ভিভিআইপি হেলিকপ্টার কেনাবেচার দুর্নীতি তদন্তে ভারতকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে একথা জানালেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান,দুর্নীতি রুখতে ব্রিটেনে কড়া আইন থাকায় এক্ষেত্রে অপরাধী রেহাই পাবে না।
অগস্টা ওয়েস্টল্যান্ড সংস্থার সঙ্গে হেলিকপ্টার কেনার চুক্তি নিয়ে বিপাকে কেন্দ্র। সিবিআই তদন্তের সঙ্গেই সরকার এবারে ওই চুক্তি বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে। এবারে সেই দুর্নীতি বিতর্ক উঠল মনমোহন সিং ও ডেভিড ক্যামেরনের আলোচনায়। যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানালেন, তদন্তে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ক্যামেরন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানান, ঘুষ রুখতে ব্রিটেনে কড়া আইন রয়েছে। ফলে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত ।
প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি সহ একাধিক বিষয় নিয়েও মঙ্গলবার আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের । সন্ত্রাস দমনে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রশ্নে উঠে আসে ২৬/১১-র জঙ্গি হানার প্রসঙ্গও।
আজ সকালেই দিল্লি পৌঁছন ক্যামেরন। আগামিকাল অমৃতসরে যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। অমৃতসরে পৌঁছে জালিয়ানওয়ালাবাগে যেতে পারেন ক্যামেরন। যেতে পারেন স্বর্ণমন্দিরেও। ইতিমধ্যেই জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ক্যামেরনের ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছে জালিয়ানওয়ালাবাগ শহীদ পরিবার সমিতি। এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে অমৃতসরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
তিনদিনের ভারত সফরে গতকালই মুম্বই পৌঁছন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
সরকারি কর্মীদের বেতন কাটা ও কর্মজীবনে ছেদের হুঁশিয়ারি। ব্যবসায়ীদের হুমকি। পরিবহণ সংগঠনগুলিকে টোপ। এগারোটি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারির ধর্মঘট ব্যর্থ করতে ছল-বল-কৌশল, কোনও উপায়ই বাদ রাখছে না রাজ্য সরকার। এগারোটি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘট ব্যর্থ করতে যুদ্ধং দেহী মনোভাবে রাজ্য সরকার।
সোমবারই নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মঙ্গলবারই তা বদলে গেল হুমকিতে। মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল, ধর্মঘটের দিন দোকান না খুললে ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে। সেই সিদ্ধান্তের কথা যে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধর্মঘট ঠেকাতে বেসরকারি পরিবহণ মালিকদের নিরাপত্তার আশ্বাসের পাশাপাশি বিমার টাকা পাইয়ে দেওয়ার টোপও দেওয়া হয়েছে। একই টোপ দেওয়া হল লাক্সারি ট্যাক্সি সংগঠনকেও। তবে এত আশ্বাসের পরেও, বাস-মিনিবাস মালিকরা কিন্তু ধর্মঘটের দিন বাস চালানোর নিশ্চয়তা দেননি।
ধর্মঘটের দিন রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের কোনও ছুটি মঞ্জুর করা হবে না বলে আগেই নির্দেশিকা জারি হয়। মঙ্গলবার, অর্থ দফতরের তরফে জারি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ধর্মঘটের দিন কাজে না এলে বেতন কাটা যাবে। ছেদ পড়বে কর্মজীবনেও। পাশাপাশি, মহাকরণে সরকারি কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলেও সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে সরকারের কর্মচারীদের জন্য নির্দেশিকাটি রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কর্মীদের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী।
শরদিন্দু বিশ্বাসের লেখা আশিস নন্দীকে চিঠি পড়লেই ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যায়।
http://basantipurtimes.blogspot.in/2013/02/ashish-nandys-jaipr-lit-festival-hate.html
Ashish Nandy`s Jaipr lit festival hate campaign against OBC, SC and ST Communities being protested all over Bengal.
Nagraj Chandal BSP Kalayani Ghosh Para...See More
Basantipur Times: Ashish Nandy`s Jaipr lit festival hate campaign against OBC, SC and ST Communities
basantipurtimes.blogspot.in
আশিস নন্দী মহাশয়কে একটি খোলা চিঠি
http://basantipurtimes.blogspot.in/2013/02/blog-post_1456.html
Saradindu Uddipan
আশিস নন্দী মহাশয়কে একটি খোলা চিঠি
আপনাকে ধন্যবাদ আশিস নন্দী মহাশয়। ধন্যবাদ এই কারণে যে আপনি শাসক শ্রেণীর পক্ষ নিয়েও পশ্চিমবঙ্গের আর্থ সামাজিক বিকাশের প্রকৃত সত্যটি উন্মোচন করে দিয়েছেন। জয়পুর করপোরেট সাহিত্য উত্সবে "সংরক্ষন বিরোধী মঞ্চে" আপনি বলেছেন যে, ভারতবর্ষে দুর্নীতির জন্য দায়ী হল এসসি, এস টি ও ওবিসি মানুষেরা । ... গত একশো বছরে এসসি/এসটি ও ওবিসিরা পশ্চিমবঙ্গে শাসন ক্ষমতায় নেই তাই এখানে দুর্নীতি কম। অর্থাৎ আপনি পরিষ্কার করে উল্লেখ করেছেন যে,গত একশো বছর ধরে পশ্চিম বাংলায় এসসি/এসটি ও ওবিসিদের কোন আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হয়নি। ক্ষমতায়ন হয়েছে এই ৩ ক্যাটেগোরির বাইরের মানুষদের। আপনাকে আরো ধন্যবাদ জানানো যেত যদি আপনি এই তালিকার সাথে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও জুড়ে দিতেন। তবেই বাংলার বহুজনকে চিহ্নিত করতে আমাদের সুবিধা হত।
আপনার আলোচনা সূত্র ধরে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন এসে যায় যে, এই ৩ ক্যাটেগোরির বহুজন সমাজের বাইরের মানুষ কারা? এবং বাংলার আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তাদের পরিচয় কি? বা অবস্থান কোথায়?
সেন্সাস, ২০০১ অনুশারে পশ্চিমবঙ্গে এসসি/এসটি ও ওবিসিদের জনসংখ্যাগত অবস্থান নিম্নরূপঃ
এসসি - মোট জনসংখ্যার- ২৩%
এসটি- মোট জনসংখ্যার- ৫.৫%
ওবিসি- মোট জনসংখ্যার- ৬০ % এর বেশী।
ব্রাহ্মণ - মোট জনসংখ্যার- ২ %
কায়স্থ/বদ্দি -মোট জনসংখ্যার- ৩%
অন্যান্য- মোট জনসংখ্যার- ৬.৫%
এখানে অন্যান্য জনসংখ্যার মধ্যে আছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অবাঙ্গালী মানুষেরা। যাদের অধিকাংশই আপনার উল্লেখিত শাসক শ্রেনীর মানুষ নয়। অর্থাৎ নির্দ্বিধায় একথা বলা যায় যে,পশ্চিমবঙ্গের ৯৫% মূলনিবাসী বহুজন বাঙালীর ১০০ বছরের মধ্যে কোন ক্ষমতায়ণ হয়নি। ক্ষমতায়ণ হয়েছে মাত্র ৫% মানুষের, যারা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে অবঙ্গীয়। হয় তারা আনিত,নতুবা অনুপ্রবেশকারী অথবা বহিরাগত। তাই আপনার কথিত ১০০ বছর নয়, বরং পাল যুগ অবসানের পরবর্তী কাল থেকে বাংলার মূলনিবাসী বহুজন কতিপয় অবাঙ্গালী শোষকদের কাছে পদানত,শৃঙ্খলিত অপমানিত।
এখন প্রশ্ন হল, আপনি কোন মাপক শলাকায় জরিপ করে দাবী করলেন যে,বাংলায় অবঙ্গীয় শাসকদের সুশাসনে দুর্নীতি কম। এবং এই অবঙ্গীয়দের সুশাসনে বাংলার মূলনিবাসীরা দুধে-ভাতে প্রতিপালিত হচ্ছে। তাদের সন্তানেরা অপুষ্টি নিয়ে জন্মাচ্ছে না। মহিলারা অ্যানিমিয়াতে ভুগছে না। তাদের সন্তানেরা সুশিক্ষিত উঠছে। এবং অধিকাধিক সুযোগ পেয়ে বাংলাকে শ্মশান থেকে তুলে এনে সোনার বাংলায় রূপায়িত করে ফেলেছে।
আপনি কি বোঝাতে চাইছেন যে, অবঙ্গীয় শাসকেরা যেহেতু মূলনিবাসীদের কাঙ্খিত ক্ষমতায়ানের সব কলস ভর্তি করে দিচ্ছে তাই মূলনিবাসীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ানের কোন প্রয়োজন নেই। তেলা মাথায় বেশী করে তেল ঢাললে সে তেল গড়িয়ে গড়িয়ে পায়ের তলার ধুলোকেও ভিজিয়ে দেবে। এতেই অনায়াশে ভর্তি হয়ে যাবে প্রান্তজনের পেট। কি দরকার এত কিছু বুঝে? কি দরকার এত মাথাব্যাথার। বরং তারা সুশাসনের সুবাতাস নিয়ে মিলেনিয়াম, বিলেনিয়াম, সান সিটি বা ফ্যান সিটিতে ঘুরে বেড়াক। জল-জঙ্গল -জমি বেঁচে দিক। চাষবাসের মত আদিম বৃত্তি ছেড়ে দিয়ে ন্যানো,ফিয়াট বা স্কর্পিওর চাকায় হাওয়া দিক।
রাস্তার পাশে দোকান খুলে বসুক। পিঁয়াজি, ফুলুরি মায় চাউমিন বিক্রি করুক । গ্রামের মেয়েগুলো ঘুঁটে গোবরের আল্পনা ছেড়ে বিউটিপার্লার আর ম্যাসাজ সেন্টারে গিয়ে ট্রেনিং নিক। রাতের বেলা ব্রথেল গুলোতে অতিথিদের আপ্যায়ন করতে শিখুক। উন্নয়নের এটাইতো গতিমুখ। সেটাই যখন তড়িৎ গতিতে তরান্বিত হচ্ছে, তখন মুলনিবাসীদের আলাদা সংরক্ষণ আলাদা করে ক্ষমতায়ানের কোন দরকার নেই!
ধন্য আপনি আশিস নন্দী মহাশয়। ব্রাহ্মন্যবাদীদের সাথে জলচলের সহবস্থানে আপনার এ অমোঘ পরিণতিতে আমরা বিস্মিত নই। বরং এটাই কঙ্খিত। কেননা প্রসাদান্ন ভোগ করা ভৃত্যের কাছে প্রভুর মাহাত্ব কীর্তন নতুন কিছু নয়। দাসত্বের এ এক পুরাতনী বিধান। যেটা আপনি স্বভক্তি তা পালন করেছেন। আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
আমি জানিনা আপনার সমাজতত্ত্বের বিনম্র অধ্যায়নে ইতিহাসের কতটা মূল্য আছে। শোষণ শাসনের কোন নীতি শ্রম এবং উৎপাদক শ্রেণির কাছ থেকে তাদের জীবন-জীবিকা,আত্মপরিচয়,মান-মর্যাদা কেড়ে নিয়ে তাদের অপাঙ্কতেয়,অশুচি করে দেয় তা আপনার আভিধানিক শব্দ সঞ্চয়নের মধ্যে আছে কিনা।
আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে ১৯০৬ সালে মহাত্মা গুরুচাঁদের নেতৃত্বে বাংলা এবং আসামের লেপ্টেন্যান্ট ল্যান্সল টের কাছে একটি তালিকা দিয়ে বাংলার দলিত জাতিসমূহের জন্য ভাগিদারী দাবী করা হয়। সেই তালিকায় বাংলার চন্ডাল সহ যে ৩১ টি জাতির নাম দেওয়া হয়েছিল সেখানে আপনার জাতি তিলি-নবশাখ তালিকা ভুক্ত ছিল। ১৯০৭ সালে আসাম বাংলার জন্য এই আইন কার্যকরী হয়। নেটিভরা শিক্ষা, চাকরী ও রাজকার্যে ভাগিদারী পায়। ১৯০৯ সালের মর্লি মিন্টো সংস্কার আইনে গুরচাঁদের দেখানো এই পথ সারা ভারতবর্ষের জন্য স্বীকার করে নেওয়া হয় এবং ১৯১৯ সালের মন্টেগু চেমস ফোরডের ভারত শাসন আইনে সমগ্র ভারতের জন্য তা কার্যকরী হয়। অর্থাৎ আপনার পূর্ব পুরুষদের শিক্ষা সম্ভব হয়েছিল সংরক্ষণ আইনের জন্যই। আর আপনার এপর্যন্ত অর্জিত সমস্ত সুখ্যাতির প্রতিটি পালকের গোড়া ছিল সংরক্ষিত। কিন্তু,আপনি এখন সংরক্ষণ বিরোধী মঞ্চের প্রধান প্রবক্তা।
বেশ বেশ!
সমগ্র মূলনিবাসীরা আপনাকে দেখে নিয়েছে! যা বোঝার বুঝে নিয়েছে। যা করবার করেছে। কিন্তু আমরা এখনো অনেক উত্তর আপনার কাছ থেকে পাইনি।
আপনি কি আমাদের বুঝিয়ে বলবেন,কোন সুশাসনের কল্যাণে মূলনিবাসীদের সমস্ত সম্পদ, স্থাবর-অস্থাবর,জল-জঙ্গল-জমি মুষ্টিমেয় অবঙ্গীয় শাসকদের হাতে পুঞ্জিভুত হয়? শ্রম এবং উৎপাদক শ্রেণীর পেটের উপর পা দিয়ে পরগাছা, পরভোগীদের স্বেচ্ছাচারের ইমারৎ ওঠে। এবং এই প্রক্রিয়াকে সুশাসন বলে মহিমান্বিত করার জন্য আপনার মত একজন জলচল শূদ্রকে ময়দানে নামানো হয়। সময় পেলে বলবেন। অন্য কোথাও। অন্যখানে। আমরা মূলনিবাসী বঙ্গবাসী এসসি/এস টি,ওবিসি সমাজ আপনাকে গৌড়ীয় সুধা পান করতে দেখে ধন্য হব।
ধন্যবাদান্তে
শরদিন্দু উদ্দীপন
সোনারপুর, কোলকাতা-৭০০১৫০
Basantipur Times: আশিস নন্দী মহাশয়কে একটি খোলা চিঠি
basantipurtimes.blogspot.in
সোমবার তিন দিনের সফরে ভারত আসেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ভারত ও ইংল্যান্ডের প্রতিরক্ষা বিষয়ক বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে দু-দেশের মধ্যে। কিন্তু বৈঠকে খোদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কেন উপস্থিত থাকবেন না, সে নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। ক্যামেরনের সফরসূচি অনুসারে বৈঠক যে সময়ে হওয়ার কথা, সেই সময়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর অন্য বিশেষ কোনও কাজ রয়েছে বলে জানা নেই। তা সত্বেও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অ্যান্টনির অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
অ্যাংলো-ইতালীয় কোম্পানি অগুস্টা ওয়েস্টল্যান্ডকে ১২টি হেলিকপ্টারের বরাত দেওয়া নিয়ে যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়েও ক্যামেরনের সঙ্গে কথা হবে। চপার ঘুষ কাণ্ড নিয়ে তথ্য সহায়তার জন্য ক্যামেরনকে আবেদন করবে ভারত। ঘুষ কেলেঙ্কারির প্রেক্ষিতে চপার চুক্তি বাতিল করা হতে পারে বলে দিন কয়েক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী একে অ্যান্টনি। তবে এই বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয় বলে সোমবারই জানান বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ।
"It is important that we retain some dignity in manner in which we register our protest. It is important. We should not destroy the edifice of India's constitutional governance. But whatever point they have, they must make their point, there are enough avenues available and we are willing to listen," he said.
In what may come as a major embarrassment for the Congress-led ruling coalition at the Centre, a fact sheet prepared by the UPA Government mentions President Pranab Mukherjee's name in the controversial AgustaWestland chopper deal with Italy.
Reports, Friday, said that the deal with Italian defence firm Finmeccanica for supplying 12 choppers for the use of VVIPs was cleared during Pranab Mukherjee's tenure as Defence Minister in 2005.
The government's fact sheet further states that the tender was finalised in 2005 when Pranab Mukherjee was the Defence Minister, and SP Tyagi, now retired, was the Air Chief Marshal.
Amid sharp criticism from the opposition parties, the government has promised that the guilty would not be spared in the scandal involving bribery in the acquisition of expensive helicopters for use by VVIPs.
Defence Minister A.K. Antony had earlier on Wednesday said that strong action will be taken against those found guilty.
"Nobody will be spared whatever may be the consequences," he said.
The copter scam has unfolded with the arrest of the head of a state-controlled Italian aerospace company.
Finmeccanica CEO Giuseppe Orsi, who was arrested on Tuesday in Rome, had been under investigation for months and had denied any wrongdoing in the deal for the sale of 12 Augusta Westland helicopters to India in 2010.
The company is suspected of paying bribes of about Rs 362 crore in India to get orders for helicopters to ferry Indian VVIPs, prompting the government to order a CBI probe.
Enjoy Constitutional Immunity Including Pranab Mukherjee
The UPA government's factsheet on the AgustaWestland helicopter deal can bring embarrassment for the Congress as it categorically states that the tender was finalised in 2005 – a time when President Pranab was the defence minister, Air Chief Marshal SP Tyagi was India Air Force Chief, Wanchoo headed the SPG while Narayanan was the National Security Advisor.
But the CBI seeking to question President Pranab and the two governors seems highly unlikely as they enjoy Constitutional immunity. Apart from the President, two other key decision makers continue to enjoy high office. Wanchoo is now the Governor of Goa while Narayanan is the Governor of West Bengal. Both of them by virtue of being governors enjoy immunity under the Constitution.
Constitutional expert and senior lawyer Prashant Bhushan, however, said that while the three have immunity, they can be questioned. "The President can't be prosecuted while he is in office but he can be questioned and the whole matter can be investigated," Bhushan said.
Meanwhile, Congress MP Sandeep Dikshit said the need for questioning will arise only after an investigation report is out. "The then Defence Minister Pranab Mukherjee holds a Constitutional position. The need for questioning arises only after the probe report is out," Dikshit said.
The Congress in its factsheet has also put the blame on NDA. The Congress has alleged that in 2003, the then National Security Advisor Brajesh Mishra wrote to the then defence secretary that the existing rules were unfair as it allowed only single bidding and that the qualifying height of the choppers should be reduced from 18,000 feet to at least 14,000 feet.
The factsheet says in the initial tender, only Eurocopter was found eligible. In 2003,Brajesh Mishra met the then Prime Minister Atal Bihari Vajpayee, urging him to change the norms to include more bidders. Altitude requirements were brought down from 6,000 to 4,500 metres after that meeting.
Later Brajesh Mishra wrote to the Air Chief Marshal suggesting consultations with the defence secretary. After the UPA came to power, the factsheet says IAF, SPG, NSA and Defence Ministry held consultations and changes in requirements were incorporated.
After the new tender, three companies responded, out of which AgustaWestland was selected. The Cabinet Committee on Security cleared the deal on January 18, 2010.
Surprisingly BJP leader Jaswant Singh, a member of the then Vajpayee cabinet, seemed to be endorseBrajesh Mishra's act. But an alarmed BJP, which wants to take on the Congress in the Budget Session, was quick to distance itself from Jaswant Singh's comments.
Mukherjee, however, enjoys constitutional immunity and may not be probed by the CBI over the murky Chopper deal.
Barring Mukherjee, two more key decision makers in the AgustaWestland helicopter deal were Bharat Vir Wanchoo and MK Narayanan, who are now Governors of Goa and West Bengal respectively but they too, owing to the office they hold, enjoy constitutional immunity.
Wanchoo was the director of the Special Protection Group (SPG) while Narayanan was the National Security Advisor then.
In India, where national elections are due next year, the oppositionBharatiya Janata Party (BJP) lambasted the Congress-led government for not acting sooner over the allegations.
An internal defence ministry investigation last year found no foul play in the purchase of the helicopters, destined for use by India's political elite.
Critics say the government did too little to follow up later media disclosures that the Italian investigation linked India's former air chief S.P. "Shashi" Tyagi and three of his cousins to the alleged bribery. Tyagi denies any wrongdoing.
On Thursday, one of the cousins, Sanjeev "Julie" Tyagi, denied allegations in the Italian arrest warrant that he had taken 100,000 euros in cash bribes and introduced company representatives to the air chief on several occasions to discuss the helicopter deal.
হেলিকপ্টার দুর্নীতির সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখতে আহ্বান জানিয়েছে বিজেপি। ফিনমেচ্চানিকার এ চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার জন্য কোন পরিবারকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে সেটি জানতে চেয়ে বিজেপি সিবিআইকে অনুরোধ করেছে। গাইডো হ্যাশকে নামে এক মধ্যস্থতাকারী দাবি করেছেন, কপ্টার-চুক্তি বাস্তবায়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করা একটি পরিবার ২০০ কোটি টাকা চেয়েছিল। বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাওড়েকরের অভিযোগ, কংগ্রেস আসল বিষয়টি থেকে লোকের নজর ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। কারণ, নির্দিষ্ট পরিবারটিকে তারা আড়াল করতে চায়। বিজেপি দাবি করেছে, এটি সম্ভবত গান্ধী পরিবার। এর আগে বিজেপি এ দুর্নীতির সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সংযোগ রয়েছে কি-না এমন প্রশ্ন তোলে।
শান্তি রক্ষার নামে গুন্ডামিকে প্রশ্রয় |
ভারতীয় গণতন্ত্রে গোষ্ঠীগত দৌরাত্ম্য নিয়মিত ব্যক্তিস্বাধীনতাকে পিষে দেয়। কী কেন্দ্রে, কী রাজ্যে, ভয়কাতর সরকারকে হুমকি দিয়ে স্বাধীনতাহানি ঘটাতে বাধ্য করার ঘটনা ইদানীং আকছার ঘটছে। আশিস নন্দীর সাম্প্রতিক মন্তব্য উপলক্ষে তারই পুনরাবৃত্তি হল। |
আশিস নন্দী বয়সে বড় হলেও কলেজে পড়ার সময় থেকে আমার বন্ধু। সম্প্রতি উত্তর ভারতের কিছু রাজনৈতিক নেতা যখন দুর্নীতি বিষয়ে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের দায়ে এই ভদ্র এবং দরদি পণ্ডিত মানুষটিকে জেলে পোরার জন্য শোরগোল তুললেন, তখন খুবই তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম। তার পর অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের সুবিবেচনায় এই উদ্ভট কুনাট্য চটপট থেমে যায়। কিন্তু এই শোরগোল থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে, যা নিয়ে আমি আলোচনা করতে চাই। তবে তার আগে বলে রাখি, জয়পুর সাহিত্য সম্মেলনে আশিস নন্দী যা বলেছেন বলে সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছি, আমার মনে হয়েছে সেটা একটু অদ্ভুত ধরনের। স্রোতের বিপরীতে কথা বলতে গিয়ে তিনি যেন একটু বেশি বাড়াবাড়ি করেছেন এবং অতিরিক্ত জটিল ভাবে কথাটা বলেছেন। পরে তিনি নিজের কথার মর্ম যে ভাবে 'ব্যাখ্যা' করেছেন, তাতেও বিভ্রান্তি কাটানোর ব্যাপারে খুব একটা সুবিধে হয়নি। যেমন পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এক শতাব্দী যাবৎ উচ্চবর্ণশাসিত এই রাজ্য সি পি এমের জমানায় অন্য অনেক রাজ্যের তুলনায় দুর্নীতিমুক্ত ছিল। এই কথা শুনলে প্রথমত এমন একটা ভুল ধারণা জন্মাতে পারে যে, উচ্চবর্ণের মধ্যে যেন দুর্নীতি কম। কিন্তু তার চেয়েও বড় ব্যাপার হল, তাঁর এই কথাটাই ভুল। পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের মধ্যবর্তী স্তরের আধিকারিকরা প্রধানত উচ্চবর্ণের মানুষ এবং তাঁদের মধ্যে দুর্নীতির প্রকোপ অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। এটা সত্যি যে, পশ্চিমবঙ্গে তিন দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা কমিউনিস্ট পার্টির একেবারে উপরতলার নেতারা, কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে, তুলনায় সৎ। (তাঁদের কারও কারও আত্মীয়স্বজন সম্পর্কে অবশ্য সব সময় কথাটা বলা চলে না।) কিন্তু সে কথা আবার দেশের অন্যান্য রাজ্যের কমিউনিস্ট নেতাদের ক্ষেত্রেও সত্য। এর পিছনে আছে, নেতাদের জাতি বা বর্ণ নয়, তাঁদের দলীয় শৃঙ্খলার ঐতিহাসিক প্রভাব। কিন্তু এক জন পণ্ডিত মানুষ জনপরিসরে একটু অসতর্ক একটা মন্তব্য করেছেন, এমনটা নিতান্ত বিরল নয়। তাই বলে সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে, এটা সম্পূর্ণ বিদঘুটে এবং ভয়ানক ব্যাপার। |
'মুর্দাবাদ'। আশিস নন্দীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বিক্ষোভ। জয়পুর, ২৭ জানুয়ারি। ছবি: পি টি আই |
যে দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই, তার প্রথমটি হল মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। আশিস নন্দীর যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, আমি তার সঙ্গে একমত না হলেও তাঁর সে কথা বলার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে বলেই আমি মনে করি। এটা অবশ্যই উদারনৈতিক চিন্তাধারার পরিচিত অবস্থান, যে উদারতা ইউরোপীয় আলোকপ্রাপ্তি বা এনলাইটেনমেন্টের একটা উত্তরাধিকার। এটা একটু অদ্ভুত বটে যে, আশিস নন্দী (তাঁর উত্তর-আধুনিক অনুগামীদের সঙ্গে) সারা জীবনের জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে ওই এনলাইটেনমেন্ট ধারার তীব্র সমালোচনা করে এসেছেন। ভারতের উদারপন্থীরা অবশ্য জানেন যে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্নে আমাদের সংবিধান বিশেষ উদার নয়। (লক্ষণীয়, সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় সাংবিধানিক অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়ার পরে আশিস নন্দীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে জনসমক্ষে যা খুশি বলার অধিকার বলে ধরে নেওয়া যায় না।) রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, জনজীবনের শৃঙ্খলা, শোভনতা, নৈতিকতা, ইত্যাদি নানা কারণে স্বাধীন মতপ্রকাশের উপর নানা নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়। কোনও একটা মতাদর্শের বা ধর্মের অন্ধ অনুরাগী কোনও চরমপন্থী গোষ্ঠীর যে কোনও একটা বা একদল গুণ্ডা যদি হুমকি দেয় যে, অমুকের কথায় বা লেখায় বা ছবিতে তাদের গোষ্ঠীর মনে 'সম্ভাব্য' আঘাত লাগতে পারে, এবং তার পরিণামে যদি জনজীবনের শান্তিশৃঙ্খলা ব্যাহত হওয়ার সুদূরতম সম্ভাবনাও থাকে, তা হলেই আর দেখতে হবে না বই হোক, চলচ্চিত্র হোক, শিল্পপ্রদর্শনী হোক, সঙ্গে সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যাবে। কী কেন্দ্রে, কী রাজ্যে, ভয়কাতর সরকারকে হুমকি দিয়ে এই ধরনের স্বাধীনতাহানি ঘটাতে বাধ্য করার ঘটনা ইদানীং আকছার ঘটছে, এ ব্যাধি প্রায় মহামারির আকার ধারণ করেছে। ভারতীয় গণতন্ত্রে গোষ্ঠীগত দৌরাত্ম্য নিয়মিত ব্যক্তিস্বাধীনতাকে পিষে দেয়। বিভিন্ন সম্প্রদায় বা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে শান্তিরক্ষার নামে আমরা এই ধরনের দৌরাত্ম্য মেনে নিই, ফলে গুন্ডাদের জিত হয়। দ্বিতীয় বিষয়টি হল ঐতিহাসিক ভাবে অনগ্রসর নিম্নবর্ণ এবং জনজাতির মানুষের মধ্যে দুর্নীতির মাত্রা। বিভিন্ন বর্গের মানুষের চরিত্রে সাধারণ ভাবে অন্তর্নিহিত সততা বা অসততার প্রকোপ যদি সমান বলে ধরে নিই, তা হলেও এটা মানতে হবে যে, এক একটি বর্গের ক্ষেত্রে এক এক রকমের সমস্যা, সুযোগ এবং চাপ কাজ করে, সুতরাং বাস্তব অবস্থায় তাদের মধ্যে নানা গুণ বা দোষের মাত্রা কী দাঁড়াবে, সেটা এক রকম না-ই হতে পারে। মনে করা যাক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক জন শ্বেতাঙ্গ গবেষক পরিসংখ্যানে দেখলেন যে, বড় শহরগুলোয় জনসংখ্যায় কৃষ্ণাঙ্গদের যে অনুপাত,, অপরাধীদের মধ্যে তাঁদের অনুপাত তার চেয়ে বেশি। তিনি এই তথ্য জানালে সেই কারণেই তাঁকে বর্ণবিদ্বেষী বলা ঠিক হবে কি? অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে বর্ণবিদ্বেষের প্রভাব আছে, যার ফলে পুলিশ এবং বিচারকরা অনেক সময়েই কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করে থাকেন। কিন্তু তার পাশাপাশি আর্থিক ও সামাজিক কারণও আছে, যেমন যথাযথ শিক্ষা, উপযুক্ত কর্মসংস্থান বা সুস্থ জীবনযাপনের অন্যান্য সুযোগের অভাব অনেক কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকে অপরাধজগতে ঠেলে দেয়। একই ভাবে, ভারতে নানা আর্থিক ও সামাজিক কারণে বিভিন্ন সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে কখনও কখনও নানা 'দুর্নীতিমূলক' কাজকর্মে যোগ দিতে বা মদত দিতে দেখা যেতে পারে, এমনকী উচ্চবর্ণের তুলনায়ও। এ রকম দুটি সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা যাক: (১) একটা কারণ হল সামাজিক যোগাযোগের তারতম্য। (আশিস নন্দী সম্ভবত এই ব্যাপারটাই বলতে চেয়েছিলেন।) উচ্চবর্ণের মানুষ বহু শতাব্দী যাবৎ ক্ষমতা এবং সুবিধা ভোগ করে এসেছেন। ফলে ঠিক ঠিক জায়গায় ঠিক ঠিক লোক তাঁদের চেনা থাকে, তাই তাঁদের বহু দরকারি সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের চাকরি পেতে, কনট্রাক্ট বা ইজারা পেতে সুবিধে হয়। এটাই তো নেটওয়ার্কের মহিমা। সাধারণ ভাবে নিম্নবর্ণের সেই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক থাকে না। এই অবস্থায় নিম্নবর্ণের এক জন মানুষ উপরে ওঠার সুযোগ পেলে টাকা দিয়ে নেটওয়ার্কের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করতেই পারেন। সেটা দুর্নীতি হিসেবে চিহ্নিত হয়, কিন্তু উচ্চবর্ণের মানুষ যখন নিজের যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে সুবিধে আদায় করেন তখন সচরাচর দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয় না। তা ছাড়া, যথেষ্ট যোগাযোগ না থাকার ফলে নিম্নবর্ণের মানুষের দুর্নীতি ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। এই দ্বিচারিতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া কি জাতপাতের বশীভূত হওয়া? (২) একটা সামাজিক গোষ্ঠী যদি বহু কাল ধরে বঞ্চনা এবং অপমানের শিকার হয়ে থাকে, তা হলে সুশাসনের তুলনায় তারা মর্যাদার রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিতেই পারে। তাই অনেক সময়েই দেখা যায়, নিম্নবর্ণের এক জন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা তাঁর সমবর্ণের মানুষের সমর্থনে একের পর এক নির্বাচনে জয়ী হয়ে চলেছেন। তার কারণ, ওই নেতা গোটা একটা গোষ্ঠীর আত্মসম্মান এবং মর্যাদা বাড়িয়ে তোলার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এমনকী নেতার দুর্নীতিকে হয়তো একটা প্রশ্রয়ের চোখেও দেখা হয়: এত কাল উচ্চবর্ণের লোকেরা সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছে, এ বার 'আমাদের পালা'! উত্তর ভারতে বহু কাল যাবৎ পিছিয়ে থাকা নানা গোষ্ঠী সাম্প্রতিক কালে ক্ষমতার বলয়ে আসতে পেরেছে, সেখানকার রাজনীতিতে এই প্রতীকী গোষ্ঠী-স্বাভিমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। (দক্ষিণ ভারতে আত্মমর্যাদার দাবিতে আন্দোলনের ইতিহাস অনেক বেশি পুরনো, সেখানে নিম্নবর্ণের নেতাদের কাছে প্রতীকী মর্যাদার চেয়ে সুশাসনের দাবি সচরাচর অনেক বেশি।) উত্তরপ্রদেশের ১০২টি বিধানসভা কেন্দ্রের এলাকায় রাজনৈতিক দুর্নীতির এক সমীক্ষা করেছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রোহিণী পান্ডে। প্যারকিয়াল পলিটিক্স: এথনিক প্রেফারেন্সেস অ্যান্ড পলিটিশিয়ানস' করাপশন নামে তাঁদের গবেষণা-প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয় কেনেডি স্কুল ওয়ার্কিং পেপার (হার্ভার্ড, ২০০৯) হিসাবে। তাঁরা দেখিয়েছিলেন, ১৯৮০ থেকে ১৯৯৬, এই সময়ে কেন্দ্রগুলিতে ভোটের জাতপাতভিত্তিক মেরুকরণের মাত্রা বেড়েছিল এবং বিজয়ী প্রার্থীদের গুণমানের (দক্ষতা এবং সততার মাপকাঠিতে) অবনতি ঘটেছিল। তাঁদের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত: রাজনীতিতে জাতিবর্ণভিত্তিক আনুগত্যের প্রভাব যত বাড়ে, রাজনীতিকের গুণগত উৎকর্ষ তত কমে। সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতির কাঠামোর গভীরে নিহিত এই কারণগুলির বিশ্লেষণ করে আমি যতটা বললাম, আশিস নন্দী কিন্তু ততটা বলেননি। আমি কি তবে নিম্নবর্গের মানুষকে আরও বেশি 'আঘাত' করলাম? আশিস নন্দীর সমর্থকদের অনেকে বলেছেন, তিনি তো নিম্নবর্ণের জন্য নানা ক্ষেত্রে আসন সংরক্ষণের নীতি সমর্থন করেন, তাই তিনি কী করে নিম্নজাতি-বিদ্বেষী হবেন? কিন্তু আমি তো আবার এই ধরনের সংরক্ষণের প্রশ্নহীন সমর্থক নই। (দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সম্পদের আরও বেশি পুনর্বণ্টন আমি চাই, কিন্তু সংরক্ষণই তার শ্রেষ্ঠ উপায়, এমনটা আমার মতে না-ও হতে পারে।) তা হলে আশিস নন্দীর যে রক্ষাকবচটুকু আছে, আমার তো তা-ও নেই। |
সৌজন্য: 'আইডিয়াজ ফর ইন্ডিয়া' (ব্লগ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়া, বার্কলে'তে অর্থনীতির শিক্ষক http://www.anandabazar.com/19edit3.html http://mohallalive.com/2013/02/18/defense-scandal-president-and-impeachment/ रक्षा घोटाले में राष्ट्रपति का नाम, महाभियोग लगेगा?♦ पलाश विश्वास पहली बार रक्षा घोटाले में भारत के राष्ट्रपति का नाम, इस राष्ट्रपति के खिलाफ महाभियोग क्यों नहीं? हेलीकॉप्टर खरीद घोटाले पर यूपीए सरकार की फैक्टशीट में कहा गया है कि टेंडर पर 2005 में मुहर लगी, उस समय प्रणब मुखर्जी रक्षा मंत्री और एसपी त्यागी वायुसेना प्रमुख (अब सेवानिवृत्त) थे। कोलकाता में राष्ट्रपति बनने पर राष्ट्रपति भवन तक अपना पूजा मंदिर ले जाने, दिनचर्या की शुरुआत चंडीपाठ से करने और दुर्गापूजा की पुरोहिती स्वयं करने जैसी खबरें मीडिया बारीक सी बारीक जानकारी के साथ देता है। पर जिस तरह कोलकाता में आशीष नंदी के जयपुर वक्तव्य के विरुद्ध बंगाल के तीस संगठनों की धिक्कार सभा की खबर कहीं नहीं आयी, उसी तरह हेलीकाप्टर घोटले की खबरों में बंगाल में कहीं प्रणव मुखर्जी का नाम नहीं आया। इसी बंगाल से इराक में युद्ध अपराध के लिए तत्कालीन राष्ट्रपति बुश के खिलाफ महाभियोग लगाने की मांग गूंजती रही है, तो अपने ही देश के राष्ट्रपति के रक्षा घोटाले में शामिल होने पर उनके खिलाफ महाभियोग लाने की मांग उठाना लोग कैसे भूल रहे हैं? आशीष नंदी ने दावा किाया था कि बंगाल में सत्ता में चूंकि ओबीसी, अनुसूचित जातियों और जनजातियों को सौ सालों में सत्ता में हिस्सेदारी नहीं मिली, इसीलिए उन्होंने बंगाल को भ्रष्टाचार मुक्त बताया और इसी उदाहरण के साथ देश भर में पिछड़ों और अनुसूचितों के बहुजन समाज को सबसे ज्यादा भ्रष्ट बताया। एकतरफा इस वाक स्वाधीनता के पक्ष में पूरा मीडिया और सिविल सोसाइटी की गोलबंदी हो गयी। लेकिन बंगाल में बहुजनों को सत्ता से बाहर रखने की परंपरा पर किसी ने बहस में दिलचस्पी नहीं दिखायी। बंगाल में तो नंदी को तेली शंखकार बताकर सत्तावर्ग से ही खारिज कर दिया गया। सच बोलने के अपराध में। अब जनता से सूचनाएं कैसे छुपा कर ब्राह्मणवादी वर्चस्व बनाये रखा जाता है, हेलीकाप्टर घोटाले के सिलसिले में प्रणव मुखर्जी का नामोल्लेख तक बंगाल के मीडिया में न होने देना इसका ज्वलंत प्रमाण है। इसी वर्चस्ववाद की वजह से ही इतने बड़े घोटाले में पहली बार किसी राष्ट्रपति का नाम होने के बावजूद उनकी इम्युनिटी का बहाना बनाया जा रहा है। भारतीय संविधान में महाभियोग का प्रावधान है। यह देश अब हर मामले में अमेरिका का अनुकरण करता है तो अमेरिकी राष्ट्रपतियों के खिलाफ अक्सर चलनेवाले महाभियोग से सीख लेते हुए गणतंत्र के प्रति राजनीति और सत्ता की जवाबदारी क्यों नहीं साबित की जाती। संघ परिवार के मनुस्मृति शासन की दृष्टि से राष्ट्रपति न सिर्फ देश का प्रथम नागरिक है, बल्कि वह धर्मरक्षक और प्रधान धर्माधिकारी हैं। रक्षा घोटाले के सिलसिले में फर्स्ट फेमिली को घेरने की कवायद में लगे संघ परिवार ने एक बार भी राष्ट्रपति का नाम नहीं लिया। कानून के मुताबिक कोई सरकारी एजेंसी राष्ट्रपति के खिलाफ जांच नहीं कर सकती, उन्हें इम्युनिटी मिली हुई है। राष्ट्र की प्रतिष्ठा का सवाल है तो बोफोर्स प्रकरण को याद करें जिसमें लगातार एक प्रधानमंत्री पर आरोप लगते रहे हैं। अगर संसदीय गणतंत्र के तहत सरकार के प्रधान प्रधानमंत्री के खिलाफ जांच की मांग हो सकती है तो राष्ट्राध्यक्ष के खिलाफ कानूनी सीमाओं को देखते हुए महाभियोग क्यों नहीं चलाया जा सकता? भारत में राष्ट्रपति के खिलाफ महाभियोग ससद के किसी भी सदन में लाया जा सकता है। महाभियोग लाने के लिए संबंधित सदन के मात्र एक चौथाई सदस्यों का समर्थन चाहिए और इसके लिए चौदह दिनों का नोटिस देना पड़ता है। अल्पमत सरकार की स्थिति में विपक्ष के लिए यह कोई मुश्किल बात नहीं है। पर बिल्ली के गले में घंटी बांधेगा कौन, जबकि मुख्य विपक्षी दल राष्ट्रपति का नाम तक नहीं ले रहा है, तब भी जबकि घोटाले की सरकारी फैक्ट शीट में राष्ट्रपति का नाम है! प्रणव मुख्रर्जी ही देश के समाजवादी मॉडल के मुक्त बाजार व्यवस्था में संक्रमण के वास्तविक सेतु हैं। राष्ट्रपति बनने से पहले आर्थिक सुधार की नीतियों को लागू करने और अल्पमत सरकार के लिए संसद में जरूरी कानून पास कराने में उनकी महती भूमिका रही है। इसके बावजूद आर्थिक सुधारों का विरोध करने वाली तमाम पार्टियों ने कारपोरेट घराने की लाबिइंग के बीच उनका समर्थन किया। बंगाल में एक दूसरे को खत्म करने में लगे और जनता को इस गृहयुद्ध में भुनने वाली पक्ष-विपक्ष की राजनीति बंगाल की ब्राह्मण संतान को राष्ट्रपति बनाने के लिए एकाकार हो गयी। संयुक्त राष्ट्र अमरीका के संविधान के अनुसार उस देश के राष्ट्रपति, सहकारी राष्ट्रपति तथा अन्य सब राज्य पदाधिकारी अपने पद से तभी हटाये जा सकेंगे, जब उनपर राजद्रोह, घूस तथा अन्य किसी प्रकार के विशेष दुराचारण का आरोप महाभियोग द्वारा सिद्ध हो जाए (धारा 2, अधिनियम 4)। अमरीका के विभिन्न राज्यों में महाभियोग का स्वरूप और आधार भिन्न भिन्न रूप में है। प्रत्येक राज्य ने अपने कर्मचारियों के लिए महाभियोग संबंधी भिन्न भिन्न नियम बनाये हैं, किंतु नौ राज्यों में महाभियोग चलाने के लिए कोई कारण विशेष नहीं प्रतिपादित किये गये हैं अर्थात किसी भी आधार पर महाभियोग चल सकता है। न्यूयार्क राज्य में 1613 ई में वहां के गवर्नर विलियम सुल्जर पर महाभियोग चलाकर उन्हें पदच्युत किया गया था और आश्चर्य की बात यह है कि अभियोग के कारण श्री सुल्जर के गवर्नर पद ग्रहण करने के पूर्व काल से संबंधित थे। इंग्लैंड एवं अमरीका में महाभियोग क्रिया में एक अन्य मान्य अंतर है। इंग्लैंड में महाभियोग की पूर्ति के पश्चात क्या दंड दिया जाएगा, इसकी कोई निश्चित सीमा नहीं, किंतु अमरीका में संविधानानुसार निश्चित है कि महाभियोग पूर्ण हो चुकने पर व्यक्ति को पदच्युत किया जा सकता है तथा यह भी निश्चित किया जा सकता है कि भविष्य में वह किसी गौरवयुक्त पद ग्रहण करने का अधिकारी न रहेगा। इसके अतिरिक्त और कोई दंड नहीं दिया जा सकता। यह अवश्य है कि महाभियोग के बाद भी व्यक्ति को देश की साधारण विधि के अनुसार न्यायालय से अपराध का दंड स्वीकार कर भोगना होता है। (पलाश विश्वास। पत्रकार, सामाजिक कार्यकर्ता, आंदोलनकर्मी। आजीवन संघर्षरत रहना और सबसे दुर्बल की आवाज बनना ही पलाश विश्वास का परिचय है। हिंदी में पत्रकारिता करते हैं, अंग्रेजी के पॉपुलर ब्लॉगर हैं। अमेरिका से सावधान उपन्यास के लेखक। अमर उजाला समेत कई अखबारों से होते हुए अब जनसत्ता कोलकाता में ठौर। उनसे palashbiswaskl@gmail.com पर संपर्क करें।) सच्चर आयोग की तरह एक और आयोग का गठन करके क्यों नहीं बताते कि आखिर बंगाल में विकास किसका हुआ और किसका नहीं! पलाश विश्वास आप जरा सुप्रीम कोर्ट के न्यायाधीश की अध्यक्षता में सच्चर आयोग की तरह एक और आयोग गढ़ दें जो पता करें कि बंगाल में किसकिसका कितना विकास हुआ और किस किस का नहीं हुआ।ऐसे सर्वे से बंगाल में जंगल महल और पहाड़ की असली समस्या के बारे में खुलासा हो जायेगा और हम जैसे लोग मिथ्या भ्रम नहीं फैला पायेंगे। आयोग यह जांच करे कि बंगाल में ओबीसी जातियां कौन कौन सी हैं और उनका कितना विकास हुआ। अनुसूचितों और अल्पसंख्यकों का कितना विकास हुआ और बंगाल में बड़ी संख्या में रह रहे गैर बंगालियों का कितना विकास हुआ। सांच को आंच नहीं। हम सच उजागर होने पर अपना तमाम लिखा वापस ले लेंगे। जगतविख्यात समाजशास्त्री आशीष नंदी ने जो कहा कि भारत में ओबीसी, अनुसूचित जातियों और अनुसूचित जनजातियों के सशक्तीकरण से ही भ्रष्टाचार बढ़ा, उसे लेकर विवाद अभी थमा नहीं। राजनीतिक आरक्षण से सत्ता की मलाई चाट रहे लोग सबसे ज्यादा विरोध कर रहे हैं तो कारपोरेट भ्रष्टाचार और अबाध पूंजी प्रवाह, बायोमेट्रिक नागरिकता और गैरकानूनी डिजिटल आधार ककार्ड योजना के जरिये जल जंगल जमीन से इन लोगों की बोदखली के खिलाफ राजनीतिक संरक्षण के मसीहा खामोश हैं तो सिविल सोसाइटी का आंदोलन सिर्फ इसलिए है कि अश्वमेध की नरसंहार संस्कृति के लिए सर्वदलीय सहमति से संविधान, कानून और लोकतंत्र की हत्या के दरम्यान मुद्दों को भटकाने का काम हो। सिविल सोसाइटी का आंदोलन आरक्षण विरोधी है तो कारपोरेट जयपुर साहित्य उत्सव को ही आरक्षण विरोधी मंच में तब्दील कर दिया आशीष बाबू ने और इसे वाक् स्वतंत्रता बताकर सिविल सोसाइटी उनके मलाईदार विरोधियों की तरह ही मैदान में जम गये हैं। राजनीति को सत्ता समीकरण ही नजर आता है और अपने अपने समीकरण के मुताबिक लोग बोल रहे हैं। वाक् स्वतंत्रता तो समर्थ शासक वर्ग को ही है, बाकी लोगों की स्वतंत्रता का नजारा या तो कश्मीर है या फिर मणिपुर और समूचा उत्तर पूर्व भारत , या फिर सलवा जुड़ुम की तरह रंग बिरंगे अभियानों के तहत राष्ट्र के घोषित युद्ध में मारे जा रहे लोगों का युद्धस्थल दंडकारण्य या देश का कोई भी आदिवासी इलाका। वाक् स्वाधीनता का मतलब तो बारह साल से सशस्त्र बल विशेषाधिकार कानून के विरोध में आमरण अनशन पर बैठी इरोम शर्मिला या पुलिसियाजुल्म के खिलाफ एकदम अकेली लड़ रही सोनी सोरी से पूछा जाना चाहिए। बहरहाल, इस विवाद से परे आशीष बाबू ने हमारा बड़ा उपकार किया है , जैसा कि आनंदबाजार के विस्तृत रपट के मुताबिक उन्होंने जयपुर के उस उत्सव में अपने विवादित वक्तव्य के समर्थन में कह दिया कह दिया कि बंगाल में भ्रष्टाचार नाममात्र है क्योंकि बंगाल में पिछले सौ साल से ओबीसी, अनुसूचित जनजतियों और अनुसूचित जातियों को सत्ता में हिस्सेदारी मिली ही नहीं। आजकल मुझे बांग्ला में नियमित लिखना होता है। उनके इस मंतव्य पर जब हमने लिखा कि यह तो हम बार बार कहते हैं। इसपर हमें तो जातिवादी कह दिया जाता है , पर बंगाल के ब्राह्मणतंत्र को जारी रखने के इतिहास, भूगोल, अर्थशास्त्र और राजनीति के बारे में क्या कहेंगे इसजातिवादी आधिपात्यवाद और वर्चस्व का विरोध करना ही क्या जातिवाद है? सत्तावर्ग के किसी प्रतिष्ठित व्यक्ति ने अपनी अवधारणा के सबूत बतौर यह सच पहली बार कबूल किया वरना बंगाल में तो जाति उन्मूलन का दावा करने से लोग अघाते ही नहीं है। गायपट्टी अभी मध्ययुग के सामंती व्यवस्था में जी रहा है और वहीं जात पाँत की राजनीति होती है, यही कहा जाता है। राजनीति में सत्ता में हिस्से दारी में जो मुखर हैं, उनके अलावा ओबीसी और अनुसूचित जातियों की बहुसंख्य जनता इस मुद्दे पर खामोश हैं क्योंकि हजारों साल से अस्पृश्यता का दंश झेलने के बाद इस तरह के लांछन से उन्हें कोई फर्क नहीं पड़ता और न ही वे किसीतरह के भ्रष्टाचार में लिप्त हैं ज उन्हें अपनी ओर से मलाईदार लोगों की तरह सफाई देने की जरुरत है। वे तो मारे जाने के लिए चुने हुए लोग हैं और उत्तर आधुनिक तकनीकें उनका बखूब सफाया कर रहे हैं। इन समुदायों में देश की ज्यादातर किसान जातियां हैं , जिनकी नैसर्गिक आजीविका खेती का सत्यानाश कर दिया गया, ऊपर से जल जंगल जमीन , नागरिकता और मानवाधिकार से उन्हें वंचित, बेदखल कर दिया जा रहा है। उनके सामने तीन ही विकल्प हैं: या तो निहत्था इस महाभारत में मारे जायें, अश्वमेध यज्ञ में परम भक्ति भाव से अपनी बलि चढ़ा दें, या आत्महत्या कर लें या अंततः प्रतिरोध करें। ऐसा ही हो रहा है। बंगाल में हमारे लिखे की कड़ी प्रतिक्रिया है रही है। कहा जा रहा है कि बंगाल में ओबीसी और अनुसूचित बाकी देश से आर्थिक रुप से ज्यादा संपन्न हैं तो उन्हें जात पाँत की राजनीति करके सत्ता में हिस्सेदारी क्यों चाहिए। कहा जा रहा है कि भारत भर में बंगाली शरणार्थी महज पांच लाख हैं और उनमें से भी साठ फीसद सवर्ण। माध्यमों और आंकड़ों पर उन्हीका वर्चस्व है और कुछ भी कह सकते हैं। पर दबे हुए लोग भी बगावत करते हैं। परिवर्तन के बाद पहाड़ और जंगलमहल में अमन चैन लौटने के बड़े बड़े दावा किये जाते रहे हैं। कल दार्जिलिंग में यह गुब्बारा मुख्यमंत्री ममता बनर्जी के सामने ही फूट गया और लोग गोरखालैंड के नारे लगाने लगे। खतरा तो यह है कि जंगल महल में भी कभी भी ऐसा ही विस्फोट हो सकता है। राजनीतिक शतरंज बिछाकर अपने चहेते चेहरे नेतृत्व में लाकर समस्याओं का निदान नहीं होता।समस्याओं से नजर भले हट जाये, समस्याएं जस की तस बनी रहती हैं।गौरतलब है कि जिन समुदायों के आर्थिक सशक्तीकरण का दावा किया जाता है, समस्याग्रस्त इलाकों में उन्हीकी आबादी ज्यादा है। यह सर्वविदित है कि देशभर में आदिवासियों के पांचवीं अनुसूची और छठीं अनुसूची के तहत दिये जाने वाले अधिकारों से कैसे वंचित किया जाता है। इस सिलसिले में हमारा विनम्र निवेदन है कि जैसे सच्चर कमिटी की रपट से बंगाल में सत्ताइस फीसदी मुसलमानों की दुर्गति का खुलासा हुआ और जनांदोलन में चाहे जिनका हाथ हो या चाहे जिनका नेतृत्व हो, इस वोट बैंक के बगावती तेवर के बिना बंगाल में परिवर्तन असंभव था। पहाड़ और जंगल महल में आक्रोश के बिना भी बंगाल में न परिवर्तन होता और न मां माटी मानुष की सरकार बनतीष हम मान लेते हैं कि बंगाल में जाति उन्मूलन हो गया। यह भी मान लेते हैं कि मध्ययुग में जी रहे गायपट्टी की तरह बंगाल में किसी सामाजिक बदलाव की जरुरत ही नहीं रह गयी।सत्ता में भागेदारी के बिना सबका समान विकास हो गया और बाकी देश के मुकाबले बंगाल दूध का धुला है। आप जरा सुप्रीम कोर्ट के न्यायाधीश की अध्यक्षता में सच्चर आयोग की तरह एक और आयोग गढ़ दें जो पता करें कि बंगाल में किसकिसका कितना विकास हुआ और किस किस का नहीं हुआ।ऐसे सर्वे से बंगाल में जंगल महल और पहाड़ की असली समस्या के बारे में खुलासा हो जायेगा और हम जैसे लोग मिथ्या भ्रम नहीं फैला पायेंगे। आयोग यह जांच करे कि बंगाल में ओबीसी जातियां कौन कौन सी हैं और उनका कितना विकास हुआ। अनुसूचितों और अल्पसंख्यकों का कितना विकास हुआ और बंगाल में बड़ी संख्या में रह रहे गैर बंगालियों का कितना विकास हुआ। सांच को आंच नहीं। हम सच उजागर होने पर अपना तमाम लिखा वापस ले लेंगे। कांग्रेस राज्य में १९७७ से सत्ता से बाहर है और उसके सत्ता से बाहर होने के बाद पहाड़ और जंगल महल में समस्याएं भड़क उठीं। बंगाल के सबसे बुजुर्ग कांग्रेस नेता देश के राष्ट्रपति हैं।कांग्रेस केंद्र में सत्ता में है। पहाड़ और जंगल महल की समस्याएं निपटाने में मुख्य दायित्व भी कांग्रेस का ही बनता है। तो बंगाल से कांग्रेस केंद्रीय मंत्री अधीर चौधरी और श्रीमती दीपा दासमुंशी, बंगाल कांग्रेस के नेता प्रदीप भट्टाचार्य और मानस भुइयां इसके लिए प्रयास तो कर ही सकते हैं। इससे कांग्रेस के भी हित सधेंगे। जयपुर साहित्य महोत्सव के दौरान विवादित बयान देने वाले समाजशास्त्री आशीष नंदी से पूछताछ हो सकती है। जयपुर पुलिस की एक टीम पूछताछ के लिए दिल्ली पहुंच चुकी है। इस बीच राजस्थान हाईकोर्ट ने मंगलवार को साहित्य महोत्सव के आयोजक संजय रॉय की तुरंत गिरफ्तारी पर रोक लगा दी है। कोर्ट ने रॉय को जयपुर से जाने की भी इजाजत दे दी है। लेकिन कोर्ट ने यह भी कहा है कि जब पुलिस बुलाए तब रॉय हाजिर हों। जयपुर पुलिस ने सोमवार को आशीष नंदी और संजय रॉय को नोटिस भेजे थे। दोनों के खिलाफ जयपुर के अशोक नगर थाने में एससी/एसटी एक्ट के तहत केस दर्ज किया गया है। अगर नंदी दोषी पाए जाते हैं तो उन्हें 10 साल तक की सजा हो सकती है। डीसीपी प्रहलाद कृष्नैया के नेतृत्व में जयपुर पुलिस की टीम नंदी और अन्य के बयान दर्ज करेगी। नंदी ने साहित्य महोत्सव में रिपब्लिक ऑफ आइडियाज सेशन के दौरान दलितों को लेकर विवादित बयान दिया था। कृष्नैया ने बताया कि हम यह समझने की कोशिश करेंगे कि नंदी ने किस संदर्भ में बयान दिया है। पुलिस ने सोमवार को नंदी के दिल्ली स्थित आवास पर नोटिस भेजा था जिसमें उन्हें जांच में सहयोग करने के लिए कहा गया था। जबकि नंदी ने मंगलवार को कहा था कि उन्हें कोई नोटिस नहीं मिला है। वह अपने बयान पर कायम हैं और इसके लिए जेल जाने को भी तैयार हैं। इधर, पश्चिम बंगाल की मुख्यमंत्री ममता बनर्जी ने कहा है कि दार्जिलिंग पर्वतीय क्षेत्र राज्य का हिस्सा बना रहेगा। दूसरी ओर, गोरखा जनमुक्ति मोर्चा समर्थकों ने उत्तर बंगाल उत्सव के उद्घाटन के दौरान अलग राज्य की मांग के पक्ष में नारे लगाए, जिससे ममता बिफर पड़ीं।ममता ने कहा कि दार्जिलिंग बंगाल का एक हिस्सा है और हम एक साथ रहेंगे। अब और कोई अशांति नहीं होनी चाहिए क्योंकि यह फिर विकास को बाधित करेगी। इस कार्यक्रम में जीजेएम अध्यक्ष और गोरखालैंड क्षेत्रीय प्राधिकरण के मुख्य कार्यकारी बिमल गुरूंग भी मौजूद थे। उनकी मौजूदगी में उनके समर्थकों के इस हरकत से ममता नाराज दिखीं। उन्होंने प्रदर्शनकारियों को चेताया कि इस तरह के राजनीतिक नारे नहीं लगाएं। उन्होंने कहा कि वे अपने पार्टी मंचों पर ये नारे लगाएं।ममता ने सुंदर मॉल में एक रंगारंग कार्यक्रम में कहा, 'आए हम मिल जुल कर रहें। दार्जिलिंग बंगाल का एक हिस्सा है और हम एक साथ रहेंगे।' इस कार्यक्रम में जीजेएम अध्यक्ष एवं गोरखालैंड क्षेत्रीय प्राधिकरण (जीटीए) मुख्य कार्यकारी विमल गुरुंग भी उपस्थित थे। ममता ने लोगों को संबोधित करते हुए कहा, 'अब और कोई अशांति नहीं होनी चाहिए क्योंकि यह फिर विकास को बाधित करेगी।'लेकिन मुख्यमंत्री के संक्षिप्त संबोधन के अंतिम चरण में जीजेएम समर्थकों के एक हिस्से ने नारे लगाए और गोरखालैंड के निर्माण की मांग करने वाले पोस्टर प्रदर्शित किए। इन से ममता नाराज दिखीं। वह उठ खड़ी हुईं और प्रदर्शनकारियों को चेताया कि वे इस कार्यक्रम में इस तरह के राजनीतिक नारे नहीं लगाएं। उन्होंने कहा कि वे अपने पार्टी मंचों पर ए नारे लगाएं। ममता ने कहा, 'कृपया याद रखें कि यह कोई पार्टी कार्यक्रम नहीं है। यह सरकारी कार्यक्रम है। मैं ऐसे मुद्दों पर बहुत सख्त हूं।' मुख्यमंत्री ने कहा, 'कृपया गलत संदेश नहीं दें ताकि लोग समझे कि दार्जिलिंग फिर परेशानी में जाने वाला है।' ममता जब ये बातें कह रही थी, गुरूंग मंच पर उनके बगल में बैठे थे। इसके बाद मुख्यमंत्री मंच से उतर गईं और दर्शकों के साथ बैठने गई जबकि जीजेएम समर्थक अपने हरे, सफेद और पीले रंग के पार्टी झंडा लहराते रहे। इस बीच तेलंगाना राज्य के लिए केंद्र सरकार और आंध्र प्रदेश के क्षेत्रीय नेताओं के बीच चल रही रस्साकशी के बीच गोरखा जनमुक्ति मोर्चा (जीजेएम) ने पश्चिम बंगाल से अलग गोरखालैंड राज्य की मांग को लेकर सोमवार को दिल्ली के जंतर मंतर पर प्रदर्शन किया। सैकड़ों जीजेएम कार्यकर्ता तख्तियां और बैनर लिए हुए सुबह से ही प्रदर्शन कर रहे हैं।प्रदर्शन में पश्चिम बंगाल विधानसभा के तीन जीजेएम सदस्यों के अलावा संगठन की महिला, छात्र व युवा इकाइयों के सदस्य भी शामिल हैं। गोरखालैंड राज्य की मांग को दशकों पुरानी मांग बताते हुए जीजेएम के महासचिव रोशन गिरि ने कहा कि केंद्र सरकार को तेलंगाना के साथ गोरखालैंड के मुद्दे पर भी विचार करना चाहिए। गिरि ने कहा, "गोरखालैंड की मांग पहली बार आजादी से 40 साल पहले 1907 में उठाई गई थी। लेकिन केंद्र सरकार हमारी मांग पर विचार करने को तैयार नहीं है। वह केवल तेलंगाना पर विचार कर रही है। हमारी मांग है कि गोरखालैंड पर भी विचार किया जाए।" उन्होंने कहा, "हम निष्क्रिय होकर नहीं बैठेंगे। हम पर्वतीय अंचलों और दार्जिलिंग के तराई इलाकों में बड़े पैमाने पर आंदोलन शुरू करेंगे।" ज्ञात हो कि उत्तरी पश्चिम बंगाल के पर्वतीय क्षेत्र को अलग राज्य के लिए किए गए आंदोलनों में पिछले दो दशकों के दौरान कई लोग जान गंवा चुके हैं और क्षेत्र में आय के प्रमुख साधन चाय व लड़की उद्योग तथा पर्यटन पर इसका बुरा असर पड़ा है। पिछले वर्ष त्रिपक्षीय समझौते के बाद गठित गोरखालैंड क्षेत्रीय प्रशासन (जीटीए) पर जीजेएम का कब्जा है। पिछले वर्ष जुलाई में हुए जीटीए के चुनाव में इस संगठन को एकतरफा जीत मिली थी। गिरि ने कहा कि जीटीए समझौते पर हस्ताक्षर के समय भी जीजेएम ने गोरखालैंड राज्य की मांग नहीं छोड़ी थी। उल्लेखनीय है कि जीजेएम के नेताओं ने इससे पहले 11 जनवरी को केंद्रीय गृह मंत्री सुशील कुमार शिंदे से मुलाकात की थी और मांग पर जोर दिया था। अखिल भारतीय गोरखालीग के सचिव प्रताप खाती ने मंगलवार को कहा कि हमें तेलंगाना से कोई मतलब नहीं है, गोरखाओं को गोरखालैंड चाहिए। हमें अलग राज्य का विकल्प मंजूर नहीं है। यह स्वाभिमान व संस्कृति से जुड़ा मुद्दा है। इसे छोड़ा नहीं जा सकता। उन्होंने आरोप लगाया कि गोरखालैंड के नाम पर चुनाव जीतने वाले ही इस मुद्दे को भूल बैठे। विधायक व सांसद ने गोरखालैंड के लिए कुछ नहीं किया। जीटीए को राज्य का समतुल्य मानकर लोगों को गुमराह किया जा रहा है। हालत यह है कि जीटीए के नाम पर अभी तक खाता तक नहीं खुला है। डीएम के खाते के सहारे हीं सारे कार्य हो रहे हैं। जीटीए ही गोरखालैंड के लिए वास्तविक बाधा है। गोजमुमो पर आरोप लगाया कि जीटीए में अभी तक अलग राज्य के लिए प्रस्ताव तक पारित नहीं हुआ है। इससे गोजमुमो की वास्तविकता का पता चलता है। यहां की जनता को गुमराह किया जा रहा है। गोजमुमो के आंदोलन को दिखावा बताया। इसे लालबत्ती कायम रखने के लिए राजनीतिक नौटंकी करार दिया। उन्होंने गोजमुमो को जीटीए खारिज करने की चुनौती दे डाली। सभी प्रतिनिधि अपने पद से शीघ्र इस्तीफा देकर सड़क पर आएं। कहा कि सुविधा और आंदोलन साथ-साथ नहीं हो सकते। अलग राज्य आसानी से मिलने वाला नहीं है। यहां के बुद्धिजीवियों से आगे आने का आह्वान किया। कहा कि वे हीं आंदोलन को सही दिशा दे सकते हैं। आरोप लगाया कि यहां का वास्तविक इतिहास व भूगोल से देश को अवगत नहीं कराया गया है। मुख्य राजनीतिक दल का कर्तव्य का निर्वाह करने में गोजमुमो असफल रहा है। यहां के दस्तावेज को सही तरीके से प्रस्तुत करना होगा। यहां के राजीनीतिक दलों के दो चेहरे हैं। 107 वर्षो से गोरखालैंड की मांग की जा रही है। गोरखा जनमुक्ति मोर्चा तथ्यों व व्यवहारिक आधार पर गोरखालैंड की मांग कर रही है। यह समय व परिस्थिति की मांग है। कर्सियांग में उक्त बातें स्टडी फोरम के सदस्य पी अर्जुन ने कही। उन्होंने मोटर स्टैंड में महकमा समिति द्वारा आयोजित जनसभा को संबोधित करते हुए कहा कि विरोधी गोजमुमो पर आधारहीन व निराधार आरोप लगाते रहे हैं। गोजमुमो ने गोरखालैंड की मांग को बिना त्याग किए जीटीए स्वीकार किया था। यह एक क्षेत्रीय व्यवस्था है। इसके जरिए स्थानीय समस्याओं का समाधान किया जा सकता है। गोरखालैंड एक राष्ट्रीय विषय है। यह गोरखाओं के अस्तित्व व पहचान जुड़ा मसला है। पश्चिम बंगाल सरकार द्वारा गोरखालैंड के विरोध पर हम सतर्क हैं। जीटीए समझौता में रोशन गिरि ने हस्ताक्षर किया। जीटीए संविधान के तहत नहीं है। इसे किसी भी समय विमल गुरुंग के आदेश से खारिज किया जा सकता है। जीटीए सूबे के मुख्यमंत्री ममता बनर्जी की सक्रियता से मिला है। जनता के अनुरोध पर जीटीए प्रमुख का दायित्व विमल गुरुंग ने संभाला है। गोजमुमो का लक्ष्य गोरखालैंड है। राजनीति में समय के अनुकूल परिवर्तन होना चाहिए। अभागोली व क्रामाकपा का जिक्र करते हुए उन्होंने कहा कि 1943 में गठित अभागोली ने पर्वतीय क्षेत्र के लिए आज तक कुछ नहीं किया। यह सभी मोर्चे पर असफल रहा है। क्रामाकपा के अध्यक्ष आरबी राई के निर्णय उनके प्रतिष्ठा के अनुरूप नहीं होते। कहा कि गोरखालैंड का लक्ष्य हासिल करने का गुर विपक्ष हमें सिखाए। इसके लिए हम तैयार है। गोरखालैंड के लिए विपक्ष एकजुट होकर गोजमुमो का समर्थन करें। गोरखाओं के राष्ट्रीय पहचान के लिए सभी को एकजुट होना आवश्यक है। तेलंगाना से गोरखालैंड की तुलना नहीं की जा सकती। तराई व डुवार्स को गोजमुमो ने नहीं छोड़ा है। गोरखालैंड के गठन में गोरखा बहुल क्षेत्र को शामिल किया जाएगा। उन्होंने आरोप लगाया कि गोरामुमो सुप्रीमो सुभाष घीसिंग ने गोरखालैंड की मांग को छोड़ दिया था। यहां की समस्या निराकरण का एक ही उपाय गोरखालैंड का गठन है। बंगाल विभाजन विषय नहीं है। क्योंकि यह भूभाग बंगाल का है ही नहीं, तो बंगाल विजाभन का प्रश्न ही कहां उठता। नारी मार्चा अध्यक्ष आशा गुरुंग ने कहा कि तेलंगना से पूर्व गोरखालैंड की मांग है। इसका गठन होना आवश्यक है। गोरखाओं के योगदान को भुलाया नहीं जा सकता है। जान की बाजी लगाकर देश की रक्षा करते रहे हैं। लेकिन सरकार से समुदाय के साथ अन्याय किया है। विमल गुरुंग ने जीटीए समझौते में हस्ताक्षर नहीं किया है वे हस्ताक्षर सिर्फ गोरखालैंड के लिए ही करेंगे। जनता के हित के लिए प्राण न्यौछावर को भी तैयार हैं। जनता को डराकर आंदोलन नहीं करेंगे। गरीब जनता के लिए ही गोरखालैंड है। कर्सियांग के विधायक डॉ रोहित शर्मा ने कहा कि पोस्टरबाजी से अलग राज्य हासिल नहीं किया जा सकता। हमारा अंतिम व पहला लक्ष्य गोरखालैंड है। गोजमुमो कई बार केंद्र को ऐतिहासिक दस्तावेज सौंप चुका है। जीटीए चेरमैन प्रदीप प्रधान ने कहा कि हमारी संवैधानिक मांगों को मानना ही होगा। यह अस्तित्व से जुड़ा हैं। इसकी अनदेखी नहीं की जा सकती। गोजमुमो ही राज्य का गठन कर सकता है। सभा को सांगठनिक सचिव रतन थापा, फूबी राई, पेमेंद्र गुरुंग, सावित्री क्षेत्री, प्रणाम रसाईली व नवराज गोपाल क्षेत्री ने भी संबोधित किया। कार्यक्रम की अध्यक्षता तिलक गुरुंग ने व संचालन युवा नेता व वार्ड आयुक्त सुभाष प्रधान ने किया। ক্যামেরা চলছে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা আর সম্ভব নয়সুমন চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বেকায়দায় ফেলল কে? কলকাতা পুলিশের অপসারিত এবং বেদনাহত কমিশনার পচনন্দা? না৷ গার্ডেনরিচের বাহুবলী ইকবাল ওরফে মুন্নাভাই? না৷ ভিড়ের মধ্যে প্যাঁকাল মাছের মতো দৌড়ে এসে গুলি চালিয়ে দেওয়া হবু মস্তান? না৷ শান্তিনিকেতনি ঝোলার মতো এই সে দিন পর্যন্ত তাঁকে যিনি বয়ে চলতেন (কে জানে, হয়তো ভবিষ্যতেও চলবেন) সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তা-ও না৷ তা হলে? ক্যামেরা৷ গার্ডেনরিচ কাণ্ডের নায়ক (সিপিএম সহ বিরোধীদের কাছে) বা খলনায়ক (হাকিম সাহেব সহ তৃণমূল দলের কাছে) আসলে এই যন্ত্রটাই৷ সে দিনের সেই ভয়াবহ কাণ্ডের প্রতিটি পল-অনুপলের ছবি এই ভাবে ক্যামেরাবন্দি না হলে, প্রতিক্রিয়া স্বরূপ তার পরে প্রায় যুদ্ধকালীন তত্পরতায় যা যা ঘটেছে এবং এখনও ঘটে চলেছে, তার কোনও কিছুই হত না৷ ঘাতক ভাগলবা হত৷ মুখ্যমন্ত্রীর বাঁধানো ছবির সামনে বসে দীর্ঘদেহী মুন্নাভাই সাংবাদিকদের ডেকে এনে বিস্তর বোলচাল মেরে বোঝানোর চেষ্টা করতেন এটা তাঁর বিরুদ্ধে কত বড়ো ষড়যন্ত্র৷ কমিশনারের বে-ইজ্জতি হত না৷ রাজ্যপাল তাঁর উষ্মা প্রকাশ্যে জানান দেওয়ার অবকাশ পেতেন না৷ সর্বোপরি নানাবিধ গালগল্প শুনিয়ে ফিরহাদও দিব্যি পার পেয়ে যেতেন৷ কপাল ভালো থাকলে কেবল হতভাগ্য তাপস চৌধুরীর কন্যাটি একটি সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি হয়তো পেতেন৷ মৃত পুলিশ অফিসারের প্রতি এতটা অমানবিক হওয়ার ঝুঁকি কোনও সরকারই নিত না৷ ক্যামেরাই যে এখন রাজনীতির কারবারিদের আত্মহননের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে, গার্ডেনরিচের নৃশংস কুনাট্য আরও এক বার তা আমাদের চোখের সামনে নিয়ে এল৷ অন্যথায় বিষয়টি নিয়ে ভণ্ডামির যে তু তু ম্যায় ম্যায় চলছে তা নেহাতই হাস্যকর৷ ঘুঁটেকে পুড়তে দেখে গোবর হাসছে, শান্তি-সুস্থিতির মানদণ্ডে কোন জমানাটা তুলনায় ভালো, আগেরটা না এটা, তা নিয়ে অযথা কলহে ভারি হচ্ছে নিউজ-স্টুডিয়োর আবহাওয়া৷ মা-মাটি-মানুষের জমানায় গার্ডেনরিচে যদি পুলিশের এক জন সাব-ইন্সপেক্টরকে বেঘোরে মারা যেতে হয় তা হলে বাম-জমানাতেও একই এলাকায় আরও বড়ো মাপের পুলিশ অফিসারকে দুষ্কৃতীর গুলিতে মারা যেতে হয়েছিল৷ সামান্য পার্থক্যটা হল, ডেপুটি কমিশনার বিনোদ মেহতাকে মারা হয়েছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে প্রায়ান্ধকার গলির ভিতরে৷ আর তাপস চৌধুরীকে মরতে হল প্রকাশ্য দিবালোকে ভিড়ে জমজমাট রাজপথে৷ তুলনামূলক বিচারে তা হলে বলতে হয়, এই জমানার দুষ্কৃতীরা কিঞ্চিত্ বেশি বেপরোয়া৷ বন্দর এলাকা এবং পার্থিব যাবতীয় অপরাধের স্বর্গরাজ্য গার্ডেনরিচে মাফিয়াদের দাপাদাপি বা সমান্তরাল শাসন কোনও নতুন ঘটনা নয়৷ ঠিক যেমন একই রকম পুরনো এই তল্লাটে মস্তান-পুলিশ-রাজনৈতিক দাদাদের যোগসাজস৷ কিংবা বখরার ভাগ-বাঁটোয়ারা৷ বড়ো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে গার্ডেনরিচ সাময়িক ভাবে খবরের শিরোনামে উঠে আসে, এই ভূখণ্ডের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা নতুন করে অবহিত হই৷ তার পর উত্তেজনা থিতোলে,পরবর্তী বড়ো খবরের স্রোতে এই খবরটি ভেসে গেলে আবার চল পানসি বেলঘরিয়া৷ পুলিশের খাতায় দাগি অপরাধী হিসেবে যারা চিহ্নিত, রাজনৈতিক দলগুলি তাদের জাতে তোলে, তাদের নেতা কাউন্সিলর বানিয়ে সম্মান জানানো হয়৷ ক্ষমতায় থাকে যে রাজনৈতিক দল অপরাধ-জগতের নিউটনিয় সূত্র মেনে তার ছাতার তলাতেই কিলবিল করে বেশির ভাগ সমাজসেবী-সমাজবিরোধীরা৷ হল অব ফেম-এ তাদের নাম কখনও মুন্নাভাই, কখনও ঝুন্নু, কখনও চুন্নু, কখনও মোগল, কখনও আবার পাঠান৷ কখনও এ ওর দাদা, সে তার বেয়াই৷ দাদা সামসুদ্দিন আনসারি তৃণমূলে,তার ভাই ঝুন্নু আনসারি সিপিএমে এবং বেয়াই মোক্তার কংগ্রেসে৷ কখনও তারা ফিরহাদ হাকিমের মতো দাদাদের এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রাখার কাজে সাহায্য করে, কখনও ভোট দিয়ে বাঁচিয়ে দেয় বামপন্থী বিপ্লবীদের পুরসভা৷ বিষ্ঠার এ পিঠে যা ও পিঠেও তাই৷ ইনকিলাব জিন্দাবাদ৷ বন্দে মাতরম৷ বলতেই হবে আর পাঁচ জন দাদার মতো জনাব হাকিম অকৃতজ্ঞ নন৷ অনুগামী মুন্নাভাইকে রক্ষা করার জন্য তিনি বুক চিতিয়ে স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল এক করে দিয়েছেন৷ ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে তাকে সমর্থন করেছেন, মহাকরণে দাঁড়িয়ে তার গুণগান গেয়েছেন, খোদ পুলিশ কমিশনারকে চমকে দিয়েছেন এহেন নিষ্পাপ নিষ্কলঙ্ক ভক্তের নাম এফআইআর-এ না তোলার জন্য৷ দুর্মূখেরা বলছে কোথায় আত্মগোপন করে থাকলে তাঁর কোনও অসুবিধে হবে না, মুন্নাভাই সেটাও নাকি তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেই চূড়ান্ত করেছেন৷ ইদানীং কালে এমন নেতৃগুণ বড়ো একটা রাজনীতিকদের মধ্যে চোখে পড়ে না৷ সিপিএম-এর প্রয়াত নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর এই দুর্লভ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল, হাত কাটা দিলীপ জাতীয় বিশ্বস্ত ভক্তদের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ছিল সুবিদিত৷ কোনও বিতর্ক, কোনও নিন্দা-মন্দ তাঁকে সহসা সেই বাত্সল্যের অবস্থান থেকে নড়াতে পারত না৷ আর রাজ্য কংগ্রেস দলে একদা এই গুণটি ছিল সোমেন মিত্রর৷ অনুগামী বিপদে পড়লে বরাবরই তিনি ছিলেন বটবৃক্ষের ছায়া৷ ফিরহাদ সেই গৌরবজনক ঐতিহ্যেরই নবীন ধারক৷ রাজনীতির দাদাদের সঙ্গে অপরাধ জগতের দাদাদের সম্পর্কের প্রসঙ্গটিও এত চর্চিত যে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় করে কোনও লাভ নেই৷ সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের কংগ্রেসি জমানাতেই প্রথম গুন্ডা-মস্তানেরা পাদপ্রদীপের সামনে চলে এসেছিলেন৷ কংগ্রেসের সাংগঠনিক রাজনীতিতে সাধারণ ভাবে এটা ছিল সঞ্জয় গান্ধীর বিশেষ অবদান৷ প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের (যিনি শত ঘোষ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন) মতো অনেক কংগ্রেস নেতা সে সময় প্রায় প্রকাশ্যেই মস্তানদের মদত দিতেন৷ অন্তর্দলীয় লড়াইতেও আখছার ব্যবহার করা হত ডাকাবুকো গুন্ডাদের৷ রসিকতা করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় তখন বলতেন, 'সোমেনের একটা ওমর থাকলে আমারও একটা তাড়িবাবা আছে৷' এলাকা দখলে রাখার লড়াইয়ে নেতাদের সেনাপতি ছিল এরাই৷ খুনের দায়ে ওমরকে শেষ পর্যন্ত দেশান্তরী হতে হয়েছিল, তাড়িবাবার অন্তর্ধান হয়েছিল চুপিসারে৷ ফলে সেই জরুরি অবস্থার সময় থেকেই সমাজবিরোধীরা কংগ্রেসি রাজনীতির প্রায় অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ এখন কংগ্রেসের বাজার খারাপ, তাই তাদের বেশি দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসে৷ সশস্ত্র বিপ্লবে বিশ্বাসী বামপন্থীদের অস্থি-মজ্জায় একদা হিংসার রাজনীতি মিশে ছিল৷ সেই জন্যই সাঁইবাড়ির মতো নৃশংস ঘটনার পরে সিপিএম-এর তত্কালীন নেতারা প্রকাশ্যেই তাকে সমর্থন করতে দ্বিধা করেননি৷ তবু বলতে হবে, বামপন্থী রাজনীতিতে দৈনন্দিন স্তরে দুর্বৃত্ত-নির্ভরতার চল শুরু হয়েছে রাজ্যের তখতে বামফ্রন্ট সরকার গেড়ে বসার কয়েক বছর পরে৷ তার পর ধীরে ধীরে এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছিল যখন আর অতীতের কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএম-এর কোনও পার্থক্যই খুঁজে পাওয়া যেত না৷ আজ যে ভাষায় এবং যে ভাবে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা আরাবুল বা ইকবালকে সমর্থন করছেন, বাম জমানায় একেবারে ঠিক সেই ভাবেই কখনও তপন-সুকুর,কখনও বুল্টন, কখনও আবার মোক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সিপিএম নেতারা৷ কে কত বড়ো জঘন্য অপরাধ করেছে বা করতে পারে তার ভিত্তিতেই মাপা হত এদের গুরুত্ব৷ কাউকে বলা হত 'দলের সম্পদ' কাউকে আবার শহিদ৷ বাংলায় জমানার রং বদলেছে মাত্র, রাজনীতির চরিত্র বা রাজনীতিকদের চরিত্র এতটুকু বদলায়নি৷ বদলাবে বা বদলাতে পারে এহেন দুরাশার কোনও কারণও দেখি না৷ এমত 'কুছ পরোয়া নেই' রাজনীতির সঙ্গে, বেপরোয়া ক্ষমতা প্রদর্শনের দম্ভের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে আরও একটি বিষয় জড়িত৷ শাসক দলের বিপুল গরিষ্ঠতা৷ পুনঃপুনঃ নির্বাচনে বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় বামপন্থীদের মনে হয়েছিল, এটাই দস্ত্তর, কখনওই এর ব্যত্যয় ঘটবে না৷ ফলে তাঁরা মনে করেছিলেন, যেখানে যা ইচ্ছে তা করেই পার পেয়ে যাবেন৷ গত নির্বাচনের ফল সযত্নে লালিত সেই বিশ্বাসকে খান খান করে দিয়েছে, প্রায় দু'বছর কাটতে চললেও বাম-শিবিরের ছত্রভঙ্গ দশা এখনও কাটেনি৷ ক্ষমতায় তাঁদের উত্তরসূরি যাঁরা হয়েছেন, বিপুল গরিষ্ঠতার কারণে তাঁদেরও এখন মনে হচ্ছে মহকারণে দীর্ঘস্থায়ী বন্দোবস্ত অবশ্যম্ভাবী৷ বোঝাই যাচ্ছে, পূর্বসূরিদের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা কিছু শেখেননি, শিখতে চানও না৷ তাই এমন অর্বাচীন ক্ষমতার আস্ফালন, ধরাকে সরা মনে করার অন্ধ উন্মত্ততা৷ আপাতদৃষ্টিতে তার মানে ইংরেজিতে যাকে বলে 'দেয়ার ইজ নাথিং টু চুজ'৷ ফলে আমি ভালো না তুমি, আমার জমানা ভালো না তোমারটা সেই বিতর্কটাই অনর্থক৷ যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণের এই চেনা গপ্পে নতুন সংযোজন এবং নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে উঠে এসেছে টেলিভিশনের ক্যামেরা যা পতাকার রঙের মধ্যে তারতম্য করতে জানে না৷ আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে টোয়েন্টি ফোর ইনটু সেভেন টেলিভিশন-এর নজরদারি এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যেখানে পুরনো ছকে রাজনীতি করে আর পার পাওয়ার জো নেই৷ কে কী বলছেন সবাই শুনছে, কে কী করছেন সবাই দেখছে, কে কী করছেন না অথচ করা উচিত ছিল তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অষ্টপ্রহর৷ ফলে ঘোর অনিচ্ছা সত্ত্বেও দাদা-দিদিদের দায়বদ্ধতা, যোগ্যতা, কর্মকুশলতা প্রমাণ করতে হচ্ছে প্রাত্যহিক৷ কোনও কথা বলে পরের দিন অস্বীকার করবেন উপায় নেই, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করবেন, সে গুড়েও বালি৷ বাংলার রাজনীতিতে এই 'উপদ্রবের' বয়স বেশি নয়৷ বড় জোর সাত-সাড়ে সাত বছর৷ কিন্ত্ত ইতিমধ্যেই ভাঙা গ.ডার খেলায় বড়ো শরিক হয়ে উঠেছে ক্যামেরা৷ তাঁদের জমানার শেষ দিকে সিপিএম নেতারা এর গুরুত্ব ও প্রভাব বোঝেননি, এখন তাঁদের উত্তরসূরিরাও বুঝছেন না৷ অথচ ফল কিন্ত্ত দু'তরফের ক্ষেত্রেই সমান হতে বাধ্য৷ ২০০৬-এ 'আমরা ২৩৫' থেকে খলনায়কে পরিণত হতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বেশি দিন সময় লাগেনি৷ ক্যামেরায় বন্দি হওয়া সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের বীভত্সার ছবি মানুষকে কী ভাবে আন্দোলিত করেছিল সেটা এখন ইতিহাস৷ কখনও বিনয় কোঙার, কখনও অনিল বসু, কখনও বিমান বসুর নানাবিধ 'অমৃত ভাষণ' ওই টেলিভিশন-এর সৌজন্যেই এখনও রাজ্যবাসীর কানে বাজে৷ গার্ডেনরিচের পুলিশ হত্যা, আরাবুলের দাপাদাপি বা তৃণমূল নেতাদের অনেকের অসহিষ্ণু সংলাপ আম-জনতা ভিন্ন চোখে দেখবে এ কথা মনে করাই মূর্খামি৷ এ জমানায় রাজা থেকে ফকির হতে সময় লাগবে না বেশি৷ |
No comments:
Post a Comment