Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Wednesday, October 23, 2013

সব দুর্নীতি কিন্তু বেআইনি নয় শাস্তি শুধু লালুর বেলায় বাকিরা ধোয়া তুলসীপাতা রাজকার্য এখন ধর্ম কর্ম৷ নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস, বিজেপি, মমতা ব্যানার্জি এবং বামপন্থীরাও বৃহত্তর ব্রাহ্মণ্য ফ্রন্টের শরিক, বধ্যভূমি এই দেশে বধ্য অসুর মহিষাসুরদের বুঝতে হবে৷

সব দুর্নীতি কিন্তু বেআইনি নয়

শাস্তি শুধু লালুর বেলায়

বাকিরা ধোয়া তুলসীপাতা


রাজকার্য এখন ধর্ম কর্ম৷


নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস, বিজেপি, মমতা ব্যানার্জি এবং বামপন্থীরাও বৃহত্তর ব্রাহ্মণ্য ফ্রন্টের শরিক, বধ্যভূমি এই দেশে বধ্য অসুর মহিষাসুরদের বুঝতে হবে৷



পলাশ বিশ্বাস

নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস, বিজেপি, মমতা ব্যানার্জি এবং বামপন্থীরাও বৃহত্তর ব্রাহ্মণ্য ফ্রন্টের শরিক, বধ্যভূমি এই দেশে বধ্য অসুর মহিষাসুরদের বুঝতে হবে৷


রাজকার্য এখন ধর্ম কর্ম৷


নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস, বিজেপি, মমতা ব্যানার্জি এবং বামপন্থীরাও বৃহত্তর ব্রাহ্মণ্য ফ্রনটের শরিক, বধ্যভূমি এই দেশে বধ্য অসুর মহিষাসুরদের বুঝতে হবে৷

মমতার অখন্ড চন্ডীপাঠে কুপোকাত

পৈতে থেকে পিন্ডদান

মেনে নিল সিপিএম


সেই তবে সত্য বলিয়া প্রমাণিত হল

লাল এবে গেরুয়া হইয়া প্রকাশিত হইল

ভাগ করো দেখি শুদ্ধ অশুদ্ধ রক্ত এবার



ধর্মনিরপেক্ষতার দায় বড়ই বালাই৷


কমরেড, যদি 'মায়ের পায়ে জবা হয়ে' ফুটতে আপনার মন চায়, আপত্তি করবে না সিপিএম৷ মনসার থানে দুধকলা দিন অথবা পিরের দরগায় সিন্নি--আপনি আর অচ্ছুত নন৷ পৈতে ঝুলিয়ে গায়ত্রী মন্ত্র জপ অথবা গয়ায় পিণ্ডদান--কিছুতেই আপত্তি নেই মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির৷ শারদোত্‍সবে তৃণমূলের বোলবোলাও দেখে মার্ক্সবাদের কিঞ্চিত্‍ বঙ্গীকরণ হচ্ছে৷ কেউ আগেই বুঝেছেন, কেউ এখন বুঝছেন, দ্বন্দ্বমূলক বস্ত্তবাদ যতই 'অভ্রান্ত' হোক, মনসা-শীতলার দাপটও কম নয়৷ বিশেষ করে চাঁদ সদাগরের বাংলায়৷ ধর্ম 'আফিং'৷ কিন্ত্ত সেটা চেখেও দেখতে চান বহু কমরেড৷ শুধু চেখে দেখাই বা কেন, অনেক কমরেড বুঁদও হয়ে থাকেন৷ কিন্ত্ত মুখে বলতে বাধো বাধো লাগে৷ সিপিএম নেতারা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারও ব্যক্তিগত ধর্মাচরণে দল বাধা দেবে না৷ মানে, 'পেটে খিদে মুখে লাজ' দশা থেকে রেডকার্ডধারী সদস্যরা মুক্তি পাচ্ছেন৷ তিনি ধর্মে থাকতে পারেন, জিরাফেও৷


আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই সাম্প্রদায়িক হানাহানি রুখতে বিল পাশ করাতে চাইছে কেন্দ্র৷ আর স্বাভাবিক ভাবেই তার বিরোধিতায় নেমেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি৷ খাদ্য সুরক্ষা বিল ও জমি অধিগ্রহণ বিলে সাফল্য পাওয়ার পর এ বার তারা চেষ্টা করছে যদি লোকসভা ভোটের আগেই তা পাশ করিয়ে নেওয়া যায়৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দে ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী রহমান খান দু'জনেই চান এই বিলটি আসন্ন অধিবেশনেই পেশ করতে৷


তবে সে পথ মসৃণ নয়৷ প্রধান সমস্যা বিজেপি৷ তাদের সাফ কথা, সাম্প্রদায়িক হানাহানি বন্ধ হোক তা বিজেপিও চায়৷ কিন্ত্ত এই বিলে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা সংখ্যাগুরুদের বিপক্ষে যাবে৷ লোকসভা ভোটের আগে তড়িঘড়ি এই বিল আনা হচ্ছে বিশেষ একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করার জন্য৷ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রহমান খান বলেন, 'এই কথার কোনও মানেই হয় না৷ এই বিলটি অনেক দিন ধরেই আটকে আছে৷ মুজফফরপুর দাঙ্গার পর আমিই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলি বিলটি এই অধিবেশনেই আনা হোক৷ এর প্রত্যুত্তরে শিন্ডে জানান তাঁরা বিলটি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন৷'




প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে প্রথম বার এই বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হয়৷ কিন্ত সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারেনি৷ তা স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়৷ বিভিন্ন সংশোধনীর সুপারিশ করে স্ট্যান্ডিং কমিটি ২০০৬ সালে জমা দেয়৷ কিন্ত্ত এক বারের জন্যও রাজ্য সভায় এই বিল আনা যায়নি৷ ২০০৭-২০১০ সালের মধ্যে বিল পেশের জন্য ৪ বার নোটিস দেওয়া হয়৷ কিন্ত্ত কোনও বারই তা সম্ভব হয়নি৷ বারবার নানা ভাবে এই বিল আটকে যাওয়ায় সিভিল সোসাইটি থেকে নানা সুপারিশ করা হয়৷ অবশেষে ২০১০ সালে সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল বা জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ জানায়, ওই বিলে সংশোধনের প্রয়োজন আছে৷ সেই সংশধোনী-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে খসড়া বিল জমা পড়ে ২০১১ সালে৷ কিন্ত্ত তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি৷ কারণ আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আপত্তি জানায় বিলে উল্লিখিত কিছু বিষয় নিয়ে৷ যেমন সাম্প্রদায়িক অশান্তির সময় আমলাদের যে দায়বদ্ধতার কথা বলা হয়েছিল তা নিয়ে আপত্তি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ তাদের যুক্তি ছিল, এর ফলে তাঁদের উপর অযথা চাপ সৃষ্টি হবে৷ তাঁরা দৈনন্দিন কাজ ঠিক মতো করতে পারবেন না৷ রাজ্যগুলি আপত্তি জানায় প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সংগঠন নিয়ে৷ ন্যাকের সুপারিশ ছিল, 'ন্যাশনাল অথরিটি ফর কম্যিউনাল হারমোনি, জাস্টিস অ্যান্ড রিপারেশন' নামে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা সাম্প্রদায়িক বিষয় নিয়ে নজরদারি করবে, তার আওতায় থাকবে রাজ্যগুলিও৷ সংশোধনীর পর, রাজ্য স্তরেও এই ধরনের একটি সংগঠন তৈরির কথা বলা হয়৷ জানানো হয়, এই কেন্দ্রীয় সংস্থা থাকলেও তার কথা মানতে রাজ্য বাধ্য নয়৷ তারা স্বাধীন ভাবেই তদন্ত ও বিচার করতে পারবে৷ এই সংশোধিত বিলটিই শীতকালীন অধিবেশনে আনার চেষ্টা হচ্ছে৷ রহমান খান স্পষ্টই বলেন, 'আমি চাই এই বিল এ বারই পাশ হয়ে যাক৷ কিন্ত্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিগোষ্ঠী৷' তাঁর কথায়, 'মুজফফরপুরের ঘটনাতেই দেখা গেছে যে বর্তমানে যে আইন আছে তা এই ধরনের হানাহানির ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়৷ প্রতি মুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে৷ আক্রান্তরা যাতে সুবিচার পান সে জন্যই এই বিল আনা হচ্ছে৷'

  1. List of scandals in India - Wikipedia, the free encyclopedia

  2. en.wikipedia.org/wiki/List_of_scandals_in_India

  3. The following is a list of alleged scams and scandals in India since independence. These include political, financial, corporate and others. Entries are arranged ...

  4. Ice cream parlour sex scandal - ‎Indian coal allocation scam - ‎2G spectrum scam

  5. You visited this page on 1/10/13.

  6. Summary of all scams in India since 1947 - Mudraa.com

  7. www.mudraa.com/.../0/summary-of-all-scams-in-india-since-1947.html

  8. Jul 15, 2011 - Summary of all scams in India since 1947 Here is a summary of all scams since independence. These may not be the only ones. These are the ...

