আল-কায়দা নেতা বিন লাদেন নিহত
মার্কিন বিশেষ বাহিনী পাকিস্তানের ভেতরে অভিযান চালিয়ে আল কায়দার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেছে৻
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজেই হোয়াইট হাউজে এ খবর ঘোষণা করেছেন৻
গোয়েন্দা সংস্থার খবরের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়৻ কর্মকর্তারা বলছেন, গত অগাস্ট মাসে ওসামা বিন লাদেনের অবস্থানের বিষয়ে খোঁজ পাওয়া গিয়েছিলো৻
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন যে, কেন্দ্রীয় গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ রাজধানী ইসলামাবাদের উত্তরে অ্যাবোটাবাদে উচু প্রাচীরের একটি বাড়িতে ওসামা বিন লাদেনের অবস্থান নিশ্চিত করে৻
তারা জানায় যে সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক বিভাগের বিশেষ বাহিনীর সৈন্যরা চারটি হেলিকপ্টারে করে এই বাড়িতে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করে৻
এই অভিযানে অন্তত তিনজন নিহত হয়৻ খবরে বলা হচ্ছে, ওসামা বিন লাদেন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন৻
এই অভিযানের সময় তার একজন ছেলেও নিহত হয়েছে৻
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন যে এই অভিযানের সময় একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে৻
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন যে আল কায়দা নেতাকে পরে সমুদ্রে সমাহিত করা হয়েছে৻
ওসামা বিন লাদেনের এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে হাজার হাজার মার্কিন নাগরিক আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করতে শুরু করে৻
তারা হোয়াইট হাউজ ও গ্রাউন্ড জিরোর সামনে সমবেত হয় যেখানে ১০ বছর আগে টুইন টাওয়ারে আল কায়দার পরিচালিত হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৻
তারা নেচে গেয়ে আনন্দ করতে থাকে, জাতীয় সঙ্গীত গায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উড়াতে থাকে৻
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য স্থানেও এই একই রকমের প্রতিক্রিয়া হয়েছে৻
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, শেষ পর্যন্ত বিচার সম্পন্ন হলো৻
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, টুইন টাওয়ারে হামলার সময় যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন, ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার ঘটনা এক অসাধারণ অর্জন৻
ব্রিটেন, ফ্রান্স এই অভিযানের প্রশংসা করেছে৻ বলেছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটা একটা বড়ো ঘটনা৻
তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সতর্ক করে দিয়ে দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে চরমপন্থীদের হুমকি শেষ হয়ে যায়নি৻
নিরাপত্তা জোরদার
রাশিয়াও ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করাকে মাইলফলক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছে৻
পাকিস্তান বলেছে, সারা বিশ্বের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্যে এটা একটা বড় ধরনের ধাক্কা৻
আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে কাবুলের দীর্ঘদিনের অবস্থানই প্রমাণিত হলো৻ কাবুল বলে আসছিলো যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শেকড় শুধুমাত্র আফগানিস্তানেই প্রোথিত নয়৻
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরাম বলছেন, ওসামা বিন লাদেনকে যে ইসলামাবাদের ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে পাওয়া গেলো সেটা একটা উদ্বেগের কারণ, যার অর্থ সন্ত্রাসীদের জন্যে পাকিস্তান অভয়ারন্য হয়ে উঠতে পারে৻
আল কায়দা নেতা পাকিস্তানে লুকিয়ে আছে এই দাবী ইসলামাবাদের তরফে সবসময় অস্বীকার করা হয়েছে৻
এই খবরের পরপরই আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল বাড়তি নিরাপত্তার ওপর জোর দিয়েছে৻
সংস্থাটি বলছে, ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আল কায়দার ক্ষমতা নিঃশ্বেষ হয়ে যায়নি৻
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেছেন যে তিনি সারা বিশ্বের ব্রিটিশ দূতাবাসগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন৻ মার্কিন দূতাবাসগুলোতেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে৻
সর্বশেষ সংবাদ
অডিও খবর
ছবিতে সংবাদ
বিন লাদেন মৃত: প্রেসিডেন্ট ওবামা
Photo: AFP
অন্যকে পাঠান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘষোণা করেছেন যে বিশ্বে যে সন্ত্রাসীকে সবচাইতে বেশি খোঁজ করা হচ্ছিলো সেই আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন, পাকিস্তানের গভীরে একটি বাসভবনের চত্বরে, রবিবার, যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে রবিবার রাতে, দেশ ব্যাপী টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে, মি ওবামা ওই ঘোষণা করেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে আল কায়দার কর্মীদের মারাত্নক এক হামলার ১০ বছর পর এই ঘটনা ঘটলো।
যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী সৌদী এই সন্ত্রাসীকে তখন থেকে খোঁজ করছিল।
মি ওবামা বলেন বিন লাদেন কোন মুসলিম নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন "মুসলমানদের গন হত্যাকারী"। প্রেসিডেন্ট বলেন পাকিস্তানি গোয়েন্দার সাহায্যে বিন লাদেনের খোঁজ পাওয়া গেছে।
ওয়াশিংটন বার্তা
রাজকীয় বিয়ে
Get the Bangla Font
http://www.voanews.com/bangla/news/2may11-laden-
121070109.html
-
আল-কায়দা নেতা লাদেন পাকিস্তানে নিহত |
2 মে 2011 ... আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের.
www.sabujbanglablog.net/archives/7601 - সঞ্চিত পাতা -
লাদেন পাকিস্তানে নিহত: ওবামা
2 মে 2011 ... ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ০২ মে (আরটিএনএন ডটনেট)-- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠন 'আল-কায়েদা' নেতা ওসামা বিন লাদেন মারা গেছেন। ...
www.rtnn.net/details.php?id=34432&p=1&s... - সঞ্চিত পাতা -
লাদেন-এর চিত্র
- চিত্রগুলি রিপোর্ট করুন -
ওসামা বিন লাদেন বন্দুকযুদ্ধে নিহত ...
আল কায়দার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্হানে মার্কিন সেনাবাহিনীর সাথে এক বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গতকাল রোববার এক ...
shopnobaz.net/blog/shuvroto/1191 - সঞ্চিত পাতা -
ওসামা বিন লাদেন এবার হামলা চালাবে ...
2 মে 2011 ... সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের টিউনিং পেইজে। শিরোনাম.
techtunes.com.bd/download/tune-id/25575/ - সঞ্চিত পাতা - একই -
ওসামা বিন লাদেন নিহত | THE YCC NEWS
2 মে 2011 ... আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের ইসলামাবাদের বাইরে এবোটাবাদ এলাকায় মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হননিহত হয়েছেন রোববার । ...
www.theyccnews.com/?p=1404 - সঞ্চিত পাতা -
লাদেন বিশ্বের কাছে মুসলমানদের ...
3 মে 2011 ... 'প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'লাদেন মারা গেছে, কিন্তু তার আগে সে গোটা মুসলমান সমপ্রদায়ের ভাবমূর্তির ক্ষতি ... আমার ধারনা খালেদা মেডাম লাদেন সম্বন্দে কোন মন্তব্য করবে না. ...
www.mzamin.com/index.php?... - সঞ্চিত পাতা -
আল-কায়দা নেতা লাদেন নিহতwww.banglaeye.com
আল-কায়দার প্রতিষ্ঠাতা ও জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেন মারা গেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের কাছে এক মার্কিনী হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে আজ সোমবার মার্কিন মিডিয়াগুলো এ ...
www.banglaeye.com/blog/index.php?s... - সঞ্চিত পাতা -
Ekushey Televishion Ltd - সব জল্পনা-কল্পনার ...
2 মে 2011 ... ওসামা বিন লাদেন। যার অবস্থান নিয়ে শেষ ছিলো না রহস্যের। তিনি মৃত, না-কী এখনো জীবিত? অবশেষে শেষ হলো সব জল্পনা-কল্পনার। নিহত হয়েছেন সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার শীর্ষ ...
www.ekushey-tv.com/.../2347-2011-05-02-10-55-31 - সঞ্চিত পাতা -
লাদেন নাকি মারা গেছে? তার dead body এর ...
লাদেন মারা গেছে, নতুন করে আর বলার কিছুই নাই। কিন্তু তার dead body এর ছবি তো দেখলামনা। আবার নাকি সাগরের মধ্যে কবর দিছে। DNA টেস্টেও নাকি কইছে সে লাদেন। আসলে আমি বুঝতেছিনা, এটা কি ...
sonarbangladesh.com/blog/noorealam_ku/38908 -
ওসামা বিন লাদেন নিহত !!! (পাতা ১) - তাজা ...
টুইন টাওয়ার হামলার প্রায় দশ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে হাতে নিহত হলেন আল কায়েদার শীর্ষনেতা ওসামা বিন লাদেন৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিছুক্ষণ আগে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে এই ...
www.rongmohol.com/topic16711.html -
-
ওসামা বিন লাদেন নিহত - jaijaidin ...
আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে একটি বাড়িতে রোববার রাতে মার্কিন সৈন্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ ...
www.jjdin.com/?view...id... - সঞ্চিত পাতা -
লাদেন, ওবামা আর তারেক রহমান | চলতি ...
3 মে 2011 ... দেশের খবর খুব সঙ্গত কারণেই আজ চলে গেছে অন্যান্য পাতায়৷ সব সংবাদপত্রেরই আজ শীর্ষে নিহত লাদেন৷ অর্থপাচার মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন তারেক রহমান৷ ...
www.dw-world.de/dw/article/0,,15045003,00.html - সঞ্চিত পাতা -
bdnews24blog » » লাদেন নিহত
লাদেন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) তালিকাভুক্ত মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী। ২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে (টুইন টাওয়ার) সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে লাদেন ও তার ...
blog.bdnews24.com/bdnews24/15031 - সঞ্চিত পাতা -
আল-কায়দা নেতা লাদেন পাকিস্তানে ...
2 মে 2011 ... আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে একটি বাড়িতে রোববার রাতে মার্কিন সৈন্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পরিবারের অনান্য ...
alaminbd.wordpress.com/.../আল-কায়দা-নেতা-লাদেন-পাকিস-2/ - সঞ্চিত পাতা -
পাকিস্তানে মার্কিন হানায় খতম লাদেন
2 মে 2011 ... পাকিস্তানের গুপ্তঘাঁটি থেকে খুঁজে বের করে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করল মার্কিন বাহিনী. রবিবার মার্কিন চরসংস্থা সি আই এ এবং স্পেশ্যাল ফোর্স একত্রে পাক রাজধানী ...
starananda.starnews.in/.../4055-2011-05-02-05-20-54 - সঞ্চিত পাতা -
Barta24 News | International - বিদেশ | ওসামা বিন ...
2 মে 2011 ... ওবামা বলেন, "লাদেন যে মার্কিনবাহিনীর নিয়ন্ত্রণের কাছাকাছি সে সম্পর্কে তিনি গত বছর আগস্ট মাসেই আভাস দিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে লাদেনকে ন্যায় বিচারের সম্মুখীন করতে এক ...
www.barta24.net/news/9627 - সঞ্চিত পাতা -
ওসামা বিন লাদেন নিহত | PRIYO
2 মে 2011 ... আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় মার্কিন কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে প্রচার করে। পরবর্তীতে রাত প্রায় ...
www.priyo.com/international/2011/.../24904.html - সঞ্চিত পাতা -
সমকাল :: লাদেন নিহত ::
নাজমুল হাসান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী, যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ানটেড আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন রোববার গভীর রাতে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে ...
www.samakal.com.bd/details.php?... - সঞ্চিত পাতা -
লাদেন ওই ভবনে ছিলেন ৬ বছর
3 মে 2011 ... ওয়াশিংটন: ওসামা বিন লাদেন গত পাঁচ বা ছয় বছর ধরে পাকিস্তানের ওই ভবনে বাস করছিলেন। হোয়াইট হাউজের সন্ত্রাস মোকাবিলা বিভাগের প্রধান জন ব্রেনান মঙ্গলবার এ মন্তব্য ...
www.banglanews24.com › আন্তর্জাতিক -
শীর্ষ নিউজ <> আন্তর্জাতিক <> আল-কায়দা ...
ঢাকা, ২ মে (শীর্ষ নিউজ ডেস্ক): আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের রাজধানী ... অভিযানে দু'পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে বিন লাদেন নিহত হন বলে দাবি করা হয়েছে। ...
www.sheershanews.com/?view... -
পাক-সাহায্য পাননি লাদেন, মানতে নারাজ আমেরিকা
নিজস্ব প্রতিবেদন
বিন লাদেন নিধনে সফল অভিযানে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই 'বন্ধু' পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দাগল আমেরিকা। ওয়াশিংটনের দাবি, গত ছ'বছর ধরে অ্যাবটাবাদের ওই গোপন ডেরায় লুকিয়ে ছিলেন ওসামা, অথচ পাক প্রশাসনের কোনও মহলই সে বিষয়ে কিছু জানত না, এ কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ওসামার সেই সব 'বন্ধুদের' কথা ভেবেই 'অপারেশন অ্যাবটাবাদ' সম্পর্কে আগাম কোনও তথ্য পাকিস্তানকে জানায়নি আমেরিকা।
আজ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (সন্ত্রাসবাদ দমন ও হোমল্যাণ্ড সিকিউরিটি বিভাগ) জন ব্রেনান হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "যেখানে এত দিন ধরে লুকিয়ে ছিলেন বিন লাদেন, সেই দেশ থেকে তিনি কোনও রকম সাহায্য পাচ্ছিলেন না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন।" একই বক্তব্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের। তিনি বলেন, "পাকিস্তানের ভেতর থেকেই কেউ ওসামাকে সাহায্য করছিল, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে তারা কারা, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।"
চলছে অভিযান। চিন্তামগ্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।— রয়টার্স
পাকিস্তানে কাদের সাহায্যে তা হলে এত দিন নিরাপদ ঘাঁটি গেড়েছিলেন পৃথিবীর 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ব্যক্তি? অভিযোগের আঙুল স্বাভাবিক ভাবেই পাক সেনাবাহিনী এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর দিকে। প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তানের 'সর্বশক্তিমান' সেনাপ্রধান আশফাক কিয়ানি কি জানতেন না যে, সেনা অ্যাকাডেমির ঢিল ছোড়া দূরত্বে কাঁটাতার দেওয়া আট ফুট পাঁচিল ঘেরা বাড়িতে রয়েছেন ওসামা? যে আইএসআই-এর ধুরন্ধর গোয়েন্দারা অতীতে বহু জঙ্গিকে আমেরিকার হাতে তুলে দিয়েছেন, কী ভাবে তাঁদের নজর এড়িয়ে ওসামা ইসলামাবাদের এত কাছে লুকিয়ে ছিলেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। ব্রেনানের কথায়, "এ তো দিনেদুপুরে, সর্বসমক্ষে লুকিয়ে থাকা।"
কিয়ানি বা আইএসআই-এর পক্ষ থেকে কেউ মুখ না খুললেও পাকিস্তানি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সে দেশের সরকার বা সেনাবাহিনী, কেউই এই অভিযানের কথা জানত না। আমেরিকাও বারবার বলছে, পাক গুপ্তচররা কিছু তথ্য দিয়েছিলেন ঠিকই। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আল কায়দার ওই ডেরা সম্পর্কে প্রাথমিক একটা ধারণাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেখানে
ঘুণাক্ষরেও পাকিস্তানকে জানানো হয়নি। অভিযান সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট জারদারিকে টেলিফোন করে পুরো ঘটনাটি জানান।
সিআইএ-র তরফেও আজ বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, পাক কর্তৃপক্ষকে জানালে খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। কোনও ভাবে ওসামা-ঘনিষ্ঠদের কানে কথা পৌঁছলে এত তোড়জোড় বিফলে যেত। তাই অভিযানটি সম্পূর্ণ ভাবে ইসলামাবাদের কাছ থেকে গোপন রাখা হয়। আজ উইকিলিক্সের ফাঁস করা নথি থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে যখন বিন লাদেন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, তখন একাধিক বার পাক সেনাবাহিনীর কোনও না কোনও সূত্র সম্ভাব্য মার্কিন হানার তথ্য ওসামার কানে পৌঁছে দিয়েছে। ফলে দশ বছর ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গিয়েছেন ৯/১১-র মূল চক্রী।
আজ এক মার্কিন সম্পাদকীয়তে পাক প্রেসিডেন্ট জারদারি লিখেছেন, "এই অভিযানে পাকিস্তানের কোনও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না। কিন্তু এ কথা ভুললে চলবে না যে, বহু বছর ধরে আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বহু সেনা, গোয়েন্দা, পুলিশ ও সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। জঙ্গি হানায় নিহত হয়েছেন আমার স্ত্রী।"
জারদারির এই লেখায় অবশ্য বেজায় চটেছে পাকিস্তানি নাগরিক সমাজের একাংশ। আগ বাড়িয়ে মার্কিন দৈনিকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার এই চেষ্টার প্রবল নিন্দা করেছে পাকিস্তানের কট্টরপন্থী ধর্মীয় সংগঠনগুলিও। 'তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান' আজ ফের হুমকি দিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি-সহ শীর্ষ পাক নেতাদের উপর এ বার হামলা চালাবে তারা। পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ মহম্মদ সইদও হুমকি দিয়েছেন, "ওসামার এই আত্মবলিদান বিফলে যাবে না।"
পাকিস্তানের মাটিতে মার্কিন সেনার হাতে লাদেনের মৃত্যু নিয়ে আরব-সহ মুসলিম দুনিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল আমেরিকার। কিন্তু পাকিস্তানের শহরগুলি আজ দিন কাটিয়েছে অন্য আর পাঁচটি দিনের মতোই। সাধারণ মানুষ যে লাদেনের মৃত্যু নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নয়, তা বোঝা গিয়েছে স্পষ্ট ভাবেই। পাকিস্তানের কয়েকটি জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে ঠিকই, তবে তা মার্কিন হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। লাদেনের মৃত্যু নিয়ে নয়। তবে করাচির অন্যতম ব্যস্ত রাস্তায় আজ ওসামার 'অন্ত্যেষ্টি'র আয়োজন করেছিল জামাত-উদ-দাওয়ার জঙ্গিরা। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তানের সব দূতাবাসে সাধারণ মানুষের ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান যে এখনও পশ্চিম দুনিয়ার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সঙ্গী, সে কথা আমেরিকা বা ব্রিটেন, কেউই অস্বীকার করতে পারছে না। ইসলামাবাদে এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন পাকিস্তানের বিদেশসচিব সলমন বশির এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে বিশেষ মার্কিন দূত মার্ক গ্রসম্যান। মার্কিন দূত বলেন, "পাকিস্তানও সন্ত্রাসবাদের শিকার। পাকিস্তানের সাহায্য নিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যেতে চায় আমেরিকা।" জন ব্রেনানের কথায়, "সন্ত্রাসবাদের প্রকোপে পাকিস্তানের বহু সেনা ও গোয়েন্দার প্রাণ গিয়েছে। জঙ্গি মোকাবিলায় অন্য যে কোনও দেশের থেকে বেশি সফল পাকিস্তান।" আবার লণ্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত নেতাদের আমাদের পাশে চাই। না হলে, আফগানিস্তান-সহ বিভিন্ন জায়গা য়সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা সাফল্য পাব না।"
পাক-সাহায্য পাননি লাদেন, মানতে নারাজ আমেরিকা
নিজস্ব প্রতিবেদন
বিন লাদেন নিধনে সফল অভিযানে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই 'বন্ধু' পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দাগল আমেরিকা। ওয়াশিংটনের দাবি, গত ছ'বছর ধরে অ্যাবটাবাদের ওই গোপন ডেরায় লুকিয়ে ছিলেন ওসামা, অথচ পাক প্রশাসনের কোনও মহলই সে বিষয়ে কিছু জানত না, এ কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ওসামার সেই সব 'বন্ধুদের' কথা ভেবেই 'অপারেশন অ্যাবটাবাদ' সম্পর্কে আগাম কোনও তথ্য পাকিস্তানকে জানায়নি আমেরিকা।
আজ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (সন্ত্রাসবাদ দমন ও হোমল্যাণ্ড সিকিউরিটি বিভাগ) জন ব্রেনান হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "যেখানে এত দিন ধরে লুকিয়ে ছিলেন বিন লাদেন, সেই দেশ থেকে তিনি কোনও রকম সাহায্য পাচ্ছিলেন না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন।" একই বক্তব্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের। তিনি বলেন, "পাকিস্তানের ভেতর থেকেই কেউ ওসামাকে সাহায্য করছিল, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে তারা কারা, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।"
চলছে অভিযান। চিন্তামগ্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।— রয়টার্স
পাকিস্তানে কাদের সাহায্যে তা হলে এত দিন নিরাপদ ঘাঁটি গেড়েছিলেন পৃথিবীর 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ব্যক্তি? অভিযোগের আঙুল স্বাভাবিক ভাবেই পাক সেনাবাহিনী এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর দিকে। প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তানের 'সর্বশক্তিমান' সেনাপ্রধান আশফাক কিয়ানি কি জানতেন না যে, সেনা অ্যাকাডেমির ঢিল ছোড়া দূরত্বে কাঁটাতার দেওয়া আট ফুট পাঁচিল ঘেরা বাড়িতে রয়েছেন ওসামা? যে আইএসআই-এর ধুরন্ধর গোয়েন্দারা অতীতে বহু জঙ্গিকে আমেরিকার হাতে তুলে দিয়েছেন, কী ভাবে তাঁদের নজর এড়িয়ে ওসামা ইসলামাবাদের এত কাছে লুকিয়ে ছিলেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। ব্রেনানের কথায়, "এ তো দিনেদুপুরে, সর্বসমক্ষে লুকিয়ে থাকা।"
কিয়ানি বা আইএসআই-এর পক্ষ থেকে কেউ মুখ না খুললেও পাকিস্তানি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সে দেশের সরকার বা সেনাবাহিনী, কেউই এই অভিযানের কথা জানত না। আমেরিকাও বারবার বলছে, পাক গুপ্তচররা কিছু তথ্য দিয়েছিলেন ঠিকই। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আল কায়দার ওই ডেরা সম্পর্কে প্রাথমিক একটা ধারণাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেখানে
ঘুণাক্ষরেও পাকিস্তানকে জানানো হয়নি। অভিযান সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট জারদারিকে টেলিফোন করে পুরো ঘটনাটি জানান।
সিআইএ-র তরফেও আজ বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, পাক কর্তৃপক্ষকে জানালে খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। কোনও ভাবে ওসামা-ঘনিষ্ঠদের কানে কথা পৌঁছলে এত তোড়জোড় বিফলে যেত। তাই অভিযানটি সম্পূর্ণ ভাবে ইসলামাবাদের কাছ থেকে গোপন রাখা হয়। আজ উইকিলিক্সের ফাঁস করা নথি থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে যখন বিন লাদেন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, তখন একাধিক বার পাক সেনাবাহিনীর কোনও না কোনও সূত্র সম্ভাব্য মার্কিন হানার তথ্য ওসামার কানে পৌঁছে দিয়েছে। ফলে দশ বছর ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গিয়েছেন ৯/১১-র মূল চক্রী।
আজ এক মার্কিন সম্পাদকীয়তে পাক প্রেসিডেন্ট জারদারি লিখেছেন, "এই অভিযানে পাকিস্তানের কোনও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না। কিন্তু এ কথা ভুললে চলবে না যে, বহু বছর ধরে আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বহু সেনা, গোয়েন্দা, পুলিশ ও সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। জঙ্গি হানায় নিহত হয়েছেন আমার স্ত্রী।"
জারদারির এই লেখায় অবশ্য বেজায় চটেছে পাকিস্তানি নাগরিক সমাজের একাংশ। আগ বাড়িয়ে মার্কিন দৈনিকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার এই চেষ্টার প্রবল নিন্দা করেছে পাকিস্তানের কট্টরপন্থী ধর্মীয় সংগঠনগুলিও। 'তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান' আজ ফের হুমকি দিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি-সহ শীর্ষ পাক নেতাদের উপর এ বার হামলা চালাবে তারা। পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ মহম্মদ সইদও হুমকি দিয়েছেন, "ওসামার এই আত্মবলিদান বিফলে যাবে না।"
পাকিস্তানের মাটিতে মার্কিন সেনার হাতে লাদেনের মৃত্যু নিয়ে আরব-সহ মুসলিম দুনিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল আমেরিকার। কিন্তু পাকিস্তানের শহরগুলি আজ দিন কাটিয়েছে অন্য আর পাঁচটি দিনের মতোই। সাধারণ মানুষ যে লাদেনের মৃত্যু নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নয়, তা বোঝা গিয়েছে স্পষ্ট ভাবেই। পাকিস্তানের কয়েকটি জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে ঠিকই, তবে তা মার্কিন হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। লাদেনের মৃত্যু নিয়ে নয়। তবে করাচির অন্যতম ব্যস্ত রাস্তায় আজ ওসামার 'অন্ত্যেষ্টি'র আয়োজন করেছিল জামাত-উদ-দাওয়ার জঙ্গিরা। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তানের সব দূতাবাসে সাধারণ মানুষের ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান যে এখনও পশ্চিম দুনিয়ার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সঙ্গী, সে কথা আমেরিকা বা ব্রিটেন, কেউই অস্বীকার করতে পারছে না। ইসলামাবাদে এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন পাকিস্তানের বিদেশসচিব সলমন বশির এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে বিশেষ মার্কিন দূত মার্ক গ্রসম্যান। মার্কিন দূত বলেন, "পাকিস্তানও সন্ত্রাসবাদের শিকার। পাকিস্তানের সাহায্য নিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যেতে চায় আমেরিকা।" জন ব্রেনানের কথায়, "সন্ত্রাসবাদের প্রকোপে পাকিস্তানের বহু সেনা ও গোয়েন্দার প্রাণ গিয়েছে। জঙ্গি মোকাবিলায় অন্য যে কোনও দেশের থেকে বেশি সফল পাকিস্তান।" আবার লণ্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত নেতাদের আমাদের পাশে চাই। না হলে, আফগানিস্তান-সহ বিভিন্ন জায়গা য়সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা সাফল্য পাব না।"
http://anandabazar-unicode.appspot.com/proxy?p=4bdesh1.htm
ওসামা বিন লাদেন
এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃতি করা হয়নি। দয়া করে উপযুক্ত নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র থেকে উৎস প্রদান করে নিবন্ধটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। (সাহায্যের জন্য দেখুন: যাচাইযোগ্যতা) নিবন্ধের যেসব অংশে সঠিক তথ্যসূত্রের উল্লেখ নেই, সেগুলি যে কোন মুহূর্তে সরিয়ে ফেলা হতে পারে। (মার্চ ২০১০) |
ওসামা বিন মুহাম্মদ বিন আবাদ বিন লাদেন (আরবি ভাষায়: أسامة بن محمد بن عوض بن لادن) | |
---|---|
মার্চ ১০, ১৯৫৭- মে ২, ২০১১ | |
Osama bin Laden, Prosecution exhibit from the trial ofZacarias Moussaoui. | |
জন্ম স্থান | রিয়াদ, সৌদি আরব |
মৃত্যুর স্থান | এবোটাবাদ, পাকিস্তান |
আনুগত্য | আফগান মুজাহিদ Maktab al-Khadamat al-Qaeda |
কার্যকাল | ১৯৭৯ - ২০১১ |
পদমর্যাদা | কমান্ডার-ইন-চিফ |
যুদ্ধসমূহ | আফগান গৃহ যুদ্ধ সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ |
ওসামা বিন মুহাম্মদ বিন আবাদ বিন লাদেন(১৯৫৭-২০১১) (আরবি: أسامة بن محمد بن عوض بن لادن; জন্ম: মার্চ ১০,১৯৫৭, মৃত্যুঃ মে ২, ২০১১ [১][২][৩]) সৌদী আরবে জন্মগ্রহণকারী একজন ইসলামী জঙ্গী যাকে আল কায়েদা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সাধারনত তিনি ওসামা বিন লাদেন বা উসামা বিন লাদেন নামে পরিচিত। তিনি যশস্বী বিন লাদেন পরিবারেরএকজন সদস্য। অন্য কয়েকজন ইসলামী জঙ্গীর সাথে মিলে ওসামা বিন লাদেন দুইটি ফতোয়া জারি করেন; একবার ১৯৯৬ সালে, অন্যটি১৯৯৮ সালে। ফতোয়াটি ছিল, মুসলিমদের উচিত মার্কিন সামরিক ও বেসামরিক জনগণকে হত্য করা যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতি সব সহায়তা বন্ধ করে এবং সব মুসলিম দেশ থেকে সামরিক শক্তি অপসারণ করে।
[সম্পাদনা]মৃত্যু
২০১১ সালের মে ২ তারিখে দিবাগত রাতে পাকিস্তানের আ্যবোটাবাদ শহরে মার্কিন কমান্ডোদের হামলায় ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে মার্কিন কমান্ডোরা ২টি হেলিকপ্টারযোগে লাদেনের বাসভবনে হামলা চালায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমির মাত্র ১০০০ ফুট দূরে লাদেনের এই গোপন আস্তানাটি ২০০৫ সালে নির্মাণ করা হয়। এখানে লাদেন তাঁর কনিষ্ঠ স্ত্রী এবং পুত্র সহ বাস করতেন।
লাদেনের মরদেহ মার্কিন কমান্ডোরা হেলিকপ্টারযোগে প্রথমে আফগানিস্থানে এবং পরে মার্কিন রণতরীতে নিয়ে যায়। সনাক্তকরণ শেষে ইসলামী প্রথা অনুযায়ী লাদেনের মরদেহ আরব সাগরে দাফন করা হয়।
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
- ↑ Obituary: Osama Bin Laden। প্রকাশক: BBC News। 1 May 2011।
- ↑ Kate Zernike; Michael T. Kaufman (May 2, 2011)। "The Most Wanted Face of Terrorism"। The New York Times। সংগৃহীত হয়েছে: May 2, 2011।
- ↑ Osama bin Laden Killed; ID Confirmed by DNA Testing। প্রকাশক: ABC News। 1 May 2011।
No comments:
Post a Comment