বন্ধ ঠেকাতে গেলে আগুন জ্বলবে
বন্ধ ঠেকাতে গেলে আগুন জ্বলবে
নিয়ে দিল কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন, রাজ্যের ১৭টি বামপন্থী দল। রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে তাদের বার্তা, আগুনে হাত দিতে আসলে হাত পুড়বে। যুদ্ধ চাপালে যুদ্ধ হবে। ধর্মঘট রুখতে শনিবার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, প্রশাসনের কী রূপ সেটা এখনও দেখেনি বামেরা। এদিন পর্যন্ত সেই কথা উড়িয়ে ধর্মঘট সফল করতে রাস্তায় থাকার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন, ১৭টি বামপন্থী দল। তাদের কটাক্ষ, ধর্মঘট ডাকা হয়েছে কেন্দ্র সরকারের নীতির বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকার বনধের বিরোধিতা করলে বোঝা যাবে তারা কেন্দ্রের সঙ্গে সেটিং করেছে। এদিন সি পি এম রাজ্য দপ্তরে, শ্রমিক ভবনে আলাদা আলাদা সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সি পি এম রাজ্য দপ্তরে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানান, ২ সেপ্টেম্বরের ধর্মঘট সমর্থন করছে ১৭টি বামপন্থী দল। সর্বত্র রাস্তায় থাকবেন বাম কর্মীরা। ধর্মঘট সফল করতে যা করণীয় বাম দল, শ্রমিক সংগঠনগুলি তার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিন শ্রমিক ভবনে সিটু রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তীর দাবি, ধর্মঘট রুখতে রাজ্য সরকার, তৃণমূল কংগ্রেস, মুখ্যমন্ত্রী সোচ্চার। কিন্তু ধর্মঘট রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নয়। তার পরও ধর্মঘট ভাঙতে আসলে বোঝা যাবে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে তাদের সেটিং হয়ে গেছে। রাজ্যের মানুষ পিছু হটবেন না। শান্তিপূর্ণ না অশান্তিপূর্ণ তা নির্ভর করছে সরকারের ওপর। রাস্তায় আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবেন। শ্রমিকদের পাশে রয়েছেন কৃষক, ছাত্র, যুবরা। এদিন বিমান বসু বলেন, ২ সেপ্টেম্বর বাম নেতৃত্ব কর্মীদের রাস্তায় থাকতে হবে। ওই দিন মিছিল করার জন্য কলকাতা জেলা বামফ্রন্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অত্যাচার করে মানুষকে ঠান্ডা করার ইতিহাস নেই পৃথিবীতে। অত্যাচারীরা ইতিহাস তৈরি করতে পারেননি। দেশের অসংগঠিত শিল্প শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নেই। রাজ্য সরকার দক্ষিণপন্থী নীতির মাধ্যমে মানুষকে দমন করতে চাইছে। এর প্রতিবাদে সোচ্চার হতে রাস্তাকেই রাস্তা হিসেবে বেছে নিতে হবে। মানুষ অংশ নিয়ে ধর্মঘট সফল করবে। দমন করে সবাইকে ঘরে ঢুকিয়ে দিতে পারবে না রাজ্য। শ্রমিক ভবনে উপস্থিত ছিলেন সিটু রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী, সম্পাদক দীপক দাশগুপ্ত, দেবাঞ্জন চক্রবর্তী, এ আই টি ইউ সি নেতা রণজিৎ গুহ, আই এন টি ইউ সি নেতা রমেন পান্ডে–সহ কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের নেতা অশোক ঘোষ, দিলীপ ভট্টাচার্য, এইচ এম এসের দীনেশ গিরি প্রমুখ। দীপকবাবু বলেন, যত আক্রমণ আসুক, যে–কোনও ঘটনা ঘটুক সর্বাত্মক বন্ধ হবে। বনধের আওতা থেকে জল, দুধ, সংবাদমাধ্যম, স্বাস্থ্য পরিষেবা, দমকল, কবরস্থান, শ্মশান–সহ জরুরি পরিষেবা বাদ রাখা হয়েছে। শ্যামলবাবু বলেন, রাজ্য ধর্মঘট ভাঙতে আসলে বুঝতে হবে কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ সেটিং হয়ে গেছে যাতে সারদা–কাণ্ডের চোরেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের সব জনবিরোধী বিল পাস করিয়ে দাও। তবে আগুনে হাত দিলে হাত পুড়বে। যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে যুদ্ধ হবে। ১৭টি বাম দল, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি, কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া ধর্মঘট সমর্থন করায় তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দীপকবাবু বলেন, বি এম এস–কে আবেদন করব তারা যাতে ধর্মঘটে সামিল হয়। রমেন পান্ডের দাবি, দলমত নির্বিশেষে শ্রমজীবী মানুষ পাশে দাঁড়াবে। রণজিৎ গুহ জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘট পালন করব। ৪৮ ঘণ্টা পরেও হদিশ নেই বস্তা ভর্তি প্রশ্নের, টেট কেলেঙ্কারিতে 'দিদি'র ভাইপোকে দায়ী করলেন বিমান
ব্যুরো: টেটের প্রশ্ন ভর্তি বস্তা উধাওযের পর কেটে গিয়েছে আটচল্লিশ ঘন্টার ও বেশি সময়। এখনও বস্তার হদিশ নেই। এরই মধ্যে আগামিকাল নবান্নে ফের বৈঠকে বসছেন শিক্ষামন্ত্রী। সেক্ষেত্রে পরবর্তী পরীক্ষার ক্ষেত্রে ডাক বিভাগকে ফের দায়িত্ব দেওয়া হবে কিনা সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
টেটের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে দুই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি ও কল্যাণ ব্যানার্জির দিকে আঙুল তুললেন বিমান বসু। তাঁর অভিযোগ, প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে ডাক বিভাগের দুই কর্মীকে। ওই দুজন আইএনটিটিইউসির নেতা এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি ও কল্যাণ ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ। প্রশ্নফাঁসের গোটা ঘটনাই সাজানো বলে অভিযোগ করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান।
উধাও বস্তাভর্তি প্রশ্নপত্র। ঘটনার পরদিনই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল ডাক বিভাগ। তারও একদিন পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অভিযোগ দায়ের করে । কিন্তু অভিযোগ করাই সার। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এমনকি প্রশ্নের বস্তা কোন জায়গা থেকে উধাও হল তারও উত্তর নেই। কিন্তু কেন । একটা এত বড় পরীক্ষা যেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২২ লক্ষ সেখানে কেন এই ঢিলেমি।
প্রথমত- ঘটনার একদিন পরে অভিযোগ দায়ের করছে ডাক বিভাগ
দ্বিতীয়ত- মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যখন গুনে দেখল একটা বস্তা প্রশ্ন কম , তখন সেখানে উস্থিত ছিল পুলিস। কিন্তু পর্ষদ তখন কোনও অভিযোগ দায়ের করল না। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অর্থাত্ বস্তা হাপিস হওয়ার দুদিন পর থানায় অভিযোগ দায়ের করল।
তৃতীয়ত --বস্তার হদিশ তো দূরের কথা, কোন জায়গা থেকে বস্তা হারিয়েছিল তাও এখনও স্পষ্ট হয়নি।
আর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে কেন এই ঢিলেমি? এত বড় কান্ড যাতে রাজ্যের মুখ পুড়ল তাতে যে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল তার ছিটে ফোঁটাও কেন দেখা যাচ্ছেনা। কারিগরি শিক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের পর সিআইডি তদন্তে উঠে এসেছিল একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম । অনেকেরই অনুমান, এক্ষেত্রেও বিষয়টা তেমন কিছু নয় তো? সেজন্যই এই ঢিলেমি। কারণ সেদিন বাসে ছিলেন ছ-জন লোক। যার মধ্যে দু-জন পুলিশ কর্মী, দু জন ডাক বিভাগের লোক আর চালক এবং খালাসি। এতগুলো লোকের মাঝখান থেকে হঠাত্ অত বড় বাসের পিছনের কাঁচ ভেঙে আস্ত একটা বস্তা পড়ে গেল, তাও কি সম্ভব?
--
Pl see my blogs;
Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!
No comments:
Post a Comment