Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Sunday, May 4, 2014

শেষ পর্যন্ত দাঙ্গাবাজ ফ্যাসিস্ট বিজেপির হিন্দুত্ব এজেন্ডার বিরুদ্ধে সিপিএম মুখ খুলল শেষ পর্যন্ত দাঙ্গাবাজ ফ্যাসিস্ট বিজেপির হিন্দুত্ব এজেন্ডার বিরুদ্ধে সিপিএম। বাংলাদেশ থেকে আসা সবাইকে ফেরত যেতে হবে। নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। কড়া আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ার জনসভায় অবস্থান স্পষ্ট করলেন মোদী। বললেন, ধর্মীয় কারণে বিতাড়িতরা শরনার্থী। তাঁরা যথাযোগ্য সম্মান নিয়ে এদেশেই থাকবেন। কিন্তু অন্যদের ফেরত যেতে হবে।

শেষ পর্যন্ত দাঙ্গাবাজ ফ্যাসিস্ট বিজেপির হিন্দুত্ব এজেন্ডার বিরুদ্ধে সিপিএম মুখ খুলল শেষ পর্যন্ত দাঙ্গাবাজ ফ্যাসিস্ট বিজেপির হিন্দুত্ব এজেন্ডার বিরুদ্ধে সিপিএম  বাংলাদেশ থেকে আসা সবাইকে ফেরত যেতে হবে। নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। কড়া আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ার জনসভায় অবস্থান স্পষ্ট করলেন মোদী। বললেন, ধর্মীয় কারণে বিতাড়িতরা শরনার্থী। তাঁরা যথাযোগ্য সম্মান নিয়ে এদেশেই থাকবেন। কিন্তু অন্যদের ফেরত যেতে হবে।


পলাশ বিশ্বাস

সারদা চিটফাণ্ডে অভিযুক্তদের জেলে ঢোকালে বুঝব সাচ্চা টাইগার:মোদি

সৌজন্যে এবিপি আনন্দ


শেষ পর্যন্ত দাঙ্গাবাজ ফ্যাসিস্ট বিজেপির হিন্দুত্ব এজেন্ডার বিরুদ্ধে সিপিএম রাজ্য সেক্রেটারি বিমান বসু আজ বিকালে প্রেস কন্ফ্রেন্স করে মুখ খুললেন


শ্রীরামপুরে এক ঝটকায় 1947 এর পর ভারতে আসা পূর্ববঙ্গের সব বাঙালকে তল্পি তল্পা গুটিয়ে নিতে বললেন মোদী,বিজেপি ও বুঝল হিন্দু মুসলিম শরণার্থী অনুপ্রবেশকারি এক করে সুবিধা করে দিলেন নরেন্দ্র মোদী।


তারপরই রাজনাথ শিং এর আশ্বাস হিন্দুদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

বাঙালিরা খোঁজই রাখেন না বাংলার বাইরে বাংলা ভাষায় কথা বললেই কিন্তু বাংলাদেশি তকমা।

উত্তরাখন্ডের সব বাঙালিকে প্রথম বিজেপি সরকার বাংলাদেশি তকমা দিয়েছে.যা তাঁদের গলায় আজও ঝোলানো।


নোয়াখালির দাঙ্গায় বলি হয়ে যাওয়া স্বজনদের যারা পিছনে ফেলে ভারত ভাগের পর পরই হিন্দুস্তানে চলে এলেন,তাঁদের নাগরিকত্বা সংশোধণী চালু হওয়ার আগেই বিতাড়িত করার অভিযান চলল বিজেডি বিজেপি সরকারের তত্বাবধানে।

অসমে ষাটের দশক থেকে অনবরত বাঙাল খেদাও চলছে।

আশির ধশকের কথা ভুলে গেল সিপিএম এবং তাবত বাঙালি জাতি।

সেই আসামেও শ্রীরামপুরে মোদীর বক্তব্যের পর পরই অনুপ্রবেশকারী বধ অভিযান শুরু হল কংগ্রেস যোগসাজসে,সার দায় বড়ো উগ্রপন্থীদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে।


মুম্বাই দিল্লী ও মোদীর গুজরাতেও বাঙালিরা বাংলাদেশি।


অথচ গালাগালির বহর নাভিশ্বাস।


এক বাঙালি লিখলেন,উদ্বাস্তুদের প্রতি এতই দরদ ত বাড়িতে রেখে দে।

তারপরই অশ্রাব্য গালাগাল।


সেই তুবড়ি চলছে তাঁদের মুখে মুখে যারা বাংলার যাবতীয় সর্বনাশের মুলে ভারতভাগের ষড়যন্ত্র দায়ী না করে সব বাঙালদের দায়ী করেন আর আজও তাঁরা এই বাঙালদের খেদানোর স্বপ্ন দেখেন দিনরাত।


তাঁরা কারা,বোঝা মুশকিল।


আবার হিন্দু উদ্বাস্তুরা ও দেড় হাত দড়।


মোদীর হয়ে বোঝাচ্ছেন মোদী মুসলমানদের তাড়ানোর কথা বলছেন,হিন্দুদের নয়।


ভদ্র সংঘ পরিবার প্রচারকরা এক সুরে বলছেন,1947 নয়,1971,যার আইনি ভিত্তি নেই আসাম সমঝৌতার পরও।


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে সাফ সাফ লেখা আছে, 18 ই মে,1947এর পর যারাই ভারতে এসেছেন বিনা বৈধ কাগজে বা নাগরিকত্ব অর্জন করেননি,তাঁরা সব্বাই ঘুসপেঠিয়া।


এই আইনটি পাশ করেছিল বিজেপি কংগ্রেস তৃণমূল বাম সমর্থনে।

অথচ এই আইন সিন্ধ,পান্জাবের ভারত ভাগ বলি উদ্বাস্তুদের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য নয়।তাঁরা আজও স্বাগত।


সিপিএম কেন চুপ লেখার পর কাল রাত থেকেই অশ্রাব্য গালাগাল চলছে।

তারই মাঝখানে মোদীবাবুর মুদিখানা বন্ধ করতে বিমানবাবুর দাএয়াই।

যখন মমতা মোদীকে তুলোধোনা করে মোরুকরণের ফসল লুঠ করছিলেন, তখন কিন্তু সারদাকান্ড নিয়ে তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন এই ইস্যুকেই সামনে আনছে শাসক-বিরোধী দুই শিবির।


মোদীর উল্লেখ না করেই সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন আবাসনমন্ত্রী গৌতম দেব ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


মোদীর উল্লেখ না করেই সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর পবিারের সদস্যদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এই সিপিএম নেতা। জমি-বাড়ি-পুরিতে হোটেল রয়েছে বলে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তিনি।


অথচ যে মুসলিম ও উদ্বাস্তু ভোটের দমে বামপন্থী ভোট ক্ষমতার বিপলবী রাজনীতি,তাঁদের বিরুদ্ধে মোদীর ফতোয়ার জবাব দেোয়ার দায় দিদির ঘাড়ে চাপিয়ে দিদিকেই টার্গেট করল সিপিএম।


বিজেপি ভুল বুঝে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে ততক্ষনাত।  বাংলা কেরল ত্রিপুরা ছাড়া তাঁদের সারা ভারত আছে। মুসলিম ভোট ও উদ্বাস্তু ভোট ছাড়া 272 হয় না।  সিপিএমের সে দায় নেই।


বাংলা থেকে আক্ষরিক অর্থে উত্খাত হওয়ার মুখে স্রীরামপুরর জবাব দিচ্ছেন সিপিএমকে পথে বসানোর মুরুব্বি। বাঁকুডা় আর আসানসোলে মোদীর সুর কিন্তু পালটে গেল।


লক্ষ্য একটাই লোকসভা ভোটে বামেদের আসন বাড়ানো। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা একই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধছেন। কিন্তু দলেরই আর একটি অংশ মনে করছে এই ইস্যুই যেন বুমেরাং না হয়। কারণ সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দেব যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ও দলের অপর নেতা সুজন চক্রবর্তীকে সারদা সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ পাঠিয়েছে পুলিশ তাতে জল্পনা তৈরি হয়েছে।





এবিপি আনন্দ রিপোর্ট অনুযায়ী বুধবার রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটে ফের বাংলায় আসছেন নরেন্দ্র মোদি৷ সভা করবেন কলকাতায়৷ কাঁকুড়গাছির সিআইটি পার্কে সভা করবেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী৷ ওই দিন বারাসত এবং কৃষ্ণনগরেও সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি৷   


প্রথম সভা, দুপুর ২টোয়, কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে৷ দ্বিতীয় সভা, দুপুর সাড়ে ৩টেয়, বারাসতের বিজেপি প্রার্থী পিসি সরকারের সমর্থনে৷ তৃতীয় সভা, বিকেল সাড়ে ৫টায়, কাঁকুড়গাছির সিআইটি পার্কে৷

রবিবার, কাঁকুড়গাছির সিআইটি পার্কে মোদির সভাস্থল ঘুরে দেখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ৷ বিজেপি আগে অভিযোগ করেছিল, কাঁকুড়গাছির সিআইটি পার্কে সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না কলকাতা পুরসভা৷ এদিন রাহুল সিংহ দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পর, চাপে পড়ে, পুরসভা অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে৷

এখনও পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে চারবার এসেছেন নরেন্দ্র মোদি৷ সাত তারিখ পঞ্চমবারের জন্য আসতে চলেছেন তিনি৷ একদা পশ্চিমবঙ্গে শক্তিহীন হলেও, এবার লোকসভা ভোটে ভাল ফলের আশা করছে বিজেপি নেতৃত্ব৷ আর তাই, পশ্চিমবঙ্গে শক্তি বিস্তারের লক্ষ্যেই নরেন্দ্র মোদির এই বারংবার রাজ্য সফর বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷


অথচ পার্টি পোলিট ব্যুরো তৃতীয় ফ্রন্ট গড়তে ব্যর্থ এবং তিন রাজ্যের ক্ষমতা ত্রিপুরায় শিবরাত্রির সলতে হয়ে যাওয়ার পরেও ভাবী প্রধানমন্ত্রী রুপে মাত্র দুটি লোকসভা সীটের রাজ্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর নিষ্কলুষ ছবি তুলে ধরতেই ব্যস্ত


অথচ এই কমরেডরাই উত্তর প্রদেশ বিহারের পর পার্টিটাকে পশ্চিম বঙ্গেও ধ্বংস করতে দ্বিধা বোধ করেননি,কমরেড জ্যোতি বসুর ঠ্যং ধরে ফর্ধানমন্ত্রিত্বের কুর্সি থেকে অবলীলায় সরিয়ে দেয়েছেন



বিডম্বনা হল,মোদী সৌজন্যে মমতা অনুকুলে চরম মেরুকরণের ফলে পার্টি সমর্থকেরা বিগত তিনদফার ভোটে ঢেলে তৃণমুলে অথবা পদ্মফুলে ভোট দিয়েছে,বাকিটা কেন্দ্র সরকারের যোগসাজসে রীতিমত ছাপ্পা


লোকাল কমিটির মাতব্বরা যাদের অনুমতি বিনা থানায় এফআইআরও নেওয়া হত না,যাদের দাপটে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত,তাঁরা পাড়ার রকে ও চায়ের দোকানেও মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন,অথচ বাংলায় সংগঠন না থাকলেও নরেন্দ্র মোদী মমতা দিদির সুবিধার্থে মেরুকরণ করতে এই রাজ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন


উদ্বাস্তু ও মুসলিম ভোট ব্যান্ক স্থানান্তরিত

তিন দফা নির্বাচন শেষ সারা দেশে সাকুল্যে শতখানেক সীটে ভোট বাকী,এখন কমরেড বিমান বোসের ঘুম ভেঙ্গেছে



কমরেডদের চেষ্টায় নিষ্ঠার অভাব নেই কিন্তু তাঁরাই বা পড়ে পড়ে মার খাবে কোন দুঃখে,কিসের জন্যে, নেতৃত্বই যখন ছন্নছাড়া


কমরেড বিমান বোস পার্টি সেক্রেটারি ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান না হয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হলে এবং নিরুপম সেনকে মন্ত্রী না করে বিমানবাবুর পরিবর্তে পার্টি সংগঠনের রাশ দিলেও বামপন্থীদের এই সাড়ে সর্বনাশ হয় না


কমরড রেজ্জাক মোল্লা বহিস্কৃত


কমরেড সোমনাথ চ্যাটার্জি বহিস্কৃত


কমরেড সুশান্ত ঘোষ ব্রাত্য


কমরেড লক্ষ্ণণ শেঠ ব্রাত্য


কমরেড সুজিত বোস সুভাষদার মহাপ্রয়াণের পর পরই পার্টিতে উপেক্ষিত হওয়ার সরমে লাজে তৃণমুলী


জেলায় জেলায় পাড়ায় পাড়ায় সিপিএমের এই হল সমাজবাস্তব


তাত্বিক বুড়োরাই সিপিএম ও বামপন্থী আন্দোলনকে হজম করে ফেলেছেন,যারা বাস্তবতার ধারে কাছে যান না।প্রসেনজিত বসুর মত যুব নেতৃত্বের বদলে ঋতব্রত অভিষেক।



কমরেড সীতারাম ইয়েচুরি ভালো হিন্দী বলতে পারেন, সমঝে চলতে পারেন কিন্তু তিনি কমরেড জিএস নন।জিএস হলেন কমরেড প্রকাশ কারাত,যার মুখ থেকে ইংরেজি তত্ব ব্যাতিরেক কিছু বোরোয় না।



কমরেড সুভাষিণী আলিকে পোলিত ব্যুরোর মুখ তৈরি করলে হিন্দী বলয়ে পার্টি ও আন্দোলন মুছে যায় না,কিন্তু  পার্টির মুখ হলেন কমরেড জিএস ঘরণি

কমরেড সুবভাষিণী উত্তর প্রদেশেও জিততে পারতেন,জিতেও ছিলেন,তাঁর কাজকর্ম চুলোয় তুলে তাঁকে ভারতের মুখ তৈরি করার পরিবর্তে ব্যারাকপুরের মুখ করে দেওয়া হল



মজার ব্যাপার হল যে মমতা ব্যানার্জিকে গৌরিক বাহিনীর পশ্চিম বঙ্গীয় মুখ প্রমাণ করতে আদা জল খেয়ে কমরেডরা এ যাবত প্রচার অভিযান চালিয়েছে,মোদির  বর্ণবিদ্বেষী বাঙালি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বাংলার মুখ হয়ে গিয়েছেন তিনিই


বিমান বোসের বক্তব্যের পরও তিনিই মোদীবিরোধিতা মুখ হয়ে আছেন সাধে কি কমরেড জ্যোতি বসু,কমরেড অনিল বিশ্বাস ও কমরেড সুভাষ চক্রবর্তীর কথা মনে পড়ে যায় বার বার?


দেখুন হচ্ছেটা কি!


24 ঘন্টার রিপোর্ট অনুযায়ী,মোদী সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের কড়া সমালোচনায় সরব ডান বাম দুই শিবিরই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হঁশিয়ারি একজন বাঙালির গায়ে হাত পড়লেও দিল্লি তোলপাড় হবে।মোদীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করেছেন তিনি। বামেদের দাবি, মোদীর সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক প্রচার বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক নির্বাচন কমিশন।


বাংলাদেশ থেকে আসা সবাইকে ফেরত যেতে হবে। নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। কড়া আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ার জনসভায় অবস্থান স্পষ্ট করলেন মোদী। বললেন, ধর্মীয় কারণে বিতাড়িতরা শরনার্থী। তাঁরা যথাযোগ্য সম্মান নিয়ে এদেশেই থাকবেন। কিন্তু অন্যদের ফেরত যেতে হবে।


সারদা থেকে টেট। বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি এতদিন ছিল লোকসভা ভোট প্রচারের ভরকেন্দ্রে। শ্রীরামপুরের জনসভায় এসে প্রথমবার সাম্প্রদায়িকতার তাসটা খেলেছিলেন মোদী। বলেছিলেন বাংলাদেশ থেকে আসা সকলকে ফেরত যেতে হবে। রবিবার বাঁকুড়ার জনসভায় অবস্থান আরও স্পষ্ট করলেন মোদী। বুঝিয়ে দিলেন, ভোটের আগে সুর না চড়ালেও বিজেপি তার সাম্প্রদায়িক লাইন থেকে সরেনি।


বাঘ হওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে রসগোল্লার টোপ দিয়ে গেলেন মোদী

24 ঘন্টারই রিপোর্টঃ


রাজ্যে ফের নির্বাচনী সভায় এসে ঝড় তুললেন নরেন্দ্র মোদী। এবার অবশ্য সুর কিছুটা নরম ছিল বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর। যদিও সারদা- টেট সহ বেশ কিছু ইস্যুতে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ঘুরিয়ে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন মোদী। অনেকেই বলছেন শ্রীরামপুরের সভায় গরম, বাঁকুড়ার সভায় নরম মনোভাব দেখালেন মোদী।


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আজ রাজ্যে এসে মোদী ঠিক কী কী বললেন--

মমতাকে আক্রমণ-ওনার পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে, তাই এভাবে আমায় আক্রমণ করছে।


লাড্ডু থেকে রসগোল্লা- ব্রিগেড এসে রাজ্যবাসীকে দুই হাতে লাড্ডু পাওয়ার তত্ত্ব শুনিয়েছিলেন, এবার আসানসোলে শোনালেন রসগোল্লার তত্ত্ব। বললেন রাজ্যের সঙ্গে এতদিন বঞ্চনা করেছে কেন্দ্র। তিনি এলে দিন বদলে যাবে। তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে উন্নয়নের কাজ করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাই ডবল ফায়দা হবে রাজ্যবাসীর। তাঁদের দুহাতেই থাকবে রসগোল্লা ।


নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যে এসে ফের ডবল ফায়দার তত্ত্ব দিলেন মোদী। বাঁকুড়ার সভায় তিনি বললেন, কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে রাজ্যের উন্নয়নে জোর দেবেন তিনি। আর সেই চাপেই রাজ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উন্নয়নের কাজ করতে হবে। গত পাঁচই ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেখেই দিল্লিতে তাঁর সরকার তৈরি হলে রাজ্যবাসীর দ্বিগুণ লাভ হবে। এরপর ভোটপ্রচারে রাজ্যে এসে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। রবিবার প্রচারে এসে সুর কিছুটা নরম করে ফের সেই ডবল ফায়দার তত্ত্বই শোনালেন মোদী।


বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে-- বাংলাদেশ থেকে আসা সবাইকে ফেরত যেতে হবে। নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। কড়া আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ার জনসভায় অবস্থান স্পষ্ট করলেন মোদী। বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বললেন, ধর্মীয় কারণে বিতাড়িতরা শরনার্থী। তাঁরা যথাযোগ্য সম্মান নিয়ে এদেশেই থাকবেন। কিন্তু অন্যদের ফেরত যেতে হবে। বুঝিয়ে দিলেন, ভোটের আগে সুর না চড়ালেও বিজেপি তাঁর সাম্প্রদায়িক লাইন থেকে সরেনি।


প্রসঙ্গ রিগিং-- রাজ্য তৃতীয় দফার ভোটে রিগিং নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। আসানসোলের সভায় তাঁর অভিযোগ, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।


সারদাকাণ্ড-সারদা চিটফাণ্ডে অভিযুক্তদের জেলে ঢোকালে তবে বুঝব মমতা ব্যানার্জি আসল বাঘ। সারদা ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন, কিন্তু এবার যেন সুর অনেকটা নরম। বাঁকুড়ার জনসভায় নরেন্দ্র মোদী বললেন, নিজেকে আসল বাঘ প্রমাণ করতে হলে সারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ তুলেই আজ হাল্কা মেজাজে মোদীর চ্যালেঞ্জ, নিজেকে আসল বাঘ প্রমাণ করতে সারদায় দোষীদের আগে জেলে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী।


টেট কেলেঙ্কারি-- সারদার পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন টেট কেলেঙ্কারি নিয়েও। বললেন, শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে জবাব দিন মমতা। মমতা আসলে দুর্নীতিময় বাংলা উপহার দিচ্ছেন। পাশাপাশি বললেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে পাল্লা দিয়ে মমতাকে কাজ করতে হবে, চ্যালেঞ্জ মোদির।


নারী নিরাপত্তা-রাজ্যে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায়, অথচ পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনে পয়লা নম্বরে। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যের।


এদিকে, বুধবার রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটের দিন আবার কলকাতায় আসছেন নরেন্দ্র মোদী৷ কাঁকুড়গাছিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী রাহুল সিনহার সমর্থনে সভা করতে চলেছেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর৷


এই সময়ের রিপোর্টঃ

এ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। তুললেন 'সারদা' প্রসঙ্গ। রাজ্যের গরীব মানুষের টাকা নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কেন হচ্ছে না, এদিন ফের তা জানতে চান নমো। মমতার 'কাগজের বাঘ' প্রসঙ্গে টেনেও তৃণমূল নেত্রীকে বিঁধেছেন মোদী। এমনকি মমতা 'নাটুকে' বলতেও ছাড়েননি তিনি।


আসানসোল ও বাঁকুড়ায় এদিন বিজেপি প্রার্থীর হয়ে জনসভা করেন নরেন্দ্র মোদী। দু-জায়গাতেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। এত জনসমাগম দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন মোদীও। এতবেশি মানুষ এসেছে বলে মাঠ ছোট হয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি। তবে মাঠে জায়গা কম থাকলেও তাঁর হৃদয়ে সবার জন্য জায়গা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নমো। এর সঙ্গেই কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি। তাঁর প্রতি মানুষে এত ভালোবাসাই মমতার রাগের কারণ বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যতই তাঁর প্রতি বিষোদগার করুন, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এলে তিনি বাংলার উন্নতিতে মনোনিবেস করবেন বলে আশ্বাস দেন।


দিন তিনেক আগে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে 'কাগজের বাঘ' বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে কাগজের বাঘের পার্থক্য রয়েছে বলে মোদীকে খোঁচা মেরেছিলেন মমতা। তার জের টেনেই এদিন বক্তব্যের শুরুতে মোদী বলেন যে তিনি টাইগারও বটে, আবার রিয়্যালও বটে। কাগজের বাঘকেই তৃণমূল নেত্রী ভয় পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন নমো। সত্যিকারের বাঘ তাঁর সামনে আসলে তখন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কী করবেন তা জানতে চান তিনি। এ রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ই আসল বাঘ বলে জানিয়েছেন তিনি। সারদা প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যে সত্যিকারের বাঘ কখনও চোরদের ছেড়ে দেয় না।


মোদী বলেন, "কেন্দ্রে মা-ছেলের সরকার স্ক্যাম ইন্ডিয়া বানিয়েছে। আর এ রাজ্যে দিদি স্ক্যাম বেঙ্গল বানিয়েছে। ক্ষমতায় এলে স্ক্যাম বদলে স্কিম ইন্ডিয়া বানিয়ে দেব। সবাই ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলছে। তারা নিজেরা মুলসমান সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য কী করেছে? বাংলায় মুসলমানরা শোষিত। গুজরাটে সংখ্যালঘুদের শিক্ষার হার ৬০শতাংশ।" টেট কাণ্ড নিয়েও এদিন মুখ খোলেন মোদী। "টেট দুর্নীতি কি? সাধারণ মানুষ তা দিদির কাছে জানতে চান। গুজরাটে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। সেখানে সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয়। কাগজের বাঘ কিন্তু দুর্নীতি ছাড়াই শিক্ষকদের চাকরি দিতে পারে।"


বাংলার নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনেও এদিন রাজ্যের শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন নমো৷ নরেন্দ্র মোদীর কথায়, "দিদি আপনি তো নিজেই মহিলা৷ তাও আপনার রাজ্য দেশের মধ্যে নারী নির্যাতনে প্রথম তিনে রয়েছে৷ এদিকে কাগজের বাঘের রাজ্যে কিন্তু মেয়েরা রাত বিরেতেও নির্ভয়ে বেরতে পারেন৷" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজের চেয়ে বেশি নাটক করেন বলে এদিন অভিযোগ করেছেন মোদী। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে তাঁর নিজস্ব কায়দায় সমাধানও বাতলেছেন নমো। তাঁর মতে, "কেন্দ্রে শক্তিশালী সরকার গঠন হলে, বাংলার উন্নয়ন করতে বাধ্য হবেন মমতা৷ কেন্দ্রের চাপে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নাটক ছেড়ে কাজ করতে উদ্যোগী হবেন।"


বামপন্থীদের কাজে লাগতি পারে

'মোদী' শুনলে মাথাব্যথা? সমাধানে 'নমো বাম'


Namo

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদীর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা নিঃসন্দেহে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্তত বাজারে 'নমো বাম'-এর বিপুল চাহিদা সেই আশঙ্কাই প্রমাণ করছে।


নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদীর ভাগ্যে প্রধানমন্ত্রীর মসনদ শেষ পর্যন্ত জুটবে কি না, তা বলবে সময়। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের গোড়া থেকে নমো ব্র্যান্ডের তুমুল বাণিজ্যিক সাফল্য নিয়ে কোনও সংশয় নেই। প্রচারের অঙ্গ হিসেবে বাজারে নমো ব্র্যান্ডের আত্মপ্রকাশ। নমো স্টোরের তৈরি ২০টি পণ্যের একমাত্র বিপণনকর্মী বিজেপি স্বেচ্ছাসেবকরা। তাঁদের অভিজ্ঞতা বলছে, বাজারে হু হু করে বিকোচ্ছে মাথাব্যথার অব্যর্থ দাওয়াই নমো বাম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক মাসে ১০ হাজার কৌটো বাম বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া, ৩৫ হাজার কৌটোর অর্ডার এখনও জমে রয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের মাত্র ১২টি রাজ্যে এই বাম পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এমন কী রয়েছে যার টানে ক্রেতারা শুধু এই বামই কিনতে ছুটছেন? বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মূলত আদা দিয়ে তৈরি নমো বাম বাজারের চালু আয়ুর্বেদিক বামগুলির চেয়ে দামে কমপক্ষে ১০ টাকা কম। তবে তাঁদের মতে, কেবলমাত্র গুনাগুণ বা দাম নয়, বিক্রির পিছনে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী নামের ক্যারিশমা।


বস্তুত, নমো স্টোরের প্রতিটি পণ্যই বাজারে সুপারহিট। সেই নাম ভাঙিয়েই গত সপ্তাহে বদোদরায় 'নমো চা' ছেড়েছে নমো স্টোর। অসম থেকে আমদানি করা চা আকর্ষণীয় প্যাকে ভরে বিক্রি করছেন মোদীর সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, এর মধ্যেই এক লক্ষ কিলো চা বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আরও ৫০ হাজার কিলো চায়ের বরাত রয়েছে। প্রসঙ্গত, একদা চা বেচেই দিন গুজরান করতেন বলে এ পর্যন্ত বহু বার উল্লেখ করেছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। তাই নমো চা যে ক্রেতাদের প্রবল আকর্ষণ করবে, তা বলাই বাহুল্য।


বাম হোক বা চা, এ দেশে দু'টি পণ্যই মাথাব্যথার ওষুধ বলে পরিচিত। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, বাম আর চা কিনতে কি তাঁরাই বেশি আগ্রহী, নমো বচনে শিরঃপীড়া যাঁদের নিত্যসঙ্গী?


বাস্তব পরিস্থিতি হল এইরকমঃ

লালগড়ে সিপিএমের একা কুম্ভ তরুণ


চিত্রদীপ চক্রবর্তী


লালগড়: পার্টি অফিস এখনও ভাঙা অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে৷ বড়-মেজো কোনও নেতাই প্রকাশ্যে এসে আর নিজেদের সিপিএম বলার সাহস রাখেন না৷ এলাকা জুড়ে সিপিএমের পতাকা কারা লাগিয়ে গিয়েছেন, তা-ও পরিষ্কার নয়৷ তবুও এক সময়ের সিপিএম লালদুর্গ লালগড় বাজারে দাঁড়িয়ে তিনি এখনও বলতে পারেন, 'ভোটটা সিপিএমকেই দিন৷'


পেটে-পিঠে মাওবাদীদের গুলির চিহ্ন স্পষ্ট৷ কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ফিরে গিয়েছেন নিজের জায়গা লালগড়ে৷ অশান্ত জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের গুলি খেয়ে বেঁচে ফিরে আসা সিপিএম নেতার সংখ্যা তিন৷ তাঁদেরই একজন পেশায় পূর্ত দপ্তরের পাম্প অপারেটর তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ লোকসভা নির্বাচনে ওই এলাকায় সিপিএমের একা কুম্ভ৷ শরীরটা ভেঙেছে, তা-ও শা-জোয়ান চেহারা৷ জোর গলায় দাবি করছেন, 'সিপিএম শেষ হয়ে যায়নি এখনও৷ বহু জায়গা রয়েছে, যেখানে আমাদের পার্টি কর্মীদের বলা আছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবাই যেন আপাতত শাসকদলের দিকেই ভিড়ে যান৷ কারণ? তা না-হলেই অসুবিধে৷'

আপনি এ ভাবে একলা এখানে লড়াইটা চালাচ্ছেন কী ভাবে? তরুণবাবুর উত্তর, 'কেন, লড়াই করে৷ তবে তৃণমূলের নেতারা সবাই আমাকে চেনেন৷ আমার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কিন্ত্ত ওঁরাও কোনও প্রশ্ন তুলতে পারেন না৷' স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নেতাই গণহত্যার পর থেকেই বিনপুর জোনালের অধিকাংশ নেতা গা ঢাকা দেওয়া শুরু করেন৷ কিন্ত্ত এলাকা ছেড়ে যাননি তরুণবাবু৷ তাঁর সাফ কথা, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল৷ এখন তা-ও অনেকটা সামলে নিয়েছি আমরা৷ তবে একটা জিনিস জানিয়ে রাখি৷ আমি কিন্ত্ত লড়াই করছি মাওবাদীদের হাতে নিহত পরিবারগুলির ক্ষতিপূরণের জন্য৷ অনেকেই বোধ হয় জানে না, বহু পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণের টাকাই পায়নি৷ যদি সত্যি কথা জানতে চান তবে বলেই ফেলি, আমার কাছে ভোট পাওয়ার চেয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করে দেওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷'


লালগড়ের বাসিন্দারাও বিনপুর ১ নম্বর জোনালের এই নেতাকেই এলাকার সিপিএম প্রতিভূ হিসেবে চেনেন৷ স্থানীয় সিপিএম কর্মী রাজু দাস সেটা বুঝিয়েই দিলেন, 'এই জোনালে সম্পাদক বিনয় পাণ্ডে-সহ ১২ জন নেতা রয়েছেন৷ কিন্ত্ত কাজের বেলা পাবেন তরুণবাবুকেই৷ অনেকেই এখনও এলাকাতেই থাকেন না৷ ইদানিং ভোটের জন্য কাউকে কাউকে দেখতে পাচ্ছি বটে, কিন্ত্ত সেটা সারা বছরের জন্য নয়৷' ২০১০ সালের ১২ সেপ্টেম্বরের কথা মনে পড়লে এখনও শিউরে ওঠেন রাজু, 'যে ভাবে ওঁকে গুলি করা হয়েছিল, অন্যরা হলে দল করাই ছেড়ে দিত৷'


দলীয় কর্মীরা তো বোঝা গেল, এহেন তরুণবাবুকে এলাকাবাসী কেন গুরুত্ব দেন? এক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলছিলেন, ভোটের চাঁদা আদায় কী ভাবে হবে, তা নিয়ে দলের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, দোকানগুলি থেকে একশো বা দুশো টাকা করে সাহায্য চাওয়া হবে৷ তরুণবাবুই তখন জোর আপত্তি তোলেন, এ ভাবে চাঁদা তুলতে গেলে তৃণমূল নেতারাও ওই সব দোকান থেকে হাজার টাকা করে চেয়ে বসবেন৷ সেটা দলের পক্ষেও ভালো হবে না৷ কাজেই অত্যন্ত কম টাকা সাহায্য হিসেবে নিয়ে বাইরে সাহায্যদাতাদের পরিচয় গোপন রাখতে হবে৷ তরুণবাবুর সেই নিদানই পার্টিতে মেনে নেওয়া হয়৷ সারা বছর এলাকার প্রতিটি মানুষের খোঁজখবর রাখেন তরুণবাবু৷ লোকে সেটা জানেও৷


কী ভাবে লালগড়ে প্রচার চালাচ্ছে সিপিএম? পতাকা-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে৷ নেতারাও প্রচারে যাচ্ছেন৷ সকাল-বিকেল বাজারে দাঁড়িয়ে এলাকার নেতাদের জনসংযোগ যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছে৷ তার নেপথ্যে কিন্ত্ত সেই পার্টির জন্য প্রাণপাত করা তরুণবাবু৷ প্রচারের ফলও লোকসভা ভোটে পাওয়া যাবে বলে দাবি আশির দশকের শেষের দিকে পার্টিতে যুক্ত হওয়া তরুণবাবুর৷


আপাতত দলের জন্য সেই কাজটাই মন দিয়ে করতে চান লালগড়ে সিপিএমের একা কুম্ভ৷


বাস্তব পরিস্থিতি হল এইরকমঃ


আসন নিয়ে আশা-আশঙ্কার দোলায় বিজেপি

এই সময়, নয়াদিল্লি: নির্বাচন যত শেষের দিকে এগোচ্ছে, দিল্লিতে বিজেপি ও কংগ্রেসের অন্দরে ততই হিসাব কষা শুরু হয়েছে, মোট ক'টি আসনে দল জিততে পারবে৷ নিজেদের সমীক্ষা, সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট, সাট্টা বাজারের দর সব কিছু নিয়েই চলছে প্রবল আলোচনা৷


অমৃতসর থেকে সদ্য নিজের প্রথম লোকসভা নির্বাচনী লড়াই শেষ করে দিল্লিতে এসেছেন অরুণ জেটলি৷ নীতিন গড়করির কেন্দ্রে ভোট আগেই হয়ে গিয়েছে৷ বিহারের ভোট শেষ করে ফেরত এসেছেন শাহনওয়াজ হুসেন ও রাজ্যসভার সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ৷ আছেন সঙ্ঘ পরিবারের নেতারা৷ সব জায়গাতেই আলোচ্য এখন একটাই, ক'টা আসনে জিতবে বিজেপি?


ঘনিষ্ঠ মহলে বিজেপি নেতারা যে হিসাবের কথা বলছেন, খুব খারাপ ফল হলে বিজেপি ২০০টির মতো আসন পাবে৷ আর ভালো হলে সেটা থামতে পারে ২৫০-তে৷ তবে কয়েকজন এ ব্যাপারে কিছুটা রক্ষণশীল৷ তাঁদের হিসেব, শেষ দু'টি পর্বে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে যদি ফল আশানুরূপ না হয়, তা হলে বিজেপি ১৮৫-১৯০-এ এসেও থেমে যেতে পারে৷ সেটা হলে অবশ্য দলের কাছে বড় ধাক্কা হবে৷ তবে অধিকাংশ নেতার ধারণা, তাঁরা ডাবল সেঞ্চুরি করছেনই৷


বিজেপি সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের সাট্টা বাজারের দর এনডিএ-র জন্য একসময় ৩১৭ আসনে উঠে গিয়েছিল৷ পরে তা কমে দাঁড়ায় ২৭১-এ৷ আর এখন তা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ২৩২-এ৷ সাট্টা বাজার মহারাষ্ট্রে বিজেপি শিবসেনা জোটকে ২৫টি আসন দিচ্ছে, কর্নাটকে বিজেপিকে ১৪টি আসন, বিহারে ২০টি, উত্তরপ্রদেশে ৩৬, অন্ধ্রে চন্দ্রবাবু-সহ ১৯, গুজরাটে ২০ এবং দিল্লিতে চারটি আসন দিচ্ছে তাঁরা৷ এর আগে প্রতিটি রাজ্যেই বিজেপিকে বেশি আসন দেওয়া হলেও এখন তা অনেকটাই কম৷ তবে বিজেপি নেতৃত্ব এই হিসাবকে অতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না৷ তাঁরা বলছেন, যেটা এনডিএ-র সম্ভাব্য আসন হিসাবে ধরা হচ্ছে, সেটা একা বিজেপি-ই পাবে৷ বিজেপি এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি আসন নিয়ে একাধিক সমীক্ষা করিয়েছে৷ সেই সমীক্ষা যেমন বলছে, দিল্লিতে বিজেপি পাঁচটি আসন পেতে পারে৷


মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার জয় নিয়ে বিজেপির কোনও সন্দেহ নেই, রায়বরেলিতে সনিয়া গান্ধীকে নিয়েও কোনও সংশয় নেই, তবে ছিন্দওয়াড়ায় কমনলাথের জয় সহজ হবে না৷ বিজেপির সমীক্ষা অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও রাজস্থানে কংগ্রেস কিছু আসন পাচ্ছে৷ গুজরাটেও মোদী সম্ভবত সব ক'টি আসনে বিজেপিকে সম্ভবত জেতাতে পারবেন না৷ সেখানেও কয়েকটি আসন কংগ্রেস পেতে পারে৷ সংখ্যাটা ২ থেকে ৬-৭-এর মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে৷ রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশেও এ ভাবে মোট চার-পাঁচটি আসন কংগ্রেস পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ রাজধানীর ক্ষেত্রে উত্তর -পূর্ব দিল্লি ও নয়াদিল্লি কেন্দ্র নিয়ে বিজেপির সংশয় রয়েছে৷


পশ্চিমবঙ্গে তাঁদের হিসাব এক থেকে চারটি আসনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে৷ তবে বিজেপি নেতারা এখনও আশাবাদী উত্তরপ্রদেশ ও বিহার নিয়ে৷ এই দুই রাজ্যে তাঁরা ৭০টির মতো আসন আশা করছেন৷ বিহারে কুড়ি এবং উত্তর প্রদেশে পঞ্চাশ৷ অতীব আশাবাদীরা তো বলছেন, আসনসংখ্যা এর থেকেও বাড়তে পারে৷ ঘনিষ্ঠ মহলে অরুণ জেটলি বলেছেন, কংগ্রেস খুব ভালো ফল করলেও ৭৫ থেকে ৮০টি আসন পাবে৷ তবে অন্য বিজেপি নেতারা মনে করছেন, কংগ্রেস সেঞ্চুরি করে ফেলতে পারে৷


ফল জানতে আর দু-সপ্তাহও বাকি নেই৷ এই বাকি সময়টা হিসাব নিকেশের উত্তেজনা, আশা-আশঙ্কার দোলা চলতেই থাকবে দলগুলিতে৷


No comments:

मैं नास्तिक क्यों हूं# Necessity of Atheism#!Genetics Bharat Teertha

হে মোর চিত্ত, Prey for Humanity!

मनुस्मृति नस्ली राजकाज राजनीति में OBC Trump Card और जयभीम कामरेड

Gorkhaland again?আত্মঘাতী বাঙালি আবার বিভাজন বিপর্যয়ের মুখোমুখি!

हिंदुत्व की राजनीति का मुकाबला हिंदुत्व की राजनीति से नहीं किया जा सकता।

In conversation with Palash Biswas

Palash Biswas On Unique Identity No1.mpg

Save the Universities!

RSS might replace Gandhi with Ambedkar on currency notes!

जैसे जर्मनी में सिर्फ हिटलर को बोलने की आजादी थी,आज सिर्फ मंकी बातों की आजादी है।

#BEEFGATEঅন্ধকার বৃত্তান্তঃ হত্যার রাজনীতি

अलविदा पत्रकारिता,अब कोई प्रतिक्रिया नहीं! पलाश विश्वास

ভালোবাসার মুখ,প্রতিবাদের মুখ মন্দাক্রান্তার পাশে আছি,যে মেয়েটি আজও লিখতে পারছেঃ আমাক ধর্ষণ করবে?

Palash Biswas on BAMCEF UNIFICATION!

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS ON NEPALI SENTIMENT, GORKHALAND, KUMAON AND GARHWAL ETC.and BAMCEF UNIFICATION! Published on Mar 19, 2013 The Himalayan Voice Cambridge, Massachusetts United States of America

BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Imminent Massive earthquake in the Himalayas

Palash Biswas on Citizenship Amendment Act

Mr. PALASH BISWAS DELIVERING SPEECH AT BAMCEF PROGRAM AT NAGPUR ON 17 & 18 SEPTEMBER 2003 Sub:- CITIZENSHIP AMENDMENT ACT 2003 http://youtu.be/zGDfsLzxTXo

Tweet Please

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS BLASTS INDIANS THAT CLAIM BUDDHA WAS BORN IN INDIA

THE HIMALAYAN TALK: INDIAN GOVERNMENT FOOD SECURITY PROGRAM RISKIER

http://youtu.be/NrcmNEjaN8c The government of India has announced food security program ahead of elections in 2014. We discussed the issue with Palash Biswas in Kolkata today. http://youtu.be/NrcmNEjaN8c Ahead of Elections, India's Cabinet Approves Food Security Program ______________________________________________________ By JIM YARDLEY http://india.blogs.nytimes.com/2013/07/04/indias-cabinet-passes-food-security-law/

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS TALKS AGAINST CASTEIST HEGEMONY IN SOUTH ASIA

THE HIMALAYAN VOICE: PALASH BISWAS DISCUSSES RAM MANDIR

Published on 10 Apr 2013 Palash Biswas spoke to us from Kolkota and shared his views on Visho Hindu Parashid's programme from tomorrow ( April 11, 2013) to build Ram Mandir in disputed Ayodhya. http://www.youtube.com/watch?v=77cZuBunAGk

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk

THE HIMALAYAN DISASTER: TRANSNATIONAL DISASTER MANAGEMENT MECHANISM A MUST

We talked with Palash Biswas, an editor for Indian Express in Kolkata today also. He urged that there must a transnational disaster management mechanism to avert such scale disaster in the Himalayas. http://youtu.be/7IzWUpRECJM

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICAL OF BAMCEF LEADERSHIP

[Palash Biswas, one of the BAMCEF leaders and editors for Indian Express spoke to us from Kolkata today and criticized BAMCEF leadership in New Delhi, which according to him, is messing up with Nepalese indigenous peoples also. He also flayed MP Jay Narayan Prasad Nishad, who recently offered a Puja in his New Delhi home for Narendra Modi's victory in 2014.]

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS CRITICIZES GOVT FOR WORLD`S BIGGEST BLACK OUT

THE HIMALAYAN TALK: PALSH BISWAS FLAYS SOUTH ASIAN GOVERNM

Palash Biswas, lashed out those 1% people in the government in New Delhi for failure of delivery and creating hosts of problems everywhere in South Asia. http://youtu.be/lD2_V7CB2Is

THE HIMALAYAN TALK: PALASH BISWAS LASHES OUT KATHMANDU INT'L 'MULVASI' CONFERENCE

अहिले भर्खर कोलकता भारतमा हामीले पलाश विश्वाससंग काठमाडौँमा आज भै रहेको अन्तर्राष्ट्रिय मूलवासी सम्मेलनको बारेमा कुराकानी गर्यौ । उहाले भन्नु भयो सो सम्मेलन 'नेपालको आदिवासी जनजातिहरुको आन्दोलनलाई कम्जोर बनाउने षडयन्त्र हो।' http://youtu.be/j8GXlmSBbbk