  9. Summary of all scams in India since 1947 - India Hindustan org forums

  10. hindustan.org › ... › Notorious Politicians Scams & Thuggery Schemes

  11. Jul 20, 2011 - 1 post - ‎1 author

  12. Summary of all scams in India since 1947 Notorious Politicians Scams & Thuggery Schemes.

  13. Congress scams in India since Independence - Ekaki Zunj

  14. www.ekakizunj.com/Congress_scams_in_India_since_Independence

  15. Sep 7, 2013 - Congress party is always in news for the mega million dollar scams it pulled off in India. What began as a swindling to the nature of crores in the ...



লালু যাদব চোর হ্যায়৷টাটা, বিড়লা,আম্বানিরা ধোয়া তুলসীপাতা,তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে ইকোনোমির মহা বিপদ,উন্নয়ন থমকে যায়৷ পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ভারতের বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীলালু প্রসাদ যাদবকে পাঁচ বছরের জেল এবং ২৫ লাখ ভারতীয় রুপি জরিমানা করেছে দেশটির একটি বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার বিহারের রাঁচিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিবিআই) এ বিশেষ আদালতে এই রায় ঘোষণা করা হয়।


ভারতের সাবেক রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের লোকসভা সদস্য পদ বাতিল করে নোটিশ দিয়েছেন স্পিকার মীরা কুমার। একইসঙ্গে জনতা দলের (ইউনাইটেড)  লোকসভা সদস্য জগদীশ শর্মাও লোকসভার সদস্য পদ হারান।


১৭ বছর আগের ৩৭ কোটি টাকা আত্মসারে অভিযোগে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় লালু প্রসাদকে।  একই অপরাধে জগদীশ শর্মাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।


কারাদণ্ড দেয়ার পর থেকে রাঁচির বীরসা মুন্ডা কারাগারে আছেন লালু প্রসাদ।


ভারতের আইন অনুসারে লোকসভার কোনো সদস্যের দুই বছরের বেশি কারাদণ্ড হলে ওই ব্যক্তি তার সদস্য পদ হারাবেন । এছাড়া আগামী পাঁচ বছরও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন না। তাই পাঁচ বছরের সাজা হওয়ার সদস্য পদ হারালেন লালু প্রসাদ যাদব।


নিজের হয়ে প্রথম ব্যাট ধরে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেন আদিত্য বিড়লা গ্রুপের কর্ণধার কুমার মঙ্গলম বিড়লা৷ কয়লা ব্লক দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়ানোর পর আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও রাজস্ব সচিবের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি৷ তাঁর দাবি, তিনি কোনও ভুল করেননি৷ পক্ষ প্রতিপক্ষ সব পক্ষ বিড়লার পক্ষে।


সব দুর্নীতি কিন্তু বেআইনি নয়, লিখেছেন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ বিবেক দেবরায়

ইতিমধ্যে কয়লা দুর্নীতি নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই৷ কয়লা ব্লক বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা ও প্রাক্তন কয়লা সচিব পি সি পারেখের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই৷ অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দিকেও৷ তার মধ্যেই সিবিআইয়ের এই রিপোর্ট পেশ৷


দুর্নীতির নির্দিষ্ট অভিযোগ সত্বেও প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘু সরকারের প্রধাণ হয়ে করপোরেট রাজ চালাচ্ছেন৷ জনগণের টাকা নয় ছয় করে ভোটব্যান্ক রাজনীতর মোত্সব চলছে৷


সবচেয়ে বড় দুর্নীতি কয়লা কেলেন্কারি বা যাবতীয় প্রতিরক্ষা কেলেন্কারির চাইতেও বড় দুর্নীতি আধার করপোরেট যোজনা৷ অসংবৈধানিক বেআইনি ন্যাটোর এই গণবিধ্বংসী পরিকল্পণা রুপায়ণে লাখো কোটি টাকার খরচ হল সংসদীয় অনুমোদন ছাড়া৷ আইটি কোম্পানিগুলোর লাভের জন্য নাগরিক সম্প্রভুত্ব, গোপনীয়তার অধিকার ও নাগরিকত্বকে জলান্জলি দেওয়া হচ্ছে৷


2 জি স্পেক্টারাম, কয়লা কেলেন্কারি, ব্যান্কে কালো টাকার কারবার, কপ্টার স্ক্যাম সহ সমস্ত মামলার পিছনে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির দীর্ঘ ছায়া।


আর্থিক সংস্কারের নামে গণসংহার অশ্বমেধ যজ্ঞ চলছে ধর্মীয় জাতিসত্বার আঙবান করে৷  বামপন্থীরা এই বঙ্গে পয়ত্রিশ বছর টানা ব্রাঙ্মণ্য ফ্রনটের হয়ে একচেটিয়া জাতি আধিপাত্যের রাজনীতিতে ক্ষমতায় ছিলেন৷ পরিবর্তনের পর তফসিলি ও মুসলিম ভোটব্যান্ক দিদির দখলে৷  দুর্গা পুজোর রাজকীয় আয়োজনে অখন্ড চন্ডীপাঠ ও মা কালির দরবারে দুর্গার নালিশ ঠুকে, একের পর এক 273 টি পুজো আয়োজনের উদ্বোধন করে দিদির রাজসূয় যজ্ঞ বর্ণহিন্দু ভোটব্যান্কে থেকেও সিপিএম দখলদারি উত্খাত করে ফেলেছে৷ রাতারাতি ব্রাহ্মণ্য ধর্ম কর্মকে কমরেডদের অধিকার হিসাবে স্বীকার করে নিল বসিপিএম৷


বাংলায় একটিই বর্ণ বাকী যা সব জাতিব্বস্থার আয়ত্বে৷

লর্ড ক্লাইভের পৌরহিত্যে শোভাবাজার রাজবাড়ি থেকে জমিদার রাজবাড়ির পুজোর শুরু৷ তখন কিন্তু সারা দেশে শূদ্রদের রাজত্ব৷

আদিবাসী শূদ্র বিদ্রোহ ইংরেজ রাজের সবচেয়ে বড় শত্রু৷

তাই দুর্গা পুজো মার্ফত অসুর আদিবাসী অস্পৃশ্য ও মহিষাসুর শূদ্র বধের মিথকীয় আয়োজন৷ যা জনগণের ধর্মীয় আস্থায় ছিল না কোনো দিনই৷ জলসাঘরের পতনে সামন্ত জমিদারি সংরক্ষণে বাংলায় স্বদেশি আন্দোলনের আমদানিতে সেই পুজো বারোয়ারি হল৷


এবং বাংলার মা মাটি মানুষের সরকার ধর্মীয় রাজকার্য সমাপনে বেনজির ভাবে দুর্গোতসবকে বারোয়ারি থেকে রাজকীয় রাজসূয় যজ্ঞে পরিণত করল৷


রাতারাতি সিপিএম মতাদর্,মার্ক্স লেনিনকে জলান্জলি দিয়ে ধর্ম কর্মের ব্রাহ্মণ্য ধর্ম আলিঙন করল৷


সাম্রাজ্যবাদের জিগির তুলে মুসলিম ভোট ব্যান্ক টানা পয়ত্রিশ বছর দখলে কাখার পর কমরেডরা আধার ন্যাটো পরিকল্পণা নিয়ে উচ্চবাচ্য করছেন না৷


সাম্রাজ্যবাদের জিগির তুলে মুসলিম ভোট ব্যান্ক টানা পয়ত্রিশ বছর দখলে কাখার পর কমরেডরা ন্যাটোর ড্রোণ কলকাতার আকাশে ওড়ারও বিরোধিতা করেননি৷ আন্তরিক সুরক্ষার অজুহাতে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাথে ড্রোণের সারা বাংলা পর্যটণেও কমরেডদের আপত্তি নেই৷


জলপ্লাবিত বাংলা নিয়ে কমরেডদের মাথাব্যথা নেই৷


জনগণের সমস্যা নিয়ে মাথাব্যথা নেই৷


রাইটার্স হুগলীপার স্থানান্তরণের সরকারি কর্মকান্ডের কোনো পর্যায়ে কমরেডরা বিরোধিতা করেন নি৷অথচ দিদি রাইটার্সে বসতে না বসতে নবান্ন ঘেরাও কর্মসুচি৷


অসুর মহিষাসুর নিধনে বামপন্থী কমরেডদের অতিশয় দক্ষতা মরিচঝাঁপিতে প্রকাশিত হয়েছে৷


ধর্মনিরপেক্ষ শিবিরের মুখ, গো বলয়ে সামাজিক ন্যায়ের শূদ্র মুখ লালু প্রসাদ যাদবকে মহিষাসুর করারও বিরোধিতা করেননি,তৃতীয় মোর্চার দাবিদার কমরেডরা৷পশু খাদ্য কেনলেন্কারিতে লালুর ব্যাক্তিগত দুর্নীতি এখনো অপ্রমাণিত৷ এই কেলেন্কারির উত্স কিন্তু পূর্ববর্তী কংগ্রেস জমানায় এবং উত্তর সুরি মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের বিরুদ্ধে এক হাজার কোটির দুর্নীতির অভিযোগ৷


সন 1947 থেকে সেই নেহরু আমলের জিপ কেলেন্কারি, ইন্দিরা জমানার প্রতিভা প্রতিষ্ঠান কেলেন্কারি এবং সাম্প্রতির রবার্ট ভদ্রের জমি কেনেন্কারি পর্যন্ত দুর্নীতির সাজা হল একমাত্র লালু যাদবের৷


ভালোই হল দেশ দুর্নীতি মুক্ত হল৷


আসান্জের লিক করা দস্তাবেজ কিন্তু যাদের দিকে ইঙ্গিত করে, স্বিস ব্যান্কে প্রতিরক্ষা কেলেন্কারির টাকা যাদের নামে তাঁদের বিরুদ্ধে কবে ক্রাযকর হবে দুর্নীতি দমন নীতি,প্রতীক্ষায় রইলাম৷


লালুকে দুধে পড়া মাছির মতো কমরেডরা পরিত্যাগ করেছেন৷মহিষাসুর লালু যাদব বধে বামপন্থী কমরেডদের মাথাব্যথা হওয়ার কথাও নয়৷


ভালো কথা, দেশ দুর্নীতি মুক্ত হবে এ ভাবেই৷


কিন্তু যারা পরমাণু বোমা থেকে কয়লা তেল সবকিছু হজম করেছেন, তাঁদের বেলায় কি হয়, সেটা অবশ্যই নজরে রাখতে হবে৷


মুখ্যমন্ত্রিত্বের  দায়ে যদি লালুর শাস্তি হয়,তাহলে কয়লা কেলেন্কারির নির্দিষ্ট অভিযোগে প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়ে মনমোহন সিংহের সাজার দাবি কেন তুলছেন না বামপন্থীরা,সেটা নিয়ে একটূ ভাবুন৷


ভিভিআইপি কপ্টার দুর্নীতিতে বঙ্গ সন্তান কুলীণ ব্রাহ্মণ প্রণব মুখার্জি ভারত সরকারের স্টেটাস পেপারে সরাসরি অভিযুক্ত৷


স্পেক্ট্রাম কেলেন্কারিতে জড়িত চিদমবরম৷


তারপর যারা প্রতিদিন দেশে বিদেশে যা কিছু আছে ভারতের,সবকিছু নিযম করে বিক্রী করছেন, তা নিয়ে উচ্চ বাচ্য কারও নেই৷


ইনফ্রাস্ট্রাক্চার উন্নয়নের নামে, সামাজিক যোজনার নামে দিকে দিকে সর্বব্যাপি দুর্নীতির যে রমরমা, বেদখলি অভিযান দিকে দিকে,সংবিধান ও আইনের হত্যা, সে ব্যাপারে রাজনীতি ও সুশীল সমাজ ড্রোনের মতোই নির্বাক৷


অতি সত্যই বলেছেন বিবেক বাবু৷

সব দুর্নীতি দুর্নীতি নয়৷


রাজকার্য এখন ধর্ম কর্ম৷


নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস, বিজেপি, মমতা ব্যানার্জি এবং বামপন্থীরাও বৃহত্তর ব্রাহ্মণ্য ফ্রনটের শরিক, বধ্যভূমি এই দেশে বধ্য অসুর মহিষাসুরদের বুঝতে হবে৷



২০১৪-র লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপি যখন 'হিন্দুত্বের' পুরোনো কৌশলে ফিরতে চাইছে, তখনই বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে এক সাধুকে 'ব্যঙ্গ' করার জন্য ক্ষমা চাইতে হল নরেন্দ্র মোদীকে৷ সাধু শোভন সরকারের স্বপ্নের উপর ভিত্তি করে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলায় ১,০০০ টন সোনার খোঁজে যে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছে, তাকে সম্প্রতি কটাক্ষ করেছিলেন মোদী৷ কিন্ত্ত সাধুবাবার পাল্টা চিঠি পেয়ে রাতারাতি সুর বদল করলেন তিনি৷




মোদীকে উদ্দেশে পাঠানো চিঠিতে শোভন সরকার লিখেছেন, 'অত্যন্ত বিনীত ভাবে আপনাকে এটাই জানাতে চাই যে, কেন্দ্রীয় সরকার ও সনিয়া গান্ধীর সমালোচনা করতে গিয়ে আপনি একজন সাধুকে অপমান করেছেন৷ আপনি যদি প্রধানমন্ত্রী হতেন এবং জানতে পারতেন যে, এক জায়গায় সোনা পোঁতা রয়েছে, তাহলে খননকাজ শুরু করার নির্দেশ দিতেন, না ওই তথ্যকে নিয়ে মজা করতেন? আপনার মতো একজন প্রভাবশালী নেতাকে আমার অনুরোধ, এ ব্যাপারে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলে সময় নষ্ট করবেন না৷' এরপরই তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন মোদী৷ রবিবার টুইটারে তিনি লেখেন, 'দ্রষ্টা সাধু শোভন সরকারের উপর লক্ষ লক্ষ ভক্তের বিশ্বাস রয়েছে৷ তাঁকে আমি গভীর ভাবে শ্রদ্ধা করি৷ আমি শুধু বিদেশি ব্যাঙ্কে জমানো কালো টাকা সম্পর্কে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি৷' সম্প্রতি একটি জনসভায় মোদী বলেছিলেন, 'কেউ একজন স্বপ্ন দেখেছে, আর তার জেরে সরকার তড়িঘড়ি খোঁড়াখুঁড়ি আরম্ভ করেছে৷ এই উদ্ভট কাণ্ডের জন্য সারা বিশ্ব আমাদের দেখে হাসছে৷ বিদেশি ব্যাঙ্কে চোর আর লুঠেরারা যে পরিমাণ টাকা লুকিয়েছে তার মূল্য হাজার টন সোনার থেকে বেশি৷ সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনলে এত খোঁড়াখুঁড়ির দরকার পড়বে না৷' তবে নির্বাচনকে মাথায় রেখে এ দিন ওই অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে আসতে বাধ্য হলেন মোদী৷




উন্নাওয়ের খননকার্যের উপর এখনই কোনও রকম নজরদারি চালাতে এ দিন অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট৷ কোনও সোনা বা মূল্যবান বস্ত্ত উদ্ধার হলে তা যাতে অসাধু ব্যক্তিদের হাতে না চলে যায় বা হারিয়ে যায়, সে জন্য শীর্ষ আদালতের নজরদারি চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করেছিলেন আইনজীবী এম এল শর্মা৷ কিন্ত্ত সোমবার প্রধান বিচারপতি পি সথাশিবম ও বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের একটি বেঞ্চ বলে, 'কোনও ব্যাপার নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালেই আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না৷ শধুমাত্র অনুমানের উপর নির্ভর করেও কোনও নির্দেশ জারি করা যায় না৷' তবে সংশ্লিষ্ট পিআইএলটি এখনও পুরোপুরি খারিজ করেনি শীর্ষ আদালত৷




এএসআই-এর ডিরেক্টর শ্যামল জামাল হাসান অবশ্য বলেছেন, 'পুরাতত্ত্ব একটি বিজ্ঞান৷ কারও স্বপ্নের উপর ভিত্তি করে আমরা কাজ করি না৷ গঙ্গানদীর উপকূলবর্তী কিছু জায়গার সংরক্ষণের জন্য রুটিনমাফিক কাজ চলছে৷ এর সঙ্গে সোনা খোঁজার কোনও সম্পর্ক নেই৷ ডৌড়িয়া খেড়ার দুর্গ এলাকায় ৫ ফুট গভীর পর্যন্ত খঁুড়ে এখনও পর্যন্ত কয়েকটি মাটির পাত্র, উনুন এবং নতুন একটি মেঝের সন্ধান মিলেছে৷'



বিড়লার বিরুদ্ধে এফআইএর নিয়ে রাজনৈতিক মহলে অনেক জলঘোলা হলেও সিবিআই কিন্ত্ত তাদের অবস্থানে অনড় থেকেছে৷ সূত্রের খবর , মঙ্গলবারের এই রিপোর্টে গুরুত্ব পেয়েছে তিনটি বিষয় -- মামলার গতিপ্রকৃতি, কয়লা ও ইস্পাতমন্ত্রকের হারিয়ে যাওয়া ফাইল সংক্রান্ত তথ্য এবং বিড়লা ও পারেখের বিরুদ্ধে এফআইআর সংক্রান্ত বিষয়টি৷


১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হওয়া কয়লা ব্লক বণ্টনে অস্বচ্ছতার অভিযোগে দায়ের হয়েছিল তিনটি জনস্বার্থ মামলা৷ এর ভিত্তিতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত৷ দুর্নীতিতে নাম জড়ায় একাধিক নামজাদা সংস্থার৷ ১৪টি সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিড়লার বিষয়টি৷ অভিযোগ , ২০০৫ সালে ওডিশার তালাবিরায় যে দু’টি ব্লক আদিত্য বিড়লার সংস্থা হিন্ডালকোকে দেওয়া হয়েছিল , তা নিয়ম মেনে হয়নি৷ হিন্ডালকোকে অন্যায়ভাবে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে৷ তত্কালীন কয়লা সচিব পারেখের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর৷


সিবিআইয়ের দাবি , বিড়লা ও পারেখের ষড়যন্ত্রের ফলেই এই বণ্টন সম্ভব হয়েছে৷ বিড়লা ও পারেখের অবশ্য বক্তব্য , তাঁরা নির্দোষ৷ সেই সময় কয়লা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন মনমোহন৷ পারেখের বক্তব্য ছিল , তাঁরা যদি দোষী হন , তবে এই মামলায় প্রথম অভিযুক্ত হিসেবে মনমোহনের নাম থাকা উচিত৷ যদিও সিবিআইয়ের এফআইআরে কোথাও মনমোহনের নাম উল্লেখ হয়নি৷মনমোহনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দন্তর প্রথমে মুখ না খুললেও সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের আগে এক বিবৃতিতে তারা জানায় , কয়লা ব্লক বণ্টনে কোনও অস্বচ্ছতা নেই৷ নিয়ম মেনেই কয়লা ব্লক দেওয়া হয়েছে হিন্ডালকোকে৷


বিড়লার মতো নামজাদা শিল্পপতির বিরুদ্ধে এফআইআর দেশের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে , এই অভিযোগে কেন্দ্রের সমালোচনার মুখে পড়ে সিবিআই৷ রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল , চাপের মুখে পড়ে এফআইআর তুলে নিতে পারে তারা , কিন্ত্ত মঙ্গলবারের রিপোর্টে বিড়লা ও পারেখের এফআইআর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেশ করেছে সিবিআই৷ শুধু তাই নয় , সূত্রের খবর , প্রধানমন্ত্রীর দন্তরের থেকে হিন্ডালকো সম্পর্কিত সমস্ত ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ সিবিআইয়ের পেশ করা রিপোর্ট নিয়ে শীর্ষ আদালতে আলোচনা হবে ২৯ অক্টোবর৷


পারেখের মনমোহন সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে এ দিন সমালোচনার সুর শোনা যায় কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়ালের গলায়৷ পারেখকে ‘শেখ চিলি ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি , যার অর্থ দিবাস্বপ্নে মগ্ন৷ জয়সওয়ালের কথায় , ‘যারা দিবাস্বপ্নে বিভোর থাকেন , আমি তাঁদের কথায় কোনও মন্তব্য করতে চাই না৷ প্রধানমন্ত্রীর দন্তরের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে , আমি তার সঙ্গে একমত৷


’বিড়লা ও পারেখের বিরুদ্ধে এফআইআর নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নজরদারি চালাচ্ছে বলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কয়লামন্ত্রী৷ তবে বিড়লার মতো সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর যে দেশের বিনিয়োগে প্রভাব ফেলতে পারে , তা মেনে নিয়েই জয়সওয়ালের মন্তব্য , ‘কয়লামন্ত্রকের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী , এমন কোনও বিবৃতি পেশ করা উচিত নয় , যা দেশের বিনিয়োগে প্রভাব ফেলতে পারে৷ তবে তদন্তে সমস্ত রকম সাহায্যই করবে কয়লামন্ত্রক৷ মামলা সংক্রান্ত সমস্ত ফাইল ও তথ্য সিবিআইকে দেওয়া হবে৷


কয়লার ব্লক বণ্টন কেলেঙ্কারি নিয়ে এবার আসরে নামলেন যোজনা কমিশনের চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া৷ আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা, হিন্ডালকো এবং প্রাক্তন কয়লা সচিব পি সি পারেখের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কয়লার ব্লক লেনদেনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগের তির তত্‍কালীন কয়লামন্ত্রী তথা ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও তার দপ্তরের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন কয়লা সচিব পারেখ৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দপ্তরের পক্ষে সওয়াল করেন যোজনা কমিশনের চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া৷ তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্বার্থ ক্ষুন্ন করে তাদের প্রাপ্য ব্লক হিন্ডালকোকে বিলি করেনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর৷ সেই অর্থে হিন্ডালকোকে কয়লার ব্লক বণ্টন করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর কোনও ভুল করেনি৷' তিনি আরও বলেন, 'কয়লার ব্লক বণ্টনের ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর এমনটা ভাবার কোনও কারণ থাকতে পারে না৷ তবে, তথ্য নকল করে কয়লার ব্লক বণ্টন করা হলে বিষয়টি সিবিআই খতিয়ে দেখবে৷ কয়লার ব্লক বণ্টন নিয়ে সিবিআই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বলে ভুল সংকেত পাঠানো হচ্ছে৷ বিষয়টি নিয়ে আদৌ কোনও ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছিন কী না তা আমাদের জানা নেই৷'




কুমার মঙ্গলম বিড়লা ও হিন্ডালকোর বিরুদ্ধে কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রকৃত তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই সিবিআই অভিযোগ দায়ের করতে পারে বলে জানিয়েছেন আলুওয়ালিয়া৷ 'কিন্ত্ত, যোগসাজশের প্রকৃত তথ্য হাতে না পাওয়া পর্যন্ত সংস্থাটির ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখা উচিত্‍,' জানিয়েছেন তিনি৷ আলুওয়ালিয়া বলেন, 'বড় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর সময় বহু ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃতভাবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে৷ কিন্ত্ত, তা না ঘটার এবং মেরামতির জন্য প্রয়োজনীয় সাবধানতা নেওয়া আবশ্যিক৷ তদন্তের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে এফআইআর করা হয়েছে৷ সিবিআই একটি স্বশাসিত সংস্থা৷ তদন্ত চলাকালীন হিন্ডালকো বা, বিড়লার সম্মান যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে দিকে তদন্তকারী সংস্থাটির লক্ষ্য রাখা দরকার৷' প্রধানমন্ত্রীর স্বপক্ষে আলুওয়ালিয়া বলেন, 'কয়লার ব্লক বণ্টনের ক্ষেত্রে তথ্যে কারচুপি করা হয়েছে কী না সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনও ধারনা নেই৷ হাতে পাওয়া কাগজপত্রের উপর নির্ভর করেই তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন৷ কাজেই এ ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রের কোনও প্রশ্নই নেই৷'




এর আগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরও তার পক্ষে সওয়াল করে৷ 'কয়লার ব্লক বণ্টন নিয়ে নেওয়া যাবতীয় সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্তষ্ট,' বলেই তার দপ্তরের তরফে জানানো হয়৷ পাঁচ পাতার ওই ব্যাখ্যায় হিন্ডালকোকে কয়লার ব্লক বণ্টনের দায় ওড়িশা সরকার ও কয়লা মন্ত্রকের আধিকারিকদের উপর চাপিয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর৷ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এবং কয়লা মন্ত্রকের আধিকারিকদের সুপারিশেই প্রধানমন্ত্রী হিন্ডালকোকে ওই ব্লক বণ্টনের অনুমতি দেন বলে ব্যাখ্যায় জানিয়েছে পিএমও৷ শুধু তাই নয় ২০০৫ সালের অগস্টে তালাবিড়া ২ ব্লকটি হিন্ডালকোকে দেওয়ার সুপারিশ করার আগে ২০০২ সালের ২২ জুন উত্‍কল বি-১ খনিটি জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডকে (জেএসপিএল) দেওয়ার জন্য তত্‍কালীন কয়লামন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে সুপারিশ করেন পট্টনায়ক৷ ওই ব্লকটি তালচের মাইনিং নামক একটি সংস্থাকে আগেই বণ্টন করা হয়ে গেছিল৷ কিন্ত্ত, সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে জেএসপিএলকে তা বণ্টন করার সুপারিশ করা হয়৷ সেই সুপারিশ মেনে জেএসপিএলকে ওই ব্লকটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কয়লামন্ত্রক৷



সব দুর্নীতি কিন্তু বেআইনি নয়

বলা হয়, উন্নতিশীল দেশগুলিতে দুর্নীতির প্রকোপ বেশি। কথাটা ভুল নয়, তবে অসম্পূর্ণ।

উন্নত দেশগুলিতে আইনসম্মত দুর্নীতি বেশি, উন্নয়নশীল দুনিয়ায় বেআইনি দুর্নীতি প্রবল।

বিবেক দেবরায়

দুর‌্নীতি ইদানীং নিয়মিত সংবাদের শিরোনামে। আজ এই লেখায় দুর্নীতির কথা বলব। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সংস্থা ১৯৯৫ সাল থেকে দুর্নীতির একটা আন্তর্জাতিক হিসেব কষে আসছে। নানা সমীক্ষার ভিত্তিতে তারা দেখে, কোন দেশকে কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মনে করা হয়। প্রতি বছর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়, দুর্নীতির ক্রমানুসারে বিভিন্ন দেশকে চিহ্নিত করা হয়। ২০১২'র রিপোর্ট অনুসারে, দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে প্রথম তিনটি স্থানে আছে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। উল্টো দিকে, সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত তিনটি দেশ: আফগানিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও সোমালিয়া। ভারত? ১৭৪টি দেশের মধ্যে ৯৪। শ্লাঘার ব্যাপার নয়।

রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন আছে। তার পূর্বকথায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব লিখেছিলেন, "দুর্নীতি এক গভীর ব্যাধি। সমাজকে তা ভিতর থেকে কুরে কুরে খায়। দুর্নীতি গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে দুর্বল করে, মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটায়, বাজারকে বিকৃত করে, জীবনের মান নষ্ট করে, নানা রকম অপরাধ, সন্ত্রাস এবং নিরাপত্তার অন্য নানা শত্রুর শক্তিবৃদ্ধি ঘটায়। এই দুরাচার ছোট বা বড়, ধনী এবং দরিদ্র, সব দেশেই দেখা যায়, কিন্তু উন্নতিশীল দেশেই দুর্নীতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ সম্পদ দুর্নীতির কারণে বিপথে চালিত হয়, তার ফলে দরিদ্র মানুষের বিপুল ক্ষতি হয়। সরকারের অত্যাবশ্যক পরিষেবা সরবরাহের সামর্থ্য দুর্নীতির প্রকোপে ব্যাহত হয়, অসাম্য এবং অন্যায় উৎসাহিত হয়, নিরুৎসাহ হয় বিদেশি অনুদান ও বিনিয়োগ।"

*

দুর্নীতির দায়। লালুপ্রসাদ। রাঁচি, সেপ্টেম্বর ২০১৩। ছবি: এ এফ পি।

বাস্তবিকই, উন্নয়নকে যে ভাবেই মাপা হোক, যে দেশগুলি তুলনায় উন্নত, তাদের বেশির ভাগই তুলনায় দুর্নীতিমুক্তও বটে। ব্যতিক্রম আছে, কিন্তু তা ব্যতিক্রমই। দুর্নীতি এবং উন্নয়নের মধ্যে একটা পরিষ্কার সম্পর্ক আছে।

প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই সম্পর্কের কার্যকারণ সূত্রটি কোন দিকে কাজ করে? দুর্নীতির মাত্রা কম বলে উন্নয়ন উৎসাহিত হয়, না কি উন্নত দেশে দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতনতা বেশি বলে তার নিবারণ এবং প্রতিরোধও অনেক বেশি কার্যকর? প্রশ্নটা সংগত, তবে আপাতত আমরা সেই আলোচনায় যাব না। আমরা বরং দেখব, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কী ধরনের উদ্যোগ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের কনভেনশনটিতে দুর্নীতি দমনের জন্য নানা আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অঙ্গীকার করা হয়েছে। ২০০৫ সালে এই কনভেনশন কার্যকর হয়। এ পর্যন্ত ১৪০টি দেশে এতে সই করেছে। ভারত সই করেছে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে, যদিও দেশের আইনসভায় তা অনুমোদিত হয়েছে অনেক পরে, ২০১১'র মে মাসে।

দুর্নীতি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু আইনে এই অপরাধের কোনও পাইকারি সংজ্ঞা নেই। এই প্রসঙ্গে দ্বিতীয় প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের চার নম্বর রিপোর্টটির কথা উল্লেখ করা যায়। এই রিপোর্টটির শিরোনাম 'এথিকস ইন গভর্নান্স' বা শাসনের নৈতিকতা। ভারতে দুর্নীতি দমনের আইনি উদ্যোগগুলির কী ভাবে বিবর্তন ঘটেছে, এই রিপোর্টে তার একটা চমৎকার বিবরণী আছে। একেবারে শুরুতে ছিল ১৮৬০ সালে প্রণীত ভারতীয় দণ্ডবিধি (ইন্ডিয়ান পিনাল কোড বা আই পি সি)। এই বিধানের কয়েকটি ধারায় সরকারি কর্মীদের দুর্নীতির বিচার হত। ১৯৪৭ সালে পাওয়া গেল দুর্নীতি নিবারণ আইন (প্রিভেনশন অব কোরাপশন অ্যাক্ট বা পি সি এ)। আই পি সি'র অন্তর্ভুক্ত দুর্নীতিমূলক অপরাধগুলি ছাড়াও এখানে এক নতুন ধরনের অন্যায় যোগ করা হল: সরকারি কর্তব্য নির্বাহের ক্ষেত্রে অন্যায় আচরণ। পরবর্তী কালে দুর্নীতির সংজ্ঞা প্রসারিত করার জন্য আরও নানা আইন ও সংশোধনী আনা হল। বফর্স নিয়ে শোরগোলের পরে ১৯৮৮ সালে পি সি এ'র সংশোধন করে এই সমস্ত আইন ও ধারাকে তার আওতায় নিয়ে এসে একটা সংহত রূপ দেওয়া হল। মনে রাখা ভাল, বেনামি লেনদেন নিবারণ আইন (১৯৮৮) এবং কালো টাকা সাদা করা সংক্রান্ত আইন (২০০২) পরোক্ষ ভাবে দুর্নীতি নিবারণী বন্দোবস্তের মধ্যেই পড়ে।

পি সি এ কিন্তু দুর্নীতির কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেয়নি। এই আইনের বিভিন্ন ধারায় একটা জিনিসের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কোনও সরকারি কর্মী যদি আইনসংগত প্রাপ্যের অতিরিক্ত কিছু পান এবং তার বিনিময়ে কাউকে কোনও অন্যায় সুযোগ দেন বা কাউকে কোনও ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করেন, তা হলে তাঁকে শাস্তি দেওয়া যাবে। দেশের আইনে দুর্নীতিকে ঠিক কী ভাবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তার সূক্ষ্মবিচারে না গিয়ে আমরা এখানে একটা জিনিস লক্ষ করতে চাই। দুর্নীতিকে দেশের আইনে প্রধানত সরকারি দুর্নীতি হিসেবে দেখা হয়েছে। সরকারি কর্মীরা যে দুর্নীতি করেন, সেটাই এখানে প্রধান বিচার্য। একে অনেক সময় আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতিও বলা হয়। অর্থনীতির আলোচনাতেও সচরাচর এই ধারাই অনুসরণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু ইদানীং বেসরকারি পরিসরের দুর্নীতি নিয়েও আগের চেয়ে অনেক বেশি আলোচনা হচ্ছে। আশা করা যায়, ভারতীয় আইনও ক্রমশ এ দিকে নজর দেবে।

তবে একটা কথা মনে রাখা দরকার। দুর্নীতি মানেই বেআইনি কাজ নয়। অনেক দুর্নীতির ঘটনায় নিশ্চয়ই আইন লঙ্ঘন করা হয়, কিন্তু আইন না ভেঙেও দুর্নীতি সম্ভব। আসলে, নৈতিকতা আইনের সীমায় সীমিত নয়। যাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়, অপরাধের সংজ্ঞায় তা অনেক সময় ধরা পড়ে না। 'কোরাপশন' শব্দটি লক্ষণীয়। এই শব্দটিতে বিকৃত করা বা ধ্বংস করার একটা ক্ষমতা নিহিত আছে। আইনের মধ্যে থেকেও সেই ক্ষমতা ব্যবহার করা সম্ভব। যেমন, নির্বাচনের ফলকে প্রভাবিত করাটা সব সময় বেআইনি না হতে পারে। বিশেষ স্বার্থগোষ্ঠীর তরফে লবি করা, প্রভাব খাটানো বা পরিচিতি কাজে লাগানো অনেক ক্ষেত্রেই বেআইনি নয়। কিংবা, আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থায় ২০০৮-এর বিপর্যয়ের পরে লগ্নির বাজারে অনেক অনৈতিক ক্রিয়াকলাপের কথা জানা গেছে, যেগুলি বহু ক্ষেত্রে আইনের সীমার মধ্যেই ঘটেছে। প্রসঙ্গত, অনেক সময়েই বলা হয়, উন্নতিশীল দেশগুলিতে উন্নত দেশের চেয়ে দুর্নীতির প্রকোপ বেশি। কথাটা ভুল নয়, তবে অসম্পূর্ণ। আসলে ব্যাপারটা বোধহয় এই যে, উন্নত দেশগুলিতে আইনসম্মত দুর্নীতি বেশি, উন্নয়নশীল দুনিয়ায় বেআইনি দুর্নীতির দাপট প্রবল। তবে, আইনও এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না, কালক্রমে বদলায়।

http://www.anandabazar.com/23edit4.html



হিন্দালকো-র নথি চাইল সি বি আই

নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি

কুমারমঙ্গলম বিড়লার বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর হয়েছে। এ বার তাঁর সংস্থা হিন্দালকো-কে খনি বণ্টনের বিষয়ে সমস্ত নথি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (পিএমও) কাছ থেকে চাইল সিবিআই। মামলার তদন্তে কতটা অগ্রগতি হয়েছে, একই সঙ্গে রিপোর্ট দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে সে কথাও জানাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশের পরে দিল্লি জুড়ে জল্পনা, তা হলে কি প্রধানমন্ত্রীই এখন সর্বোচ্চ আদালতের মূল লক্ষ্য? কংগ্রেস মহলেও এই নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। এমন প্রশ্নও উঠেছে যে, সুপ্রিম কোর্ট কি অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে? কিন্তু আদালত অবমাননার আশঙ্কায় কেউই মুখ খুলছেন না। কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিচারবিভাগকে পরোক্ষে আক্রমণও করতে পারছেন না দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

তবে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সময়ে এমন একটি বিতর্কে অস্বস্তিতে দলীয় নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মার্কিন সফরের মধ্যেও এমন বিতর্কের মুখেই পড়েছিল দল ও সরকার। দাগি সাংসদ-বিধায়কদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে রায়, তাকে নিষ্ক্রিয় করতে একটি আইন তৈরি করে কেন্দ্র। সেটি দ্রুত কার্যকর করতে তড়িঘড়ি অর্ডিন্যান্সও আনা হয়। দলের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী আচমকা সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়ে সেই অর্ডিন্যান্স ছিঁড়ে উড়িয়ে দিতে বলেন। যার ধাক্কায় শেষ পর্যন্ত অর্ডিন্যান্স তো বটেই, খারিজ হয়ে যায় বিলটিও। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, মনমোহন সিংহ ও সনিয়া গাঁধী সুকৌশলে অর্ডিন্যান্স ও বিলটি খারিজ করতে রাহুলকে দিয়ে বক্তব্য রাখতে চাইছিলেন। কিন্তু সনিয়া-পুত্র যে ভাবে এবং যে ভঙ্গিতে গর্জে উঠেছেন, এবং সেটাও প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকার সময়, তাতেই দল অস্বস্তিতে পড়েছে।

এ বার অস্বস্তিটা অবশ্য তৈরি হয়েছে সিবিআইয়ের নির্দেশে।

ওড়িশার তালবিরা খনি থেকে হিন্দালকোকে কয়লা তোলার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তাই হিন্দালকো-র প্রধান কুমারমঙ্গলম বিড়লা ও তৎকালীন কয়লাসচিব পি সি পারেখের বিরুদ্ধে চলতি মাসে অভিযোগ দায়ের করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, আজ দেশের শীর্ষ আদালতকে সে বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েও দিয়েছে তারা। সেখানে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, কী কারণে ওই অভিযোগ দায়ের করেছে তারা।

যে ভাবে আজ ফের নতুন করে পিএমও-র কাছে হিন্দালকো সংক্রান্ত নথি চেয়েছে সিবিআই, তাতে যথেষ্ট বিব্রত কংগ্রেস শিবির। দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি এর পর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং? কারণ, যে সময়ে হিন্দালকো-কে খনি দেওয়া হয়, তখন কয়লা মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রীরই হাতে ছিল। যদি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তা হলে লোকসভা ভোটের আগে দুর্নীতি প্রশ্নে বিরোধীরা কংগ্রেসকে নতুন করে আক্রমণ করার সুযোগ পাবে বলে মনে করছে দল। যদিও আজ প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি নায়ারাণস্বামী দাবি করেন, "সরকারের কিছুই লুকোনোর নেই। আমরা সমস্ত নথি দিতে প্রস্তুত।"

কিন্তু মুখে এ সব বললেও কংগ্রেস নেতারা নিজেদের অস্বস্তি লুকোতে পারছেন না। দল বলছে, এ যাবৎ যে ক'টি আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এসেছে তাতে প্রধানমন্ত্রীর দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল ওঠেনি। কিন্তু কয়লা কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে মনে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীই যেন বিচারবিভাগের মূল লক্ষ্য। এই নিয়ে প্রাক্তন কয়লাসচিব পারেখও জল্পনায় ইন্ধন দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁকে যদি সিবিআই ষড়যন্ত্রী বলে, তা হলে সেই তালিকায় প্রথম নামটি হওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর।

পারেখের বক্তব্য সামনে আসার পরে আসরে নামতে বাধ্য হয় পিএমও। তারা বলে, হিন্দালকোকে কয়লাখনির দেওয়ার পিছনে কোনও অনিয়ম হয়নি। পাশাপাশি শিল্পমহলের আস্থা বজায় রাখতে তৎপর হয় কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম নিজে কুমারমঙ্গলমের সঙ্গে কথা বলেন।

দিল্লির রাজনীতিবিদেরা বলছেন, এ ভাবে এক দিকে যেমন শিল্পমহলকে কেন্দ্র বোঝানোর চেষ্টা করছে, তাদের সঙ্গেই রয়েছে দিল্লি। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রীর উপর থেকে অভিযোগের ছায়া সরানোরও চেষ্টা করা হয়েছে।

কংগ্রেসের তরফে ঘরোয়া ভাবে বলা হচ্ছে, কেন্দ্রে এই মুহূর্তে ক্ষমতায় আছে দল। তাদের পক্ষে বিচারবিভাগের সমালোচনা করাও কঠিন। কারণ, কেন্দ্রীয় প্রশাসন এবং বিচারবিভাগ গণতন্ত্রের দু'টি স্তম্ভ। একটি স্তম্ভ আর একটির সমালোচনা করছে এই ঘটনা বিরল এবং দেশের পক্ষেও ভাল বিজ্ঞাপন নয়। কংগ্রেস নেতারা আরও বলছেন, সাধারণত কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী যোগাযোগ রাখেন সুপ্রিম কোর্ট তথা বিচারবিভাগের সঙ্গে। হংসরাজ ভরদ্বাজের সময় পর্যন্ত এই কাজ সুচারু ভাবেই পালিত হয়েছে। কিন্তু তার পরে অশ্বিনী কুমার বা হালে কপিল সিব্বলের আমলে সেই সূত্রটা অনেক কমজোরি হয়ে পড়েছে। অন্য দিকে, বিরোধী গোষ্ঠীর আইনজ্ঞরা, বিশেষ করে প্রশান্ত ভূষণ বা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মতো দুঁদে আইনজীবীরা অনেক বেশি নিজেদের প্রভাব খাটাতে সক্ষম। সে কারণে আরও প্যাঁচে পড়ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন টানাটানি শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর নিয়েও।

অন্য একটি তরফে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে কাজ করছিল, তখন বিরোধীরা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলতেন। এখন সেই সিবিআই যে স্পষ্ট করে তথ্যপ্রমাণের কথা না বলেই কুমারমঙ্গলম বিড়লার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে, তখন প্রশ্ন তুলছেন না কেন বিরোধীরা?

বিরোধীরা অবশ্য এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি। আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই কয়লা দুর্নীতিতে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, "আমরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, সিবিআই এর পর কাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে।" কংগ্রেসও বুঝতে পারছে লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে, ততই কয়লা কেলেঙ্কারিকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের আক্রমণ বাড়বে। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, "ভারতের ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, প্রশাসনিক কর্তৃত্ব দুর্বল হলেই বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থা অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।"


পুরনো খবর: তদন্তকারীরা ভব্য হোক, চান মন্টেক

http://www.anandabazar.com/23desh1.html

লালু যাদব চোর হ্যায়

রাঁচি: একটা কথা বেশ চালু আছে তাঁর সম্পর্কে - 'ভালোবাসো বা ঘৃণাই কর, তাঁকে উপেক্ষা করা যাবে না৷' সে কথাই ফের প্রমাণ হল রাঁচির সিবিআই আদালত চত্বরে৷


আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবকে ঘিরে তাই সোমবারও ছিল সেই একই মাত্রায় উত্তেজনা৷ তাঁকে ঘিরে এক দিকে যেমন ছিল তাঁর দলীয় সদস্যদের স্লোগান, অন্যদিকে চত্বরে ছিলেন উত্‍সাহী জনতাও৷


নির্দিষ্ট সময়েই রায় ঘোষণা হল প্রায় ৩৮ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির রায়৷ প্রতারণা, দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছিল লালুর নামে৷ তাঁকে সেই তিন ক্ষেত্রেই দোষী সাব্যস্ত করলেন সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক৷ এই রায় তাঁর জন্য জোর ধাক্কা৷ সম্প্রতি রাজনীতি থেকে দুর্বৃত্তায়ন রুখতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ জারি করে, দু'বছরের জন্য যদি কোনও সাংসদ বা বিধায়ক নিম্ন আদালতেও দোষী সাব্যস্ত হন, সে-ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে৷ জেল থেকে দাঁড়ানো যাবে না ভোটেও৷


'গরিবো কা মসিহা' লালুর ক্ষেত্রে দুটোই ঘটতে চলেছে৷ এ দিন শাস্তি ঘোষণা না করা হলেও, শোনা যাচ্ছে তাঁকে যে যে ধারায় অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাতে অন্তত চার বছরের জেল হবে৷ সে ক্ষেত্রে লালুর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাবে৷ আগামী লোকসভা ভোটেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না৷ আগামী ৩ অক্টোবর ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁর শাস্তি ঘোষণা করা হবে৷ লালুর সঙ্গে এ দিন অন্য ৪৪ জন অভিযুক্তও দোষী সাব্যস্ত হন৷ তার মধ্যে রয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র, জেডিইউয়ের সাংসদ জগদীশ শর্মা-সহ আরও বেশ কিছু নেতা ও আমলা৷


বস্ত্তত দাগিদের বাঁচাতে যখন কেন্দ্র সরকার অর্ডিন্যান্স আনে, তখন নিন্দুকেরা বলতে শুরু করে, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলার রায় লালুর বিরুদ্ধে গেলেও যাতে তাঁর সদস্য পদ খারিজ না হয়, সে জন্যই কংগ্রেস সরকার চেষ্টা করছিল৷ পরে রাহুলের 'বিদ্রোহে' ভেস্তে যায় সব কিছুই৷ তাই শেষরক্ষা করা গেল না বিহারের বন্ধুকে৷


তবে লালুর সামনে কি এখন কোনও রাস্তাই খোলা নেই? এক কথায় এর উত্তর হল 'না'৷ তবে ঘুরপথে একটা সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে৷ হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট যদি লালু যে শাস্তি পাচ্ছেন তা সাসপেন্ডেড অবস্থায় রাখে ও ফের শুনানি শুরু হয়, সে ক্ষেত্রেই একমাত্র 'যাদব কুলপতি' খানিক স্বস্তি পেতে পারেন৷ বা রাষ্ট্রপতি যদি অর্ডিন্যান্সে সই করে দেন৷ এ ছাড়া সব রাস্তাই বন্ধ৷ তবে গতিপ্রকৃতি যা, এ সম্ভাবনা প্রায় নেই৷


এ দিন অবশ্য লালুর বিরুদ্ধে ৩৭.৭ কোটি টাকার চাইবাসা ট্রেজারি তছরুপের রায় ঘোষণা হল৷ সিবিআইয়ের খাতায় যার নম্বর আর সি ২০ এ/৯৬৷ এ ছাড়াও রয়েছে আরও পাঁচটি মামলা৷


এই রায়ে স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ আরজেডি৷ তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদব বলেন, 'ষড়যন্ত্র করে বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে৷ আমি উচ্চ আদালতে আপিল করব৷' আরজেডি অবশ্য প্রকাশ্যে ভেঙে পড়েছে এমন আচরণ করছে না৷ তবে, এটা যে দলের জন্য বড় ধাক্কা তা সকলেই মানছেন একবাক্যে৷


রাজনৈতিক মহল বলছে, লালুর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অন্য নেতাদের জন্যও যথেষ্ট অর্থবাহী৷ তাঁরা এ বার থেকে হয়তো খানিকটা সাবধান হবেন৷ কারণ দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিক বাছতে গেলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হবে৷ ফলে এই বার্তা তাঁদের সাবধানী করবেই৷


বিজেপি আবার মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও পশুখাদ্য মামলায় ফাঁসতে চলেছেন৷ বিজেপি নেতা রাজীব প্রতাপ রুডির বক্তব্য, ' দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন৷ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার পশুখাদ্য মামলায় জড়িত কি না, সে ব্যাপারে হলফনামা দেওয়ার জন্য সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ আগে এই আবেদনটা নিম্ন আদালত খারিজ করে দিয়েছিল৷ কিন্ত্ত হাইকোর্ট নিশ্চয়ই মনে করেছে, অভিযোগের মধ্যে সারবত্তা আছে, তাই তাঁরা এটা গ্রহণ করেছেন ও হলফনামা দিতে বলেছেন৷

বিহারের মুখ্যমন্ত্রীরা এ ভাবে সকলেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন, এটা অত্যন্ত লজ্জার৷' কংগ্রেস এই রায় সম্পর্কে সতর্ক মন্তব্য করেছে৷ কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি বলেন, 'সকলের জন্য এক নিয়ম৷ আইন আইনের পথে হেঁটেছে৷'


এই রায় যে লালুর বিপক্ষে যাবে তা আগে থেকেই আঁচ করেছিলেন আরজেডি প্রধান৷ এমনকি সিবিআই আদালতের প্রধান বিচারপতি নীতীশের ঘনিষ্ঠ বলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা অন্যত্র সরানোর আবেদনও জানান৷ তবে তা খারিজ হয়ে যায়৷ তাই মানসিক প্রস্ত্ততি তাঁর ছিলই৷


এই রায়ের পরেই লালুকে রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তখনও তাঁর শতাধিক সমর্থকের চিত্‍কার৷ ফ্ল্যাশের ঝলকানি৷ তবে নিয়ন্ত্রণেই ছিল জনতা৷


আরজেডি একটু পিছনে ফিরে এখন একটাই অঙ্ক কষছে, বিহারের সঙ্গে লালুর শেষ না হওয়া 'বিস সাল কা কন্ট্রাক্ট৷' তিনি ১৫ বছর রাজত্বের পর হেরে যান ২০০৫-এ৷ তাঁর দাবি ছিল ২০ বছর তিনি থাকবেনই৷ তাই সেই পাঁচ বছরের হিসেব কষতে এখন লালু-ছাড়াই অঙ্ক করছেন রাবড়িদেবীরা৷


আবহে অবশ্য নাম সেই একটাই৷ লালুপ্রসাদ যাদব৷


কয়লা কেলেঙ্কারিতে কুমার মঙ্গলম বিড়লা


নয়াদিল্লি: কয়লার ব্লক বণ্টন কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার শিল্পপতি কুমার মঙ্গলম বিড়লা ও প্রাক্তন কয়লা সচিব পি সি পারেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)৷ বিড়লার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি৷ পারেখের বিরুদ্ধে দুর্নীতি (প্রতিরোধ) আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷


২০০৫ সালের কয়লা ব্লক বণ্টন কেলেঙ্কারিতে এই নিয়ে চোদ্দটি অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই৷ বিড়লা ও পারেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরে তদন্তকারী সংস্থাটি সম্মিলিতভাবে মুম্বই, দিল্লি, হায়দরাবাদ ও ভুবনেশ্বরের প্রায় ছ'টি জায়গায় বিড়লার অফিসে অনুসন্ধান চালিয়েছে৷ সিবিআই-এর মুখপাত্র কাঞ্চন প্রসাদ বলেন, 'কয়লা কেলেঙ্কারিতে বেনিয়মের অভিযোগে তদানীন্তন কয়লা সচিব, হিন্দালকো, আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর প্রতিনিধি ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সিবিআই নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছে৷' সিবিআই-এর অভিযোগ অনুযায়ী ২০০৫ সালের ১০ নভেম্বর ওড়িশার তালাবিড়া ২ ব্লকটি আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর সংস্থা হিন্দালকোর নামে বেআইনিভাবে বণ্টন করা হয়৷ আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে কুমার মঙ্গলম বিড়লার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে তদন্তকারী সংস্থাটি৷ কয়লা মন্ত্রকের স্ক্রিনিং কমিটি তাদের ২৫ তম বৈঠকে ব্লকটি বণ্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে জানিয়েছে সিবিআই৷




আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর তরফ থেকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে৷ প্রাক্তন কয়লা প্রতিমন্ত্রী দশারি নারায়ন রাওকে টাকা দিয়ে অবৈধভাবে কয়লার ব্লক আদায়ের অভিযোগ গত বছর আরেক শিল্পপতি ও কংগ্রেস সাংসদ নবীন জিন্দলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই৷ তার পরে একই অবস্থা দাঁড়িয়েছিল জিন্দলের সংস্থা জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ারের শেয়ার দরে৷ জিন্দল এবং রাও ছাড়া জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড এবং গগন স্পঞ্জের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই৷ দিল্লির সংস্থা রাঠি স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার এবং তার সিইও উদিত রাঠির বিরুদ্ধে কয়লার ব্লক পেতে ভুল তথ্য সরবরাহের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷




কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের উপর ভিত্তি করেই ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বণ্টন করা কয়লার ব্লকগুলির অবস্থান খতিয়ে দেখছে সিবিআই৷ হিন্দালকো ও আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগের কোনও কপি তাদের হাতে পৌঁছোয়নি বলে সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন৷ বিড়লা ও হিন্দালকোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার ফলে মহান ও তালিবাড়া ২ ব্লক হাতে পেতে আরও দেরি হতে পারে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা৷ এর প্রভাব সামগ্রিকভাবে আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর উপর পড়তে পারে বলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে নতুন ব্যাঙ্কের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠী৷ কিন্ত্ত, সিবিআইয়ের অভিযোগের পরে তাদের ব্যাঙ্ক লাইসেন্সের আবেদনও গুরুত্ব হারাতে পারে৷ সংস্থাটির মহান অ্যালুমিনিয়াম প্রকল্পের কাজও এর ফলে ব্যাহত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা৷ এই প্রকল্পটির জন্য তালাবিড়া ২ ও মহান কয়লা খনির উপর অনেকটাই নির্ভর করে রয়েছে হিন্দালকো৷ কিন্ত্ত, কয়লা কেলেঙ্কারিতে সংস্থার নাম জড়ানোর ফলে এই দুই ব্লক হাতে পাওয়া সংস্থাটির পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ ফলে থমকে যেতে পারে প্রকল্প রূপায়ণের কাজ৷ ২০০৫ সালে মহানদী কোলফিল্ডস লিমিটেড এবং নর্দান কোলফিল্ডস লিমিটেড-এর সঙ্গে যৌথভাবে ওড়িশার তালাবিড়া ২ কয়লাখনিটি হিন্দালকোকে বণ্টন করে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক৷ তালাবিড়া ২ কয়লা খনিটির সঙ্গে হিন্দালকোর আদিত্য অ্যালুমিনা ও অ্যালুমিনিয়াম প্রকল্প দু'টিও জড়িত৷ কাজেই এর ফলে এই প্রকল্পের কাজও বাধা পাবে৷




নিলাম না করেই অবৈধভাবে কয়লার ব্লক বণ্টন করার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় ১.৮৬ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে ২০১২ সালে তাদের রিপোর্টে জানায় কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (সিএজি)৷ তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কয়লার ব্লক বণ্টন নিয়ে তদন্তের ভার বর্তায় কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী সংস্থা সিবিআইয়ের উপর৷ কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলাকালীন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হারিয়ে যাওয়ায় এবং তদন্তকারী সংস্থাটিকে সহায়তা না করায় সুপ্রিম কোর্টের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রককে৷


ভোটের আগেই বেসরকারি হাতে বিমানবন্দর


লোকসভা ভোটের আগেই কলকাতা ও চেন্নাই সহ দেশের ছ'টি প্রধান বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণের পদ্ধতি সম্পূর্ণ করা যাবে বলে আশাবাদি অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক৷


এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই বিমানবন্দরগুলির রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব আগামী দু'-তিন মাসের মধ্যে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করেছিল৷ কিন্ত্ত, চেন্নাই ও লখনউ বিমানবন্দরের নিলাম সংক্রান্ত কাগজপত্র বিক্রি বেশ কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ায় সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেছে৷ অসামরিক বিমান পরিবহণ সচিব কে এন শ্রীবাস্তব বলেন, 'নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরগুলির বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া শেষ করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী৷ আমাদের হাতে থাকা অতিরিক্ত সময়ের ব্যবহার করছি,' তিনি আরও বলেন, 'যোজনা কমিশন সহ বিষয়টির সঙ্গে জড়িত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা এগোচ্ছি৷ নিলামে অংশ নিতে পারে এমন সংস্থাগুলির সঙ্গেও আলোচনা চালানো হয়েছে৷ ভবিষ্যতে যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়তে হয় তার জন্য রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল (আরএফপি), রিকোয়েস্ট ফর কোয়ালিফিকেশন (আরএফকিউ), ছাড় চুক্তি এবং অন্যান্য সমস্ত কাগজপত্র ঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷'


কাগজপত্রগুলিতে কোনওরকম পরিবর্তন করা হয়েছে কী না প্রশ্ন করা হলে শ্রীবাস্তব বলেন, 'অংশীদারেরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন৷ সেগুলি থেকে বেশ কিছু পরামর্শ নিয়ে তা আরএফপিতে যোগ করা হতে পারে৷ আইনগত কোন ফাঁক কাগজপত্রে রাখা হবে না৷'




কলকাতা বিমান বন্দর পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব নিজেদের হাত থেকে বেসরকারি সংস্থার হাতে দিতে ইচ্ছুক সংস্থাগুলির কাছে ২০ সেপ্টেম্বর দরপত্র আহ্বান করেছে এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)৷ আবেদনপত্র জমা পড়ার পরে তার মধ্যে থেকে নির্বাচিত একটি তালিকা তৈরি করবে এএআই৷ তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির নাম ২৫ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে৷ কলকাতা বিমান বন্দরের ক্ষেত্রে দরপত্র আহ্বানের দিন ২১ জানুয়ারি ঠিক করা হয়েছে৷ নতুন রানওয়ে নির্মান এবং পুরোনো রানওয়ের সম্প্রসারণ, ট্যাক্সি ট্র্যাক তৈরি, আইসোলেশন বে এবং এয়ারোব্রিজ তৈরি, পুরোনো টার্মিনাল বিল্ডিং-এর আধুনিকীকরণ এবং স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে নির্বাচিত সংস্থাকে৷ কলকাতা, চেন্নাই, আমেদাবাদ, জয়পুর, লখনউ এবং গুয়াহাটি এই ছ'টি বিমানবন্দরের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থাগুলি বিমান বন্দর অধিগ্রহনের জন্য একলপ্তে টাকা দিতে হবে নাকি দিল্লি ও মুম্বই বিমান বন্দরের মতো আয় ভাগাভাগি করে নেওয়া হবে সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলে৷ এই দুই বিমানবন্দরে কর্মরত এএআই-এর কর্মীদের ভাগ্যে কী আছে তাও ঠিক করা হয়নি৷ এয়ারপোর্ট অথরিটি ও ছ'টি বন্দরের রক্ষণাবেক্ষনের জন্য নির্বাচিত বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে যে কনসেশন এগ্রিমেন্ট সই হবে সেটিতে আইনি ও গঠনমূলক সমস্যা থাকায় নিলামের কাগজপত্রও চূড়ান্ত বিলম্বিত হচ্ছে৷




আইএলঅ্যান্ডএফএস ট্রান্সপোর্টেশন নেটওয়ার্কস, এসার প্রজেক্টস ইন্ডিয়া, কোচিন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, এসেল ইনফ্রাপ্রোজেক্টস লিমিটেড, জিভিকে, ফ্রাপোর্ট, আরব আমীরশাহী, জিএমআর এয়ারপোর্টস লিমিটেড, সাহারা গোষ্ঠী এবং তুরস্কের সংস্থা সেলেবি হাবাসিলিক হোল্ডিংস এএস চেন্নাই বিমান বন্দর প্রকল্পের জন্য তাদের আগ্রহ দেখিয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা চেন্নাই বিমানবন্দর পরিদর্শণেও আসেন৷




বিমানবন্দরগুলির বেসরকারিকরণ ত্বরাণ্বিত করতে 'কি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভালপমেন্ট' (কেআইডি) নামে একটি পৃথক সেল গঠন করেছে এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)৷ চেন্নাই বিমানবন্দর আধুনিকীকরণের জন্য ২,০১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে৷ অন্যদিকে, কলকাতা বিমান বন্দরের আধুনিকীকরণ বাবদ খরচের পরিমাণ ২,৩২৫ কোটি টাকা৷ দিল্লি ও মুম্বই বিমান বন্দরের বেসরকারিকরণের পরে এই কলকাতা ও চেন্নাই বিমানবন্দরের মাধ্যমেই সর্বাধিক আয় হয় এয়ার ইন্ডিয়ার৷


No comments:

मैं नास्तिक क्यों हूं# Necessity of Atheism#!Genetics Bharat Teertha

হে মোর চিত্ত, Prey for Humanity!

मनुस्मृति नस्ली राजकाज राजनीति में OBC Trump Card और जयभीम कामरेड

Gorkhaland again?আত্মঘাতী বাঙালি আবার বিভাজন বিপর্যয়ের মুখোমুখি!

हिंदुत्व की राजनीति का मुकाबला हिंदुत्व की राजनीति से नहीं किया जा सकता।

In conversation with Palash Biswas

Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Save the Universities!

RSS might replace Gandhi with Ambedkar on currency notes!

जैसे जर्मनी में सिर्फ हिटलर को बोलने की आजादी थी,आज सिर्फ मंकी बातों की आजादी है।

#BEEFGATEঅন্ধকার বৃত্তান্তঃ হত্যার রাজনীতি

अलविदा पत्रकारिता,अब कोई प्रतिक्रिया नहीं! पलाश विश्वास

ভালোবাসার মুখ,প্রতিবাদের মুখ মন্দাক্রান্তার পাশে আছি,যে মেয়েটি আজও লিখতে পারছেঃ আমাক ধর্ষণ করবে?

Palash Biswas on BAMCEF UNIFICATION!

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS ON NEPALI SENTIMENT, GORKHALAND, KUMAON AND GARHWAL ETC.and BAMCEF UNIFICATION! Published on Mar 19, 2013 The Himalayan Voice Cambridge, Massachusetts United States of America

BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Imminent Massive earthquake in the Himalayas

Palash Biswas on Citizenship Amendment Act

Mr. PALASH BISWAS DELIVERING SPEECH AT BAMCEF PROGRAM AT NAGPUR ON 17 & 18 SEPTEMBER 2003 Sub:- CITIZENSHIP AMENDMENT ACT 2003 http://youtu.be/zGDfsLzxTXo

Tweet Please

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS BLASTS INDIANS THAT CLAIM BUDDHA WAS BORN IN INDIA

THE HIMALAYAN TALK: INDIAN GOVERNMENT FOOD SECURITY PROGRAM RISKIER

http://youtu.be/NrcmNEjaN8c The government of India has announced food security program ahead of elections in 2014. We discussed the issue with Palash Biswas in Kolkata today. http://youtu.be/NrcmNEjaN8c Ahead of Elections, India's Cabinet Approves Food Security Program ______________________________________________________ By JIM YARDLEY http://india.blogs.nytimes.com/2013/07/04/indias-cabinet-passes-food-security-law/

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN VOICE: PALASH BISWAS DISCUSSES RAM MANDIR

Published on 10 Apr 2013 Palash Biswas spoke to us from Kolkota and shared his views on Visho Hindu Parashid's programme from tomorrow ( April 11, 2013) to build Ram Mandir in disputed Ayodhya. http://www.youtube.com/watch?v=77cZuBunAGk

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICAL OF BAMCEF LEADERSHIP

[Palash Biswas, one of the BAMCEF leaders and editors for Indian Express spoke to us from Kolkata today and criticized BAMCEF leadership in New Delhi, which according to him, is messing up with Nepalese indigenous peoples also. He also flayed MP Jay Narayan Prasad Nishad, who recently offered a Puja in his New Delhi home for Narendra Modi's victory in 2014.]

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALSH BISWAS FLAYS SOUTH ASIAN GOVERNM

Palash Biswas, lashed out those 1% people in the government in New Delhi for failure of delivery and creating hosts of problems everywhere in South Asia. http://youtu.be/lD2_V7CB2Is

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk