Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Thursday, September 11, 2014

শেষ পর্যন্ত কিঅশ্বডিম্ব প্রসব হবে,সেটাই দেখতব্য, সহযোগিতা করছে না রাজ্য সরকার, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে সিবিআই সিবিআই অফিসের সামনে তৃণমূলের ধর্ণা, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে না কেন, প্রশ্ন আইনজীবীদের টাকা ফেরত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতারিতদের মিছিলে জনজোয়ার পলাশ বিশ্বাস

শেষ পর্যন্ত কিঅশ্বডিম্ব প্রসব হবে,সেটাই দেখতব্য, সহযোগিতা করছে না রাজ্য সরকার, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে সিবিআই

সিবিআই অফিসের সামনে তৃণমূলের ধর্ণা, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে না কেন, প্রশ্ন আইনজীবীদের

টাকা ফেরত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতারিতদের মিছিলে জনজোয়ার



পলাশ বিশ্বাস


সারদা কেলেন্কারিতে কার কি আসে যায়,তা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নয়,ভারতবর্ষের রাজনীতি,অর্থব্যবস্থা মুক্তবাজারে কম সে কম সরকারের জমানায় ঠিক কোন খাতে বইছে,তা বুঝতেই নিয়মিত সারদা আপডেট রাখতে হচ্ছে


অপরাধিদের মাথা কান টেনে লম্বা করে দিলেও ধরা পড়ে কি না তাহাও গুরুত্বপূর্ণ নয়,দেশে আইনের শাসন নামক কোনো বস্তু আছে কি নেই,তা নিয়ে মোদো মাতালেও মন্তব্য করতে পারে না,শেষ পর্যন্ত কিঅশ্বডিম্ব প্রসব হবে,সেটাই দেখতব্য


রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে কি করছে না বা কেন্দ্র সরকার বঙ্গদখলের রাজনীতি করছে কি না,আমার নজরে তারও বিশেষ গুরুত্ব নেই


প্রতারিতদের মিছিল বের করে চিটফান্ড কম্পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণায় বামেরা আবার ক্ষমতায় ফিরবে কিনা,সেটাও বড় প্রশ্ন নয়


রজত মজুদারের বক্তব্যে জলের মত পরিস্কার এখনো কোথাকার জল কোথায় গড়ায় দেখে যেতে হবে


তবে চোখ কান খোলা রাখলে মগের মুলুকে রাজকার্যে সাধারণ মানুষের যো সর্বনাশ হচ্ছে প্রতিক্ষণ,তা প্রমাণিত করার আর প্রয়োজন হচ্ছে না


সারা ভারতবর্ষে শত শত চিটফান্ডের রমরমা ব্যবসা চলছে এখনো অবাধ


শেযারবাজারে লিস্টেড আনলিস্টেড কম্পানী দিনে ডাকাতি করে জনগণের জান মাল খতম করছে সেবি,ইডি,রিজার্ভ ব্যান্কের নাকের ডগায়,রাজনৈতিক নেতৃত্বের সততার প্রশ্ন বাদই দিলাম


24 ঘন্টার স্রবশেষ রিপোর্টঃ সারদাকাণ্ডের তদন্তে রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার আশঙ্কা করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই এনিয়ে দিল্লির শীর্ষকর্তাদের রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে । সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অন্যদিকে, সারদা তদন্তে সিবিআইকে কোনওরকম সহযোগিতা না করবেন না বলে  জানিয়ে দিয়েছেন ধৃত প্রাক্তন পুলিস কর্তা রজত মজুমদার।

সারদাকাণ্ডে তদন্ত শুরুর পর থেকেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করার অভিযোগে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার আরও একধাপ এগিয়ে সরাসরি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নেমেছে দলের মহিলা শাখা।

সিবিআইকে কোনওরকম সহযোগিতা না করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন  ধৃত তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পুলিস কর্তা রজত মজুমদার।

আদালতে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন পুলিস কর্তা সিবিআইকেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন।

যা বলেছেন রজত মজুমদার-

--------------

আপনারা ভাল রাজনীতি করেন। যদি হিম্মত থাকে প্রমাণ করে দেখান। আমাকে পেটাতে পারবেন না।

সবাই বলছে ১০ কোটি নিয়েছি। বঙ্গ সম্মেলনের জন্য কত নিয়েছি জানেন? ১ কোটি ৭৫ লাখ।

বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বলা হচ্ছে। মমতা-মুকুলকে টাকা দিয়েছি? ৭ দিন কেন ৭০ দিনেও প্রমাণ করতে পারবেন না।

সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে রাজ্যের তরফে  সারদা তদন্তে কোনওরকম সাহায্য পাওয়া যাবেনা, এমনই আশঙ্কা করছেন  সিবিআই আধিকারিকরা।  ইতিমধ্যেই  দিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দফতরের এনিয়ে রিপোর্টও পাঠিয়েছেন তাঁরা।  রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আগেও তদন্তে কোনও সহযোগিতা পাননি তাঁরা। এখন পরিস্থিতি আরও জটিল। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।


অস্বস্তি ঢাকার বিক্ষোভে ধরনায় তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড

ওয়েব ডেস্ক: সারদা কাণ্ডে সিবিআই জেরায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। সিবিআইয়ের মোকাবিলায় এবার রাজনৈতিকভাবেই পথে নামল শাসকদল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে কাজ করছে সিবিআই। এই অভিযোগে সিবিআই দফতরের সামনে ধরনায় বসেছিল তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড।

সারদাকাণ্ডে সিবিআই দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশ বেড়েছে। তৃণমূলের সহ সভাপতি রজত মজুমদার গ্রেফতার হওয়ায় শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্র করেছে বিরোধীরা। সবমিলিয়ে সারদা ইস্যুতে দলের ভাবমুর্তি রক্ষাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের কাছে। এই পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে  রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে সিবিআই দফতরের সামনে ধর্নায় বসে তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড।

বুধবার সারদা কেলেঙ্কারিতে সমীর ওরফে বুয়া চক্রবর্তীকে জেরা করে সিবিআই। প্রতিবাদে এদিন ধরনায় সামিল হয়েছিলেন তার স্ত্রী বিধানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানা ইস্যুতে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু সরাসরি রাস্তায় নেমে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলন এই প্রথম।


এবিপি আনন্দঃসারদা কেলেঙ্কারির ঘটনায় বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুধুমাত্র তৃণমূল নয়, সারদাকাণ্ডের আঁচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন তাঁর দলেরই সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল ঘোষ। আর তাই এখন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর দিকেই নানা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে বিরোধীরা।

কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছেন, কালিম্পংয়ের ডেলোতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। বিরোধীদের প্রশ্ন,ডেলোতে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কি না, করলে কেন করেছিলেন সেই প্রশ্নের উত্তর কেন দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?এই প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু।

বিরোধীদের আরও প্রশ্ন, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কী কারণে সারদার সঙ্গে আইআরসিটিসি-র চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়েই বা কেন প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সিকিউরিটি ডিপোজিট বাবদ এক পয়সা না দিয়েও আইআরসিটিসি-র সঙ্গে চুক্তির সুযোগ পেয়েছিল সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস?  

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি ২০১৩-র ১ বৈশাখের আগে সারদা সম্পর্কে কিছু জানতেন না। বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে কী করে, সরকারি গ্রন্থাগারে কোন কোন সংবাদপত্র রাখা হবে, তার যে তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনস্থ তথ্য সংস্কৃতি দফতর ঠিক করে দিয়েছিল, তার মধ্যে সারদা গোষ্ঠীরই একাধিক সংবাদপত্র ছিল? এই প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ও।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবে প্রকাশ্যে এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

টাকা ফেরত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতারিতদের মিছিলে জনজোয়ার

অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও হিন্দোল দে, এবিপি আনন্দ

Thursday, 11 September 2014 09:37 PM

সারদাকাণ্ডে ষড়যন্ত্রের শিকড়-সন্ধানে তৎপর সিবিআই। জেরার মুখে তৃণমূলের একের পর এক প্রভাবশালী নেতা। এই পরিস্থিতিতে সেই প্রভাবশালীদের কঠোর শাস্তি ও টাকা ফেরতের দাবিতে একজোট হয়ে গর্জে উঠল প্রতারিত আমানতকারী ও এজেন্টরা। সুবিচারের দাবিতে রাজপথে জনজোয়ার।

বৃহস্পতিবার বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতারি ও টাকা ফেরতের দাবিতে এক মিছিলের আয়োজন করে প্রতারিতদের সংগঠন 'চিটফান্ড সাফারার্স ইউনিটি ফোরাম' ।

বৃহস্পতিবার সকালে কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হয়। সেখান থেকে রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে মিছিল শেষ হয় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। সেখানেই আয়োজন করা হয় সমাবেশের।

অরাজনৈতিক মিছিল হলেও প্রতারিত আমানতকারীদের সঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে এদিন সোচ্চার হন বিরোধী দলের নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্র।

সম্প্রতি জেলে বসে লেখা ৯১ পাতার বিবৃতিতে সাসপেন্ডেড তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন, ডেলোয় সারদা কর্ণধারের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়। এদিনের সমাবেশ থেকে সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।

সরকার বিরোধী কড়া সুর শোনা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের গলাতেও।

সারদা-তদন্তের মাঝে তৃণমূল সরাসরি সিবিআইকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেও, প্রতারিত আমানতকারীরা যে এখনও সেই সিবিআইয়ের ওপরই ভরসা রাখছেন, তা ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবারের মিছিলে। এদিন সারদা ছাড়া অন্যান্য বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রতারিত আমানতকারী এজেন্টদের হাতেও দেখা গিয়েছে সিবিআই তদন্তের দাবিতে প্ল্যাকার্ড।


মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনার আশ্বাসে আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার  

প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি মুখ্যমন্ত্রী। এই সিদ্ধান্ত শোনার পরেই শুক্রবার সকাল থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ...  আরও»

আদালতে হম্বিতম্বি, মুখে নিলেন মমতা-মুকুলের নাম, অস্বস্তিতে তৃণমূল, রজতের কৌশল ঘিরে জল্পনা  

প্রকাশ্য আদালতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম তুলে তিনি যেমন ঘুরিয়ে তৃণমূল ও রাজ্য সরকারকে আরও বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করলেন, তেমনই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ এখন তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করছে, তখন তারও জবাবও  ...  আরও»

তাপস মামলায় কৌশল, সিআইডি তদন্তে রাজি হলেও একাধিক শর্ত রাজ্যের  

আইনজীবী মহলের একাংশের মতে, রাজ্যের এই শর্তের অর্থই হল, সিআইডি তার নিজস্ব গতিপ্রকৃতি ছেড়ে একেবারে পুলিশি কায়দায় তদন্ত করবে। ...  আরও»

সন্ধির-দেবব্রতর জামিনের আর্জি খারিজ, রজত মজুমদার হাসপাতালেই  

সারদাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা রজত মজুমদার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই তাঁকে আদালতে পেশ করবে সিবিআই। ...  আরও»

তাপস মামলা: 'সিআইডি তদন্ত অযৌক্তিক?' প্রশ্ন বিচারপতির  

তাপস মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া কি অযৌক্তিক? শুনানিতে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে মন্তব্য বিচারপতি নিশীথা মাত্রের। তিনি বলেন, অভিযোগ দায়ের এবং হাইকোর্টে মামলা দায়েরের মাঝে পুলিশ কিছুই করেনি। ...  আরও»

তাপস মামলা: 'সিআইডি তদন্ত অযৌক্তিক?' প্রশ্ন বিচারপতির  

তাপস মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া কি অযৌক্তিক? শুনানিতে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে মন্তব্য বিচারপতি নিশীথা মাত্রের। তিনি বলেন, অভিযোগ দায়ের এবং হাইকোর্টে মামলা দায়েরের মাঝে পুলিশ কিছুই করেনি। ...  আরও»

মমতা বেলুড়ে

প্রিয়দর্শী বন্দ্যোপাধ্যায়: দিনের ব্যস্ত সময়ে বেলুড় মঠে স্বামী বিবেকানন্দের আবাসগৃহ-লাগোয়া গঙ্গার ঘাটে প্রায় আধ ঘণ্টা বসে রইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷‌ বুধবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী বেলুড় মঠে আসেন৷‌ তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জি, হাওড়ার মেয়র ডাঃ রথীন চক্রবর্তী, মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্র, রাজ্য পুলিসের ডিজি জি এম পি রেড্ডি, কবি সুবোধ সরকার, গায়ক ইন্দ্রনীল সেন ও চলচ্চিত্র প্রযোজক শ্রীকাম্ত মেহতা-সহ আরও অনেকে৷‌ প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তাঁর সঙ্গীরা বেলুড় মঠের বিদেশি পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত অতিথি নিবাসে যান৷‌ সেখানে বসেই তিনি বেলুড় মঠের দুপুরের প্রসাদী 'ভোগ' খান৷‌ এর পর তিনি বেলুড় মঠের ভেতরে স্বামী বিবেকানন্দের আবাসগৃহের সামনে 'স্বামীজির ঘাট'-এ প্রায় ৩০ মিনিট বসে ছিলেন৷‌ সেখান থেকে উঠে এসে বিকেল ৩টে নাগাদ গাড়িতে বেলুড় মঠ থেকে চলে যান মমতা৷‌ মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল বেলুড় মঠ চত্বর৷‌ তবে মুখ্যমন্ত্রীর বেলুড় মঠ সফরের সময় রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মূল মন্দির-সহ সমস্ত মন্দির বন্ধ থাকায় কোনও মন্দিরেই ঢোকেননি তিনি৷‌ পাশাপাশি দুপুরে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্হানন্দজি মহারাজ বিশ্রামে থাকার কারণে এদিন তাঁর সঙ্গেও মমতার সাক্ষাৎ হয়নি৷‌ তবে বেলুড় মঠের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সম্পাদক সুহিতানন্দ মহারাজ, সহ-সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ-সহ অন্য মহারাজরা৷‌ বেলুড় মঠ সূত্রে জানানো হয়েছে, এদিন নিছকই 'ব্যক্তিগত' সফরে বেলুড় মঠে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷‌ মূলত বেলুড় মঠের ভোগ খাওয়ার উদ্দেশ্যেই তিনি এদিন এসেছিলেন৷‌ অনেক দিন ধরেই বেলুড় মঠে ভোগ খেতে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করছিলেন তিনি৷‌ এদিন সেই ভোগ খেতেই বেলুড় মঠে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷‌ তবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তিনি কোনও কথা বলেননি৷‌

আনন্দবাজারেঃ

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া রজতকে হেফাজতে নিল সিবিআই

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ছুটি নিতে হল রজত মজুমদারকে। বুধবার রাতভর শারীরিক অসুস্থতা আরও বেড়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এ দিন সকালেও ডাক্তারদের উদ্দেশে তাঁর কাতর অনুরোধ ছিল, "আমার শরীর খুব খারাপ। আমাকে দয়া করে ছুটি দেবেন না।"

নিজস্ব সংবাদদাতা

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


তাপস পাল মামলায় সিআইডি তদন্তে রাজি, হাইকোর্টে জানাল রাজ্য

এত দিন রাজ্য সরকারের হয়ে আদালতে তিনি তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের হয়েই সওয়াল করছিলেন। বৃহস্পতিবার ওই মামলার সরকারি আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বিচারপতি নিশীথা মাত্রের আদালতে প্রস্তাব দিলেন, তাপস পালের উস্কানিমূলক বক্তব্য নিয়ে সিআইডি অনুসন্ধানে রাজ্য সরকার রাজি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


এক পয়সা গ্যারান্টি ছাড়াই রেলের এজেন্ট

সিকিওরিটি ডিপোজিট বা ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি একটি পয়সাও লাগেনি! সারদার ভ্রমণ সংস্থা কোনও রকম আর্থিক জামানত ছাড়াই রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)-এর এজেন্ট হয়ে বসেছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, সংস্থার ব্যালান্স শিটে গ্যারান্টি বাবদ খরচের কোনও উল্লেখই নেই! এবং কী ভাবে সেটা সম্ভব হল, তার হদিস পেতে তদন্তকারীরা এ বার সারদা-কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে জেরা করার কথা ভাবছেন।

শান্তনু ঘোষ

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


English বাংলা

ADVERTISEMENT

জেলে বসে কুণালের লেখা

নিজস্ব সংবাদদাতা


সুদীপ্তর অজ্ঞাতবাস ও অসঙ্গতি

সুদীপ্ত সেনের শেষদিকটা পুরো মিথ্যাচার, রহস্য, গোপনীয়তা অসঙ্গতিতে ভরা।

১। মিডিয়া ব্যবসা যে বড় লগ্নির/প্রথম ক'বছর ক্ষতির সারা পৃথিবী জানে। তবু তিনি মিডিয়াতে এলেন কেন? আর এলেনই যদি, এত সংখ্যায় করলেন কেন? বারণ করলেও কমাননি কেন?  এর সঙ্গেই প্রশ্ন : যখন অর্থসঙ্কট, চালাতে পারছেন না, দু'তিন মাস আগে বললেন না কেন? কেন প্রকৃত অবস্থা গোপন রেখে শেষমুহূর্তে বন্ধের কথা বলে কর্মীদের বিপদে ফেললেন? কেন সময় থাকতে বিকল্প ব্যবস্থা করে মিডিয়াগুলিকে বেঁচে থাকার সুযোগ দিলেন না?

২। বিপদ দেখে যখন সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছি, সিএম-কে বলেছি, তখন মুকুল রায় নিজাম প্যালেসে বৈঠক ডাকল। (৫ এপ্রিল, ২০১৩??) সুদীপ্ত এলেন। গোটাটাই অস্বাভাবিক। রজত মজুমদারকে রেখেছিল মুকুল। আমি, সোমনাথদা (দত্ত, সারদার সিইও) ছিলাম। অত গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি। কোনও আলোচনা হল না। সুদীপ্ত বললেন, দেরি হয়ে গেল, আমি যাই। মুকুল বলল, ঠিক আছে। রজতদা বলল, আপনার অফিসে গিয়ে কথা বলে নেব।

আমার সন্দেহ হয়েছে। গট আপ কিছু চলছে না তো?

৩। রজত মজুমদার এরপর সেন-এর অফিসে যান। কিন্তু মুকুল আমাকে বিন্দুবিসর্গ জানায়নি। এটাও রহস্য।

৪। শুনেছি, সেন-রজত দীর্ঘ বৈঠক হয়। কিছু মিডিয়া হাতবদলের আনুষ্ঠানিক কাগজ হয়। রজত ব্যাঙ্ক ড্রাফ্ট (১৫০০০ টাকা) নিয়ে গেছিলেন 'কলম' কাগজের জন্য। আরও বিস্তারিত বহু কথা হয়। এই কথা নাকি ক'দিন ধরেই চলছিল। নিজাম প্যালেস বৈঠক আমাদের সামনে শুধু নাটক।

৫। ঘটনাচক্রে, এই সময়ই সিবিআই-কে লেখা সেন-এর চিঠি। আমি প্রথম থেকে বলে আসছি, চিঠিটা স্বাভাবিক না। কোনও 'প্লি/প্লট আছে। হয় সেন নিজে লেখেনি। নইলে কেউ বসে লিখিয়েছে।

এতদিন পর সেন মিডিয়ার সামনে বলল, সিবিআই-কে লেখা চিঠি ওর নয়। এর মানে কী? নাটক হচ্ছে?

৬। সেন উধাও হল। পালিয়েছে? বিশ্বাস করি না। কলকাতা-র তিনটে মোবাইল অন রেখে কেউ পালায়? ওকে ক'দিন দূরে থাকতে বলা হয়েছিল।

মুকুলকে বললাম, পুলিশকে বল খুঁজে দিতে। কিছু ঘটছে। গুরুত্বই দিল না। বলল, নিশ্চিন্ত থাকো।

সোমনাথ দত্তর মাধ্যমে আইপিএস ভারতী ঘোষকে বললাম, খুঁজে দিন। ভারতী ঘোষ আন-অফিসিয়ালি করলেন। পরপর ক'দিন। সেনউত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, আরও উত্তরে।

মুকুলকে এটা বলা যাচ্ছে না। আলাদা চাপ দিচ্ছি। নিষ্ক্রিয়। আর ক'দিন পর রাতে নিজাম প্যালেসে তারা টিভি-র ক'জন আর আমিমুকুল তখন ফোনে আইপিএস রাজীব কুমারকে বলল সেন-এর মোবাইল ট্র্যাক করতে।

অঙ্কন: সুমন চৌধুরী।

৭। সেন উধাও। ১৮ এপ্রিল, ২০১৩, দিল্লি ১৮ সাউথ অ্যাভিনিউ। মুকুলের বাড়ি। কে ডি সিং (রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ), আসিফ-রা। জরুরি বৈঠক। সে দিন মুকুল আমাকে সেন-এর সিবিআইকে লেখা চিঠি দেখাল। বলল, সিবিআই থেকে এনে দিয়েছে প্রিয়াঙ্কা ইংটির বর। এটাও অস্বাভাবিক। সে দিন মুকুল নিজে চিঠিটা মিডিয়াকে দিল।

৮। আমার বিশ্বাস সুদীপ্তর এই প্লট মুকুলদের অনুমোদনে।

সুদীপ্ত চিঠি লিখে চলে যাবে। মিডিয়া ইউনিট এর বদনাম। আমার সর্বনাশ। আমার ক্ষতি। দলে কোণঠাসা।

মিডিয়া ইউনিটগুলো নিয়ে মুকুলরা চালাবে। যার জন্য বন্ধের আগে বিকল্প ব্যবস্থা করতে দেয়নি সেন। জানত, গট আপ খেলা। ক'দিন বন্ধ। তার পর কাগজ-কলমে হাতবদল চালু)।

সেন ফিরলে তখন তাঁর যেটুকু টাকা দরকার বলে প্রচার, মুকুলরা দিয়ে দেবে।

সুদীপ্ত ভেবেছিল, টিএমসি-র এতো উপকার করেছে, সব পরিকল্পনামত চলবে। মুকুল/রজতদের উপর নির্ভর করেছিল।

কিন্তু অর্পিতা ঘোষকে দিয়ে থানায় এফআইআর করিয়ে পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দিল টিএমসি। মানুষের কাছে ভালো সাজার খেলা।

সুদীপ্ত প্রথমে ওদের কথায় স্বেচ্ছায় চলেছে। পরে বাধ্য হয়ে। কিন্তু ঠিক কোন অংশে সেন প্রথম ধাক্কা খেল, জানার কৌতূহল আছে। আলিপুর কোর্ট, আলিপুর জেলে জিজ্ঞেস করেছিলাম। বলেনি।

শুধু বলল, 'ওরা আমাকে শেষ করে দিল'।

মমতা এবং পার্টি সারদার কিছু মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল প্রচারে। যে তৎপরতায় এখনও এগুলি চলছে, রাজ্যে কোনও চা বাগান বা কারখানা বন্ধ হলে, শাসকদল কর্মী স্বার্থে এই তৎপরতা দেখায় না।

আমাকেও ফেলা দরকার ছিল। সারদা প্লট-এ সেনকে কনফিডেন্সে নিয়ে আমাকে শেষ করার চেষ্টা হয়। মূর্খ, উপরচালাক সেন এদের বিশ্বাস করে এখন আফসোস করছে। কিন্তু ওর এখন ওদের মুঠো থেকে বেরনোর উপায় নেই।

সুদীপ্তর কাছ থেকে প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ সবরকম সুবিধা নেওয়ার পর এখন মুছে ফেলার খেলা চলছে। যাদের ক্যাশ দিয়েছে সেন, প্রমাণ নেই বোধহয়, এখন বলতেও পারছে না। কিছু কিছু কথায় যা আন্দাজ করছি, সেন-এর বেশ কিছু টাকা কয়েক জনের কাছে আছে। সেন না পারছে তাদের বিরোধিতা করতে, না পারছে পরিস্থিতিটা গিলতে।

সেনকে বলা হয়েছিল সিবিআইকে এটা লিখে তুমি দূরে থাকো। আমরা দেখছি। এখন যেটুকু টাকা দরকার, দিয়ে দেওয়া হবে। মিডিয়া আমরা চালাব (এর আগে এবং পরের ঘটনাক্রম মুকুল, রজত, সুদীপ্ত সেন বলতে পারবে)।

বিপর্যয় যখন নিশ্চিত, সারদা মিডিয়া বন্ধের মুখে, সুদীপ্ত উধাও হওয়ার আগে বিকল্প পদ্ধতিতে মিডিয়া বাঁচিয়ে রাখার মরিয়া চেষ্টা হয়েছিল। সুদীপ্ত তাতে নিজে থেকে কথা এগোন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রহস্যজনক কারণে অসহযোগিতা করেন। চ্যানেল-টেন, তারা ২টি ক্ষেত্রেই একথা প্রযোজ্য। বিকল্প অর্থ সূত্রের সঙ্গে প্রক্রিয়া এগিয়েও বন্ধ করেন আচমকা। এতে কর্মিস্বার্থ বিপন্ন হয়।

(বানান অপরিবর্তিত)


আসিফ-রজত আবার কে! সব চরিত্রই কাল্পনিক

নিজস্ব সংবাদদাতা


3

ছবির পর্দায় প্রশ্নকর্তা নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন ডক্টর হাজরা রূপে। বিস্মিত মুকুলকে ভরসা দিতে বলা হয়েছিল 'হাজার হাজার ডক্টর হাজরা'র স্তোকবাক্য!

'সোনার কেল্লা'র বালক মুকুল ছিল জাতিস্মর। কখন সে এ জন্মে থাকে, কখন আবার আগের জন্মে ফিরে যায় সে সব নাকি তাল রাখা যেত না। বাস্তবের মুকুলের দল কড়া সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। তবু মাথার উপরে মাঝেমধ্যেই দুলে উঠছে আকাশ! কে রজত মজুমদার, কে আসিফ খান চিনতে পারছেন না তৃণমূল নেতারা! সিবিআইয়ের ঠেলায় সব গুলিয়ে যাচ্ছে!

ছায়াছবির 'দুষ্টু লোকে'র দল মজেছিল সোনার কেল্লার কল্পিত গুপ্তধনের স্বপ্নে। বাস্তবের মুকুলের দল বিপাকে সারদা নামক স্বর্ণমৃগের হাতছানিতে! তাই কি এমন স্মৃতিভ্রম? বিরোধীরা যাকে বলছেন, 'সিলেক্টিভ অ্যামনেসিয়া'! প্রশ্ন তুলছেন, রাজ্যের শিল্পায়ন নিয়ে রতন টাটার সমালোচনাকে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র যদি 'মতিভ্রম' বলতে পারেন, বিপদের সময়ে তাঁর দলের এই স্মৃতিভ্রমও কি আসলে মতিভ্রম নয়!

সারদা-কাণ্ড নিয়ে কুণাল ঘোষ, রজত, আসিফদের পালা করে জেরা করছে সিবিআই। কুণাল আগেই জেল-হাজতে। সদ্য গ্রেফতার হয়েছেন রজত। আসিফ সিবিআই-কে সহযোগিতার কথা বলে তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদের ঘোষণা করেছেন। তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। বাঁধনহীন হয়ে তিনি কী না কী বলে বসেন সিবিআই-কে! এখন কী করা? তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর পরিচয়ই বেমালুম ভুলে গিয়েছেন! তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার বলে দিয়েছেন, "আসিফ খান বলে কাউকে চিনি না!"

আসিফ ছিলেন তৃণমূলের উত্তরপ্রদেশের পর্যবেক্ষক। ঠিক যেমন রজত ছিলেন বীরভূম জেলার পর্যবেক্ষক। তৃণমূলে যোগদানের সময় সহ-সভাপতির সম্মানও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। অথচ বুধবার তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলে বসেছেন, "উনি (রজতবাবু) যে তৃণমূল করতেন, আমি জানতাম না! এখন জানছি!" তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তৃণমূল ভবনে পার্থবাবুর ব্যাখ্যা, "রজত তৃণমূলের সদস্য নন। সহযোগী।" দলের একাংশের প্রশ্ন, সদস্য না-হলে রজতবাবু পর্যবেক্ষক হয়েছিলেন কী ভাবে?

রজত-আসিফদের চিনতে না-পারলেও তৃণমূল কিন্তু সিবিআইয়ের 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্য' চিনতে কোনও ভুল করছে না! তাই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত আজ, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে সল্টলেকে সিবিআই দফতরের সামনে অনির্দিষ্ট কাল ধর্না-অবস্থানে বসবেন তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা! মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী এবং রাজ্যের আইন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, "লাগাতার ধর্না চলবে, না রাতে বিরতি নেওয়া হবে, আমরা বিবেচনা করে দেখব।" চন্দ্রিমার ব্যাখ্যা, সিবিআই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করছে এবং তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সারদা-বিড়ম্বনা সামাল দিতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে চরম আকার দেওয়া হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

চন্দ্রিমা ধর্নার কথা ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা আগেই রাজ্যের আর এক মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, "সিবিআই রাজনৈতিক দল হলে রাজনৈতিক প্রতিবাদ-আন্দোলন করতে পারতাম। কিন্তু এটা অসম লড়াই হচ্ছে! কারণ, সিবিআই একটা সরকারি সংস্থা।" তবে একই সঙ্গে সিবিআই-কে 'দানব' আখ্যা দিয়ে তিনি এ-ও বলেছিলেন, "প্রয়োজনে রাজনীতি দিয়েও মোকাবিলা করতে হবে!"

বস্তুত প্রতি পদক্ষেপেই এখন তৃণমূল নেতৃত্বের বিভ্রান্তি প্রকট! সিবিআইয়ের 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা' এবং সংবাদমাধ্যমের 'অপপ্রচারে'র জবাব দিতে নতুন নতুন মুখকে সামনে ঠেলতে হচ্ছে তৃণমূলকে। এবং দলের অন্দরের খবর, সে কাজও সহজে  হচ্ছে না! যে তৃণমূলে ক্যামেরার সামনে ছবি তোলার জন্য বড়-মেজ-ছোট নেতাদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়, সেই দলেই এখন কেউ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চাইছেন না! উপনির্বাচনে 'কঠিন লড়াই'য়ের দোহাই দিয়ে বেশির ভাগ নেতারা এখন চলে যাচ্ছেন বসিরহাট! পার্থবাবুই যেমন মঙ্গলবার চলে গিয়েছিলেন। আর সুব্রতবাবু অন্য কাজে 'ব্যস্ত' ছিলেন! দলনেত্রীর চাপে এ দিন আর সে সব সম্ভব হয়নি। দু'জনেই মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের। পার্থবাবু আসিফ-মন্তব্য ছাড়া এমন কিছু বলেননি, যা আগে বলেননি। আর সুব্রতবাবু অভিযোগ করেছেন, "সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে, তাকে তীব্র ধিক্কার জানাই। এটার নিন্দা করতেই এসেছি।"

তৃণমূল নেতারা যত দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন, তত জালে জড়াচ্ছেন! বিরোধীরা তো বটেই, দলের বিক্ষুব্ধ নেতারাও অস্বস্তিকর প্রশ্ন তুলছেন! পার্থবাবুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আসিফ যেমন পাল্টা বলেছেন, "আমাকে দলে নিযুক্ত করেছিলেন মমতাদি, মুকুলদা। আমি জাতীয় রাজনীতিতে থাকতাম। পার্থদা আমার নেতা নন। সহকর্মী।" আবার সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল লিখিত বিবৃতিতে আবেদন জানিয়েছেন, 'তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে অনুরোধ, নিজেদের আড়াল করার স্বার্থে কিছু নেতা প্ররোচনা দিয়ে আপনাদের রাস্তায় নামতে বলছেন। আপনাদের ঢাল বানাচ্ছেন! এঁদের প্ররোচনায় পা দেবেন না'!

বিরোধীরা স্বভাবতই এই অবস্থার সুযোগ নিতে তৎপর। তৃণমূল নেত্রীকে 'কুইন পিন' আখ্যা দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী যেমন বলেছেন, "তৃণমূল দলে এখন ছুঁচোর কেত্তন চলছে! যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে!" সুদীপবাবুর উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, "ওঁর পক্ষে তাল রাখা মুশকিল! উনি এ দল-ও দল করেন তো! কখনও কংগ্রেস, কখনও তৃণমূলে থাকেন। তবে কুখ্যাত পুলিশ অফিসার রজত মজুমদারকে চেনেন না?" বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরে দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে সারদার সঙ্গে তাঁর দলের সম্পর্ক স্পষ্ট করুন।

আর স্মৃতিভ্রমের প্রসঙ্গ তুলে সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের খোঁচা, "উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দলে দলে লোকের হাতে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরাচ্ছিলেন মুকুল রায়। আসিফ, রজতেরা সব তাঁর লোক! অন্যেরা হয়তো তাই চিনতে পারছেন না!" তিনি যোগ করেন, "মুকুল কার লোক, প্রশ্ন করলে কী হবে কে জানে!"

কে কার লোক, সব গুলিয়ে যাচ্ছে! সব চরিত্রই যেন কাল্পনিক!


"সাত দিন কেন, ৭০ দিন রাখুন, আমার মুখ দিয়ে কিছু বলাতে পারবেন না", আদালতে সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন রজত মজুমদার

Last Updated: Thursday, September 11, 2014 - 18:15

"সাত দিন কেন, ৭০ দিন রাখুন, আমার মুখ দিয়ে কিছু বলাতে পারবেন না", আদালতে সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন রজত মজুমদার

ওয়েব ডেস্ক: আদালতে দাঁড়িয়ে সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ জানালেন প্রাক্তন পুলিসকর্তা রজত মজুমদার। রজত মজুমদারকে আজ সাতদিন হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় সিবিআই। জবাবে নিজের সওয়াল নিজেই করেন প্রাক্তন পুলিসকর্তা। শুরুতেই তিনি সুদীপ্ত সেনকে বলেন, তুমি কুণালকে বলেছ আমার হাত দিয়ে মুকুল-মমতাকে টাকা পাঠাতে? চালাকির একটা সীমা থাকা উচিত।  

তারপর সিবিআইয়ের উদ্দেশে রজত মজুমদার বলেন, "সাত দিন কেন, ৭০ দিন রাখুন। কিন্তু, আমার মুখ দিয়ে কিছুই বলাতে পারবেন না। আমার হাত দিয়ে মমতা-মুকুলকে টাকা পাঠানোর কথা প্রমাণ করতে পারবেন না। আমাকে পেটাতেও পারবেন না। সাত দিন পরে বললেন আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি। বলবেন আমি মুকুল রায়কে চিনি। কিন্তু কিছুই প্রমাণ করতে পারবেন না। বলা হচ্ছে আমি ১০ কোটি টাকা নিতাম। আমি নিয়েছি ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। বলা হচ্ছে সুদীপ্ত সেন টাকা দিত।"

ভোটের আগে সেই টাকা আমি মমতা-মুকুলের কাছে পৌছে দিয়েছি। কিচ্ছু প্রমাণ করতে পারবেন না। আমাকে রাজনৈতিক কারণে ধরা হয়েছে। যাতে বড় লোকেদের ধরা যায়। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে। আমি দেখব দশ দিনে কী বলাতে পারেন। ২০১২ সালে কাজ ছেড়েছি। ১৩ মাস কনসালট্যান্ট ছিলাম। আমাকে অ্যারেস্ট করতে হলে ফক্স অ্যান্ড মন্ডলসের লিগাল অ্যাডভাইসার দেবাঞ্জন মণ্ডলকেও অ্যারেস্ট করতে হবে।   

সিবিআই অফিসের সামনে তৃণমূলের ধর্ণা, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে না কেন, প্রশ্ন আইনজীবীদের

ওয়েব ডেস্ক,এবিপি আনন্দ

Thursday, 11 September 2014 01:21 PM


বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা ইস্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হতেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর দলেরই মহিলা সংগঠনকে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতায় পথে নামতে হল! যা দেখে বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছে, একেই বলে এক ব্যক্তির দুই চেহেরা। সল্টলেকে সিবিআইয়ের অফিস যেখানে সেই সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখায় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। নেতৃত্বে খোদ রাজ্যের আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সুরে তাঁর গলাতেও সিবিইয়ের বিরুদ্ধে সেই রাজনৈতিক চক্রান্তের তত্ত্ব।

সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে এ দিনের বিক্ষোভ দেখান বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীও। সেই কৃষ্ণা চক্রবর্তী, যাঁর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তীকে ২৪ ঘণ্টা আগেই জেরা করেছে সিবিআই। আর এই প্রেক্ষিতেই তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের সিবিআই বিরোধী আন্দোলনকে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।

কংগ্রেস নেত্রী শিখা মিত্র বলেছেন, আমি জানি ওরা কত নিচে নামতে পারে।

সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী বলেছেন,ধর্ষণের শিকারদের সময় দেখা যায় না, এখন আন্দোলন করছে তৃণমূলের মহিলা সংগঠন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত, সারদা তদন্তে সিবিআই যতই জাল গোটাচ্ছে, ততই বিড়ম্বনা বাড়ছে তৃণমূলের। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন কুণাল ঘোষ। বিরোধীরাও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব। এদিকে শনিবারই রাজ্যর ২টি কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন। তার আগে সারদা অস্বস্তি কাটাতেই কি শেষমেশ চাপে পড়েই পথে নামতে বাধ্য হল তৃণমূল?

সারদার লক্ষ লক্ষ আমানতকারীর টাকা যে প্রভাবশালীদের পকেটে গিয়েছে, তাঁদের বাঁচাতেই তৃণমূল মরিয়া হয়ে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে বলে দাবি বিরোধীদের। এই প্রেক্ষাপটেই আইনজীবী মহলের একাংশও তৃণমূলের সিবিআই-বিরোধী আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তারা বলছে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আইনি প্রতিষ্ঠান। সেই সর্বোচ্চ আদালতই সারদাকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু, তৃণমূল দাবি করছে, সিবিআই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করছে। আর তাই যদি হয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে কেন আর্জি জানাচ্ছে না তৃণমূল? আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, যদি তৃণমূলের সত্যিই মনে হয় সিবিআই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করছে, তাহলে তৃণমূল এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়ে আবেদন করতেই পারে, সর্বোচ্চ আদালতের নজরদারিতে সারদাকাণ্ডের তদন্ত হোক। যেমনটা কয়লা কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে হয়েছে। কিন্তু, তা না করে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। আর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যিনি নিজে পেশায় একজন আইনজীবী এবং আইনমন্ত্রীও। কিন্তু, খোদ আইনমন্ত্রীই কেন আইনি পথে না হেঁটে আন্দোলনের পথ নিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের একাংশেও। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল যেভাবে সিবিআই তদন্তের পথে বাধা তৈরির চেষ্টা করছে, তা কার্যত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার সামিল। আদালত গেলে মিথ্যার মুখোশ খুলে যাবে, তাই তৃণমূল সে পথে না হেঁটে রাজনৈতিক আন্দোলন করে সারদাকাণ্ডের অস্বস্তি আড়াল করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি বিরোধীদের।


আজকালের প্রতিবেদন: সারদা-কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিবৃতি দাবি করল বি জে পি৷‌ একই সঙ্গে সারদা-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানাল তারা৷‌ বুধবার বি জে পি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিন‍্হা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন৷‌ তাঁর দাবি, রাজ্যের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি শুনতে চাইছেন৷‌ তাপস পাল-কাণ্ড নিয়ে হাইকোর্টের মম্তব্যকে শাসক দলের কাছে বড় ধাক্কা বলে বর্ণনা করেন তিনি৷‌ অবিলম্বে বিতর্কিত তৃণমূল সাংসদ তাপস পালকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন তিনি৷‌ তাঁর মতে, সারদা-কাণ্ডের পর এটি গোদের ওপর বিষফোড়া৷‌ এদিন বি জে পি রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, সারদা-দুর্নীতিতে তৃণমূলের অনেকের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে৷‌ মুখ্যমন্ত্রী নীরবতা পালন করছেন কেন? তাঁর উচিত শ্বেতপত্র প্রকাশ করা৷‌ আমরা এখনও পর্যম্ত কোনও কোনও মন্ত্রীর বিবৃতি পেয়েছি৷‌ এত বড় ঘটনায় তৃণমূলের অনেকের নামে অভিযোগ উঠছে৷‌ মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে বসে আছেন৷‌ মুখ্যমন্ত্রীর উচিত বিবৃতি দেওয়া৷‌ সারদায় তৃণমূলের মুখ পুড়েছে৷‌ এই সরকার প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করতে পারে, মানুষ ঠকাতে পারে৷‌ তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জিকে একটি চিঠি দিয়েছেন বলে খবর৷‌ কুণালবাবু চিঠিতে দাবি করেছেন, সারদা নিয়ে দলে তদম্ত কমিশন গঠন করা হোক৷‌ এ নিয়ে রাহুলবাবুর প্রতিক্রিয়া, দলের সর্বোচ্চ নেতা-নেত্রীরা জড়িয়ে৷‌ কোনও কাজ হবে বলে মনে করি না৷‌ তাপস-কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের মম্তব্য, শাসক দলের সাংসদ বলেই কি ছাড় পাচ্ছেন তিনি? এই ঘটনাকে গোদের ওপর বিষফোড়া বলে রাহুলবাবুর সংযোজন, রাজ্যের সংস্কৃতি বদলে গেছে৷‌ তৃণমূল নেতারা তাপস পালের ভাষাতেই কথা বলছেন৷‌ পুলিসের উচিত তাপস পালকে গ্রেপ্তার করা৷‌ তিনি আইন ভেঙেছেন৷‌ এদিন কংগ্রেসের মালা ব্যানার্জি যোগ দেন বি জে পি-তে৷‌


রাজ্যপালের কাছে বি জে পি


দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অবাধ, শাম্তিপূর্ণ করার দাবিতে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর দ্বারস্হ হল বি জে পি৷‌ বুধবার বি জে পি-র এক প্রতিনিধি দল রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে৷‌ রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়৷‌ রাহুলবাবুর অভিযোগ, দুই কেন্দ্রে বহিরাগত, দুষ্কৃতী জড়ো করেছে তৃণমূল৷‌ অবাধ ভোট যাতে না হয় সেজন্য সব ধরনের চেষ্টা করছে তৃণমূল৷‌ নির্বাচন কমিশনে অবাধ ভোটের দাবি জানিয়েছি৷‌ রাজ্যপাল আমাদের সব দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন৷‌

সুব্রত, পার্থ বললেন, বি জে পি-সি বি আই অশুভ চক্র



দীপঙ্কর নন্দী

সি বি আইয়ের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়িয়ে দিল তৃণমূল৷‌ বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন দুই মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি ও সুব্রত মুখার্জি৷‌ পার্থ এদিন সাংবাদিকদের বলেন, বি জে পি-সি বি আই এক অশুভ চক্র৷‌ সুব্রত বলেন, সি বি আই-কে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷‌ ভিড়ে ঠাসা সাংবাদিক বৈঠকে দুই মন্ত্রী অভিযোগ করেন, মমতার ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷‌ পার্থ বলেন, সততার প্রতীক মমতা৷‌ তাঁকে হেয় করার জন্য সি পি এম, কংগ্রেস, বি জে পি– এক সঙ্গে নেমে পড়েছে৷‌ সুব্রত বলেন, মমতার মতো সৎ মহিলাকে সরাসরি আক্রমণ করছে বিরোধী দলগুলি৷‌ আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই৷‌ সুব্রত এ-ও বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখন আর কোনও বিরোধী দল লড়াইয়ের ময়দানে নেই৷‌ লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠান ও কয়েকটি সংবাদমাধ্যম৷‌ এরাই এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে৷‌ পার্থ এদিন বলেন, বি জে পি এবং সি বি আই চক্রাম্ত করছে৷‌ দুই মন্ত্রী এদিন জোরের সঙ্গে বলেন, চৌরঙ্গি ও বসিরহাট উপনির্বাচনে তৃণমূল জিতবে৷‌ কুণাল ঘোষ তদম্ত কমিশন চেয়ে যে চিঠি পার্থবাবুকে দিয়েছেন, সে সম্পর্কে সুব্রত বলেন, কমিশন দক্ষিণপম্হী দলে হয় না৷‌ বামদলগুলি কমিশন বসায়৷‌ আমরা তো আর কাউকে শাস্তি দিতে পারব না! তাই আমাদের এ ধরনের চিঠি দিয়ে কী লাভ! পার্থ বলেন, জেল-কয়েদি কুণাল সম্পর্কে কোনও মম্তব্য করব না৷‌ জেল হওয়ার সাড়ে ১০ মাস আগে তিনি এই ধরনের দাবি করেননি কেন? এখন তাঁর কথার কোনও উত্তর দিতে আমরা রাজি নই৷‌ বি জে পি-র সর্বভারতীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং মঙ্গলবার অভিষেক ব্যানার্জি সম্পর্কে যে মম্তব্য করেছেন, তাকে অশালীন বলে উল্লেখ করেন পার্থ৷‌ তিনি বলেন, একজন সাংসদ সম্পর্কে এই ভাষায় কথা বলা যায় না৷‌ আসলে বি জে পি নেতারা বাংলার সংস্কৃতি জানেন না৷‌ শিশুদের নিয়ে লেখা সুকাম্ত ভট্টাচার্যের কবিতা ওঁরা পড়ে নিলেই পারেন৷‌ সুব্রত বলেন, প্রতি নির্বাচন এলেই নানা রকমের গোলমাল শুরু হয়ে যায়৷‌ এখন বি জে পি, সি পি এম এবং কংগ্রেস একসঙ্গে বাংলায় অশাম্তি বাধাতে চাইছে৷‌ পার্থ বলেন, রাজ্যে বি জে পি-র কোনও অস্তিত্ব নেই৷‌ চিত্রনাট্য তৈরি করছে সি বি আই৷‌ সুব্রত বলেন, সি বি আইয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে৷‌ নতুন করে রাজনৈতিক খেলা সি বি আই শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন পার্থ৷‌ এদিকে, আজ সল্টলেকের সি বি আই দপ্তরের সামনে সকাল ১১টা থেকে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস বিক্ষোভ-অবস্হানের কর্মসূচি নিয়েছে৷‌ এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, শাক দিয়ে আর মাছ ঢাকতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী৷‌ সারদা নিয়ে সব কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যাচ্ছে৷‌ চোরের মায়ের বড় গলা! সুদীপ্ত সেন মমতার আঁকা ছবি কিনেছেন কি না তা সবই প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে৷‌ অধীরের অভিযোগ, তৃণমূলের সমস্ত নেতা ও নেত্রী সারদা-কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত৷‌ সারদার ছায়া পড়েছে তৃণমূলের ওপর৷‌ এভাবেই তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যাবে তৃণমূল৷‌ অধীর এদিন বলেন, বাংলায় আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই৷‌ খুন, তোলাবাজি ছাড়া আর কিছু হচ্ছে না৷‌ তাপস পালের মতো নেতাকে কীভাবে দল ছেড়ে দেয়, তা সত্যিই অবাক করার মতোই৷‌ হাইকোর্ট আজ তাপস পাল সম্পর্কে ২০০ শতাংশ ঠিক বলেছে৷‌ আমরা তো মনে করি, ওঁকে গ্রেপ্তার করা উচিত৷‌




আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি বাঁকুড়া ডিভিসি শ্রমিকদেরআমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি বাঁকুড়া ডিভিসি শ্রমিকদের

প্রশাসনের ডাকা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও মিলল না সমাধানসূত্র। ফলে বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় ডিভিসির এমটা কয়লাখনি নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। গত অগাস্ট মাস থেকে খনি সংলগ্ন বাগুলিয়া গ্রামের বাসিন্দারা নানা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

আজাদকে চিনতেন অনুব্রত, এমনই অভিযোগ করলেন ভাই অঞ্জন মুন্সিআজাদকে চিনতেন অনুব্রত, এমনই অভিযোগ করলেন ভাই অঞ্জন মুন্সি

মঙ্গলকোটে খুন হওয়া তৃণমূল কর্মী আজাদ মুন্সিকে চিনতেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনটাই দাবি তাঁর ভাই অঞ্জন মুন্সির। যদিও নিহত তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে তাঁর কোনও পরিচয় নেই বলে দাবি করেছেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু অঞ্জন মুন্সির বক্তব্য, খুন হওয়ার আগে চব্বিশ দিন ধরে বোলপুরে তৃণমূলের অফিসেই ছিলেন আজাদ। CCTV ফুটেজেও তার প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

নবান্নেই ধরনায় বসলেন বাম প্রতিনিধিরানবান্নেই ধরনায় বসলেন বাম প্রতিনিধিরা

কৃষিমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দেওয়ার পর প্রেস কর্নারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে না দেওয়ায় নবান্নেই ধরনায় বসলেন বাম প্রতিনিধিরা। আজ আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে সাতজনের বাম প্রতিনিধি দল নবান্নে দেখা করেন কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে। চাষিরা পাটের সহাযক মূল্য পাচ্ছেন না বলে কৃষিমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা। এরপরে বেরিয়ে এসে প্রেস কর্নারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে যান প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। কিন্তু পুলিস তাঁদের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার অনুমতি দেয়নি।

ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য

ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শাসন থানা এলাকার ভাতুড়িয়ায়। মৃতার নাম অদিতি সিন্হা। শাসন থানার রাজারহাট শিক্ষা নিকেতন স্কুলের একাদশ শ্রেণির বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী ছিলেন অদিতি। গতকাল দুপুরে স্কুল থেকে আটজন ছাত্র এবং চার ছাত্রী গলসিয়ার শান্তি ইট ভাটার পিছনের ঝিলে বেড়াতে যায়।

৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশা, মা কী ভাবে শহরে পৌঁছবেন? ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশা, মা কী ভাবে শহরে পৌঁছবেন?

পুজোর বাকি আর মাত্র কটা দিন। তারমধ্যে শেষ করতে হবে প্রতিমা কিন্তু, তার থেকেও বড় সমস্যা কীভাবে কলকাতা আর হাওড়ার মণ্ডপে পৌছে দেওয়া যাবে প্রতিমা? কারণ বেহাল দশা চৌত্রিশ নম্ব জাতীয় সড়কের। আর তাই চিন্তায় কৃষ্ণনগরের শিল্পীরা।

একসময়ের মাওবাদী এখন জীবনের মূল স্রোতে একসময়ের মাওবাদী এখন জীবনের মূল স্রোতে

বাঁকুড়ায় হাতির তাণ্ডব ঠেকাতে গিয়ে আহত ৪বাঁকুড়ায় হাতির তাণ্ডব ঠেকাতে গিয়ে আহত ৪

ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় শতাধিক হাতির একটি দলকে তাড়াতে উদ্যোগী হয়েছিলেন বাঁকুড়ার পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দারা। কিন্তু তাড়া খেয়ে একটি হাতি পাল্টা ধেয়ে আসে গ্রামবাসীদের দিকেই। চার যুবককে পিষে ফেলতে চেষ্টা করে  হাতিটি। শেষ পর্যন্ত হাতিটিকে তাড়াতে সক্ষম হন গ্রামবাসীরা। ওই চার যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

অন্ধ ঘোড়া নিয়ে বিপাকে নওদা গ্রামঅন্ধ ঘোড়া নিয়ে বিপাকে নওদা গ্রাম

চোখে দেখে না। তাই তার কোনও কদর নেই। খোলা আকাশের নিচে আপন মনে সে ঘুরে বেড়ায়। বৃষ্টি এলে চুপ করে দাঁড়িয়ে সে ভেজে। কারণ সে একেবারে একা। আর এই দৃষ্টিহীন ঘোড়াকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বর্ধমানের নওদা

এইডস আক্রান্ত দম্পতিকে মারধর, অভিযুক্তের শাস্তির দাবি অন্য আক্রান্তদের এইডস আক্রান্ত দম্পতিকে মারধর, অভিযুক্তের শাস্তির দাবি অন্য আক্রান্তদের

এইডস আক্রান্ত দম্পতিকে মারধরে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি তুলল এইডস আক্রান্তরাই। ঘোলার আক্রান্ত ওই দুই দম্পতিকে নিয়ে সোমবার জেলাশাসক ও পুলিস কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এইডস রোগীদের একটি সংগঠন।

ছাতনায় মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন সব পুলিসকর্মী

বাঁকুড়া: এক সঙ্গে মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন বাঁকুড়ার ছাতনার সব পুলিসকর্মী। বাদ গেলেন না জেলার পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপারও। এমন নজিরবিহীন ঘটনায় উচ্ছ্বসিত গোটা ছাতনা।  

বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে জেলা পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের নিগৃহীতা ছাত্রীর বাবাবিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে জেলা পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের নিগৃহীতা ছাত্রীর বাবা

বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে জেলা পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন সিকিমের নিগৃহীতা ছাত্রীর বাবা। আজ জেলা পুলিস সুপারের দফতরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ দায়ের করেন কলাভবনের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও। তাঁর অভিযোগ, তাঁর মেয়ে যেভাবে নির্যাতন ও হেনস্থার শিকার হয়েছে, তার ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না তিনি। মেয়েকে আর বিশ্বভারতীতে রাখতে চান না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নারী ও শিশুসুরক্ষা জোরদার করতে রাজ্যের নয়া গাইডলাইননারী ও শিশুসুরক্ষা জোরদার করতে রাজ্যের নয়া গাইডলাইন

নারী ও শিশুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি ও মানব পাচার পাচার রুখতে এবার তাই নারী ও শিশুসুরক্ষা গাইডলাইন তৈরি করল রাজ্য। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, এলাকায় এলাকায় নজরদারি বাড়াতে ব্লকস্তরে কমিটি গঠন করা হবে।   

বাপের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে স্বামীকে গুলি করে খুন করল স্ত্রীবাপের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে স্বামীকে গুলি করে খুন করল স্ত্রী

বাপের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে স্বামীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে বালুরঘাট থানার খড়াইল গ্রামে খুন করা হয় বিষ্ণু মার্ডিকে। দুবছর আগে বিষ্ণু মার্ডির সঙ্গে বিয়ে হয় প্রিয়াঙ্কা টুডুর। বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই আলাদা থাকতেন দুজনে। অভিযোগ, গতকাল নিজের বাড়িতে স্বামীকে আসতে বলেন স্ত্রী।

কুমারগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ কুমারগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে ১১ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীর মা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিবেশী আজিজুর রহমানের বাড়িতে গিয়েছিল কিশোরী। তখই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে বলাহার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিত্সা হয় ওই কিশোরীর।


No comments:

मैं नास्तिक क्यों हूं# Necessity of Atheism#!Genetics Bharat Teertha

হে মোর চিত্ত, Prey for Humanity!

मनुस्मृति नस्ली राजकाज राजनीति में OBC Trump Card और जयभीम कामरेड

Gorkhaland again?আত্মঘাতী বাঙালি আবার বিভাজন বিপর্যয়ের মুখোমুখি!

हिंदुत्व की राजनीति का मुकाबला हिंदुत्व की राजनीति से नहीं किया जा सकता।

In conversation with Palash Biswas

Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Save the Universities!

RSS might replace Gandhi with Ambedkar on currency notes!

जैसे जर्मनी में सिर्फ हिटलर को बोलने की आजादी थी,आज सिर्फ मंकी बातों की आजादी है।

#BEEFGATEঅন্ধকার বৃত্তান্তঃ হত্যার রাজনীতি

अलविदा पत्रकारिता,अब कोई प्रतिक्रिया नहीं! पलाश विश्वास

ভালোবাসার মুখ,প্রতিবাদের মুখ মন্দাক্রান্তার পাশে আছি,যে মেয়েটি আজও লিখতে পারছেঃ আমাক ধর্ষণ করবে?

Palash Biswas on BAMCEF UNIFICATION!

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS ON NEPALI SENTIMENT, GORKHALAND, KUMAON AND GARHWAL ETC.and BAMCEF UNIFICATION! Published on Mar 19, 2013 The Himalayan Voice Cambridge, Massachusetts United States of America

BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Imminent Massive earthquake in the Himalayas

Palash Biswas on Citizenship Amendment Act

Mr. PALASH BISWAS DELIVERING SPEECH AT BAMCEF PROGRAM AT NAGPUR ON 17 & 18 SEPTEMBER 2003 Sub:- CITIZENSHIP AMENDMENT ACT 2003 http://youtu.be/zGDfsLzxTXo

Tweet Please

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS BLASTS INDIANS THAT CLAIM BUDDHA WAS BORN IN INDIA

THE HIMALAYAN TALK: INDIAN GOVERNMENT FOOD SECURITY PROGRAM RISKIER

http://youtu.be/NrcmNEjaN8c The government of India has announced food security program ahead of elections in 2014. We discussed the issue with Palash Biswas in Kolkata today. http://youtu.be/NrcmNEjaN8c Ahead of Elections, India's Cabinet Approves Food Security Program ______________________________________________________ By JIM YARDLEY http://india.blogs.nytimes.com/2013/07/04/indias-cabinet-passes-food-security-law/

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN VOICE: PALASH BISWAS DISCUSSES RAM MANDIR

Published on 10 Apr 2013 Palash Biswas spoke to us from Kolkota and shared his views on Visho Hindu Parashid's programme from tomorrow ( April 11, 2013) to build Ram Mandir in disputed Ayodhya. http://www.youtube.com/watch?v=77cZuBunAGk

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICAL OF BAMCEF LEADERSHIP

[Palash Biswas, one of the BAMCEF leaders and editors for Indian Express spoke to us from Kolkata today and criticized BAMCEF leadership in New Delhi, which according to him, is messing up with Nepalese indigenous peoples also. He also flayed MP Jay Narayan Prasad Nishad, who recently offered a Puja in his New Delhi home for Narendra Modi's victory in 2014.]

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALSH BISWAS FLAYS SOUTH ASIAN GOVERNM

Palash Biswas, lashed out those 1% people in the government in New Delhi for failure of delivery and creating hosts of problems everywhere in South Asia. http://youtu.be/lD2_V7CB2Is

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk