবিআই সূত্রের বক্তব্য, ওই ভোটের সপ্তাহ তিনেক আগে টাকা দেওয়া হয়েছিল ক্লাবগুলিকে।

এই সমাপতন কাকতালীয়, নাকি এর পিছনে শাসক দলের কোনও অঙ্ক কাজ করেছিল, তা-ই এখন খতিয়ে দেখতে চান সিবিআই গোয়েন্দারা। তাঁদের বক্তব্য রাজ্য, এমনকী কলকাতার অন্য কোনও এলাকা নয়, শুধু ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ওই ২৭টি ক্লাবকেই বেছে বেছে কেন টাকা দেওয়া হল, সেই প্রশ্নের উত্তর জানা প্রয়োজন। গোয়েন্দাদের একাংশের মতে, আইআরসিটিসি-সারদা যোগসূত্রের পরে এই ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গেও আরও এক বার প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গেলেন শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

এমনিতে ২০১০ সাল থেকে বছর তিনেক দুর্গাপুজো-সহ বিভিন্ন উৎসবে বিভিন্ন পুজো কমিটি, ক্লাব ও সংগঠনকে দু'হাতে টাকা দিয়েছিলেন সুদীপ্ত। কখনও নামে, কখনও বেনামে। কিন্তু কোনও আপাত উপলক্ষ ছাড়াই কেন ওই সময় ২৭টি ক্লাবকে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটাই ভাবাচ্ছে সিবিআই তদন্তকারীদের।

সিবিআইয়ের জেরায় সুদীপ্ত জানান, ক্লাবগুলিতে টাকা দেওয়ার পিছনে ছিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি তখন সারদার গ্রুপ মিডিয়া সিইও। এবং রাজ্যসভার সাংসদ না হলেও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে যথেষ্ট পরিচিত। সিবিআই গোয়েন্দাদের কাছে সুদীপ্তর দাবি, ভবানীপুর কেন্দ্রের ওই ২৭টি ক্লাবকে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর উপরে রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করেছিলেন কুণাল। ২৭টি ক্লাবের তালিকা তৈরি করে কুণালই তাঁকে দিয়েছিলেন।

সুদীপ্তর এই দাবির সঙ্গে কুণালের বয়ান মিলিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে সুদীপ্ত ও কুণালকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ নিজেও সারদা কর্ণধারের বক্তব্যকেই সমর্থন করেন।

দু'জনের বক্তব্য একসঙ্গে করে সিবিআই অফিসাররা জানাচ্ছেন, তৃণমূলের এক শীর্ষনেতার কথামতোই ক্লাবগুলির পিছনে টাকা ঢালা হয়েছিল। ২০১১-এর সেপ্টেম্বরের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে তিন পর্যায়ে সুদীপ্তর কাছ থেকে নগদে ওই টাকা আদায় করা হয়। সুদীপ্তর হিসেব মতো তিন দফায় তিনি ৯৮ লক্ষ টাকা কুণালকে দিয়েছিলেন। ২৭টি ক্লাবের মধ্যে ২টি ক্লাবকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। দু'টি ক্লাবকে দেওয়া হয়েছিল ৫ লক্ষ টাকা করে। বাকি ২৩টি ক্লাবের কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা এখনও তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট নয়। সুদীপ্ত মোট যত টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করছেন, সেটা যথাযথ কি না, তা-ও অন্যান্য সূত্র থেকে খতিয়ে দেখতে চান তাঁরা।

কিন্তু ক্লাবগুলিকে কেন টাকা দিতে বলেছিলেন কুণাল?

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, জেরায় কুণাল জানিয়েছেন, শাসক দলের এক শীর্ষনেতার নির্দেশেই সারদার অফিস থেকে তিন দফায় ওই টাকা নিয়ে কালীঘাটের বাসিন্দা এবং পারিবারিক ভাবে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেন তিনি। সিবিআই-কে কুণাল জানিয়েছেন, কালীঘাটের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ভবানীপুর এলাকার একাধিক ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় তাঁর যথেষ্ট প্রভাবও রয়েছে।

কুণালকে জেরা করে ওই ২৭টির মধ্যে কয়েকটি ক্লাবের নামও সিবিআই জেনেছে। তদন্তকারীরা জানান, ওই ক্লাবগুলি ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ রোড, নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিট, রূপচাঁদ মুখার্জি লেন, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, শাঁখারিপাড়া রোড, পদ্মপুকুর রোড ও চেতলা রোডে অবস্থিত। সুদীপ্তও সিবিআই তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, কুণালের দেওয়া ক্লাবগুলির নামের তালিকার প্রতিলিপি সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে রাখা ছিল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আপাতত তাদের লক্ষ্য, ২৭টি ক্লাবের নামের ওই তালিকা হাতে পাওয়া। রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-এর কাছ থেকে পাওয়া বহু নথির মধ্যে ওই তালিকা আছে কিনা, সেটা সিবিআই খতিয়ে দেখছে। তালিকা পাওয়ার পর ওই ক্লাবগুলির ২০১১-র সেপ্টেম্বরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখবে সিবিআই। এবং তার পর ক্লাবগুলির শীর্ষকর্তাদের তলব করার কথা ভাবছেন তদন্তকারীরা।

এমনিতেই শাসক দল সরকারি টাকায় যে ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবকে পোষণ করছে, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। সরকারি নথি বলছে, ২০১১ ও ২০১২ সালে রাজ্যের যুবকল্যাণ দফতর ২৩৯৫টি ক্লাবকে ২ লক্ষ টাকা করে অর্থসাহায্য দিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যেই এই ভাবে জনগণের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে।

কিন্তু ক্ষমতায় আসার চার মাসের মধ্যে সারদার কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে কেবল ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ২৭টি ক্লাবকে দেওয়ার পিছনে ঠিক কী উদ্দেশ্য ছিল, সেটাই এখন জানতে চায় সিবিআই।

http://www.anandabazar.com/state/%E0%A6%AD%E0%A6%AC-%E0%A6%A8-%E0%A6%AA-%E0%A6%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%AD-%E0%A6%95-%E0%A6%B2-%E0%A6%AC-%E0%A6%95-%E0%A6%9F-%E0%A6%9F-%E0%A6%95-%E0%A6%B8-%E0%A6%B0%E0%A6%A6-%E0%A6%B0-1.65752



মুকুলের মন্তব্যের নাগপাশে জড়াচ্ছে তৃণমূল

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৫২:১৪


2

শুরু করেছিলেন ছেলে। এ বার সুর ধরলেন বাবা! ধাপে ধাপে তবে কি বৃহত্তর কোনও পরিকল্পনার দিকে এগোচ্ছেন রায়-বাহিনী?

তৃণমূলের অন্দর মহল ফুটছে এমনই জল্পনায়! রেল-সারদা যোগাযোগ নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের মন্তব্য শাসক দলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আইআরসিটিসি-র সঙ্গে সারদা গোষ্ঠীর পর্যটন সংস্থার যে চুক্তি হয়, তার দায় নিতে চাননি মুকুলবাবু। জানান, তখন তিনি বা দীনেশ ত্রিবেদী রেলমন্ত্রী ছিলেন না। যদি কিছু হয়ে থাকে, তার তদন্ত হতেই পারে। বিরোধীদের মতো তৃণমূলের অন্দরেও প্রশ্ন, সিবিআইয়ের ফাঁস চেপে বসছে দেখেই কি এমন কৌশল নিলেন তৃণমূল নেত্রীর দক্ষিণ হস্ত? যাতে তথ্যগত ভাবে ঠিক কথা বলাও হল, আবার দলনেত্রীর কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া গেল, তাঁকে নিয়ে টানাটানি হলে জল আরও উপরে উঠবে!

মুকুলবাবু অবশ্য বুধবার দলনেত্রীর প্রশ্নের মুখে তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রকাশ্যেও বুধবার তিনি একই দাবি করেছেন। বলেছেন, "যে ভাবে আমার বক্তব্যের বিকৃত ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তাতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত!" তৃণমূলেরই এক প্রথম সারির নেতা অবশ্য বলছেন, "ভুল ব্যাখ্যার কী আছে! উনি যা বলেছেন, তাতে এই রকম প্রশ্ন তো উঠবেই। গোটা বক্তব্যই তো টিভি ক্যামেরায় ধরা আছে!"

মুকুল এই কথা বললেও দল এবং বাংলার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অনেকেই কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তৃণমূলের অন্দরে যে চর্চা চলছে, তার থেকে মুকুল-মন্তব্যের উদ্দেশ্য   সম্পর্কে দু'টি ব্যাখ্যা উঠে আসছে। এক, বিপদ হতে পারে বুঝে তিনি নিজে বাঁচতে চেয়েছেন। বিতর্কিত চুক্তির প্রসঙ্গ থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে চেয়েছেন। আর দুই, সাংসদ কুণাল ঘোষের মতো তিনিও বোঝাতে চেয়েছেন, তিনি একাই কেবল দোষের ভাগী হবেন না। কান টানলে মাথাও আসবে! বিরোধী সিপিএমের এক নেতার কথায়, "সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে জনসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, আমি চোর? মুকুল চোর? মদন চোর? কুণাল চোর? দেখা যাচ্ছে, যাঁদের নাম সে দিন নিয়েছিলেন, প্রত্যেকের দিকেই একে একে আঙুল উঠছে! এবং আরও দেখা যাচ্ছে, নাম ওঠার পরে প্রত্যেকেই দলে একা হয়ে যাচ্ছেন!"বিরোধী দলগুলির নেতারা বলছেন, সারদা-কাণ্ডের তদন্ত এগোতেই শাসক দলের নেতারা এখন যে যার মতো নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ যেমন এ দিনও বলেছেন, "বিপদ যখন মাথার কাছে চলে আসে, তখন সবাই নিজেকে বাঁচাতে চায়। চাচা আপন প্রাণ বাঁচা!" শাসক দলে যে এক অর্থে মুষল-পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে, সে দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, "সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরে যে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা মুকুলবাবুর কথা থেকেই স্পষ্ট।" একই ভাবে তৃণমূলের এক রাজ্য নেতারও বক্তব্য, "সারদা-কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে আমাদের দলের সাংসদ কুণাল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার সময়ে বলেছিল, আমি ডুবলে সবাইকে নিয়েই ডুবব! এটা আবার সেই রকম কোনও পরিকল্পনা থেকে বলা হয়নি তো!"

শাসক দলেরই কিছু নেতা আবার এর সঙ্গে ভিন্নমত। সারদা-কাণ্ড নিয়ে সিবিআই তদন্তের বাঁধন যত শক্ত হচ্ছে, দলের অনেকেই তাতে প্রমাদ গুনছেন। সেই প্রেক্ষাপটে ওই নেতাদের বক্তব্য, মুকুলবাবুকে ভবিষ্যতে যাতে 'বলির পাঁঠা' না করা হয়, সে জন্য ভেবেচিন্তেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। ঘটনা হল, দলের মধ্যেই মুকুলের দাপটে যাঁরা ত্রস্ত, তাঁদের অনেকেই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্যে অশুভ ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছেন। দলের এক প্রবীণ মন্ত্রীর মতে, "রেল-সারদা চুক্তি নিয়ে যখন সংবাদমাধ্যম এবং বিরোধী দলগুলি আমাদের নেত্রীকে নিশানা করার অপচেষ্টা করছে, সেই সময় মুকুল এ ভাবে না বললেই পারতেন!" ওই মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, সারদা পরে কী কী অনৈতিক কাজ করবে, ২০১০ সালে তো তা কেউ জানত না! একটা বাঙালি প্রতিষ্ঠান রেলে বরাতের জন্য আবেদন করেছে, তা মঞ্জুর হয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূল দল বা দলনেত্রীর দিকে আঙুল তোলার চেষ্টা বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবেন না! এই কথা বলেই অনায়াসে বিষয়টি সামাল দিতে পারতেন মুকুল। কিন্তু তিনি তা করেননি।

কেন করেননি, তারও ব্যাখ্যা উঠে এসেছে দলের অন্দরের আলোচনা থেকে। তৃণমূলের একাংশ বলছেন, এটা শুধু সারদায় নিজেকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা নয়। তা-ই যদি হতো, তা হলে মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু হঠাৎ দলীয় মঞ্চ থেকে সিন্ডিকেট, গরু পাচার-সহ বিভিন্ন অনৈতিক ও বেআইনি কাজকর্ম নিয়ে মুখ খুলতেন না। দলনেত্রীর নেকনজরে পড়ে যাঁরা এখন সংগঠনে গুরুত্ব পাচ্ছেন, তাঁদেরই কারও কারও বিরুদ্ধে কৌশলে শুভ্রাংশু বার্তা দিচ্ছিলেন বলে তৃণমূলের একাংশের মত। এ বারে যেমন মুকুলবাবুর কথায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী, সে দিনও শুভ্রাংশুর বক্তৃতা শুনে রুষ্ট হয়েছিলেন তিনি।

এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দলের একাংশ বলছে, তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সম্পর্ক মোটেও মসৃণ নয়। দিল্লিতে অণ্ণা হজারেকে নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বিড়ম্বনার সময় থেকে সম্পর্ক আরও বন্ধুর হয়েছে। দলের অন্দরের সমীকরণের তাগিদেই বরং শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতাদের সঙ্গে অভিষেকের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। যার জেরে সংগঠনের উপরে প্রভাব শিথিল হয়ে পড়ার আশঙ্কায় ভুগছে মুকুল-শিবির। এই টানাপড়েন থেকেই সরব হতে শুরু করেছিলেন মুকুল-পুত্র। এ বার সেই চিত্রনাট্যই খোদ মুকুল নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন বলে দলের এই অংশের ব্যাখ্যা। এই অংশের নেতাদের মতে, দলনেত্রীকে চাপে রাখতে চেয়েই মুকুলের ওই মন্তব্য। এক নেতার কথায়, "দলনেত্রী যাতে মুকুলবাবুর উপরেই নির্ভরশীল থাকেন, সেই কারণে বুঝে-সুঝেই ওই মন্তব্য করেছেন। গোটা সংগঠনটা যেন নেত্রী মুকুলবাবুর চোখ দিয়ে দেখেন, সেই পরিস্থিতি তৈরি করতেই ওই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে।"

যে কারণেই তিনি বলুন, মুকুল মুখ খোলার পরে বাড়ছে জল্পনা! স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সিবিআই যত এগোচ্ছে, তৃণমূলের অন্দরে একে অপরকে তত সন্দেহের চোখে দেখছেন!

http://www.anandabazar.com/state/%E0%A6%AE-%E0%A6%95-%E0%A6%B2-%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%AC-%E0%A6%AF-%E0%A6%B0-%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A6%AA-%E0%A6%B6-%E0%A6%9C%E0%A7%9C-%E0%A6%9A-%E0%A6%9B-%E0%A6%A4-%E0%A6%A3%E0%A6%AE-%E0%A6%B2-1.65746


বুধবার দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্কে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় যান সিবিআই অফিসারেরা। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সংবাদমাধ্যম কেনাবেচা সংক্রান্ত বেশির ভাগ টাকার লেনদেন হয়েছিল এই ব্যাঙ্কের মারফতেই। এই ব্যাঙ্কে সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ সারদা সংস্থার নামে মোট ১৫টি অ্যাকাউন্ট ছিল। সেই অ্যাকাউন্টগুলি মারফত ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই লেনদেনের বিস্তারিত হিসেব এ দিন সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে সেই হিসেব পরীক্ষা করেই সমাজের বেশ কয়েক জন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছে। এই সব ব্যক্তির নামে সরাসরি টাকা গিয়েছে ওই ব্যাঙ্কে সারদার অ্যাকাউন্ট থেকেই। প্রসঙ্গত, এর আগে এই ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিলেন ইডি-র তদন্তকারীরাও।

সিবিআইয়ের দাবি, ওই ব্যাঙ্কের কোনও অ্যাকাউন্টেই বেশি টাকা জমা রাখতেন না সারদা কর্তৃপক্ষ। অথচ ব্যাঙ্কের নথি থেকে জানা গিয়েছে, সারদার মিডিয়া ব্যবসার যাবতীয় খরচ ওই ১৫টি অ্যাকাউন্ট থেকেই মেটানো হয়েছে। খরচের চেক জমা পড়ার পরেই এই অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা জমা করা হত। সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তরুণ রায় নামে সারদার এক হিসাবরক্ষক প্রতিদিন সকালে ওই ব্যাঙ্কে আসতেন। ব্যাঙ্কের একটি ঘরেই তিনি বসতেন এবং তিনিই এই ১৫টি অ্যাকাউন্টের লেনদেনের যাবতীয় তথ্য রাখতেন। তাঁকেও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।

সারদার একটি চ্যানেলে একটি গেম শোয়ে ফোন করে বিপুল টাকা জিতে নিতে পারতেন দর্শকেরা। সারদা কেলেঙ্কারিতে ধৃত তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ সেই অনুষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, সেই অনুষ্ঠানের টাকাও ওই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া হয়েছে বলে ব্যাঙ্কের নথি থেকে জানা গিয়েছে।

এক তদন্তকারী জানান, প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ করে দেবযানীর বোনকে যাদবপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে অনাবাসী কোটায় ভর্তি করে দিয়েছিলেন সুদীপ্ত। সেই লেনদেনও এই ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে হয়েছিল বলে তদন্তে জানা গিয়েছে।

বুধবার সল্টলেকে সিবিআই দফতরে মনোজ তালুকদার নামে সারদার এক ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গুয়াহাটিতে সারদার ৩০ বিঘার একটি জমি সংক্রান্ত তথ্য জানতেই মনোজবাবুকে ডাকা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। মনোজবাবু জানান, ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি সারদায় চাকরি করেছেন। ওই জমিটি কেনা হয়েছিল ২০০৯ সালে। যদিও সিবিআই অফিসারদের মতে, ওই জমি কেনা এবং পরে ওই জমিটি কাজে লাগানোর সময়ে মনোজবাবু বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন।

বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় এলাকায় একটি সিমেন্ট কারখানা সম্প্রতি পরিদর্শন করে এসেছেন ইডি অফিসারেরা। জানা গিয়েছে, এই কারখানাটি ২০০৫ সালে কিনেছিলেন রাজ্যের বর্তমান বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায় এবং ২০০৯ সালে তিনি তা বিক্রি করে দেন সুদীপ্তকে। সেই বেচাকেনার সময়ে ১৫ বিঘা জমির উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু এলাকা পরিদর্শন করে তার মধ্যে ৮ বিঘা জমির বৈধতা খুঁজে পেয়েছেন ইডি অফিসারেরা। শুধু জমি নয়, ওই কারখানা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে যে টাকার অঙ্কের কথা বলা হয়েছিল, তা নিয়েও অসঙ্গতি রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ইডি অফিসারেরা মনে করছেন।


http://www.anandabazar.com/state/%E0%A6%AC-%E0%A6%AF-%E0%A6%99-%E0%A6%95-%E0%A6%B8-%E0%A6%AC-%E0%A6%86%E0%A6%87-%E0%A6%B9-%E0%A6%A8-%E0%A6%A8-%E0%A6%AE-%E0%A6%AE-%E0%A6%B2%E0%A6%B2-%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A6%AD-%E0%A6%AC%E0%A6%B6-%E0%A6%B2-%E0%A6%A6-%E0%A6%B0-1.65742


প্রশ্নটা যে শুধু নিরাপত্তার নয়, কারাকর্তাদের একাংশ তা মেনে নিচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রভাবশালী বন্দিদের নিয়ে আরও অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। জেলেরই কিছু কর্মী এবং বন্দিদের একাংশের জন্য সেই ঝক্কি বাড়ে বলে তাঁদের অভিযোগ। কোন দিক থেকে সমস্যা হয়? ওই কারাকর্তারা জানান, প্রভাবশালী বন্দিদের সঙ্গে বাইরের জগতের যোগাযোগ ঘটাতে এবং বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে উৎসাহী হয়ে পড়েন এক শ্রেণির কারাকর্মী এবং কিছু বন্দিও। বিশেষ করে কারাকর্মীদের একাংশ এই কাজে জড়িয়ে পড়ায় তার মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি আলিপুর জেলের তিন জন বন্দি একসঙ্গে পালানোয় ওই জেলের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তিত কারাকর্তারা।

কারা দফতর সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গল-কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতু সারদা মামলায় গ্রেফতার হয়ে আলিপুর জেলে আসার পরে তাঁকে ওখানকার সব চেয়ে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া এক নম্বর সেলে রাখা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও দু'দিনের মধ্যেই তাঁকে বেআইনি ভাবে ডিম-কলা সরবরাহ করা হয়। সেই ঘটনায় এক কারাকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বস্তুত, ওই ঘটনার পরেই কারাকর্তারা সারদা-বন্দিদের বিভিন্ন জেলে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন, ওই সংস্থার তাবড় কর্তা সোমনাথ দত্ত, অরবিন্দ চৌহান ও মনোজ নাগেলকে বেশ কিছু দিন আগেই কলকাতার আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে ঢোকানো হয়েছিল। গত দু'সপ্তাহে নিতু এবং ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবালকেও ওই জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধু আলিপুর জেলই সুদীপ্ত, নিতু-সহ সারদার ছয় বন্দির ঠিকানা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই জন্য তাঁদের মধ্যে কয়েক জনকে দ্রুত অন্য জেলে সরিয়ে দিয়ে ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে খুবই গোপনে নিতুকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দমদম জেলে। প্রেসিডেন্সি জেলে সরানো হয় অরবিন্দ চৌহানকে। সোমনাথ দত্তের ঠাঁই হয়েছে হাওড়া জেলে।

প্রথমে নিতুকে প্রথমে প্রেসিডেন্সি জেলে সরানোর কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সারদা কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ রয়েছেন ওই জেলে। কুণালের সঙ্গে নিতুকে রাখা ঠিক হবে না ভেবে তাঁকে শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল-কর্তাকে দমদম জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুদীপ্ত-সহ সারদার জনা তিনেক বন্দি এখনও আলিপুর জেলেই রয়েছেন। আর আলিপুর মহিলা জেলে আছেন সারদার অন্যতম ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়। ভবিষ্যতে সারদা-তদন্তে বন্দির সংখ্যা বাড়লে তাঁদেরও বিভিন্ন জেলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা দফতর।

http://www.anandabazar.com/state/%E0%A6%9D%E0%A6%95-%E0%A6%95-%E0%A6%8F%E0%A7%9C-%E0%A6%A4-%E0%A6%87-%E0%A6%B8-%E0%A6%B0%E0%A6%A6-%E0%A6%B0-%E0%A6%95-%E0%A6%9B-%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%A6-%E0%A6%B0-%E0%A6%9C-%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2-1.65739


লাল ফিতের ফাঁস নয়, জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ভারতে থাকবে লাল কার্পেট, বললেন মোদি

ওয়েব ডেস্ক

টোকিও, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

'লাল ফিতে নয়, আপনাদের জন্য ভারতে অপেক্ষা করবে লাল কার্পেট'৷ মঙ্গলবার জাপানের বিনিয়োগকারীদের প্রতি এমনই বার্তা দিয়ে তাঁদের মন জয় করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷অন্য আরও এক রূপে তাঁকে দেখল জাপানবাসী|

এর আগে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জাপান সফরে গেলেও, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এবারই প্রথম৷ আর সেই প্রথম সফরেই জাপানবাসীর কাছ থেকে বিনিয়োগের প্রতিশ্রূতি আদায় করে নিলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি৷ সোমবারই জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবের কাছ থেকে বুলেট গতির ট্রেন-সহ ভারতের নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পে প্রায় ২ লক্ষ ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছিলেন মোদি৷

আজ মঙ্গলবার জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের একটি সেমিনারে জাপানের শিল্পদ্যোগীদের মোদি বললেন, ভারত এমন একটি দেশ যেখানে গণতন্ত্র, জনসংখ্যা, চাহিদা তিনই আছে৷ তাই এই মুহূর্তে বিনিয়োগের জন্য ভারতের চেয়ে আর ভাল কোনও জায়গা হতেই পারে না৷ভারতের ভৌগোলিক অবস্হানের কথা উল্লেখ করে তাঁর বার্তা, এই অবস্হান  গোটা বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য আদর্শ৷ আর ভারত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা, সুবিচার-সহ সহ শিল্পের বিকাশের উপযোগী সমস্ত রকম পরিবেশ দেবে৷

তাঁর কথা ছিল, 'জাপান ছাড়া যেমন ভারত পূর্ণ হবে না, তেমনই ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে ভারত ছাড়াও অসম্পূর্ণ থেকে যাবে জাপান৷' মোদির এই মন্তব্যে দুই দেশের এক নতুন সম্পর্কের সূচনা হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷

এদিন তাঁকে অন্য এক রূপেও দেখল জাপান| টিসিএস সিইও-র অনুরোধে টোকিও-র বাদ্যযন্ত্র বাজালেন মোদি| জাপানি ঢাকে ভারতীয় ছন্দ শুনলেন সকলে|

ত্রিপোলি থেকে 'উধাও' হওয়া বিমানকে কাজে লাগিয়ে ৯/১১ কায়দায় আমেরিকায় ফের হবে হামলা!

Last Updated: Wednesday, September 3, 2014 - 11:14

ত্রিপোলি থেকে 'উধাও' হওয়া বিমানকে কাজে লাগিয়ে ৯/১১ কায়দায় আমেরিকায় ফের হবে হামলা!

ওয়েব ডেস্ক: ত্রিপোলি বিমানবন্দর থেকে ১১টি বিমানের কোনও খোঁজ নেই। মার্কিন গোয়েন্দাদের রিপোর্ট সেইসব বিমানগুলি নাশকতায় ব্যবহার করার হবে বলে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে ইসলামিক জঙ্গিরা। এই রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ২০০১ সালে ৯/১১-এর কায়দায়  মার্কিন মুলুকে ফের হামলা হবে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর এই হামলা চালনা হবে বলে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রকাশ। হামলার আশঙ্কায় গোয়েন্দারা সতর্কবার্তাও পাঠিয়েছেন।

আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার ১৩ তম বার্ষিকী। সেই দিনেই নাকি ত্রিপোলি থেকে অপহূত বিমানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বহুতম বাড়িতে 9/11-এর কায়দায় হামলা চালানো হবে। দু বছর আগে লিবিয়ায় ১১ সেপ্টেম্বরেই মার্কিন দূতাবাসের ওপর হামলা চালানো হয়। এই জঙ্গি হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্স সহ চার মার্কিন মারা যান।

গত ২৫ অগাস্ট লিবিয়ার রাজধানী লিবিয়ার ত্রিপোলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দখল করে ইসলামপন্থী সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। বিমানবন্দরের দখল নেওয়ার পর বেশ কয়েকটি বিমান ধ্বংস করে দেয় তারা। কিছু বিমানের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারনা সেইসব বিমানকেই আগামী ১১ সেপ্টেম্বর হামলার কাজে লাগানো হবে।

আরও এক মার্কিন সাংবাদিকের গলা কেটে খুনের নতুন ভিডিও প্রকাশ জঙ্গিদের

Last Updated: Wednesday, September 3, 2014 - 08:52

আরও এক মার্কিন সাংবাদিকের গলা কেটে খুনের নতুন ভিডিও প্রকাশ জঙ্গিদের

ওয়েব ডেস্ক: জেমস ফলির পর এবার স্টিভেন সটলফ। ফের ইরাকি জঙ্গি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএসের হাতে প্রাণ গেল আরও এক মার্কিন সাংবাদিকের। বছর ৩১-এর স্টিভেন সটলফকে গলা কেটে খুন করার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে ইরাকি জঙ্গি গোষ্ঠীটি। ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেও ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর।

সেই একই দৃশ্য। ইরাকি আইএসআইএস জঙ্গির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে রয়েছে একজন। পিছনের দিকে হাত বাঁধা। ক্যামেরার সামনে কিছুক্ষণের ভাষণ। আর তারপরই নির্মমভাবে গলা কেটে খুন করা হল হাঁটু গেড়ে বসে থাকা মানুষটিকে।  উনিশে অগাস্ট আইএসআইএস জঙ্গিদের হাতে মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফলির গলা কেটে খুন হওয়ার ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। সেই ঘটনার পনেরো দিন বাদে ফের এক মার্কিন সাংবাদিককে একইভাবে গলা কেটে খুন করল আইএসআইএস জঙ্গিরা। নিহত  সাংবাদিকের নাম স্টিভেন সটলফ।

খুন হওয়ার আগে ক্যামেরার সামনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে সটলফ বলেছেন-- ইরাক সম্পর্কে আপনার বিদেশ নীতি সম্ভবত মার্কিন নাগরিকদের জীবন এবং স্বার্থ সুরক্ষিত করার উদ্দেশেই। কিন্তু ইরাকের ব্যাপারে মার্কিন হস্তক্ষেপের মূল্য তাঁকে জীবন দিয়ে মেটাতে হল। তিনি কি মার্কিন নাগরিক নন?   

এরপরই সটলফের পাশে দাঁড়ানো আইএসআইএস জঙ্গির মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হুঁশিয়ারি-- ইসলামিক রাষ্ট্রগুলির ওপর ওবামার হিংসাত্মক বিদেশ নীতি, অবিরাম বোমা বর্ষণ এবং বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও যেভাবে আইএসআইএস জঙ্গিদের ওপর আঘাত হেনেছে আমেরিকা, তারই ফল এটা। আইএসআইস জঙ্গিদের ওপর মার্কিন ক্ষেপনাস্ত্র হানা বন্ধ না হলে বেছে বেছে মার্কিন নাগরিকদের হত্যা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ওই জঙ্গি।

যদিও স্টিভেন সটলফের খুনের এই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন বিদেশ দফতর। একইসঙ্গে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে হোয়াইট হাউস।

বাইটঃ জেন সাকি, মুখপাত্র, মার্কিন বিদেশ দফতর।

মার্কিন সাংবাদিক স্টিভেন সটলফ খুনের ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। টুইটারে তিনি লিখেছেন ভিডিওটি সত্যি হলে এটা খুবই নৃসংশ ঘটনা। একইসঙ্গে সটলফের পরিবারকে সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি।

  1. 1

  2. 2

  3. 3

  4. 4

  5. 5

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'শ্লীলতাহানি', প্রশ্নের মুখে উপাচার্যের ভূমিকা  

থানায় অভিযোগ জানানোর পর বুধবার লিখিতভাবে ছাত্রীর পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে উপাচার্যের কাছে। ...  আরও»

পরিচারিকাকে ধর্ষণ, ভিডিও রেকর্ডিং করে ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার যুবক  

পরিচারিকাকে আট মাস ধরে ধর্ষণ ও ভিডিও রেকর্ডিং করে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগে গ্রেফতার  রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা এক যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারিণীর দাবি, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তিনি ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। ...  আরও»

আপত্তি অগ্রাহ্য করে সদাশিবমকে কেরলের রাজ্যপাল নিয়োগ করল কেন্দ্র  

চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধান বিচারপতি হিসাবে অবসর নেন সদাশিবম। ...  আরও»




অর্থতত্ত্ব-সারদায় যোগসূত্র খুঁজছে সি বি আই


Google plus share

Facebook share

Twitter share

LinkedIn share

সব্যসাচী সরকার


এ রাজ্যে সারদা, ওড়িশায় অর্থতত্ত্ব৷‌ সারদা ওড়িশায় বহু একর জমি কিনেছে৷‌ আর ওড়িশার অর্থতত্ত্ব চিটফান্ডের গ্রেপ্তার হওয়া মালিক প্রদীপকুমার শেঠি ফ্ল্যাট কিনেছেন কলকাতা, সোদপুর, ব্যারাকপুরে৷‌ কম নয়৷‌ ওড়িশার চিটফান্ডের টাকায় এ রাজ্যে কেনা হয়েছে মোট ৩২টি ফ্ল্যাট! দুই পর্যায়ে৷‌ মোট মূল্য ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৯ হাজার৷‌ এখনও পর্যম্ত অর্থতত্ত্ব সংস্হার এ রাজ্যে জমি-ফ্ল্যাট কেনার হিসেব এটাই৷‌ যদিও আরও তথ্য তদম্তে উঠে আসবে, এমনই বলছেন সি বি আই কর্তারা৷‌ ওড়িশায় সারদা গোষ্ঠী জমি কিনেছিল প্রায় ১৪ একর৷‌ অর্থতত্ত্ব জমি কেনার দিকে না গিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছে৷‌ সি বি আই দুই সংস্হার কর্তাকেই গ্রেপ্তার করেছে৷‌ দুই সংস্হার মধ্যে ব্যবসায়িক যোগসূত্র বা বিনিয়োগের কোনও ব্যাপার ছিল কি না, তা দেখছে সি বি আই৷‌ ওড়িশার অর্থ দপ্তর সি বি আইকে অর্থতত্ত্বের জমিজমা, বাড়ি-ফ্ল্যাট সংক্রাম্ত যে ২৬ পাতার রিপোর্ট দিয়েছে, তাতেই উঠে এসেছে কলকাতা ও লাগোয়া জেলায় ফ্ল্যাট কেনার খবর৷‌ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ৩২টি ফ্ল্যাটের মোট জায়গা ৩১,৯৬০ বর্গফুট! সারদা জলাজমি কিনে শিল্প তৈরির কথা বলত৷‌ অর্থতত্ত্ব এজেন্টদের জানাত, কলকাতায় রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা শুরু হয়েছে৷‌ সুতরাং আর চিম্তা নেই৷‌ সারদার সঙ্গে কী চুক্তি হয়েছিল, তা জানতে এবার ই ডি-র পর তৃণমূল সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলবে সি বি আই৷‌ আজ, বুধবার মুম্বইয়ে মিঠুনের সঙ্গে তারা কথা বলবে৷‌ সি বি আই সূত্রে এমনই খবর৷‌ সারদা-কাণ্ডে সি বি আই তদম্তে দেখেছে, এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যাঁরা সারদার বড় এজেন্ট, টাকাপয়সা সংগ্রহের ব্যাপারে তাঁদের ভূমিকা ছিল বেশ বড় ধরনের৷‌ আমানতকারীদের থেকে এজেন্ট মারফত টাকা নিয়ে রসিদ কেটে দিয়ে আসা হত৷‌ আমানতকারীর রসিদটুকুই সম্বল৷‌ এবার প্রতিদিনের সংগৃহীত টাকা বড় এজেন্টের ঘরে জমা পড়ত৷‌ সেই টাকার কমিশন রেখে বাকি টাকা সারদার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে৷‌ শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন দিনে যে টাকা সংগ্রহ করা হত, সেই টাকা বিভিন্ন সংস্হার নামে খোলা অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হত৷‌ সুদীপ্ত সেন তাঁর সি বি আইকে লেখা চিঠির শেষে, যে চার পৃষ্ঠার 'অ্যানেক্সার' জুড়ে দিয়েছিলেন, তাতে কয়েকজনের নাম দিয়েছিলেন৷‌ তাতে স্পষ্ট করেই কয়েকজনের নাম, ঠিকানা বলেছিলেন৷‌ এ-ও লেখা ছিল, যাঁরা সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করতেন৷‌ পরে তাঁরা অন্য সংস্হা খোলেন৷‌ সি বি আই এই দিকটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে৷‌ কেন না, সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তাঁদের কেন সমস্যা শুরু হল, সুদীপ্তবাবু কেনই বা অভিযোগ করলেন তাঁদের নামে খোদ সি বি আইয়ের কাছে, সেটাই দেখবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷‌ এতদিন পর্যম্ত গ্রেপ্তার হওয়া ও জেরা করে ছেড়ে দেওয়া প্রত্যেকেরই বক্তব্যের রেকর্ড ও লিখিয়ে নেওয়া স্টেটমেন্ট ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে৷‌ যে সমস্ত প্রভাবশালী সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের প্রত্যেকের গত তিন বছরের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দেখার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে৷‌ জনৈক প্রভাবশালী, যাঁর বিরুদ্ধে বারে বারেই অভিযোগ সারদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থাকার, তিনি শুধু সারদাই নয়, আরও ১৪টি চিটফান্ডের 'শুভার্থী' ছিলেন৷‌


পার্থসারথি রায়: জলপাইগুড়ি, ২ সেপ্টেম্বর– সালিশি সভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷‌ ধূপগুড়ি পুরসভা এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বোড়াগাড়ি এলাকার মধ্যপাড়ায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে৷‌ মঙ্গলবার সকালে স্হানীয় রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় বিবস্ত্র অবস্হায় ওই ছাত্রীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়৷‌ এর পরই রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা৷‌ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন বামপম্হী ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের সদস্যরা৷‌ মঙ্গলবার সন্ধেয় ধূপগুড়ি চৌপথি মোড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা৷‌ বুধবার গোটা জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে কালা দিবসের ডাক দেওয়া হয়েছে ছাত্র-যুবদের পক্ষ থেকে৷‌ পাশাপাশি ধূপগুড়ি ব্লকে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এস এফ আই৷‌ সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী সুদেবী পাল বলেন, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টাম্তমূলক শাস্তি না দেওয়া হলে গোটা জেলা জুড়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করবেন তাঁরা৷‌ এদিন এ ব্যাপারে এস এফ আই, ডি ওয়াই এফ আই এবং মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা পুলিস সুপারকে একটি ডেপুটেশনও দেওয়া হয়৷‌ ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ধূপগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অনুকূল বর্মন ও অনিল বর্মনের মধ্যে বিবাদ চলছিল কত কয়েক দিন ধরে৷‌ সেই বিবাদ মেটাতে স্হানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর নমিতা রায় সোমবার সন্ধে নাগাদ একটি সালিশি সভা ডাকেন৷‌ জানা গেছে সালিশি সভার আগে দু'পক্ষ থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তা নেওয়া হয়নি৷‌ এ জন্য সালিশি সভা করে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা চলে৷‌ সভায় অনুকূল বর্মনকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়৷‌ স্হানীয় মানুষের বক্তব্য, সালিশি সভায় অনুকূল বর্মনের কন্যা বিমানি বর্মন বাবার হয়ে কথা বলতে গেলে তাঁকে 'দেখে নেবেন' বলে হুমকি দেন তৃণমূল কাউন্সিলর নমিতা রায়৷‌ সেখানে অনুকূলকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ৷‌ সালিশি সভায় তখন অসংখ্য উৎসাহী মানুষের ভিড় ছিল৷‌ সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় হিমানি৷‌ তারপর থেকে সারারাত ধরে খোঁজাখুঁজি করেও বাড়ির লোকেরা দেখা পাননি৷‌ মঙ্গলবার সকালে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্হায় তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় বারোঘারিয়া গ্রাম-সংলগ্ন কুলতলি রেল গেটের পাশে৷‌ ধূপগুড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্হল থেকে উদ্ধার করে মৃতদেহটি৷‌ ময়নাতদম্তের জন্য পাঠানো হয় জলপাইগুড়ি হাসপাতালে৷‌ জানা গেছে মৃত ছাত্রী ধূপগুড়ি বিদ্যাশ্রম দিব্যজ্যোতি বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলে দশম শ্রেণীতে পড়ত৷‌ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে এস এফ আই৷‌ সংগঠনের জেলা সম্পাদক অঞ্জন সেন বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা না হলে তাঁদের আন্দোলন বড় রূপ নেবে৷‌ একই কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি নুর আলম৷‌ তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্হা না নেওয়া হলে গোটা জেলা জুড়েই রাস্তায় নামবেন তাঁরা৷‌ এদিকে ঘটনার পর তদম্তে নেমে পুলিস এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে৷‌ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনা জানার চেষ্টা করছে৷‌ অন্যদিকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ফরেনসিক বিশেষ: নেই৷‌ তাই মৃতদেহের ময়নাতদম্ত হবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে৷‌



সি বি আই-কে তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের


Google plus share

Facebook share

Twitter share

LinkedIn share


দীপঙ্কর নন্দী


সারদা নিয়ে সি বি আই-কে তৃণমূল ক্রমাগত আক্রমণ করেই চলেছে৷‌ সি বি আই-কে প্রথম আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷‌ তার পর থেকে তৃণমূলের নেতারা আক্রমণের সুর বাড়িয়ে দেন৷‌ চৌরঙ্গি উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা সারদাকে সামনে আনেন৷‌ বলেন, আসল অপরাধীদের সি বি আই আড়াল করছে৷‌ মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল ভবনে বসে আরও এক পা এগিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, কেন্দ্রের অঙ্গুলি হেলনে সি বি আই কাজ করছে৷‌ কংগ্রেসের সময় সি বি আই ছিল কংগ্রেস ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন৷‌ এখন শুধু হাত বদলেছে৷‌ এদিন মুকুল বলেন, সি বি আই এখন রাজনৈতিক সংস্হা৷‌ কেন্দ্রের নির্দেশে এরা তদম্ত করছে৷‌ সোমবার বৌবাজারে তৃণমূলের নেতারা নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে এও বলেন, সি বি আই তৃণমূলকে স্পর্শ করতে পারবে না৷‌ মুকুল বলেন, স্পর্শ করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন৷‌ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সি বি আই-কে অসহযোগিতা করার অভিযোগেরও জবাব দিয়েছিলেন মমতা৷‌ তিনি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, আমাদের পুলিস সবরকম সহযোগিতা করছে৷‌ রাজ্য সরকারের সম্পর্কে বদনাম করা হচ্ছে৷‌ আমরা চাই, সি বি আই আসল অপরাধীকে না আড়াল করে সঠিক তদম্ত করুক৷‌ সব সহযোগিতা করা হবে৷‌ অন্য দিকে, সামনেই চৌরঙ্গি ও বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রের উপনির্বাচন৷‌ তৃণমূলের নেতারা প্রচারে সারদা প্রসঙ্গ এনে সি বি আই-কে আক্রমণ করছেন বেশি৷‌ তাঁরা বি জে পি, সি পি এম এবং কংগ্রেস সম্পর্কেও বলছেন, বিরোধী দলগুলি তৃণমূলের বিরোধিতা করার জন্য একজোট হয়ে নেমেছে৷‌ দলের পক্ষ থেকে নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রচারের সময় আনতে হবে সারদা প্রসঙ্গ৷‌ বলতে হবে সি বি আই-এর ভূমিকার কথা৷‌ এও বলতে হবে, মা-মাটি-মানুষের সরকার হওয়ার বহু আগে থেকেই এই সারদার জন্ম৷‌ বাড়বাড়ম্ত হয়েছে সি পি এমের আমলেই৷‌ নেতাদের বলা হয়েছে, এও বলতে হবে, মা-মাটি-মানুষের সরকার আসার পরেই সারদা-কাণ্ডের কর্তাকে কাশ্মীর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷‌ আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর জন্য কমিশন তৈরি করা হয়েছে৷‌ টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মমতা জানিয়েছিলেন, সি বি আইয়ের হাতে সারদা যাওয়ায় আমরা বেঁচে গেছি৷‌ আমরা চাই, সাধারণ মানুষকে তারা এখন টাকা ফিরিয়ে দিক৷‌ দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের নেতারা সারদা প্রসঙ্গ ছাড়াও রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরছেন৷‌ বি জে পি সরকারকেও নেতারা আক্রমণ করছেন৷‌ তাঁদের বক্তব্য, ইউ পি এ সরকার ঠিক যেভাবে রাজ্যের প্রতি লাগাতার আর্থিক বঞ্চনা করে গেছে, বি জে পি সরকার একই পথ ধরেছে৷‌ বঞ্চনা সত্ত্বেও মমতার নেতৃত্বে বাংলায় উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে৷‌ এও বলা হচ্ছে, কোনও চিটফান্ডে আর কেউ যেন টাকা না রাখেন৷‌


আজকালের প্রতিবেদন: দিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর– ১০০ দিনের কাজের বিচারে নরেন্দ্র মোদিই শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করছে দেশ৷‌ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকার এ কথা বলেছেন নতুন সরকারের ১০০ দিনের কাজের সাফল্য নিয়ে আয়োজিত 'আজ তক'-এর বৈঠকে৷‌ তিনি বলেন, শ্রেষ্ঠ সম্ভব প্রধানমন্ত্রীকে আমরা খুঁজে পেয়েছি৷‌ আমরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত৷‌ জনগণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটা সংযোগ অনুভব করেন৷‌ বহু বছর পর এবার ১৫ আগস্টের সকালে মানুষ তাড়াতাড়ি উঠেছেন বক্তৃতা শুনবেন বলে৷‌ জাওড়েকার এ কথাগুলি বলেন 'পঞ্চায়েত আজ তক' বিতর্কে৷‌ বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন কংগ্রেস সাংসদ দীপিন্দর হুডা, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শতাব্দী রায়৷‌ বিতর্কে যুক্তিবিস্তার করে তথ্য-সম্প্রচার ও পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকার বলেন, দ্রুত সিদ্ধাম্ত নেওয়ার জন্য, এমনকি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও এই সরকারের প্রশংসা করেছেন৷‌ ১৭টি প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল৷‌ আমরা সেগুলিকে অনুমোদন দিয়েছি৷‌ যখন মনমোহন সিংকে রাজ্যসভায় আমি বলি, ইউ পি এ জমানায় ঝুলে থাকা ১৭টি প্রকল্পকে আমরা অনুমোদন দিয়েছি, তিনি বলেন, এজন্য আপনাদের অভিনন্দন জানানো উচিত৷‌ এভাবেই মানুষের জন্য আচ্ছে দিন এসেছে৷‌ তিনি বলেন, মোদি তাঁর মন্ত্রীদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেন৷‌ মোদি বলেন, সবার কথা শোনো, কিন্তু সেই কাজটাই করো, যেটা দেশের স্বার্থে৷‌ তাঁকে বাধা দিয়ে দীপিন্দর হুডা বলেন, আগের ইউ পি এ সরকার যে কাজ করেছে, তার কৃতিত্ব নিচ্ছে এই সরকার৷‌ তিনি বলেন, আমি জানি, ১০০ দিনে একটা সরকারের বিচার করা যায় না, কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি এখনও তীব্র সমস্যা৷‌ পেট্রলের দাম কমেছে, কিন্তু ডিজেলের দাম বাড়ছে প্রতি মাসে৷‌ নীতিতে যদি কোনও ত্রুটি আপনাদের চোখে পড়ে, তা আমাদের দোষ৷‌ তবে মোদি কাটরা রেললাইনে আমাদের ১০ বছরের কাজের কৃতিত্ব নিচ্ছেন একটা ফিতে কেটে৷‌ ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, নতুন সরকারের আচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি অপূর্ণই রয়ে গেছে৷‌ তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকালেই এটা বোঝা যাবে৷‌ এ রাজ্যে আমাদের দল ক্ষমতায় থেকে তা টের পাচ্ছে৷‌ তাঁর কথায়: যে ধরনের উন্নয়ন উত্তরপ্রদেশ দেখছে, আগে তা দেখেনি৷‌ তবে উত্তরপ্রদেশে সব কিছু আমরা একদিনে ঠিক করে দেব, এমন জাদুদণ্ড আমাদের হাতে নেই৷‌ লোককে বলা হয়েছিল, মোদি ক্ষমতায় এলে সব ঠিক করে দেবেন৷‌ কিন্তু পরিস্হিতি যা ছিল তা-ই আছে৷‌ তাই এ নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই৷‌ শতাব্দী রায় বলেন, আপনারা বাড়তি জি ডি পি-র কথা বলছেন৷‌ গ্রামের মানুষ জি ডি পি কী তা-ই জানেন না৷‌ তাঁরা চান, জিনিসপত্রের দাম কমুক এবং কর্মসংস্হান গড়ুক৷‌ কিন্তু এর কোনওটাই হয়নি৷‌

টোকিও, ২ সেপ্টেম্বর (পি টি আই)– ভারতে বিনিয়োগ করুন৷‌ একমাত্র এখানেই 'ডেমোক্রেসি, ডেমোগ্রাফি আর ডিমান্ড' একসঙ্গে পাবেন৷‌ অননুকরণীয় ভঙ্গিতে জাপানের শিল্পমহলের প্রতি আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷‌ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্হাপনে তাঁর সহজাত দক্ষতার ফের একবার প্রমাণ দিলেন ভারত-জাপান যৌথ শিল্প উদ্যোগের সাফল্য কামনায় ড্রাম বাজিয়ে৷‌ মঙ্গলবার প্রথমে জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্য বিস্তার সংস্হা (জে ই টি আর ও) এবং নিক্কেই-এর উদ্যোগে আলোচলাচক্রে ভাষণ দেন তিনি৷‌ বললেন, এখন আর আমাদের দেশে লাল ফিতের ফাঁস নেই, বরং ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের জন্য বিছানো রয়েছে লাল কার্পেট৷‌ উল্লেখ করেন, ভারতে কম খরচে দক্ষ শ্রমিকের সুবিধার কথা৷‌ বলেন, আমাদের সফটঅয়্যারে দক্ষতা রয়েছে, আর আপনাদের হার্ডঅয়্যারে৷‌ দুইয়ের মেলবন্ধন হলে আমরা 'মির্যাকল' ঘটিয়ে দিতে পারি৷‌ এ প্রসঙ্গে ভারতের দ্রুতহারে বেড়ে চলা মোবাইল হ্যান্ডসেট ক্ষেত্রের কথা তুলে ধরেন তিনি৷‌ উল্লেখ করেন তাঁর স্বপ্নের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের কথা, পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তিক্ষেত্রের কথা৷‌ জানান, ভারত থেকেই আপনারা খুব সহজে সারা বিশ্বের জন্য উৎপাদন করতে পারেন৷‌ তা হলে ভারতকে উৎপাদনের গ্লোবাল হাব হিসেবে গড়ে তুলতে আমার 'মেক ইন ইন্ডিয়া' স্বপ্ন স্বার্থক হবে৷‌ এদিন তিনি টোকিওতে টি সি এস জাপান টেকনোলজি অ্যান্ড কালচারাল আকাদেমির উদ্বোধনও করেন৷‌ সেটা করতে গিয়েই সকলকে অবাক করে দিয়ে ড্রাম বাজানো শুরু করেন৷‌ প্রধানমন্ত্রী এদিন ৪৮ জন টি সি এস জে কর্মীকে প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে পাঠানোর কর্মসূচির উদ্বোধন করে বলেন, টি সি এসের কর্মী হিসেবে ভারতে যাচ্ছেন৷‌ কিন্তু আমি চাই আপনারা ফিরে আসুন জাপানে ভারতের রাষ্ট্রদূত হয়ে৷‌


পরিবেশপ্রেমী মোদি: শুধু রাজনীতিবিদ নন, প্রফেসর হিসেবেও যে কম যান না তার প্রমাণ রাখলেন নরেন্দ্র মোদি৷‌ ১৯৯৮ সালে দ্বিতীয় পোখরান বিস্ফোরণের পর ভারতের পরমাণু কর্মসূচির প্রতি কিছুটা সন্দিহান জাপান-সহ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ৷‌ সন্দেহের সেই পরিবেশ কাটাতে এদিন অহিংসার প্রতি ভারতের গভীর বিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন মোদি৷‌ স্যাক্রেড হার্ট ইউনিভার্সিটিতে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, ভারত হল ভগবান বুদ্ধের দেশ৷‌ অহিংসা আমাদের সমাজের ডি এন এ-তে রয়েছে৷‌ স্বাধীনতার আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের কথা তুলে ধরে বলেন, হাজার হাজার বছর ধরে আমরা মনে করি বসুধৈব কুটুম্বকম৷‌ সারা বিশ্বকে এক পরিবার বলে মনে করলে আমরা কী করে কারও ক্ষতি করতে পারি! প্রশ্নোত্তরপর্বে মোদিকে এক ছাত্র প্রশ্ন করেন, দ্রুত উন্নতির পথে চলতে গিয়ে ভারত পরিবেশের সাম্য বজায় রাখবে কীভাবে? উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতীয়েরা পরিবেশকে আত্মীয় বলে মনে করেন৷‌ চাঁদকে মামা বলেন, নদীকে মা৷‌ আমার কাকা অভাব কাটাতে একবার কাঠের ব্যবসা করতে গিয়েছিলেন৷‌ তাতে বাধা দিয়ে আমার অশিক্ষিত মা বলেছিলেন, গাছ কাটা পাপ৷‌ তার চেয়ে বরং আমরা না খেয়ে থাকব৷‌ আরেক ছাত্র মোদিকে প্রশ্ন করেন, এশিয়া মহাদেশে শাম্তির পথে কীভাবে চলা যাবে, যেখানে চীন 'আগ্রাসী' মনোভাব নিয়ে চলছে? উত্তরে ঠাট্টা করে মোদি বলেন, আপনি তো দেখছি সাংবাদিকদের মতো প্রশ্ন করছেন! সরাসরি উত্তর না দিয়ে একটা গল্প বলেন৷‌ একটা ঘর থেকে অন্ধকার সরাতে অনেকে অনেকভাবে চেষ্টা করল৷‌ একজন ঝাঁটা নিয়ে, একজন তরোয়াল নিয়ে, একজন কম্বল নিয়ে গেল৷‌ কিন্তু অন্ধকার কাটল না৷‌ তখন এক জ্ঞানী ব্যক্তি গেলেন প্রদীপ হাতে৷‌ ধীরে ধীরে কাটতে লাগল অন্ধকার৷‌ তাই শাম্তি, উন্নতি আর গণতন্ত্রের প্রদীপ হাতে নিয়ে চললে অন্ধকারকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই৷‌


চীনে সংবাদমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া: 'আগ্রাসী' মনোভাব নিয়ে নরেন্দ্র মোদির মম্তব্যে সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি চীন৷‌ তবে সেদেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাপানের প্রতি বেশি করে মানসিকভাবে আকৃষ্ট৷‌ তাই চীনের নাম না করেও এমন কথা বলেছেন৷‌ চীনা কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস এদিন সম্পাদকীয়তে তীক্ষ্ন সমালোচনা করেছে মোদির মম্তব্যের৷‌ লেখা হয়েছে: চীনের জি ডি পি ভারতের ৫ গুণ৷‌ আর চীন ভারতের প্রতিবেশী, কিন্তু জাপান অনেক দূরের দেশ৷‌ তাই চীন-ভারতের সম্পর্ককে ভারত-জাপানের বন্ধুত্ব দিয়ে দূরে সরিয়ে দেওয়া যাবে না৷‌ তবে আমাদের দু'দেশের মধ্যে সীমাম্ত সমস্যা রয়েছে, রয়েছে পশ্চিমের চাপ৷‌ তাই বেজিং আর দিল্লির মধ্যে পারস্পরিক আস্হা অর্জন করা তেমন সোজা হবে না৷‌ টোকিওতে স্যাক্রেড হার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের প্রশ্নে মোদি যা উত্তর দিয়েছেন তাকে গণতন্ত্রের অভাব নিয়ে চীনকে খোঁচা বলে অনেকেই ধরে নিতে পারে৷‌ বিশেষত পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমে বলা হতে পারে চীনকে বদ্ধ, অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরের সঙ্গে তুলনা করেছেন মোদি৷‌




আজকালের প্রতিবেদন: দেশের পাশাপাশি বিদেশেও সেরা পুজো বাছবে রাজ্য সরকার৷‌ দেশ ও বিদেশের সেরা ১০টি পুজোকে সম্মানিত করা হবে৷‌ মঙ্গলবার নবান্নে এ কথা জানিয়েছেন তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্য৷‌ পুরস্কারের নাম বিশ্ববাংলা স্মারক৷‌ গতবার শুধু কলকাতাতেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল৷‌ এবার রাজ্যের বাইরেও এই পুরস্কার ছড়িয়ে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার৷‌ দেশ-বিদেশের পুজো উদ্যোক্তাদের নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে পুজোর ছবি ও ভিডিও ক্লিপিংস পাঠিয়ে দিতে হবে৷‌ কলকাতায় সেরার সেরা পুজো, সেরা প্রতিমা, সেরা মণ্ডপ, সেরা ভাবনা, সেরা আলোকসজ্জা, সেরা পরিবেশ-বান্ধব, সেরা আবিষ্কার, সেরা আবহ, সেরা শিল্পী, সেরা বাদক– এই সমস্ত বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে৷‌ প্রত্যেকটি বিভাগ থেকেই তিনটি পুজোকে বেছে নেওয়া হবে৷‌ আর্থিক পুরস্কারের পাশপাশি দেওয়া হবে বিশেষ স্মারকও৷‌ তবে আর্থিক পুরস্কারের মূল্য পরে জানানো হবে৷‌ বাংলা কী করে সেরা হয়ে উঠল– যে সমস্ত পুজো কমিটি এই বক্তব্যকে নিজেদের মণ্ডপে তুলে ধরবে, তাদের মধ্যে থেকে সেরা তিনটিতে বেছে নিয়ে দেওয়া হবে বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডিং৷‌ ১৮টি জেলাতেও সেরা পুজো, সেরা প্রতিমা ও সেরা মণ্ডপ– এই তিনটি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে৷‌ কলকাতার সেরা পুজোর নাম ষষ্ঠীর দিন ঘোষণা করা হবে৷‌ পুরস্কার দেওয়ার জন্য বিশেষ জুরি কমিটি তৈরি করছে রাজ্য সরকার৷‌




'হাসিনাকে উৎখাতে মার্কিন তৎপরতা'

ভারত প্রতিনিধি  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2014-09-03 23:39:29.0 BdST Updated: 2014-09-04 00:15:40.0 BdST

বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারকে সরিয়ে দিতে মার্কিনিদের অর্থ ব্যয়ের তথ্য পাওয়ার দাবি করেছেন ভারতের গোয়েন্দারা।

Print Friendly and PDF






RELATED STORIES

সেই সঙ্গে ত্রিপুরার বামপন্থি সরকারকেও মার্কিনিরা দুর্বল করার তৎপরতা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।

মার্কিনিদের এই তৎপরতার বিষয়ে ভারতের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একজন প্রতিনিধি দেখেছেন, যাতে এই পরিকল্পনায় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সংশ্লিষ্টতা দেখা গেছে।  

পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারকে হটাতে মমতা বন্দোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়েছিল বলে মনে করা হয়।

এই তৃণমূল কংগ্রেসই এখন বাংলাদেশে তাদের সমমনা মৌলবাদী গোষ্ঠিগুলোকে কয়েক মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বলে ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যসভায় তৃণমূলের এমপি আহমেদ হাসান ইমরান এবং টেকনাফ থেকে ভারতে পাড়ি জমানো মাওলানা আসিফ খান গত ছয় মাস ধরে খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠাচ্ছেন।

ভারতের ঊর্ধ্বতন এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব ও তাদের কর্মীদের হত্যা এবং জন অসন্তোষের মাধ্যমে বাংলাদেশে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই মূল পরিকল্পনা।"

বিএনপি ও জামায়াত নেতারা বাংলাদেশে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রেরও মনোভাবও নতুন নির্বাচনের পক্ষে।

মার্কিনিদের এই তৎপরতার সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও জড়িত রয়েছে বলে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা দাবি করেছেন।

গোয়েন্দারা বলছেন, তৃণমূলের এমপি মুনমুন সেন পাকিস্তানের তেহরিক-ই ইনসাফ নেতা ইমরানের খানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলেন।

ইমরান ক্রিকেটার থাকার সময় সুচিত্রাকন্যা মুনমুনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে বেশ আলোচনা ছিল। রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান বর্তমানে তার দেশে নওয়াজ শরিফের সরকার হটানোর আন্দোলনে রয়েছেন।   

ইমরান-মুনমুনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগকে ব্যবহার করেই সম্প্রতি কলকাতায় পাকিস্তানি হাইকমিশনারের সফরের ব্যবস্থা করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনারের বৈঠকের পর কলকাতার একদল সাংবাদিকের পাকিস্তান সফরের ব্যবস্থাও হয়।

ওই সময় পাকিস্তানি হাইকমিশনার পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের পাকিস্তানি ভিসা পাওয়া সহজ করতে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন খোলার প্রস্তাব জানান মমতার কাছে। ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অবশ্য ওই দাবি নাকচ করে দেন।

গোয়েন্দারা মনে করেন, কলকাতার উর্দুভাষীদের ভোট নিশ্চিত করতেই পাকিস্তানি কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন মমতা।

পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম ভোটারদের ভোট বরাবরই কংগ্রেস ও সিপিএম পেয়ে আসছিল। এই বছরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে তৃণমূলের জয়জয়কার হলেও মুসলিম ভোটের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায়নি।

কলকাতার উর্দুভাষী মুসলিমরা সবসময়ই মৌলবাদীদের সমর্থন করে থাকে। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সভা-সমাবেশেও তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখা যায়।

একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক, যিনি নিজেও উর্দুভাষী, বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির জন্য এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।

ওই সম্পাদক কিছুদিন আগে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

ভারতে বর্তমানে ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ স্থাপনে ওই সম্পাদককে সহায়তা করছেন এক ব্যবসায়ী, যার বিরুদ্ধে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং-'র' এর হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে।

তবে বিজেপির জ্যেষ্ঠ অনেক নেতাই দলভুক্ত ওই সম্পাদকের তৎপরতায় নাখোশ হয়েছেন। তারা বলছেন, দলে নিজের গোষ্ঠীর মধ্যে তিনি বিএনপির একটি লবি তৈরি করছেন।  

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, কিন্তু মনে হচ্ছে এই মুসলিম সম্পাদক বিএনপি-বিজেপি শক্তিশালী সম্পর্ক  তৈরির কাজটি নিজের কাঁধেই নিয়েছেন।"

মমতার মনোনয়নে রাজ্যসভার সদস্য হওয়া আহমেদ হাসান ইমরান সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি নিষিদ্ধ স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার (সিমা) নেতা ছিলেন।

প্রতিবেদনে সংগঠনটির সঙ্গে মুসলিম সন্ত্রাসী দলগুলোর সম্পর্ক থাকার পাশাপাশি এমপি ইমরান কিভাবে সীমান্তপথে টাকা পাঠাচ্ছেন তারও বিবরণ রয়েছে।

ইমরান বাংলাদেশের দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেছেন, যে সংবাদপত্রটি জামায়াতঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

আহমেদ হাসান ইমরান

আহমেদ হাসান ইমরান

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, দণ্ডিত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং মীর কাসেম আলীর সঙ্গে ইমরানের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।

ভারতীয় গোয়েন্দারা বলছেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে সৌদি আরবের মতো শক্তিশালী ইসলামী দেশগুলোর সঙ্গে মিলে একাত্তরে পরাজিত পাকিস্তানও চেষ্টা চালাচ্ছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত ক্ষমতায় গেলে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপে নৌঘাঁটি স্থাপনে অনুমতির প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বিএনপি-জামায়াতকে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জেনেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে বর্তমানে লন্ডনে থাকা তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বৈঠকও করেছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন অধ্যুষিত এলাকা কাইয়ুকপিউতে চীনের বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ এবং বাংলাদেশের প্রস্তাবিত সোনাদিয়া বন্দরের ওপর নজর রাখতেই এই নৌঘাঁটি স্থাপন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের পর এখন বাংলাদেশলাগোয়া ত্রিপুরার মানিক সরকার নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারকে দুর্বল করে দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি সম্ভব হলে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্কে আগ্রহী ভারতের ওই রাজ্য সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনাও বাদ দিচ্ছে না।

আইএস'কে ধ্বংস করব: ওবামা

নিউজ ডেস্ক,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2014-09-03 19:58:28.0 BdST Updated: 2014-09-03 19:58:28.0 BdST

আরেক মার্কিন সাংবাদিকের শিরশ্ছেদের ভিডিও প্রকাশের পর ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের ধ্বংস করার সংকল্প জানান দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

Print Friendly and PDF






তিনি বলেন, মার্কিন নাগরিকদের শিরশ্ছেদ করে যুক্তরাষ্ট্রকে ভয় দেখানো যাবে না। মধ্যপ্রাচ্যে আইএস এর শক্তি নিঃশেষ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র লড়ে যাবে।

গতমাসে মধ্যপ্রাচ্যের আইএস জঙ্গিরা জেমস ফোলি নামের এক মার্কিন সাংবাদিকের শিরশ্ছেদের ভিডিও প্রকাশের পর চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবার স্টিভেন সলোফের শিরশ্ছেদের ভিডিও প্রকাশ করে।ভিডিওটিতে এক ব্রিটিশ নাগরিককেও হত্যার হুমকি দেয় আইএস।


এর প্রতিক্রিয়ায় ওবামা বলেন, যু্ক্তরাষ্ট্রকে ভয় দেখাতে আইএস এর এ ধরনের কাজ 'ভুল' এবং তা বিশ্বব্যাপী সমমনা মানুষকে আরো সংগঠিত করবে।


ইরাকে আইএস এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের প্রতিশোধ নিতে মার্কিনিদের শিরশ্ছেদ করা হচ্ছে বলে জঙ্গিদের দাবি।


তাদেরকে হুঁশিয়ার করে ওবামা এস্তোনিয়া সফরকালে দেয়া বক্তব্যে বলেছেন, "আমাদের হাত অনেক লম্বা, এ ঘটনার সুবিচার হবেই।"


সলোফ এর শিরশ্ছেদ করার ভিডিওটি'র সত্যতা নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বা এনএসসি। কাউন্সিলের মুখপাত্র কেটলিন হাইডেন ভিডিওটি প্রকাশের একদিন পর বুধবার সাংবাদিকদের কাছে এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।


ওবামা বলেন, "খুনিরা যতই ভাবুক, এই নিষ্পাপ আমেরিকানকে হত্যা করে উদ্দেশ্য সফল করা যাবে, তারা আসলে ব্যর্থ হবে। আর তা এজন্যই যে, বিশ্বব্যাপী সমমনা মানুষ, আমেরিকানরা তাদের ওই বর্বর কাজটি প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা ভয় পাব না। তাদের লোমহর্ষক কাজ দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে আরো ঐক্যবদ্ধ করবে।"


তিনি বলেন, "আমেরিকানদের ক্ষতি করার মতো ভুল যারা করছে তারা অচিরেই বুঝতে পারবে, আমরা ভুলে যায়নি, আমাদের হাত অনেক লম্বা, এর বিচার অবশ্যই হবে।"


ওবামা আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল হচ্ছে, আইএস যাতে এ অঞ্চলের জন্য স্থায়ী হুমকি হয়ে না দাঁড়ায় সে ব্যবস্থা করা।

বিশ্বের আরো খবর

২৫০ কোটি টাকা লোপাট ॥ এবার সাইফ কেলেঙ্কারি

০ বিএনপি-জামায়াত জোট আমলেই চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফের অন্তর্ভুক্তি

০ গ্যাটকোর চেয়েও ভয়াবহ অনিয়ম দুর্নীতি

০ অনিয়মে সহযোগী না হওয়ায় ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি, হার্টএ্যাটাকে ২ জনের মৃত্যু

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ দেশের বৃহত্তম বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের গ্যাটকো কেলেঙ্কারির চেয়েও আরও ভয়াবহ কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছে সাইফ পাওয়ার। পরস্পর যোগসাজশে প্রচলিত নিয়ম-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন মহলকে হতবাক করে দিয়ে সাইফ পাওয়ার টেক লিঃ নামের একটি অবৈধ ও স্টিভেডরিং লাইসেন্সবিহীন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান এ কেলেঙ্কারির মূল নায়ক; যা বন্দরজুড়ে 'সাইফ কেলেঙ্কারি' নামে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত অবৈধপন্থায় ২৫০ কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছে বন্দর থেকে। সাইফের একচ্ছত্র অবৈধ আধিপত্য ও অনিয়ম-দুর্নীতিতে সম্মতি প্রদান না করার কারণে অসময়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) তিন চেয়ারম্যানসহ ১৩ কর্মকর্তাকে বিদায় নিতে হয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে বদলির আদেশ পেয়ে মানসিক আঘাত সহ্য করতে না পেরে দু'জন হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্দরে বর্তমানে এক ধরনের দৈত্যের মতো গেঁড়ে বসা সাইফ পাওয়ারের দৌরাত্ম্যে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাঝে তটস্থ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর যারা সাইফের সঙ্গে যোগসাজশে সরকারী অর্থ লোপাটের সুযোগ পাচ্ছে তারা গড়ে তুলছে বিত্তের পাহাড়। বিস্ময়কর ঘটনা হচ্ছে, বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও উপেক্ষিত।

উল্লেখ্য, বিএনপি-জামায়াত সরকার আমলে গ্যাটকো নামের কেলেঙ্কারির মামলায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, তাঁর সরকারের আট মন্ত্রী, বন্দরের সাবেক দুই চেয়ারম্যান, দুই মেম্বার, এক অর্থ পরিচালকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার পর তাদের জেলে যেতে হয়েছে। অবশ্য পরে তাঁরা জামিন লাভ করেন। বর্তমানে ঢাকার কমলাপুর আইসিডিতে কন্টেনার হ্যান্ডলিং কাজে চুক্তি ভঙ্গ ও অনিয়মের মাধ্যমে কাজ পাওয়ার অভিযোগে সাইফ ও চবকের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান কাজ শুরু হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োজিত হয়েছেন দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে বিধিবিধান লঙ্ঘন ও অনিয়মের নানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। অদৃশ্য কোন শক্তি ভর করতে না পারলে এ নিয়ে শীঘ্র মামলা করে তদন্ত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, ঢাকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারের চট্টগ্রাম বন্দরে অন্তর্ভুক্তিও গ্যাটকোর মতো সেই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে। অর্থাৎ ২০০৫ সালে। তৎকালীন নৌপরিবহনমন্ত্রী কর্নেল (অব) আকবর হোসেনের (প্রয়াত) প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে সব ধরনের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য আনীত গ্যান্ট্রি ক্রেন সরবরাহকারী বিদেশী সংস্থার স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে সাইফ পাওয়ার টেকের প্রবেশ ঘটে এ বন্দরে। সুচ হয়ে ঢুকে এখন এ সাইফ পাওয়ার রীতিমতো কুড়াল হয়ে বের হচ্ছে বলে প্রতীয়মান। অভিযোগ রয়েছে, এই সাইফ পাওয়ারের ঐ সময় বন্দরে অন্তর্ভুক্তির পেছনে তৎকালীন হাওয়া ভবনের অবৈধ আধিপত্য ও শক্তি কাজ করেছে। প্রয়াত মন্ত্রী আকবর হোসেনের ঘনিষ্ঠদের অনেককে ম্যানেজ করে সাইফ পাওয়ার দুর্দমনীয়ভাবে ঢুকে যায় বন্দরের কাজে। সে থেকে অদ্যাবধি প্রায় নয় বছর ধরে সাইফ পাওয়ারের কেলেঙ্কারির শাখা-প্রশাখা বিস্তৃতি ঘটে মহীরূহে পরিণত হয়েছে। একের পর এক অনিয়ম, দুর্নীতি ও টেন্ডার ছাড়াই সে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের ৬০ শতাংশেরও বেশি কন্টেনারের হ্যান্ডলিং কাজ হাতিয়ে নিয়ে সরকারী অর্থ লুটেপুটে খাচ্ছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম বন্দরের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সাইফ পাওয়ারের সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির নেপথ্য অংশীদার বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। চবকের পক্ষ থেকে সাইফ পাওয়ারকে নিয়ে প্রদত্ত সকল আদেশ, চুক্তি, ডিপিএম ভিত্তিতে কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত যা কাগজেপত্রে রয়েছে এর সবই বন্দরের বিধিবিধান ও সরকারী আইনের পরিপন্থী। গত প্রায় নয় বছর সময়ে এই সাইফ পাওয়ার টেক বন্দর থেকে কন্টেনার হ্যান্ডলিং কাজের বিপরীতে হাতিয়ে নিয়েছে ২৫০ কোটি টাকারও বেশি। শুধু তাই নয়, চবক নিয়ন্ত্রিত ঢাকার কমলাপুরের আইসিডিতেও (ইনল্যান্ড কন্টেনার ডিপো) সাইফ পাওয়ার কন্টেনার হ্যান্ডলিং কাজে এক বছরের জন্য সর্বনিম্ন দরদাতা হয়ে যে চুক্তি সম্পাদন করেছে তাতেও রয়েছে নানা গলদ। কার্যাদেশ পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে শর্ত অনুযায়ী সাইফ চুক্তি করতে পারেনি। পরে অননুমোদিত নোটিফিকেশন অব এ্যাওয়ার্ড নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়। সে চুক্তি অনুযায়ী চুক্তির পর থেকে সাত মাসের মধ্যে কাজ শুরুর কথা থাকলেও এ পর্যন্ত অর্থাৎ, গত ১৮ মাসেও কাজ শুরু করতে পারেনি। দরপত্র অনুযায়ী সাইফের নিজস্ব যন্ত্রপাতি ক্রয়ের কথা থাকলেও তা সাইফ পালন করে না। কমলাপুর আইসিডির এ কাজে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরদাতা ছিল। সাইফ পাওয়ার ৬৯ কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজার টাকায় সর্বনিম্ন হয়ে পিজি (পারফরমেন্স গ্যারান্টি) ৬ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার ৫শ' টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়। অভিযোগ রয়েছে, টেন্ডার প্রক্রিয়া এমনভাবে সাজানো হয়, যাতে সাইফ পাওয়ার ছাড়া আর কারও পক্ষে কাজ পাওয়ার সুযোগ ছিল না। চুক্তি অনুযায়ী সাইফ পাওয়ারের কাজ শুরু করার বাধ্যবাধকতা ছিল সাত মাস সময়। তা না হলে ১০ শতাংশ হারে জরিমানা ও পিজির অর্থ বাজেয়াপ্ত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে চুক্তিতে। সর্বশেষ গত ৩০ জুন সাইফ পাওয়ারের সঙ্গে চবকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু চবক কর্তৃপক্ষ রহস্যজনকভাবে কোন টেন্ডার ছাড়া সাইফ পাওয়ারকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ করার সময় বৃদ্ধি করেছে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে।

এদিকে, বন্দরের দুটি টার্মিনাল সিসিটি (চিটাগং কন্টেনার টার্মিনাল) ও এনসিটিকে (নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনাল) ঘিরে সাইফ পাওয়ারের একের পর এক ভয়াবহ কেলেঙ্কারি ঘটেই চলেছে। বিদেশ থেকে আমদানির গ্যান্ট্রি ক্রেন সরবরাহকারী স্থানীয় সেই এজেন্ট সাইফ পাওয়ারের রাহুগ্রাস এখন এই দুই টার্মিনালের ওপরও ভর করেছে। প্রথমে ঐ সময়ের নৌ পরিবহনমন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের ইশারায় কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ে চার্জ দ্বিগুণ করে দেয়া হয়। অর্থাৎ ৪৭৫ টাকার হ্যান্ডলিং চার্জ ৭৭৫ টাকায় বাড়িয়ে দেয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় সাইফ পাওয়ার অবৈধভাবে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়। এরই মাঝে প্রায় ৭শ' কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এনসিটি। গত প্রায় আট বছর ধরে এই এনসিটি পরিপূর্ণভাবে অপারেশনে যেতে পারছে না। কারণ হিসেবে চবকের বক্তব্য দেশীয় অপারেটর না বিদেশী অপারেটর দিয়ে এনসিটি চালানো হবে তার সিদ্ধান্ত আসবে মন্ত্রণালয় থেকে। এ ফাঁকে সুযোগসন্ধানী সাইফ পাওয়ার এনসিটির ৫টি বার্থের মধ্যে দুটিকে সিসিটির বর্ধিতাংশ হিসেবে দেখিয়ে কোনরূপ টেন্ডার ছাড়া ডিপিএম (ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথড) ভিত্তিতে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের সুযোগ করে নিতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে সাইফ পাওয়ার সিসিটি ও এনসিটির ৬০ শতাংশেরও বেশি কন্টেনার হ্যান্ডলিং কাজ এককভাবে করে যাচ্ছে। বন্দরের হিসাব বিভাগের একটি সূত্রে জানানো হয়, এ পর্যন্ত সাইফ পাওয়ার ২৫০ কোটি টাকারও বেশি চার্জ আদায় করে নিয়েছে। সাইফ পাওয়ারের অনিয়ম-দুর্নীতির এখানেই শেষ নয়। চুক্তি অনুযায়ী সাইফ পাওয়ারকে নিজস্ব অর্থে যন্ত্রাংশ ক্রয় করে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের কর্মকা- চালানোর বিধান রয়েছে। কিন্তু সাইফ পাওয়ার এসবের ধার না ধেরে চবকের মূল্যবান যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে হ্যান্ডলিং কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে চার্জ আদায় করে নিচ্ছে। এতে চবকের বিপুল অর্থ ব্যয় করে আমদানি করা যন্ত্রাংশের লাইফ টাইম শেষ হয়ে গেলেও এর বিপরীতে সাইফ পাওয়ার থেকে কোন অর্থ আদায় করা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, এসব আধুনিক যন্ত্রপাতি চালানোর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ২০ জনেরও বেশি অপারেটরকে জাপানে ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ করে আনা হয়েছে। কিন্তু এদের এ কাজে কোন চান্স দেয়া হচ্ছে না। এরা অলস বসে থেকে মাস মাস বেতন গুনছে। পক্ষান্তরে, সাইফ পাওয়ার আনাড়ি কিছু অপারেটর নিয়োগ করে বন্দরের ইক্যুইপমেন্টসের ক্ষতিসাধন করে চলেছে। সম্প্রতি সাইফ পাওয়ার পত্রিকায় শিক্ষানবিস অপারেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে। অথচ, চবকের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সাইফের দেশী বা বিদেশী দক্ষ অপারেটর নিয়োগের কথা রয়েছে। ইতোপূর্বে অফিসিয়ালি প্রমাণিত হয়েছে, সাইফ পাওয়ারের অপারেটরদের চেয়ে বন্দরের স্থায়ী অপারেটররা অধিকহারে নির্ধারিত সময়ে কন্টেনার হ্যান্ডলিং কাজে পারঙ্গম। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরে বছরে ১৪ লাখ টিইইউএস যে কন্টেনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে তন্মধ্যে ৮ লাখেরও বেশির কাজ করছে এককভাবে সাইফ পাওয়ার।

অনসুন্ধানে আরও জানা গেছে, সরকারীভাবে ডিপিএম প্রক্রিয়াকে যত্রতত্র ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হলেও চবক কর্তৃপক্ষ তা উল্টো ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। শুধু সাইফ পাওয়ারের ক্ষেত্রে নয়, বন্দরের সাধারণ কেনাকাটায়ও ডিপিএম প্রক্রিয়ার হিড়িক পড়েছে। সিসিটি ও এনসিটিতে সাইফ পাওয়ারের ডিপিএম ভিত্তিতে কন্টেনার হ্যান্ডলিং কাজের অনুমোদন চাওয়া হলে মন্ত্রিসভা তা অদ্যাবধি অনুমোদন করেনি। এরপরও কোন রহস্যজনক শক্তির বলে চবক সাইফকে নিয়ে সরকারী অর্থ লুটপাটের খেলায় মেতে উঠেছে, সে প্রশ্নের জবাব মিলছে না। উল্লেখ্য, বন্দরের ওয়ার্ক ম্যানুয়েল রেগুলেশন ফর ওয়ার্ক অব চিটাগং পোর্ট (কার্গো এ্যান্ড কন্টেনার-২০০১) অনুযায়ী সাইফ পাওয়ারের স্টিভেডরিং কিংবা কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রমের কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না। এ কাজে পূর্ব যোগ্যতার মূল শর্ত পূরণ না করেই সাইফ পাওয়ার ধরাকে সরাজ্ঞান করেই চলেছে। সাইফের এসব অবৈধ কাজে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও চবকের সুনির্দিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা আধিপত্য বজায় রাখতে সচেষ্ট। আরও উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব অর্থায়নে সরঞ্জাম ক্রয়ে এনসিটি পরিচালনার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। অথচ, সাইফ পাওয়ারকে টেন্ডার ও যন্ত্রপাতি ক্রয় ছাড়া কাজের সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। সাইফের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তাদের ৫০টি ট্রাক্টর ট্রেইলর ও ৬টি রিচ স্টেকার ক্রয় করার শর্ত থাকলেও সাইফ তা লঙ্ঘন করে চলেছে। উল্টো বন্দরের কেনা যন্ত্রপাতির বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছে। যে কারণে মূল্যবান এসব যন্ত্রপাতির লাইফ টাইম হুমকির মুখে রয়েছে।

এদিকে, সাইফ পাওয়ার টেক প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড থেকে নিজেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করে বাজারে শেয়ার ছেড়ে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের ঘটনায়ও করেছে নানা অনিয়ম। সাইফ পাওয়ারের সঙ্গে মালিকানায় যারা আছেন তাদের সম্মানী বহুগুণ বৃদ্ধির ঘটনা রয়েছে। যা নিয়ে আপত্তি রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন বিহিত ব্যবস্থা এখনও হয়নি।

অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে এসেছে, সাইফের অবৈধ কার্যক্রমে উর্ধতন কর্মকর্তাদের ইশারা পালনে অনীহা প্রদর্শনের কারণে ৩ চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ তেরো কর্মকর্তাকে রোষানলে পড়ে এ বন্দর ছাড়তে হয়েছে। অসময়ে চলে যেতে হয়েছে বন্দরের তিন চেয়ারম্যান যথাক্রমে কমোডর ফারুক আহমেদ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), আনোয়ারুল ইসলাম (বর্তমানে রিয়ার এডমিরাল), আরইউ আহমেদ (বর্তমানে রিয়ার এ্যাডমিরাল), মেম্বার ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাপ্টেন আনোয়ারুল হক চৌধুরী, চীফ ফাইন্যান্স এ্যান্ড এ্যাকাউন্টস অফিসার ইলিয়াস রেজা, ডিরেক্টর ট্রাফিক আহসানুল কবির, ডিরেক্টর ইলেকট্রো মেকানিক্যাল জামশেদ হাসান ও কমান্ডার বখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ (বর্তমানে ক্যাপ্টেন), ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর (ট্রাফিক) মোয়াজ্জেম হোসেন, ডেপুটি টার্মিনাল ম্যানেজার মশিউর রহমান বেগ, নির্বাহী প্রকৌশলী সাফায়েত হোসেন খান, ট্রাফিক অফিসার মিজানুর রহমান এবং সর্বশেষ সিনিয়র এ্যাকাউন্ট অফিসার আবদুল হামিদকে। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রণালয়কে সরাসরি বলেছিলেন প্রয়োজনে তাকে উইথড্র করে নিতে। তবুও তিনি সাইফ পাওয়ারের অবৈধ কর্মকা-ে সহযোগী হবেন না। অপমান সইতে না পেরে হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছেন ডিরেক্টর ইলেকট্রো মেকানিক্যাল জামশেদ হাসান ও সাফায়েত হোসেন খান। এদের বদলি করা হয় খুলনা ডক ইয়ার্ড, মংলা বন্দর, পায়রা বন্দর, পানগাঁও ও প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পে। হিসাব বিভাগের চীফ অডিটর শাহ আলম সাইফের ইচ্ছানুযায়ী কাজ না করায় তাকে পদাবনতি করে ডেপুটি অডিটর করে দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি ঐ পদ থেকে অবসরে চলে গেছেন। ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর (ট্রাফিক) মোয়াজ্জেম হোসেন বদলির আদেশ পেয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে চলে গেছেন। সাইফের একচেটিয়া অনিয়মের সহযোগী না হয়ে অহেতুক বদলির শিকার হওয়ার এ ধরনের ঘটনা নিয়ে বন্দরের কর্মকর্তা মহলে ভীতিকর পরিবেশ বিরাজমান। এর ফলে বন্দরে সাইফকে নিয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পান না। সাইফ পাওয়ারের দৃশ্যমান এসব আর্থিক কেলেঙ্কারি ছাড়াও অদৃশ্য আরও বহু ঘটনা রয়েছে, যাতে সরকারী অর্থ দেদার লোপাট হয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৬ মে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের বৈঠক শেষে বিদ্যমান স্টিভেডরদের বার্থ অপারেটরে রূপান্তর করা হয়। কিন্তু সাইফ পাওয়ার টেক কখনও স্টিভেডর ছিল না এবং বন্দরের কাজে তার কোন অভিজ্ঞতাও ছিল না। সাইফ পাওয়ারের এ ধরনের ভয়ানক দুর্নীতি নিয়ে কি পদ্ধতিতে তাদের বিল প্রদান করা হচ্ছে তা নিয়ে একটি অডিট ফার্ম নিয়োগ, তদন্ত কমিটি গঠন ও এজি অফিসের প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি উঠেছে।

এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও সাইফ পাওয়ারের অবৈধ কর্মকা- নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদ। এ পরিষদের পতাকাতলে রয়েছে বন্দরের ৮টি শ্রমিক ইউনিয়ন, বন্দরের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। ইতোমধ্যে আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচী ও শ্রমিক-জনতার জনসভাও হয়েছে। এখন চলছে কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচী। ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে অনশন কর্মসূচী ও ১০ সেপ্টেম্বর লালদীঘিতে অনুষ্ঠিত হবে জনসভা। বন্দর রক্ষা পরিষদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন গত ৩১ আগস্ট বন্দর ভবনে বন্দর রক্ষা পরিষদ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ১০ দফা আন্দোলন নিয়ে আলোচনা শেষে যে সিদ্ধান্ত হয় তাতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয় করে এনসিটি পরিচালনা মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন রয়েছে। সাইফ পাওয়ারের সঙ্গে অবৈধ কোন চুক্তি হলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কমলাপুর আইসিডিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাইফকে কাজ শুরুর সময় দেয়া হয়েছে। এতে তারা ব্যর্থ হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিসিটিতে চুক্তি অনুযায়ী সাইফ পাওয়ার কার্যক্রম না চালালে তা সরেজমিনে পরীক্ষা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ডিপিএম প্রক্রিয়ায় বন্দরে পিপিআর অনুযায়ী নিয়ম কানুন মানা হচ্ছে কি-না তা নিশ্চিত করা হবে। বন্দরের কর্মচারীর মেধাবী সন্তানদের বৃত্তির হার বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে। ডক শ্রমিকদের চিকিৎসার্থে ট্রমা সেন্টার খোলা হবে ও মুমূর্ষুদের জন্য আইসিইউ সুবিধা প্রদান করা হবে। ডকের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ইতোপূর্বে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী তাদের বেতন প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। বন্দর দিবসে মেজবানির অনুষ্ঠানে ডক বন্দর শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এদিকে, সরকারদলীয় নেতা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বন্দর রক্ষা আন্দোলনে বন্দর রক্ষা পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বুধবার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জনকণ্ঠকে জানান তার অবস্থান সম্পর্কে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ এভাবে সাইফ পাওয়ার টেক লুটপাট করে নিয়ে যাবে তা একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে বসে থাকতে পারেন না। যে কারণে বন্দর রক্ষা পরিষদের আহ্বানে তিনি যাবতীয় বিষয় নিশ্চিত হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। ইতোমধ্যে তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে অবহিত করেছেন। গোয়েন্দা সংস্থাকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে সরকারের কাছে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

http://allbanglanewspapers.com/janakantha/

ইমরানের স্বপ্নভঙ্গ, নওয়াজের স্বস্তি

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪


গদি হারানোর যে ফাঁদে পড়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ- হঠাৎ এক লাফেই তা টপকালেন। আর এই আকস্মিক লম্ফে তাকে শক্তি ধার দিল তারই বিরোধী দলগুলো। আর কে ঠেকায়! মহাতংক থেকে মুক্তি মিলল- মোটামুটি স্বস্তিতে নওয়াজ। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে পড়ে গেলেন আরেকজন। ইমরান খান। রাতারাতি প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়ার স্বপ্নে জুটল অনাকাক্সিক্ষত চপেটাঘাত। পাক পার্লামেন্টের জরুরি বৈঠকে বুধবার সে আভাসই রঙিন হয়ে উঠল।

পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান এবং পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক (পিএটি) নেতা তাহিরুল কাদরিকে রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যরা।

বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির যৌথ অধিবেশনে দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় এই দুই নেতার তীব্র সমালোচনা করা হয়। জরুরি এই যৌথ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন পিটিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহমুদ কোরেশি, শফকাত মাহমুদ এবং আসাদ ওমর। এ সময় পিটিআই এবং পিএটির দাবিকে দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যরা। তারা অবস্থান কর্মসূচির ইতি টানতে এবং আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে আন্দোলনরতদের প্রতি আহ্বান জানান। আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির সিনেটর জাহিদ খান বলেন, গণতন্ত্র এবং সংবিধান রক্ষায় সব রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাশে আছে। নওয়াজের পদত্যাগ দাবি গণতন্ত্রের অবমাননার শামিল।

পিটিআই এবং পিএটির প্রতি ইঙ্গিত করে ন্যাশনাল পার্টির সিনেটর হাসিল বিজেনজো বলেন, 'আজ কেউ যদি সংবিধান এবং গণতন্ত্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানায়, আমরা সব দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের এই পবিত্র প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত করতে দেব না।' পিটিআইর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, 'পিটিআই ভাইদের বলব- রাজনীতিতে আসুন, আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন এবং জয়ী হয়ে পার্লামেন্টে আসুন।' ইমরান খানকে উদ্দেশ করে বিজেনজো বলেন, 'পার্লামেন্টের কাছে কবর খোঁড়া এবং কফিন বহনের মতো কাজ ঔদ্ধত্যপূর্ণ। আপনি পার্লামেন্টকে গোরস্থান বানাতে চান। তাহলে আজ আমরা এ পার্লামেন্টে আপনার রাজনীতিকে কবর দিয়ে দেব।'

ইমরানকে উদ্দেশ্য করে শেরপাও বলেন, 'আগে বিরোধীদলীয় নেতা হোন, এরপর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখুন। কারচুপির সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলে জনসম্মুখে প্রকাশ করুন।

কারচুপি নিয়ে ঝড় তুলে কোনো প্রমাণ দিতে পারবেন না, এটা মেনে নেয়া হবে না।'

নওয়াজকে অকুণ্ঠ সমর্থন : পাকিস্তানে দৃশ্যত সেনাবাহিনীর মদদে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই মঙ্গলবার বেশ কিছু শুভ সংবাদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মঙ্গলবার সংসদের যৌথ অধিবেশনে পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

পাশাপাশি নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণার জন্য লাহোর হাইকোর্টে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল তাও খারিজ করে দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বুধবার আবার বৈঠক করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ ও পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক দলের প্রতিনিধিরা।


5

এত উদ্বৃত্ত, তবু কেন আরও চার জলবিদ্যুৎ প্রকল্প

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

6-1

লেপচা বোর্ডের অনুষ্ঠানেই সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন, অসন্তোষ পাহাড়ে

কিশোর সাহা ও রেজা প্রধান

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

7-1

বিশ্বভারতী-কাণ্ডে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি কমিশনের

নিজস্ব প্রতিবেদন

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

8

আজ নজর কোর্টে, হাজির হলে কী বলবেন ডিজি

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

পার্থের রোষে ২ শিক্ষাকর্তার দায়িত্বে কোপ

নিজস্ব সংবাদদাতা

স্কুলশিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষক দিবসে স্কুলে স্কুলে বাধ্যতামূলক ভাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শোনানোর নির্দেশ সংবলিত চিঠি মঙ্গলবারেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই ওয়েবসাইটে চিঠিটি দেওয়ার ঘটনায় বুধবার সরিয়ে দেওয়া হল ভারপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষা কমিশনার সমীর ভট্টাচার্যকে। সেই সঙ্গে স্কুলশিক্ষা দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা মহম্মদ মহসিনকেও অন্যত্র বদলি করা হয়েছে একই কারণে।

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

10

শঙ্কুদের রাশ টানতে টিএমসিপি-তে উপদেষ্টা কমিটি

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

ঝর্নার দাবি 'নাক গলাইনি', উল্টো বলছে আরামবাগ

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ এলাকায় মানুষের 'ব্যক্তিজীবনে' নাক গলানোই 'কাল' হয়েছিল সিপিএমের। লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে হারের কারণ বিশ্লেষণে বসে দলের আরামবাগ-গোঘাট এলাকার নেতাদের সামনে এমনই তথ্য উঠে এসেছিল।

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

রেল-সারদার বোঝা নিতে নারাজ মুকুল

নিজস্ব সংবাদদাতা

চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই সুর বদলে গেল মুকুল রায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন রেলের অধীনস্থ সংস্থা আইআরসিটিসি-র সঙ্গে সারদা গোষ্ঠীর চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরে সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিষয়টিকে গুরুত্বহীন বলে সিবিআইয়ের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়েছিলেন। মঙ্গলবার সেই মুকুলবাবুই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের পক্ষে সায় দিলেন। পাশাপাশি তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সারদার সঙ্গে আইআরসিটিসি-র যে বাণিজ্যিক চুক্তি হয়েছিল, পরবর্তী রেলমন্ত্রী হিসেবে তার দায় তিনি নেবেন না।

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

বিপদ সামনে, দু'বছর আগেই বলেছিল ব্যাঙ্ক

অশোক সেনগুপ্ত

শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়। বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার অবৈধ কাজ-কারবার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আগাম সতর্ক করেছিল রাজ্য পর্যায়ের ব্যাঙ্কার্স কমিটি (এসএলবিসি)-ও। এবং ২০১২-র সেপ্টেম্বরে কমিটির যে বৈঠকে রাজ্যকে সাবধান করা হয়, সেখানে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র স্বয়ং হাজির ছিলেন! সারদা-কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, রাজ্যে বেআইনি লগ্নি ব্যবসার রমারমার বিষয়টি তাঁর গোচরে এসেছে ২০১৩-র পয়লা বৈশাখের (১৪ এপ্রিল) পরে।

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

লগ্নি-কর্তাদের ধরতে গড়িমসি, তোপ কোর্টের

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিভিন্ন মামলায় দায়সারা তদন্ত এবং নিষ্ক্রিয়তার জন্য বারবার উচ্চ আদালতের তোপের মুখে পড়েও পুলিশের মধ্যে কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না। অভিযুক্তদের ধরতে না-পেরে হাত গুটিয়ে বসে থাকার জন্য এ বার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের ক্ষোভের মুখে পড়ল তারা। বিচারপতি চেল্লুর মঙ্গলবার মন্তব্য করেন, কোনও অভিযুক্তের খোঁজে গিয়ে তাঁকে না-পেয়ে ফিরে আসাতেই পুলিশি তদন্ত শেষ হয়ে যায় না। একটি বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা চলছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

রোজভ্যালি অফিসে ভাঙচুর দিনহাটায়

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও টাকা ফেরত দিতে টালবাহানার অভিযোগ তুলে সোমবার বিকেলে কোচবিহারের দিনহাটায় অর্থ লগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমানতকারীরা জানিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা না করা হলে পুলিশ ও মহকুমাশাসকের দফতরে অভিযোগ জানাবেন তাঁরা। রোজভ্যালি কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা সকলের টাকা খুব শীঘ্রই মিটিয়ে দেবেন।

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

কমিশনে এসে সুর বদলাল সুদীপ্তের

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুর পাল্টে গেল বেমালুম! যাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ তুলেছিলেন, তাদেরই সামনে দাঁড়িয়ে অভিযোগের কথা অস্বীকার করলেন সারদা-কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। সারদা-কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজ্য সরকারের গঠিত শ্যামল সেন কমিশন তাঁর বক্তব্য শুনতে চাইছে না বলে সুদীপ্ত সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। "আমার অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু কমিশন শুনতে চাইছে না।" সিউড়ি আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ করেছিলেন সারদা-কর্ণধার।

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

6-1

পাহাড়েও শাখা খুলবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর

কিশোর সাহা

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

মিছিলের জেরে পরোয়ানা সাংসদ, ছাত্রনেতার নামে

নিজস্ব সংবাদদাতা

ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার রাস্তায় মিছিল করার দায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল বাম ছাত্র ও যুব নেতাদের বিরুদ্ধে! তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পর্যন্ত জমা পড়ে গিয়েছে! অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ তথা এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুধু মিছিল করার দায়ে সাংসদ হিসাবে এই নিয়ে তিনটি মামলায় অভিযুক্ত হতে হল তাঁকে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়েছেন অভিযুক্ত ছাত্র ও যুব নেতারা।

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

8

নয়া এজলাসে তাপস-মামলার শুনানি ১০ই

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

ঝর্নার বিরুদ্ধে গ্রামে পোস্টার, আত্মঘাতী যুবকের মা ধৃত

নিজস্ব সংবাদদাতা

এলাকার এক যুবককে মারধর, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া ছাড়াও তোলাবাজির অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা ঝর্ণা সিংহের বিরুদ্ধে দু'দিন ধরেই ফুঁসছে আরামবাগের মইগ্রাম। এ বার ঝর্না এবং তাঁর স্বামী রঞ্জিতের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল গোটা গ্রাম জুড়ে। 'পলাতক' ওই দম্পতির নাগাল না পেলেও কার্তিক বাগ নামে আত্মঘাতী ওই যুবকের মা ষষ্ঠীদেবীকে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ধরেছে। তাঁর বিরুদ্ধেও ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

মোদীর বক্তৃতা নিয়ে পার্থের কোপে ২ কর্তা

সাবেরী প্রামাণিক

এ বার শিক্ষক দিবসে স্কুলে স্কুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা শোনার ব্যবস্থা করতে বলেছে দিল্লি। কিন্তু এ রাজ্যে ওই দিন সব স্কুলে মোদীর বক্তৃতা শোনানো বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশিকা জারি করে খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তোপের মুখে পড়েছেন স্কুলশিক্ষা দফতরের দুই আধিকারিক। ওই দুই আধিকারিকের মধ্যে এক জন অস্থায়ী ভাবে স্কুলশিক্ষা কমিশনারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বলে জানান মন্ত্রী নিজেই। পার্থবাবু মঙ্গলবার জানান, রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইটে কেন ওই নির্দেশিকা আপলোড করা হয়েছিল, তা জানতে চেয়ে দুই আধিকারিককেই শো-কজ করা হচ্ছে।

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

নসিপুরের সেতু থমকে জমি জটে

নিজস্ব সংবাদদাতা

জমি-জটে মুর্শিদাবাদের নসিপুরের রেল সেতু নির্মাণ থমকে যাওয়ায়, কলকাতা-নয়া দিল্লি যোগাযোগের নব্য রেলপথটির ভবিষ্যৎ যে ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে, তা আবারও পরিষ্কার করে দিলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার রামকুমার গুপ্ত। মঙ্গলবার কলকাতায় একটি বণিকসভার অনুষ্ঠানে তিনি জানান, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেও সমাধান সূত্র মেলেনি। তিনি জানান, জিয়াগঞ্জের ওই রেলপথ তৈরি হলে দিল্লি-কলকাতা যোগাযোগের নব্য একটি 'পথ'ও হবে।

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

12

বিজেপিতে আরতি

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

সারদা কমিশন নিয়েই প্রশ্ন এমপিএসের

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাজার থেকে বেআইনি ভাবে টাকার তোলার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। অথচ সারদা কমিশনে হাজিরা দিতে এসে সেই কমিশনের বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ করে বসলেন এমপিএস গ্রিনারি ডেভেলপারস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রমথনাথ মান্না-সহ সব ডিরেক্টরকে সোমবার ডেকে পাঠিয়েছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার সেন। সেখানেই ওই সংস্থার আইনজীবী কমিশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

r5

সুদীপ্তর সামনে বসিয়ে জেরার আর্জি হিমন্তের

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

r6

উধাও মাতঙ্গের জন্য লুক আউট নোটিসের ভাবনা

নিজস্ব সংবাদদাতা

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

1

সারদার জমি ব্যবসার জট কাটাতেন রাজ্যের মন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e

r7

উত্তরবঙ্গ থেকে উড়ানে সিঙ্গাপুর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় বিস্ময় সব শিবিরেই

নিজস্ব সংবাদদাতা

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e




No comments:

मैं नास्तिक क्यों हूं# Necessity of Atheism#!Genetics Bharat Teertha

হে মোর চিত্ত, Prey for Humanity!

मनुस्मृति नस्ली राजकाज राजनीति में OBC Trump Card और जयभीम कामरेड

Gorkhaland again?আত্মঘাতী বাঙালি আবার বিভাজন বিপর্যয়ের মুখোমুখি!

हिंदुत्व की राजनीति का मुकाबला हिंदुत्व की राजनीति से नहीं किया जा सकता।

In conversation with Palash Biswas

Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Save the Universities!

RSS might replace Gandhi with Ambedkar on currency notes!

जैसे जर्मनी में सिर्फ हिटलर को बोलने की आजादी थी,आज सिर्फ मंकी बातों की आजादी है।

#BEEFGATEঅন্ধকার বৃত্তান্তঃ হত্যার রাজনীতি

अलविदा पत्रकारिता,अब कोई प्रतिक्रिया नहीं! पलाश विश्वास

ভালোবাসার মুখ,প্রতিবাদের মুখ মন্দাক্রান্তার পাশে আছি,যে মেয়েটি আজও লিখতে পারছেঃ আমাক ধর্ষণ করবে?

Palash Biswas on BAMCEF UNIFICATION!

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS ON NEPALI SENTIMENT, GORKHALAND, KUMAON AND GARHWAL ETC.and BAMCEF UNIFICATION! Published on Mar 19, 2013 The Himalayan Voice Cambridge, Massachusetts United States of America

BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Imminent Massive earthquake in the Himalayas

Palash Biswas on Citizenship Amendment Act

Mr. PALASH BISWAS DELIVERING SPEECH AT BAMCEF PROGRAM AT NAGPUR ON 17 & 18 SEPTEMBER 2003 Sub:- CITIZENSHIP AMENDMENT ACT 2003 http://youtu.be/zGDfsLzxTXo

Tweet Please

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS BLASTS INDIANS THAT CLAIM BUDDHA WAS BORN IN INDIA

THE HIMALAYAN TALK: INDIAN GOVERNMENT FOOD SECURITY PROGRAM RISKIER

http://youtu.be/NrcmNEjaN8c The government of India has announced food security program ahead of elections in 2014. We discussed the issue with Palash Biswas in Kolkata today. http://youtu.be/NrcmNEjaN8c Ahead of Elections, India's Cabinet Approves Food Security Program ______________________________________________________ By JIM YARDLEY http://india.blogs.nytimes.com/2013/07/04/indias-cabinet-passes-food-security-law/

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN VOICE: PALASH BISWAS DISCUSSES RAM MANDIR

Published on 10 Apr 2013 Palash Biswas spoke to us from Kolkota and shared his views on Visho Hindu Parashid's programme from tomorrow ( April 11, 2013) to build Ram Mandir in disputed Ayodhya. http://www.youtube.com/watch?v=77cZuBunAGk

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICAL OF BAMCEF LEADERSHIP

[Palash Biswas, one of the BAMCEF leaders and editors for Indian Express spoke to us from Kolkata today and criticized BAMCEF leadership in New Delhi, which according to him, is messing up with Nepalese indigenous peoples also. He also flayed MP Jay Narayan Prasad Nishad, who recently offered a Puja in his New Delhi home for Narendra Modi's victory in 2014.]

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALSH BISWAS FLAYS SOUTH ASIAN GOVERNM

Palash Biswas, lashed out those 1% people in the government in New Delhi for failure of delivery and creating hosts of problems everywhere in South Asia. http://youtu.be/lD2_V7CB2Is

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk